Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

জিমে না গিয়ে মেদ ঝরান, জেনে নিন সঠিক নিয়ম

পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যোগা ও ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও যোগ বিশারদ তুষার শীল।
 
শিশুদের দিকে তাকান। একবার হাঁটতে শেখার পর সারাদিনে কতটুকু তারা হাঁটল, কতখানি তাতে কাজ হল, সেদিকে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। তাদের ওই পথ চলাতেই আনন্দ! আর সেই কারণেই ওদের শরীর ছিপছিপে হয়। রোগবিরেত যা হয়, তাও দ্রুত সেরে যায়। বড়দের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একইরকম। হাঁটলেই শরীরের প্রভূত উন্নতি হয়। বিশেষ করে শরীরের প্রতিটি কোষে কোষে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। কারণ হাঁটলেই শরীরের বিভিন্ন পেশিগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেনের দরকার পড়ে। দ্রুত হারে সেই অক্সিজেন পেশিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হারও বাড়ে। 

পেশির বৃদ্ধি
হাঁটাহাঁটির অভ্যেসে শরীরের পেশিরও বৃদ্ধি ঘটে। কারণ পেশিতে যত বেশি রক্ত সঞ্চালন হয়, পেশির আকারও তত বাড়তে থাকে। ফ্যাট জমে কম। আমাদের শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়ারও বিরাট পরিবর্তন হয় হাঁটাহাঁটির অভ্যেসে। মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়ার গন্ডগোলেই রাজ্যের অসুখ এসে ভিড় করে শরীরে।
হাঁটাহাঁটি করলেই মেটাবলিজম বাড়ে। খেয়াল করে দেখুন গ্লুকোজের মেটাবলিজমের অভাবেই কিন্তু ডায়াবেটিস হয়। হাঁটাহাঁটির অভ্যেসে শর্করার বিপাক স্বাভাবিকভাবে হয়। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীকে নিয়মিত হাঁটতে বলা হয়। এমনকী যাঁদের ডায়াবেটিস নেই, তাঁরাও নিয়মিত হাঁটলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। এমনকী একটানা তিনমাস ১০ হাজার পা হাঁটলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও হ্রাস পেতে থাকে।

মনমেজাজ ভালো রাখে
রোজকার জীবনের নানা ধরনের সমস্যা আমাদের গ্রাস করে। সেই সমস্যা থেকে মন খারাপ হয়। হতাশা ঘিরে ধরে। কাজ করতে ইচ্ছে হয় না। দেখা গিয়েছে, হাঁটাহাঁটি করলে আমাদের শরীরে এন্ডোর্ফিন হরমোন বের হয়। এই হরমোন দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকতে পারি আমরা।

কোন বয়সে হাঁটবেন?
যে কোনও বয়সেই হাঁটা যায়। খুব বেশি বয়সে হনহন করে হাঁটতে না পারলেও চিন্তা নেই। প্রথমে ধীরেসুস্থে হাঁটলেও চলবে। তাতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। তবে হাঁটতে হবে। তাহলেই সমগ্র শরীরের উপকার হবে। জানলে অবাক হবেন, সারা শরীরের পেশির বৃদ্ধিতেই  হাঁটাহাঁটি কাজে আসে।

