Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

আয়ুর্বেদ মতে কীভাবে জীবনধারণ করলে মিলবে নীরোগ শরীর

আয়ুর্বেদ ভারতের গর্ভজাত পৃথিবীর প্রাচীনতম চিকিৎসাবিজ্ঞান যা হাজার হাজার বছরের তৎকালীন বৈজ্ঞানিক চিন্তা, নিরন্তর গবেষণা ও অসংখ্য চিকিৎসালব্ধ অভিজ্ঞতার জ্ঞানসমুদ্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
এই ভারতীয় সংহিতাসমূহ শুধু জাতি বা দেশ নয় বিশ্বের অন্যতম গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে বহুল পরিচিত যা বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানকে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে এসেছে।
অন্যদিকে ধন্বন্তরি আয়ুর্বেদের স্রষ্টা হিসেবে সুদীর্ঘকাল যাবৎ পূজিত হন এবং সেই উপলক্ষে ধনতেরাসের দিনটিকে ‘আয়ুর্বেদ দিবস’ হিসেবে সরকারি পক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা থেকে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে প্রায় পনেরো দিন যাবৎ বিভিন্ন অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্য শিবির, ভেষজ বিতরণ ইত্যাদির দ্বারা জনমানসে আয়ুর্বেদকে আরও বহুল প্রচার ও জনস্বাস্থ্যের অঙ্গ করে তুলে ধরায় যেখানে আয়ুর্বেদ দিবসের মূল লক্ষ্য।
কিন্তু এই লক্ষ্য কি শুধুমাত্র অনুষ্ঠানভিত্তিক উদযাপন, কিছু প্রচার হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া, কেবলই কি হৃতগৌরব আর স্মৃতির সরণি বেয়ে অতীত ঐতিহ্যের গুণকীর্তন নাকি আধুনিক সময়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের কেবল রোগ ওষুধ ভাবনার মূলে শাশ্বত সত্য প্রতিষ্ঠায় একমাত্র বিকল্প পন্থার খোঁজ!
আয়ুর্বেদ শব্দের মূল অর্থই হচ্ছে জীবন সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান অর্থাৎ কেবলমাত্র রোগ নিয়ে কাজ নয়। রোগীর শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গরূপে সুস্থতা রক্ষায় এক সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি দ্বারা জীবনের গতিপথে রোগমুক্ত থাকা। কয়েকটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি আরও পরিষ্কার হয়, যেমন
১. সুস্থতার প্রথম সূত্র সর্বপ্রথমে নিদান পরিবর্জন: আয়ুর্বেদ মতে যেকোনও অসুস্থতা তা শারীরিক হোক বা মানসিক তার পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে যেটা চিহ্নিত করে সর্বাগ্রে সেই কারণসমূহ বর্জন করায় এককথায় নিদান পরিবর্জন যা এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসার অভ্রান্ত সিদ্ধান্ত বা মূল স্তম্ভ কারণ নিদান গ্রহণের পাশাপাশি কোনভাবেই সুচিকিৎসা হতে পারে না। এই ভিন্নতা, এই দৃষ্টিকোণ অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আয়ুর্বেদকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে।
২. রোগা সর্বাদপি মন্দাগ্নি... 
আয়ুর্বেদ চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘রোগা সর্বাদপি মন্দাগ্নি...’ বলে একটি কথা আছে যার অর্থই হল সর্ব প্রকার রোগের মূল ও প্রাথমিক কারণই হচ্ছে এই মন্দাগ্নি। শুনতে অবাক লাগলেও এই মন্দাগ্নি থেকে হতে পারে না এইরকম রোগ প্রায় নেই বললেই চলে এবং অগ্নির অসাম্যতা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনযাত্রায় মানুষ যতটা অভ্যস্ত হচ্ছে ততটাই বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভাস, সঠিক জল পানের নিয়ম, খিদে না পাওয়া সত্বেও খাওয়ার অভ্যেস এবং সর্বোপরি নিয়মিত বাইরের অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাওয়ারের কুপ্রভাব। ফলে বহুবিধ সমস্যা দেখা দিচ্ছে অহরহ। এখানে আয়ুর্বেদ সিদ্ধান্ত হলো সুস্থতা রক্ষায় অগ্নির সাম্যতা জরুরি। 
৩. কখন কীভাবে কতটা জল পান:
সামগ্রিকভাবে জল পানের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদের এক বিশেষ নীতিমালা রয়েছে:
‘অজীর্ণে ভেষজং বারি জীর্নে বারি বলপ্রদম।
ভোজনে চামৃতং বারি ভোজনান্তে বিষপ্রদম।।’
অর্থাৎ অজীর্ণ রোগের ক্ষেত্রে জল পান প্রধান ওষুধ, খাওয়ার জীর্ণ হাওয়ার পর জল পান শরীরে বল প্রদান করে। খাদ্য গ্রহণের সময় জলপান অমৃতসম কিন্ত ভোজনের তত্ক্ষণাত্‍ পর জলপান বিষের মতো ক্ষতিকর।
শুধুমাত্র প্রতিদিন এই নিয়মটি মেনে চললে বহুবিধ সমস্যা থেকে অচিরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৪. বিরুদ্ধ আহার ও তার ভয়াবহতা: এমন কিছু খাদ্য দ্রব্য রয়েছে যা একসঙ্গে সেবন করলে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়,হতে পারে দুরারোগ্য রোগব্যাধি।
