হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
চশমার কাজ কী?
চশমার দরকার পড়ে কেন? আমাদের চোখ একটা ক্যামেরার মতো। আলোকরশ্মি লেন্স ও কর্নিয়ার মধ্যে দিয়ে রেটিনার উপর ফোকাস করে। তা সঠিক জায়গায় হলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, চোখের মণির দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন বা কর্নিয়ার আকারে বদলের জেরে আলো যদি রেটিনার সামনে বা পিছনে ফোকাস করে, তখনই চশমার প্রয়োজন পড়ে। যদি দেখা যায়, আলোর ফোকাস পর্দার সামনে পড়ছে। তখন আলোকে একটু পিছিয়ে পর্দার উপরে ফোকাস করতে মাইনাস পাওয়ারের চশমা দরকার। আবার ফোকাস যদি রেটিনার পিছনে হয়, সেক্ষেত্রে প্লাস পাওয়ার ব্যবহার করতে হবে।
চশমার বিকল্প ল্যাসিক সার্জারি?
অনেকেই চোখে চশমা পরতে ভালোবাসেন না। এছাড়া, কাজের প্রয়োজনেও অনেকের ‘উপনেত্র’ ব্যবহারে অনীহা বা বারণ থাকে। সেক্ষেত্রে চোখ থেকে চশমা সরানোর অন্যতম উপায় হল ল্যাসিক সার্জারি।
ল্যাসিক সার্জারি কী?
এতে আমাদের চোখের মণি বা কর্নিয়ার শেপ (আকার) পরিবর্তন করা হয়। এর ফলে আলোর প্রতিসরণ সংক্রান্ত যে সমস্যা, তা দূর হয়। চোখের পাওয়ার আর বদলায় না। মূলত মাইনাস পাওয়ারের ক্ষেত্রে ল্যাসিক সার্জারি বিশেষ কার্যকরী। চিকিৎসার ভাষায় এই পদ্ধতিকেই ‘লেজার অ্যাসিস্টেড ইন-সিটু কেরাটোমিলিউসিস’, সংক্ষেপে ল্যাসিক।
বিকল্প হিসেবে এই পদ্ধতি বেছে নিলেও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, ১৮ বছর বয়সের নীচে কারও ল্যাসিক সার্জারি করা চলবে না। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অন্তত দু’বছর চোখের পাওয়ার অপরিবর্তিত থাকতে হবে। কারণ পাওয়ার স্থির না হলে সমস্যা আবারও ফিরে আসতে পারে। এই অস্ত্রোপচারের আগে কর্নিয়াল টপোগ্রাফি পরীক্ষা করা দরকার। এর মাধ্যমে দেখে নেওয়া হয়, কর্নিয়া কতটা মোটা বা তার মধ্যে অন্য কোনও রোগ লুকিয়ে রয়েছে কি না। ল্যাসিকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে চোখের পাওয়ারের আর পরিবর্তন হয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে টপ-আপ ল্যাসিক করারও সুযোগ রয়েছে।
ল্যাসিক সার্জারির পর সাবধানতাঃ
চোখে ঘষা লাগা চলবে না। যে কোনও রকম আঘাত থেকে চোখকে রক্ষা করতে হবে। অপারেশনের পর প্রথম ৪ থেকে ৫ দিন চোখের জল দিতে বারণ করা হয়। তারপর থেকে মাথায় জল ঢেলে স্নান করা যেতে পারে। তবে গভীর জলে ডুব দিয়ে সাঁতার কাটা বারণ। আর প্রথম দুই সপ্তাহ চোখে কোনও কসমেটিক দেওয়া চলবে না।
শেষ কথা:
চশমা ভালো না ল্যাসিক ভালো—তার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই নিতে হবে। অনেকটাই তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের উপর নির্ভর করে। তবে মাথায় রাখতে হবে কারও যদি চোখের পাওয়ার নিয়মিত পরিবর্তন হয়, তার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কাজে আসবে না। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।