হাঁটলে কী কী লাভ?
পায়ের পেশি: কাফ মাসল শক্তিশালী হয় রোজ চল্লিশ মিনিট হাঁটলে। এই কাফ মাসলের মধ্যে থাকে গ্যাস্ট্রোনিমিয়াস, সোলিয়াস পেশি। এই পেশিগুলির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। উন্নতি হয় কোয়ড্রিশেপস পেশিরও। আবার হ্যামস্ট্রিং মাসলের অন্তর্ভুক্ত বাইসেপস ফিমোরিস, সেমিমেমব্রানোসাস, সেমি টেনডোনিয়াস পেশিগুলিও ক্রমে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এছাড়া থাই-এর পেশির মধ্যে আছে পেক্টিনিয়াস, অ্যাডাকটর ব্রেভিস, অ্যাডকটর লংগাস, ভাসটাস মিডিয়ালিস, ভাসটাস ইন্টারমিডিয়াস এবং রেকটাস ফিমোরিস। হাঁটলে এই পেশিগুলিও ক্রমশ শক্তিশালী হয়। পায়ের পেশিগুলি শক্তিশালী হওয়ার অন্যতম ভালো ফল হল, অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। এছাড়া পায়ের রক্তবাহী নালীগুলির মধ্যে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক হয়। এটি হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ তাতে হ্রাস পায় ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস-এর আশঙ্কা। 
পিঠ ও কোমর: ইরেকটার স্পাইনি, সোয়াস মেজরের মতো পেশিগুলি শরীরের ভার বয়। মেরুদণ্ড সোজা থাকে এই পেশিগুলির সহায়তায়। নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যেসে এই পেশিগুলি শক্তিশালী হয়। 
কাঁধ: সঠিকভাবে হাঁটলে ডেলটয়েড, টেরিস মেজর এবং মাইনর, রমবয়েড ইত্যাদি পেশিগুলির জোর বাড়ে। কারণ হাঁটার সময় হাতেরও সঞ্চালন ঘটে। 
বুক: পেকটরলিস মেজর এবং মাইনর পেশিগুলি কাঁধের সঙ্গে সংযুক্তি বজায় রাখে। এছাড়া ভারী কিছু তুলতে, ছুড়ে ফেলতে সাহায্য করে পেশিগুলি। হাঁটলে এই মাসলগুলিরও বৃদ্ধি হয়।
হাত: হাতের সেরেটাস অ্যান্টিরিওর, ডরসির মতো পেশিগুলির সচলতা বৃদ্ধি পায়।
পেট: হাঁটাহাঁটি করলে রেকটাস অ্যাবডোমিনিজ, ট্রান্সভার্স অ্যাবডোমিনিজ, অবলিকাস মাসলের মতো পেটের পেশিগুলির জোর বাড়ে। উল্লেখ্য, রোজ হাঁটলে এই পেশিগুলির সঠিক সঞ্চালন হয়। এছাড়া পেটের অন্দরে থাকা বৃহদন্ত্রের পেরিস্টলসিস বা সংকোচন-প্রসারণ হয় সঠিকভাবে। তাতে কনস্টিপেশন প্রতিরোধ করা যায়।
ফুসফুস: হনহন করে বা দ্রুত বেগে হাঁটলে ফুসফুসের ব্যায়াম হয়। ফুসফুসকে বেশি পরিমাণ বাতাস টানতে হয় ও ছাড়তে হয়। এর ফলে ফুসফুস থেকে বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড বেরতে থাকে। এইভাবে খুব অল্প বয়স থেকে নিত্য হাঁটাহাঁটির অভ্যেস ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
ওজন হ্রাস: হাঁটলেই আমাদের ক্যালোরি বা শক্তির দরকার হয়। আর পরিশ্রম করতে শুরু করলেই শরীর দেহে জমানো ফ্যাট গলিয়ে এনার্জির জোগান দেয়।
সুতরাং শুধু হেঁটেই অতিরিক্ত মেদ ঝরানো সম্ভব। রোজ অন্তত ৪০ মিনিটে ৩-৪ কিমি হেঁটে পার করতে পারলে ওজন কমবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন অবশ্যই বিশ্রাম নিন।
মেরুদণ্ড: যাঁদের মেরুদণ্ডে বাতের সমস্যা আছে, তাঁদের বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এমন ক্ষেত্রে তাঁরা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন নিশ্চিন্তে।
দূরে রাখে ফ্রি র‌্যাডিক্যালস এবং ক্যান্সার: আমরা জানি বিপাকক্রিয়ার দরুন শরীরে নানা ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান তৈরি হয়। এই উপাদানগুলি আবার কোষের ক্ষয় ঘটায়। কোষের অকালমৃত্যু, জিনের নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই ধরনের উপাদানগুলিকে বলে ফ্রি । শরীরে ফ্রি  বাড়লে ক্যান্সারের আশঙ্কাও বাড়ে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যেসে বিপাকক্রিয়ার উন্নতি হয়, বিবিধ উপকারী হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যা এই ধরনের ফ্রি  প্রতিহত করতে সাহায্য করে। এছাড়া হাঁটলে শরীরে ঘাম বের হয় আর ঘামের মাধ্যমে ক্ষতিকর বর্জ্য বেরিয়ে যেতে থাকে। 

