বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
দাগ (১৯৫২): পরিচালক অমিয় চক্রবর্তী। শঙ্কর (দিলীপ) সারাদিন নেশায় ডুবে থাকত। পার্বতীর (নিম্মি) প্রতি প্রেম তাকে শহরে নিয়ে গেল রোজগার করতে। বাড়ি ফিরে সে দেখে পাবর্তীর বিয়ে অন্যত্র ঠিক হয়েছে।
দেবদাস (১৯৫৫): পরিচালক বিমল রায়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দিলীপকুমার। পার্বতীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। চন্দ্রমুখীর চরিত্রে ছিলেন বৈজয়ন্তীমালা।
নয়া দৌড় (১৯৫৭): পরিচালক বি আর চোপড়া। টাঙাচালক শঙ্কর (দিলীপ) আর কাঠুরে কৃষ্ণ (অজিত) দুই অভিন্নহৃদয় বন্ধু। দু’জনেরই প্রেমিকা এক। রজনী (বৈজয়ন্তীমালা)।
মধুমতী (১৯৫৮): পরিচালক বিমল রায়। পুনর্জন্ম ও অতিপ্রাকৃত ঘটনা নিয়ে ছবি। আধুনিক পুরুষ আনন্দ (দিলীপ) আদিবাসী নারী মধুমতীর (বৈজয়ন্তীমালা) প্রেমে পড়ে। এই ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ঋত্বিক ঘটক। সেরা হিন্দি ছবির জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল মধুমতী।
মুঘল-এ-আজম (১৯৬০): পরিচালক কে আসিফ। শাহজাদা সেলিমের সঙ্গে মহলের নর্তকী আনারকলির প্রেমকাহিনি, ফলস্বরূপ সম্রাট আকবরের সঙ্গে সেলিমের যুদ্ধ। সেলিমের চরিত্রে দিলীপকুমার, আনারকলি মধুবালা। আকবরের চরিত্রে পৃথ্বীরাজ কাপুর। ২০০৪ সালে রঙিন সংস্করণ করে ছবিটি পুনরায় বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পেয়েছিল।
গঙ্গা যমুনা (১৯৬১) পরিচালক নীতিন বসু। দুই ভাইয়ের গল্প, একজন ডাকাত আর একজন পুলিস। অভিনয় করেছিলেন দিলীপকুমার আর নাসির খান। রাম অউর শ্যাম (১৯৬৭): পরিচালক থাপি চাণক্য। যমজ সন্তানের দ্বৈত ভূমিকায় দিলীপকুমার। এই ছবির দুর্দান্ত সাফল্য পরবর্তীকালে ডাবল রোল ধারণায় বহু হিন্দি ছবি তৈরি হয়েছে।
শক্তি (১৯৮২) : পরিচালক রমেশ সিপ্পি। দিলীপকুমার ও অমিতাভ বচ্চন এই ছবিতেই একসঙ্গে প্রথম ও শেষবার অভিনয় করেছেন। পিতা-পুত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দুই কিংবদন্তি।
কর্মা (১৯৮৬): পরিচালক সুভাষ ঘাই। অবসরপ্রাপ্ত পুলিস অফিসার রানা বিশ্বপ্রতাপ সিং (দিলীপ) উগ্রপন্থী ডক্টর ড্যাংকে (অনুপম খের) ধরার জন্য একটি পরিকল্পনা করে। সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি বৈজু ঠাকুর (জ্যাকি শ্রফ), জনি (অনিল কাপুর) ও খৈরুদ্দিন চিস্তি (নাসিরুদ্দিন)-কে এই পরিকল্পনায় শামিল করে।
বাংলার দুই
১৯৬৬ সালে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘পাড়ি’ ছবি দিয়ে প্রথম বাংলা সিনেমায় পা রাখেন দিলীপকুমার। যদিও তিনি ছিলেন অতিথি শিল্পী। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। এই ছবিতেই প্রথম একসঙ্গে কাজ করেন দিলীপ-ধর্মেন্দ্র। সঙ্গীত পরিচালক সলিল চৌধুরী। পরে ছবিটি ‘আনোখা মিলন’ নামে হিন্দিতেও তৈরি হয়।
১৯৭০ সালে পরিচালক তপন সিংহ তৈরি করেছিলেন ‘সাগিনা মাহাতো।’ নাম ভূমিকায় ছিলেন দিলীপকুমার। শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবিতে এক শ্রমিক নেতার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অভিনয় করেছিলেন তাঁর স্ত্রী সায়রাবানুও। মস্কো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সহ অসংখ্য দেশি-বিদেশি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিল ছবিটি। ২ বছর পরে তপনবাবু এই ছবিটি হিন্দিতে তৈরি করেছিলেন।