Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

বঙ্গসাহিত্যের ডাক্তার ও ডাক্তারি

‘ডাক্তার মানে সে তো মানুষ নয়/আমাদের চোখে সে তো ভগবান।’ গায়ক নচিকেতার গানের এই কথায় বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন। তবে ডাক্তারের সমালোচনামূলক এই গানের বাকি কথাগুলির সমর্থকের সংখ্যাও নেহাত কম হবে না। বঙ্গজীবনের আয়না বাংলা সাহিত্যে উঠে আসা ডাক্তার ও ডাক্তারি বিষয়টিতে আজ আমরা একটু পাখির দৃষ্টি দেব।
হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো  বঙ্গসাহিত্যের আদি যুগের প্রাচীনতম নিদর্শন হল চর্যাপদ। সেখানে নানা নিম্ন পেশাদারদের দেখা মিললেও ডাক্তারদের বোধ হয় পাওয়া যায় না। মধ্যযুগের প্রথম পর্বে ছ’শো বছরেরও বেশি আগে বড়ু চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-এ সম্ভবত প্রথম ডাক্তারদের খোঁজ আমরা পাই। কিন্তু ডাক্তার বোঝাতে সেখানে ‘বেজ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ বৈদ্য। শব্দটির ব্যবহার মধ্যযুগের শেষ পর্বেও ছিল। যেমন, শ্রীচৈতন্যদেবকে ঘিরে যে জীবনীসাহিত্য গড়ে উঠেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে রচিত বৃন্দাবন দাসের শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত। আয়ুর্বেদচর্চাকারী বৈদ্যদের কবিরাজ বলা হলেও সেই আমলে কিন্তু কবিরাজ বলতে চিকিৎসকদের বোঝাত না— অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিদের বোঝাত! যেমন বৈষ্ণব পদাবলীকার গোবিন্দদাস কবিরাজ।
মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফসল অনুবাদ সাহিত্যের ধারা। বাঙালির বাংলায় ‘রামায়ণ’ পড়তে পারার পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে কৃত্তিবাস ওঝার কলমের। সেখানে মানুষ রাম-লক্ষণের চিকিৎসার ভার নিয়েছিলেন মনুষ্যেতর  ভল্লুকগোত্রীয় জাম্বুবান। তাঁরই কথায় হনুমান বয়ে নিয়ে এসেছিলেন গন্ধমাদন পাহাড়। আবার ওঝা বলতে আগে লোকে পণ্ডিত বুঝত। বর্তমানে সচেতন লোকজন ওঝা বলতে কুসংস্কারভিত্তিক ঝাড়ফুঁক, তুকতাককারীদের বোঝেন। কিন্তু আজকের বহু কুসংস্কারাচ্ছন্নের মতো মধ্যযুগীয় সাহিত্যেও তারা গ্রামীণ বা লোকায়ত সাপে কাটার চিকিৎসকের মর্যাদা লাভ করত। ‘মৈমনসিংহগীতিকা’-র ‘মহুয়া’ পালায় চান্দ বিনোদকে সাপে কামড়ালে স্ত্রী মলুয়া মৃত স্বামীকে নিয়ে গাড়রী ওঝার বাড়ি গিয়েছিলেন। সাপের শত্রু গরুড়ের সঙ্গে মিল রেখে ওঝাদের গাড়রি বা গারুড়ি বলা হতো। বিখ্যাত মঙ্গলকাব্যধারার অন্যতম হল ১৪৯৪ সালে লেখা বরিশালের বিজয় গুপ্তের পদ্মা পুরাণ বা মনসামঙ্গল। সেখানে ওঝা জাতীয় লোকচিকিৎসকের ধন্বন্তরি নামকরণের মাধ্যমে পুরাণ অনুযায়ী চিকিৎসাবিদ্যার দেবতা ধন্বন্তরিকে মেলানো হয়েছে।
শাক্ত পদাবলীর ‘ভক্তের আকুতি’ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি অষ্টাদশ শতাব্দীর কুমারহট্ট বা হালিশহরে রামপ্রসাদ সেনের পূর্বপুরুষরা ছিলেন বৈদ্য বা চিকিৎসক। তাঁর গোত্রের নামও ছিল ধন্বন্তরি।
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য ছেড়ে এবার আমরা আসি উনিশ শতকের আধুনিক বাংলা সাহিত্যের যুগে। রামমোহনবিরোধী সাহিত্যিক-সাংবাদিক ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকায় লিখেছিলেন ‘বৈদ্য সংবাদ’ নামে একটি নিবন্ধ। এক অর্থলোভী কবিরাজের হাতে পড়ে রোগীমৃত্যুর একটি ঘটনার নমুনা দিয়ে তিনি কবিরাজদের এক মহাসভা বা সমিতি গঠন করার দাবি তুলেছিলেন। পাশাপাশি এও বলেছিলেন যে এতে নিযুক্ত প্রধান কবিরাজের উপরেই চিকিৎসা করার দায়িত্ব বর্তাবে।
বঙ্গভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎ অক্ষয় কুমার দত্ত ১৮৫০ সালের বৈশাখে লিখেছিলেন ‘পল্লীগ্রামস্থ প্রজাদের দুরবস্থা বর্ণন’ প্রবন্ধ। প্রকাশিত হয়েছিল তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায়। সেখানে চিকিৎসকের প্রতিশব্দরূপে তিনি ‘ভিষগ্’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
মাইকেল মধুসূদনের পরে আসছে তাঁরই বন্ধু বিখ্যাত প্রাবন্ধিক-শিক্ষক-শিক্ষাপ্রশাসক ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের কথা। ১৮৮২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘পারিবারিক প্রবন্ধ’। 
সে যুগেও ভুল চিকিৎসার জন্য তাঁর সব থেকে ছোট ছেলে কলেরায় আক্রান্ত সিদ্ধেশ্বরকে হারিয়েছিলেন তিনি। আফিংঘটিত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধকে দায়ী করে তারপর থেকে হোমিওপ্যাথির দিকেই ঝোঁকেন তিনি। বইটির তেতাল্লিশতম প্রবন্ধটির নাম ছিল ‘ডাক্তার দেখান’। তা হতে এটি পরিষ্কার যে ভূদেববাবুর বাড়ির রোগী রোগে পড়লে শুধুমাত্র ডাক্তার দেখাতেন না, ভূদেববাবুও রোগী এবং ডাক্তার দুজনকেই দেখে নিতেন! ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ নিজে খেয়ে-বুঝে, মাত্রা কমিয়ে বা বাড়িয়ে রোগীকে খাওয়াতেন তিনি! 