কীভাবে হাঁটবেন
• হনহন করে দ্রুত হাঁটবেন। • হাঁটাহাঁটির সময় চপ্পল নয়। চেষ্টা করুন স্নিকার্স পরতে। মেশিনে হাঁটলেও স্নিকার্স পরবেন • পেট পুরে খাবার খেয়ে হাঁটবেন না। চেষ্টা করুন খালি পেটে হাঁটতে। তা সম্ভব না হলে অন্তত খাবার খাওয়ার আধঘণ্টা পরে হাঁটুন।
• রাতে খেয়েই শুয়ে পড়বেন না। হালকা হাঁটাহাঁটি করুন। রাতে খাবার পর হাঁটলে খাবার হজম হয়। গ্যাস-অম্বল হয় না। কোষ্ঠকাঠিন্যও প্রতিরোধ হয়।  
ভ্রমণ প্রাণায়াম: বিখ্যাত যোগগুরু শিবানন্দ সরস্বতীর এক বিখ্যাত আবিষ্কার ভ্রমণ প্রাণায়াম। তা কেমন? তা হল, হাঁটতে হাঁটতেও প্রাণায়াম অভ্যেস করা যায়। এই প্রাণায়ামে হাঁটার সময় চার পা শ্বাস নিতে নিতে এগন, তারপর চার পা শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে এগন। অভ্যেস হয়ে গেলে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়ার সময়কাল বাড়াতে পারেন। এই ভ্রমণ প্রাণায়ামে শ্বাসকষ্ট কমে, মেদ কমে এবং শরীরে তরতাজা ভাব অনুভূত হয়। 

কিছু টিপস
বয়স সত্তরের উপরে হলে হাঁটাহাঁটি শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিছু কিছু শারীরিক সমস্যায় ইচ্ছেমতো হাঁটাহাঁটি করা যায় না। 

কিছু ভুল ধারণা
বাড়ির কাজে, বাজারে, মলে হেঁটে শরীর ও স্বাস্থ্যের বিশেষ উন্নতি হয় না। নির্দিষ্ট ছন্দে এবং বাধারহিত হাঁটলে তবেই মেলে উপকার। বাজারে, হাটে, কিংবা বাড়ির কাজের হাঁটাহাঁটিতে ছন্দের অভাব সুস্পষ্ট। তাই শরীরে উন্নতি করতে হলে হাঁটার জন্য একটা সময় বের করুন। এতে শরীরে মেদ জমবে না। হাঁটুর উপর চাপ কম পড়বে। অল্পবয়সেই অস্টিওআর্থ্রাইটিসের কবলে পড়তে হবে না।

চেয়ারে বসে হাঁটা
একটা হাতলওয়ালা চেয়ারে বসে পড়ুন। এরপর বসে বসেই ডান-পা’কে যতটা পারুন উপরে তুলে পেটের কাছে আনুন। তারপর ডান পা’কে মেঝেয় নামিয়ে বাম পা’কে পেটের কাছে তুলুন। এইভাবে মার্চ করার মতো বারবার একবার ডান পা আর একবার বাম পা তুলুন। 
শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। একইসঙ্গে হাঁটবার সময় যেভাবে হাতদু’টি আন্দোলিত হয়, সেইরকমভাবে হাতদু’টিকে দোলান। অনেক বেশি উপকার পাবেন। ৫ মিনিট ব্যায়ামটি করতে পারেন। শুধু বয়স্ক কেন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত অফিসকর্মীরা অফিসের চেয়ারে বসেই এই ব্যায়ামটি করুন। উপকার পাবেনই। 