যা অধিকাংশ মানুষ হয়তো জনেই না।
* দুধের সাথে কাঠাল,মাছ,লবন,খিচুড়ি, মুলা,জাম,ছাতু,তরমুজ ইত্যাদি।
* দইয়ের সঙ্গে ক্ষীর,পনীর,দুধ,গরম পদার্থ, কলা ইত্যাদি।
* ঘি ও মধু মাত্রামাত্রায় সেবন নৈব নৈব চ।
* তামার পাত্রে ঘি, গরম মধু সেবন, রাতে ছাতু খাওয়া, পায়েস ও ঘোল একসঙ্গে সেবন, পুঁইশাকের সঙ্গে তিল ইত্যাদি সবগুলোই বিভিন্ন প্রকার বিরুদ্ধ আহার।উপরের খাদ্যগুলো একসাথে সেবন করলে তাদের নিজেদের রসয়ানিক বিক্রিয়ার ফলে শরীরে বিভিন্নরকম ক্ষতিকারক প্রভাব দেখা যায়।
* চরক সংহিতা মতে বিরুদ্ধ আহার সেবন ত্বকের সমস্যা,পেটের বিভিন্ন রোগ,জ্বর,বন্ধ্যাত্ব,উন্মাদ,অন্ধত্ব ইত্যাদি হতে পারে।
৫. নিত্য সেবনীয় পথ্য-অপথ্য:
আমাদের দৈনন্দিন সেবনীয় আহার্য দ্রব্যের সাথে পরিপাকক্রিয়ার এক নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে সেই দৃষ্টিকোণে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের চরক সংহিতা মতে নিত্য সেবনীয় ও বর্জনীয় খাদ্য তালিকা অনুযায়ী,শালি চাল, মুগ, সৈন্ধব লবণ, আমলকী, যব, দুধ, ঘি, মধু রুক্ষ এলাকার প্রাণীর মাংস ইত্যাদি নিত্য সেবনীয় দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে মাছ, দই, মাষকলাই ইত্যাদির নিত্য সেবন শরীরের পক্ষে হানিকরক।
এছাড়াও অধিক গরম, টক ও নোনতা জাতীয় খাদ্যদ্রব্য, শীতল এবং গুরু দ্রব্য, তেলে পাক করা পুরি, মালপুয়া, শাক সেবন। দিবানিদ্রা,অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম এবং যে কোনও নেশা পেটের সমস্যা তথা উদর রোগের ক্ষেত্রে একেবারেই পরিতাজ্য।
৬. অধ্যসন অর্থাৎ (খিদে না পেলেও খাওয়া) হরেক রোগের আঁতুড়ঘর: আধুনিক ব্যস্ততাময় জীবনযাত্রায় খিদে পেলে সময় খাওয়া ব্যাপারটা অনেকেরই ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে না আবার অনেকের ক্ষেত্রে আগের খাওয়া হজম হওয়ার পূর্বেই অনেকে খেয়ে থাকেন। উপরের দুই ক্ষেত্রেই শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় এবং এই অভ্যেস দীর্ঘকালীন হলে বিভিন্ন প্রকার রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।
আয়ুর্বেদ দৃষ্টিকোণে খিদে পেলে তবেই খাবার খাওয়ার নির্দেশ রয়েছে এবং সর্বদা ত্রিবিধ কুক্ষী বিমান অনুযায়ী অর্থাৎ পেটের একভাগ খাদ্যদ্রব্য (ভাত, রুটি, শাক ইত্যাদি) একভাগ তরল পদার্থ (জল, দুধ ইত্যাদি) এবং একভাগ ফাঁকা রেখে খাওয়া উচিত।
এককথায় উদরপূর্তি করে খাওয়া উচিত নয়।
৭.সুস্থ ও নীরোগ থাকতে অধারণীয় বেগ ধরে না রাখা ও রোগ সমূহ: রোজকার জীবনযাত্রায় আমরা প্রতিনিয়তই কোনও না কোনও বেগ ধারণ করে চলেছি এবং যার ফলে আমাদের অগোচরেই দেহে বাসা বাড়ছে নানা অজানা রোগ।
আয়ুর্বেদ মতে এইরকম তেরোটি বেগ ধারণ করতে সর্বদা নিষেধ করা হয়েছে ও ধারণ করলে কি কি রোগ দেখা দিতে পারে তাও সুবিস্তারিত ভাবে বর্ণিত হয়েছে।
এই তেরোটি বেগ হল—অপনবায়ু বেগ, মল বেগ, মূত্র বেগ, হাঁচিবেগ, তৃষ্ণাবেগ, ক্ষুধা (খিদে) বেগ, নিদ্রা বেগ, কাস বেগ, শ্রমজনিত শ্বাসবেগ, জৃম্ভা (হাই তোলা) বেগ, কান্না বেগ, বমন (বমি) বেগ, শুক্র বেগ।
উক্ত বেগসমূহ ধারনজনিত রোগসমূহ হল, গুল্ম, উদরশূল, শিররোগ, উদ্গার, অস্মরী (পাথুরি রোগ), অঙ্গ বেদনা, মূত্রাশয়, মূত্রমার্গ ও বৃক্কে শৃল, শিরশূল, কর্ণরোগ, অদি’ত, ঘাড়ে ব্যথা, কাশি বৃদ্ধি, শ্বাসরোগ, অরুচি, হৃদরোগ, মুখাশোষ, বধিরতা, অরুচি, গ্লানি, কৃশতা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা ইত্যাদি।
৮.দিনচর্যা ও ঋতুচর্যা: আয়ুর্বেদ মতে দৈনন্দিন কিছু নিয়মশৈলি পালনকে দিনচর্যা এবং প্রত্যেক ঋতুতে ঋতুভিত্তিক বিধিনিষেধ পালনকে এককথায় ঋতুচর্যা বলে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুস্থ ও নীরোগ থাকার অন্যতম চাবিকাঠি।
এতএব আয়ুর্বেদ মতে পূর্ণাঙ্গ সুস্থতার ক্ষেত্রে কেবল রোগ ও রোগের প্রেক্ষিতে ওষুধ নির্ভর জীবনযাত্রা একমাত্র সমাধানসূচক পথ নয়। রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলা, নিদান বর্জনের সঙ্গে রোগের মূলোৎপাটন, সুনির্দিষ্ট জীবনশৈলীতে অভ্যস্ত হয়ে পথ্য সেবন, অহিতকারক খাদ্যদ্রব্য থেকে এড়িয়ে স্বাস্থ্যকে সর্বদা উন্নততর করে তোলায় আয়ুর্বেদের মূল লক্ষ্য এবং এই নীতির বহুল জনমুখী প্রচার ও ঘরে ঘরে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ হল আয়ুর্বেদ দিবসের পূর্ণ সার্থকতা।
ডাঃ বিশ্বজিৎ ঘোষ 
কমিউনিটি হেলথ অফিসার (আয়ুষ)
(কেন্দুয়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, হবিবপুর, মালদা)
29th  October, 2024
দাঁড়িয়ে থাকলেও সুগার কমে! 

শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটাহাঁটির বিকল্প নেই। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি স্পোর্টস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণানির্ভর প্রবন্ধ থেকে জানা যাচ্ছে, রক্তে শর্করার মাত্রার ওঠা-নামা অনেক সময়েই নির্ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা, হাঁটাহাঁটির অভ্যেসের উপরেও।
বিশদ

31st  October, 2024
স্ট্রোক নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মণিপালের উদ্যোগ

সম্প্রতি চলে গেল বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। এই উপলক্ষে শহরে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল মণিপাল হাসপাতাল গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন মণিপাল হাসপাতালগুলির তরফে একাধিক বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট  এবং নিউরোসার্জেন। 
বিশদ

31st  October, 2024
বিপি পোদ্দারের পদক্ষেপ

আলোর উৎসব কালীপুজো ও দীপাবলি। ঘরে ঘরে জ্বলে প্রদীপ। অনেক আবার বাজিও পোড়ান। শব্দবাজি ও আতসবাজি, উভয়েরই যদিও নেতিবাচক দিক রয়েছে। বাজি ফাটাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়।
বিশদ

31st  October, 2024
অ্যান্টিভেনাম

ওষুধ ছাড়াই প্রাণে বেঁচেছিলেন লখিন্দর। বেহুলার সেই অদম্য লড়াই ও ইন্দ্রের সভায় নাচ আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে। এ তো গেল মঙ্গলকাব্যের কথা। বাস্তবের মাটিতে বিষাক্ত সাপের ছোবলে অকালমৃত্যু হামেশাই শিরোনামে। ভারতে পাওয়া যায় তিনশোর অধিক সাপ। তার মধ্যে মাত্র ৫০টির বেশি বিষধর।
  বিশদ

31st  October, 2024
দীর্ঘায়ু হওয়ার প্রেসক্রিপশন!

