বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বহুচর্চিত লক্ষ্মী আগরওয়ালের কেস নিয়ে ছপাক ছবিটি নির্মিত হয়েছে। ছবিতে লক্ষ্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। মনে হয় এটিই তাঁর কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স। প্রস্থেটিক মেকআপের কারিকুরি সহ এমন একটি ভূমিকায় তিনি অভিনয় করেছেন, যে চরিত্রে যে কোনও মূলস্রোতের বলিউডি নায়িকা কাজ করতে সাহস করবেন না। দীপিকা সেই কাজ অবলীলায় করেছেন। অ্যাসিড আক্রান্ত হওয়ার পর, প্রথমবার আয়নায় নিজেকে দেখা থেকে শুরু করে ছবির প্রতিটি ফ্রেমে তিনি অনবদ্য। মালতীর করা পিআইএল অর্থাৎ জনস্বার্থ স্বার্থ মামলার জেরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আ্যসিড আক্রান্ত সংক্রান্ত আইন পরিমার্জন করে। পরিচালক মেঘনা গুলজার তথ্য পরিবেশনে যতখানি যত্ন নিয়েছেন, ছবিতে গল্প তৈরি করতে ততখানি মন দেননি। ফলে মাঝে মাঝে কোর্টরুম দৃশ্যগুলো একঘেয়ে লেগেছে। যে সমস্ত অ্যাসিড আক্রান্ত মেয়েরা এই ছবিতে কাজ করেছেন, তাদের লড়াই ও জীবনের কথা একটু দেখানো হলে, পরিচালককে সাধুবাদ আরও বেশি দেওয়া যেত। ছবিটিও আর একটু জীবন্ত হতে পারতো। শঙ্কর-এহসান-লয়ের সুরে গানগুলি মনে রাখার মতো।
আপাত-দৃষ্টিতে ছবির শেষে যে জয়ের ফ্লেভার রাখা হয়েছে, তা কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি। এখনও আপনার-আমার পাড়ার দোকানে এক বোতল অ্যাসিড পাওয়া যায় নরম পানীয়ের থেকেও কম মূল্যে। ছপাকে অমল চতুর্বেদীর মতো না হলেও পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট আতঙ্কের। আতঙ্ক বাড়ছে কারণ মেয়েরা নিজের জীবন নির্ধারণ করতে আরও বেশি করে উদ্যোগ নিচ্ছে। অ্যাসিড, ধর্ষণ, অত্যাচার কোনওকিছুই তাদের আলোয় প্রকাশের পথ রোধ করতে সক্ষম হচ্ছে না। ছপাকের মালতী সেই বারবার মরে গিয়ে বেঁচে ওঠার কথা বলে। কারণ অ্যাসিড তার ‘চেহারা’ নষ্ট করতে পেরেছে, ‘মন’কে নয়।