প্রাণায়াম
তবে শুধু হাঁটাহাঁটি নয়, তার সঙ্গে দরকার প্রাণায়াম করার। শীতকাল চলছে। তাই নিম্নলিখিত প্রাণায়ামগুলি করুন ৫ মিনিট করে।
ভ্রামরী: বাবু হয়ে বসুন। দু’ হাতের আঙুল দিয়ে দু’ কানের ছিদ্র ও চোখ বন্ধ করুন। এর পর নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার পর ভ্রমরের মতো গুঞ্জন করতে করতে নাক দিয়েই শ্বাস ছাড়ুন। শ্বাস ত্যাগের সময় কানের পর্দায় এক কম্পন অনুভব করবেন। শ্বাস নিয়ে গুঞ্জন করে শ্বাস ছাড়ার প্রক্রিয়াকে ১ সেট বলে। এইভাবে ৬ বার করুন। এই প্রাণায়াম কানে কম শোনা, কানে ব্যথা, প্রদাহ কমায়। 
উজ্জয়ী: এক্ষেত্রে প্রথমে পদ্মাসনে, বাবু হয়ে বা চেয়ারে মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। হাত দু’টি থাকবে হাঁটুর উপর। তর্জনিকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দিয়ে ধরুন। অন্য আঙুলগুলি টানাটান থাকবে। মাথা সামান্য ঝুঁকে থাকবে। এমতাবস্থায় দুই নাক দিয়ে খুব ধীরে ধীরে আরাম করে ফুসফুস ভর্তি শ্বাস নিন। শ্বাস নেওয়া হয়ে গেলে ১ সেকেন্ড শ্বাস চেপে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে আরাম করে দুই নাক দিয়ে পুরো শ্বাস ছাড়ুন। 
খেয়াল রাখবেন, ঠিক যতটা সময় ধরে যতটা শ্বাস নিচ্ছেন, ঠিক ততখানি সময় ধরে শ্বাস ছাড়তে হবে। এভাবে মিনিট খানেক করুন। এই প্রাণায়াম ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। মনকে শান্ত, একাগ্র করে তোলে। 
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক
05th  September, 2024
ডুয়াল পার্সোনালিটি হয় কেন

দ্বৈত সত্তা! কাদের থাকে, কেন হয়? এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায়ই বা কী? জানালেন মনোবিদ ডঃ অমিত চক্রবর্তী। বিশদ

হার্ট ও কোলেস্টেরলের সমস্যায় রোজ কটা ডিম খাবেন?

পরামর্শে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র। বিশদ

অন্ধত্বের চিকিৎসায় স্কুল উদ্বোধন

এই রাজ্যে প্রায় ১.৬৬ শতাংশ জনসংখ্যা অন্ধত্বে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় এই রাজ্যে উদ্বোধন হল শঙ্কর নেত্রালয়া এলিট স্কুল অফ অপটোমেট্রি (এসএনইএসও)-এর। বিশদ

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হোমিওপ্যাথিক ফোরাম

সম্প্রতি অভয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিল পশ্চিমবঙ্গ হোমিওপ্যাথিক ফোরাম। প্রায়৭০০ জনেরও বেশি চিকিৎসক মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের দলমত নির্বিশেষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা  শিয়ালদহ থেকে মানিকতলা পর্যন্ত রাজপথ জুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী মিছিলে হাঁটলেন। বিশদ

বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের জন্মদিন পালন

বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ জে এন কাঞ্জিলালের ১১৬ তম জন্মদিন পালিত হল কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে। বিশদ

তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়!

