যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
সূত্রধরের প্রস্তাবনার পরে হাতে একটা ছোট বালতি নিয়ে পাঁচুর মঞ্চে প্রবেশ। গতকাল সে কাচের কাপ ভেঙেছে। আজ ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে ফুলদানি ভাঙল। এই অপকর্মের জন্য বাড়ির লোকেদের থেকে পাঁচুর যা প্রাপ্য তাই জুটেছে। পাঁচু গ্রাম থেকে তুতো মাসির বাড়ি এসেছে আত্মীয় সেজে। এ বাড়ির চোখে সে কাজের লোক হলেও নিজেকে সে মনে করে মাসির আত্মীয়। দু’বেলা খাবার আর পরনে একটা কাপড় ছাড়া এ সংসারে তার প্রাপ্য আর কিছু নেই। মাসির ভাড়াটিয়ার ভাই বটুর সঙ্গে পাঁচুর সম্পর্ক বেশ ভালো। বটুর লটারির টিকিট কাটার নেশা। প্রতিদিন একই ফল জোটে পোড়া কপালে। বটু একদিন ভাবে পাঁচুর নামে টিকিট কেটে দেখবে। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। এতেই পাঁচুর জীবন বদলে গেল। কপালজোরে কোটিপতি হল পাঁচু। এই খবরে মাসির বাড়িতে পাঁচুর কদর বেড়ে যায়। সেই কাণ্ড নিয়েই তৌর্যত্রিকের নাটক ‘কাঞ্চনরঙ্গ’।
তরুণ তপন মিত্রের পরিচালনা যথাযথ। পাঁচুর চরিত্রে দেবোত্তম দাসের অভিনয় এই নাটকের ইউএসপি। শারীরিক অঙ্গভঙ্গি থেকে চোখ মুখের ভাবপ্রকাশ অনবদ্য। এছাড়া তরলা (রিমা কুণ্ডু), বটু (অর্চন চট্টোপাধ্যায়), কর্তা (কল্যাণ দে), গিন্নি (রিনি বসু) প্রমুখের অভিনয় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক লয়ে বাঁধা। সূত্রধরের কাজ করেন অখিলেন্দু মাইতি।
নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা নজর কাড়ে। জিতেন দাসের আলো ও প্রলয় গড়াইয়ের আবহ নাটককে পরিপূর্ণ করতে সহায়তা করে। এ নাটক সমসাময়িক সময়ে আবার সেই প্রশ্ন তোলে, যার হাতে অর্থ সেই দিতে পারে শর্ত?