প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
‘রোদ্দুর’ ভয়কে জয় করার নাটক। কত রকমের ভয় কত ভাবে মানুষের জীবনকে উপদ্রুত করে তোলে, তা অতি সুচারুরূপে নিবেদন করা হয়েছে। ভুবনের জীবনের আকাশে শুধুই বহুবর্ণ ভয়ের রামধনু। রাস্তায় দুর্ঘটনার ভয়, বাড়িতে পারিবারিক সদস্য থেকে শুরু করে প্রোমোটারের ভয়, অফিসে নতুন বসের হাতে কেরিয়ার ধ্বংসের ভয় এবং সর্বোপরি প্রতি মুহূর্তে মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলার ভয়। একটি ঘটনায় আচমকাই বহুমাত্রিক ভয়ের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ওঠে ভুবনদা। এক প্রতিস্পর্ধী মানব সত্তার বজ্রনাদ শোনে দর্শক। প্রসূন ভট্টাচার্যের নির্দেশনায় দেবাশিস দত্তের সুদক্ষ মঞ্চসজ্জায় আলোকসম্পাত করেছেন প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য। অনুপ ধরের সঙ্গীতায়োজন যথাযথ।
‘গুপী বাঘা এবং’ নাটকটির নামের আগে ‘অরাজনৈতিক’ শব্দটির সচেতন প্রয়োগ নিছকই একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। অনেকটা বিধিসম্মত সতর্কীকরণের মতো। এই নাটকে স্বেচ্ছাচারী রাজা আছে, নিপীড়িত ও দ্বিধাগ্রস্ত আমজনতা আছে। গণ অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক পরম্পরাও হাজির। সমকালীন রাজনৈতিক রেফারেন্স সংলাপের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে। সুবীর সান্যালের সঙ্গীত নাটকের অন্যতম সম্পদ। দেবাশিস বসুর সার্থক নির্দেশনায় অজিত রায়ের মঞ্চসজ্জা ও সৈকত মান্নার আলোকসম্পাত যথাযথ। সুজাতা সরকারের পোশাক পরিকল্পনায় পরিশীলিত রুচির ছাপ।