প্রতিটি সমস্যাই আসলে জীবনের শিক্ষা!’— একথা আমরা পড়েছি পাঠ্যবইয়ে। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় সেকথা উপলব্ধি করেছেন নিজের জীবন দিয়ে। একদা চলচ্ছক্তিহীন মেয়েটি মেরুদণ্ড শক্ত করে উঠে দাঁড়িয়েছেন নিজের পায়ে। দাঁড় করিয়েছেন ব্যবসা। আরও এক লড়াকু মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করালেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।  বিশদ

08th  September, 2024
পথ্যে অক্ষত যৌবন!

পরামর্শে নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান শতভিষা বসু।  বিশদ

08th  September, 2024
রাগের মিটার! 

স্ট্রেস ও টেনশন থেকে রাগ হলেও কেউ কেউ সেই পরিবেশে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে পারেন। কেউ আবার অল্পেই মাথা গরম! আপনি ঠিক কোন দলে? রাগ, স্ট্রেস এগুলো আপনার মনকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করে? আমরা দিলাম প্রশ্নমালা। নীচে থাকবে সম্ভাব্য কিছু উত্তর। সব উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু মান আছে। মনে মনে সৎ থেকে মিলিয়ে নিন আপনার উত্তরের নম্বর কী হল। তারপর দেখে নিন আপনার রিপোর্ট কার্ড!
বিশদ

08th  September, 2024
রাশ টানুন সন্তানের টেনশনে

ছোট থেকেই তৈরি হয় স্বভাব। কীভাবে শুরু থেকেই টেনশন, মেজাজ, রাগ আয়ত্তে রাখা সম্ভব? জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসক ডাঃ রীমা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

08th  September, 2024
হঠাত্‍ হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কী করবেন?
 

পরামর্শে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ ইন্দ্রনীল দাস। বিশদ

08th  September, 2024
বঙ্গসাহিত্যের ডাক্তার ও ডাক্তারি

‘ডাক্তার মানে সে তো মানুষ নয়/আমাদের চোখে সে তো ভগবান।’ গায়ক নচিকেতার গানের এই কথায় বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন। তবে ডাক্তারের সমালোচনামূলক এই গানের বাকি কথাগুলির সমর্থকের সংখ্যাও নেহাত কম হবে না। বিশদ

05th  September, 2024
অপরাধী চিনতে ডিএনএ

অপরাধের জায়গায় অপরাধী ফেলে যায় তার কিছু না কিছু সূত্র। কোন কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকারীরা ধরে ফেলেন তাকে? জানালেন জিন গবেষক ডঃ অনির্বাণ মিত্র ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বিশদ

05th  September, 2024
সর্বোচ্চ কোন বয়সে করা যেতে পারে হাঁটু এবং কোমর প্রতিস্থাপন!

পরামর্শে রবীন্দ্রনাথ টেগোর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট অর্থোপেডিক এবং রোবোটিক সার্জেন ডাঃ সূর্যউদয় সিং। বিশদ

05th  September, 2024
পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্টের খুঁটিনাটি

কে করল অপরাধ? দোষীকে খুঁজতে তদন্তকারী অফিসাররা প্রায়ই করেন এই দুই পরীক্ষা। কেমন করে হয় এই পরীক্ষাগুলি? বিস্তারিত জানালেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জয়রঞ্জন রাম। বিশদ

29th  August, 2024
একনজরে
লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...

ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...

শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অসমে দখল বিরোধী অভিযানে গিয়ে অশান্তি, পুলিসের গুলিতে হত ২, জখম ৩০

10:03:00 PM

মালদহের কালিয়াচকের মোজামপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী আসাদুল্লা বিশ্বাসকে দিল্লিতে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:02:00 PM

মেট্রোর লাইন ধরে হাঁটছিলেন তরুণী!
মেট্রোর লাইন ধরেই হাঁটা শুরু করেছিলেন তরুণী। বিষয়টি নজরে আসতেই ...বিশদ

10:01:00 PM

বিমানে চেপে মালকানগিরিতে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

08:44:00 PM

প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, শোকপ্রকাশ সোনিয়া গান্ধীর

08:41:00 PM

মালকানগিরিতে বৈঠক ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির, রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ আহুজা

08:35:00 PM