একবার একজন ইংরেজ ডাক্তার এসে অভিভাবকের এত সচেতনতা দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন।
ভবানী-ভূদেবের এই দু’টি ঘটনা পড়ে মনে আসতেই পারে লোকমুখে প্রচলিত ডাক্তারবিরোধী প্রবাদ ‘জল জোলাপ জোচ্চুরি— এই তিন নিয়ে ডাক্তারি’। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা সঠিক নয়। শ্রীরামকৃষ্ণ সাহিত্য লেখেননি। কিন্তু তাঁর মুখের সরল কথাই অনুলিখিত কথামৃত হয়ে  সাহিত্যরসের ভিয়েন হয়ে গিয়েছে। লোকের কষ্টের সময় টাকার বিনিময়ে ডাক্তারি করাটাকে মহৎ ভাবতে পারতেন না তিনি। ডাক্তারদের টাকাকড়িকে ‘রক্ত পুঁজ’ বলে মনে করতেন। বাস্তব জগতে কিন্তু এ কথার সবটুকু ঠিক নয়।
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের ‘লোকরহস্য’(১৮৭৪) গ্রন্থের বহুচর্চিত প্রবন্ধ হল ‘বাবু’। সেখানে বাঙালি বাবুদের দশ অবতারের মধ্যে একটি ডাক্তার বলে ঠাওরেছিলেন। বিখ্যাত ‘আনন্দমঠ’(১৮৮২) উপন্যাসের পরিণতির রাশ যিনি টেনেছিলেন, তিনি ছিলেন একজন চিকিৎসক। ক্রিয়াত্মক সত্তায় তিনি জীবন্মৃত জীবানন্দকে যেমন বাঁচিয়েছেন, ভাবাত্মক সত্তায় সত্যানন্দকে দেশের কল্যাণপথের সঠিক গন্তব্যের নির্দেশ দিয়েছেন।
 স্বনামধন্য প্রহসনকার অমৃতলাল বসু ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের দুই বছরের ছাত্র। তারপর কাশীতে হোমিওপ্যাথ লোকনাথ মৈত্রের কাছে হোমিওপ্যাথি শেখেন ও বাঁকিপুরে প্র্যাকটিস করতে শুরু করেন। ‘বিবাহ বিভ্রাট’(১৮৮৪),‘তাজ্জব ব্যাপার’(১৮৯০) ও ‘খাসদখল’(১৯১২) তাঁর বিখ্যাত প্রহসন। প্রথমটিতে তিনি হাজির করেছিলেন বিলেতফেরত ডাক্তার মিস্টার সিংকে। তিনি বিলেতে হয়তো পরীক্ষা না দিয়েই শুধুমাত্র কোর্স ফি দিয়ে ডিগ্রি কিনেছিলেন। দ্বিতীয় নাটকের মাধ্যমে সম্ভবত আমরা বঙ্গনাট্যসাহিত্যে প্রথম মহিলা ডাক্তাররূপে গিরিবালা লাহিড়ীকে পাই, যাঁর ডিগ্রি ছিল এল.আর.সি.পি.। তিনি স্ত্রী স্বাধীনতার জন্য ডিম্বাশয় বাদ দিয়ে মেয়েদের সন্তান প্রসব বন্ধ করার মাধ্যমে দাড়িগোঁফ গজানোর প্রস্তাব করেছিলেন। মনে রাখতে হবে যে এর কিছুকাল আগেই প্রথম বাঙালিনী ডাক্তার কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরিয়েছেন। ফরাসি নাট্যকার মলিয়ারের নাটকের প্রভাবে লেখা ‘খাসদখল’ নাটকটিতে চটকদার, অর্থলিপ্সু ডাক্তারদের ভীষণ ব্যঙ্গবাণে বিদ্ধ করেছিলেন নাট্যকার। সেখানে ছিলেন ডঃ মিত্র, গুণধর ঘোষ, ডাক্তার ব্যানার্জি সহ আনন্দ কবিরাজ।
আসি আলোকিত ঠাকুরবাড়ির কথায়। ১৯০৫ সালে প্রকাশিত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘প্রবন্ধ-মঞ্জরী’ গ্রন্থের ‘বসন্ত-রোগ’ নামের প্রবন্ধে টিকাবিশেষজ্ঞ ডাক্তার গয়ের কথা লেখা আছে। তৎকালে কলকাতায় বহুজনের মারাত্মক বসন্ত হয়েছিল, ঘটেছিল প্রাণহানি।
