হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
মূল কারণ
ভাত, রুটি, সব্জি দিয়ে বানানো তরকারি, মাছ, মুড়ি, ঘুগনি, শসার, চিঁড়ে-দই দিয়ে ফলার, খই-দুধ ত্যাগ করে খোকা-খুকিরা আজকাল পেট ভরাচ্ছে নুডলস, বিরিয়ানি, পাস্তা, লুচি, পরোটা, রোল, মিষ্টি, চকোলেট ফ্লেভারের কর্নফ্লেকস, ক্রিম বিস্কিট, চকোলেট দিয়ে!
এমন খাবারে ফাইবার বা খাদ্যতন্তু থাকে অনুপস্থিত। পুষ্টিমূল্য শূন্য! ফলে মল নরম হওয়ার সুযোগ থাকে না। এছাড়া বাচ্চা যদি পর্যাপ্ত মাত্রায় জল না খায় তাহলেও দেখা দিতে পারে কনস্টিপেশন। অনেক বাচ্চার সঠিকভাবে টয়লেট ট্রেনিং হয় না। এমন ক্ষেত্রেও কনস্টিপেশনের সমস্যা মাথাচাড়া দেয়! ১ বছর বয়স থেকেই তাই শিশুকে টয়লেটে বসানোর অভ্যেস করাতে হবে। এছাড়া শিশুর হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলেও দেখা দিতে পারে কনস্টিপেশন। কিছু শিশুর মানসিক সমস্যার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্যের উপসর্গ প্রকাশ পেতে পারে।
চিকিত্সা
শিশুকে পর্যাপ্ত জল পান করান। এছাড়া শাকসব্জিপূর্ণ খাদ্য খাওয়ান। শাকসব্জিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। এছাড়া বাচ্চাকে ফলের রস না খাইয়ে গোটা ফল খাওয়ানো অভ্যেস করান। গোটা ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার অনেকখানি জল ধারণ করে। ফলে মল নরম হয়। দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য।
এছাড়া প্রতিদিন খাওয়ান টক দই। টক দইয়ে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা কোষ্ঠকাঠিন্যও দূরে রাখতে বিশেষভাবে কাজে আসে।
খেয়াল রাখুন
ডায়েটে পরিবর্তন করে প্রাকৃতিক উপায়ে শিশুর কনস্টিপেশন দূরে রাখার চেষ্টা করুন। পায়খানা হচ্ছে না বলে ঘন ঘন ডুশ দিতে যাবেন না। ল্যাকজেটিভও চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া দেওয়া উচিত নয়।
জটিল কনস্টিপেশন
শিশু খাবার খেতে পারছে না, পেট ফুলে যাচ্ছে, ওজন কমছে, পায়ুদ্বার থেকে রক্ত বেরচ্ছে, ব্যথা হচ্ছে, রেকটামের নীচের অংশ বেরিয়ে আসছে — এমন হলে অবশ্যই দেরি না করে চিকিত্সকের পরামর্শ মতো খেতে হবে ওষুধ।