অমরত্বের প্রত্যাশা তাই নেই আমাদের। তবু নীরোগ ও সুস্থ অবস্থায় দীর্ঘায়ু লাভের চাহিদা বেড়েছে। এখন ভারতে মানুষের গড় আয়ু ৭০-৭২ বছর। তবে এই গড় আয়ুকে অনেকটা বাড়িয়ে ৯০ পার করেও দিব্য সুস্থ রয়েছেন। 
বিশদ

31st  October, 2024
ঘরে ঘরে ভাইরাল ফিভার! সামলাবেন কীভাবে?

ঋতু বদলের সময় সর্দি-কাশি, জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনে শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার ফলে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা নড়বড়ে হয়ে যায়। পুজো মিটতেই এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এইধরনের সিজনাল ফ্লু-এর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশদ

24th  October, 2024
জ্বরে কখন অ্যান্টিবায়োটিক কখন শুধুই প্যারাসিট্যামল

পরামর্শে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল। বিশদ

24th  October, 2024
ভাইরাল ফিভারে আয়ুর্বেদিক দাওয়াই!

ভাইরাল জ্বরের সময় শুধুই নয়, প্রতিটি জ্বরের সময়ই আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আয়ুর্বেদে  বেশ কিছু  সমাধান রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও শরীরকে দ্রুত সুস্থ করতে সাহায্য করে যে জিনিস গুলি আমাদের হাতের সামনেই রয়েছে এই বিষয়েই আমার আজকের অবতারণা। বিশদ

24th  October, 2024
পছন্দের রং-এ শান্ত মন!

সুন্দর পরিপাটি ঘর দেখলে কার না ভালো লাগে? কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, কেন এমনটা হয়? আসলে যে কোনও সাজানো– গোছানো জিনিস মনকে প্রশান্ত রাখতে সাহায্য করে। বিশদ

24th  October, 2024
হোমিওপ‌্যাথির গবেষণায় মউ স্বাক্ষর

গত কয়েক দশক ধরে মডার্ন মেডিসিনের অন্যতম বিকল্প হয়ে উঠছে হোমিওপ্যাথি। গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন বহু তরুণ চিকিৎসক। সেকথা মাথায় রেখেই ডাঃ অঞ্জলি চ্যাটার্জি রিজিওনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর হোমিওপ্যাথিতে তৈরি হল কেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি ও হিস্টোপ্যাথোলজির গবেষণাগার। বিশদ

24th  October, 2024
ট্রোলে বিধ্বস্ত, সামলাবেন কীভাবে?

সামাজিক মাধ্যমে ট্রোল সংস্কৃতি নতুন নয়। তবে আজও তাকে সামলাতে পারেন না অনেকেই। ট্রোলের নানা ক্ষতিকর প্রভাব ও তার সঙ্গে যুঝতে পারার নিয়ম শেখাচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবাঞ্জন পান। বিশদ

17th  October, 2024
অনশন ও উপোস

মোটামুটি তিনদিন অনশন করে অনেকে থাকতে পারেন। তবে এই সময়ের পরেই শরীরে নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে থাকে।প্রথম ২-৩ দিনে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। পেশির জোর কমতে থাকে। শরীরে কোনও ক্ষত তৈরি হলে সারতে চায় না। বিশদ

17th  October, 2024
শুঁটকি মাছে কি কোনও পুষ্টি আছে!

শুঁটকি মাছ। নাম শুনলেই নাক সিটকোন অনেকে। পাড়ায় কোনও বাড়িতে শুঁটকি মাছ রান্না হলে আশেপাশের বাড়িতেও সেই ঘ্রাণ ছড়িয়ে যায়। এই মাছের প্রিপারেশন  বাঙালদের মধ্যে বেশি প্রিয় হলেও বাঙাল-ঘটি সবার কাছেই দিন দিন এই মাছের ডিশের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশদ

17th  October, 2024
প্রতিদিন এক গাঁট হলুদ খেলে শরীরে কী কী পরিবর্তন হতে থাকে?

