যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
নৃত্যনাট্যের পটভূমি উনিশ শতকের শেষভাগ। কলকাতায় বসে স্মৃতিচারণ করছে এই কাল্পনিক চরিত্র গুলাবিজান। গজল, ঠুমরিতে পারদর্শী এই মহিলা লখনউ থেকে কলকাতায় চলে আসে। ইতিহাসের পটপরিবর্তন চোখের সামনে দেখেছে সে। কীভাবে বদলে গিয়েছিল লখনউয়ের মহিলাদের জীবন। সাহিত্য, রাজনীতি, শিল্পে পারদর্শী মহিলারা সমাজে নানা ভাবে অবদান তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু ব্রিটিশরা তাদের দেহব্যবসায় আসতে বাধ্য করে। লখনউ থেকে কলকাতায় চলে আসা বহু মহিলার এই পরিণতি হয়েছিল। পিতৃতান্ত্রিক সমাজ তাঁদের পণ্যে পরিণত করেছিল। নবাবদের দরবারে তাঁদের গুণের কদর ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ শাসন সেই গুণের কোনও মর্যাদা দেয়নি। সেই ইতিহাসকেই তুলে ধরল এই নৃত্যনাট্য।
গুলাবিজান-এর ভাবনা এবং পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য চরিত্র গুলাবিজানের মধ্যবয়সের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন তিনি। অল্প বয়সের ভূমিকায় দেখা গেল পামেলা সিংয়ের অভিনয়। মূল চিত্রনাট্যের রচয়িতা মৌমিতা মিত্র।
দেশে, বিদেশে নানা জায়গায় পারফর্ম করেছে গান্ধর্বী। শিল্পকলার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের কথা তুলে ধরা তাদের উদ্দেশ্য। সে কারণে পৌরাণিক এবং ঐতিহাসিক নানা নারী চরিত্র নির্বাচন করেন শিল্পীরা। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, সেই সব হারিয়ে যাওয়া বহু চরিত্রের কথা উঠে এসেছে এই নৃত্যনাট্যে।