এক গাঁট হলুদ কথাটি একটি বিভ্রান্তিকর। সেক্ষেত্রে আমরা ২ থেকে ৩ গ্রাম হলুদ খাওয়ার কথা বলতে পারি। হলুদ তা সে কাঁচাই হোক বা রান্নায় ব্যবহৃত গুঁড়ো হলুদ— দুইভাবেই হলুদ একজন ব্যক্তির সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।
বিশদ

14th  October, 2024
একনজরে
শান্তিনিকেতনে পর্যটক ও নারী সুরক্ষায় আরও একধাপ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিল শান্তিনিকেতন থানা। গ্রিন মোবাইল টিম নামের একটি বিশেষ মহিলা সুরক্ষা দল গঠন করল সংশ্লিষ্ট থানা। এর মাধ্যমে ওই মহিলা দল ব্যাটারি চালিত পরিবেশবান্ধব সাইকেলে চড়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালাবে ...

জনসমক্ষে দেশে কড়া পোশাকবিধির প্রতিবাদ করলেন ইরানের আরও এক তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাঁটলেন শুধু অন্তর্বাস পরে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। কিন্তু দু’দিন কেটে গেলেও ...

গত ২৯ অক্টোবর দেশজুড়ে রোজগার মেলার আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা সরকারি চাকরি পাচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়াই ছিল ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। ...

বালুরঘাটে ল’কলেজ পাড়ায় নেশার টাকা না পেয়ে খুনের অভিযোগে ধৃতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিস। পাশাপাশি এক দুষ্কৃতীর বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে মোগল সম্রাট আকবরের বাহিনীর হাতে হেমু পরাস্ত হন
১৭৯৫: বাংলা নাটকের প্রথম বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ‘ক্যালকাটা গেজেট’ পত্রিকায়
১৮৭০: আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্ম
১৮৮৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২: বৃটিশ-ভারতীয় বিজ্ঞানী জে বি এস হ্যালডেনের জন্ম
১৮৯৩: রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ ও রথীন্দ্রনাথের স্ত্রী তথা লেখক, কবি, চিত্রশিল্পী ও নৃত্যবিশারদ প্রতিমা ঠাকুরের জন্ম
১৯০২: গহরজানের গান দিয়ে কলকাতায় এশিয়ার প্রথম রেকর্ডিং শুরু হয়
১৯০৫: অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯১৫: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফিরোজ শাহ মেহতার মৃত্যু
১৯১৮: বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক বাণী রায়ের জন্ম
১৯৫৫: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক করণ থাপারের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৮: ক্রিকেটার বিরাট কোহলির জন্ম
২০০৬: ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে আল দুজাইল ট্রায়ালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়
২০১১: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার মৃত্যু
২০১২: যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৪১ টাকা ১১১.১৯ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৮ টাকা ৯৩.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৪৬/১৫ রাত্রি ১২/১৭। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৯/৫৫ দিবা ৯/৪৫। সূর্যোদয় ৫/৪৭/৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/২৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩১ মধ্যে পুনঃ ৭/১৬ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১২ মধ্যে পুনঃ ৪/৫৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/১০ গতে ৮/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী রাত্রি ৯/৩৫। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৪৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/২৯ গতে ১১/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে ও ৯/১২ গতে ১১/৪১ মধ্যে ও ১/৩৮ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৫/১০ গতে ৫/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১১ গতে ৮/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩১ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: কাজকর্ম অপেক্ষাকৃত শুভ। বৃষ: যোগাযোগ রক্ষায় সাফল্যের যোগ। মিথুন: মানসিক অস্থিরতা বাড়াবে। কর্কট: ধর্মকর্মে মন। সিংহ: কর্মস্থলে পদোন্নতির ...বিশদ

10:36:38 AM

আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত, জানালেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:40:36 PM

ছুরির আঘাতে মারাত্মক জখম সবজি বিক্রেতা
  এক সবজি বিক্রেতার উপর ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ...বিশদ

11:06:00 PM

পাঞ্জাবের সাঙরুর জেলায় মাঠেই জ্বালানো হল ফসল, ধোঁয়াচ্ছন্ন এলাকা

10:43:00 PM

গুজরাতে নির্মীয়মান রেল ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকে ৩ জন শ্রমিক, চলছে উদ্ধারকাজ

10:14:00 PM

আইপিএল ২০২৫-এর নিলামে অংশগ্রহণ করছেন ১৫৭৪ জন প্লেয়ার

09:56:00 PM