জ্যোতির ছোট ভাই রবি তো দুই হাতে যেন দুই শতাব্দীর শেষ ও প্রথম চার দশককে ধরে রয়েছেন। নিজে দেশের ডাক্তারের পাশাপাশি বিলাতে গিয়েও চিকিৎসা তথা অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। ভিয়েনার ডাক্তারদের সবচেয়ে বিচক্ষণ বলে মনে করতেন। নিজেও শখের হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারি করতেন। অমর্ত্য সেনের মা অমিতা সেন একবার অসুস্থতার সময় গুরুদেবের কাছ থেকে বায়োকেমিক ওষুধ পেয়েছিলেন। এমনকী একজনের পোষ্য কুকুরেরও চিকিৎসা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বিরাহিমপুরে নিজের জমিদারিতে প্রজাদের জন্য ডাক্তারখানা স্থাপন করে অলীক সুখ অনুভব করতেন তিনি।
গল্পগুচ্ছের ‘নিশীথে’(১৮৯৫) গল্পের বক্তা ছিলেন চিকিৎসক। তাঁর কপালে রোগীরূপে জুটেছিলেন জমিদার দক্ষিণাচরণবাবু। ফলে একবার নিশুতি রাতে ডাক্তারের ঘরে এসে জমিদারবাবু ওষুধে কাজ না হওয়ার অভিযোগ করতে পেরেছিলেন। সারারাত রোগীর গল্প শুনতে হয়েছিল ডাক্তারবাবুকে। ‘চোখের বালি’(১৯০৩) উপন্যাসের মহেন্দ্র-বিহারীকে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররূপে এবং ‘নৌকাডুবি’(১৯০৬) উপন্যাসে দেশের নানাস্থানে সুনামের সঙ্গে ডাক্তারি করা সরকারি চিকিৎসক নলিনাক্ষ চট্টোপাধ্যায়কে পাওয়া যায়। ‘ডাকঘর’ নাটকে দুই বিপ্রতীপ মনোভাবের কবিরাজ চরিত্রের দেখা মেলে। লৌকিক কবিরাজ নাকে নস্যি দিয়ে, কথায় কথায় আয়ুর্বেদশাস্ত্র আওড়ে, শরতের আলোবাতাস থেকে অমলকে দূরে রেখে ঘরে আটক থাকার  বিধান দেন। শেষে অলৌকিক পারমার্থিক জগতের রাজকবিরাজ এসে অমলের ঘরবন্দি দশার মুক্তি ঘটান। তাঁর স্পর্শে অমল রাতের সব তারা দেখতে পায়, রোগবেদনা হতে মুক্ত হয়। এক নিবিড় নিদ্রায় জড়িয়ে জীবন হতে মহাজীবনের পথে যাত্রা করতে পারে সে। 
ডাক্তারদের প্রতি আমাদের এক বিশেষ মনোভাবকে রবীন্দ্রনাথ খোলসা করেছেন আজ থেকে একশো এক বছর আগে ‘কালান্তর’ গ্রন্থের ‘সমস্যা’ প্রবন্ধে। তিনি লিখেছেন, ডাক্তারবাবু কোনও শারীরিক বিকারের সহজ ব্যাখ্যা না দিয়ে খটমট ইংরেজি নাম দিয়ে বললে আমরা তাঁকে বেশি সম্মান দিই। আমাদের মনে হয় ‘তাঁকে ষোলো টাকা ফি দেওয়া ষোলো-আনা সার্থক হল।’ 
সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখাতেই ডাক্তার বিষয়ে লিখেছেন বিশ্বকবি, কবিতাতেও তার কমতি ছিল না। ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত ‘খাপছাড়া’ কাব্যে পাড়ায় আসা নাক উঁচু-নাড়ি টেপা ডাক্তার, কাশিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা বলে চালানো ডাক্তারের পাশাপাশি ডাক্তার ময়জন এবং গ্রেগসনেরও দেখা মেলে।
রবিকে ছেড়ে আসি শরৎচন্দ্রমার আলোয়। বাজেয়াপ্ত হওয়া ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের ‘পিনাল কোডের কোহিনূর’,‘রাজবিদ্রোহী’ সব্যসাচীকে বিপ্লবী দলের সকলে ডাক্তার বলতেন। জার্মানি থেকে ডাক্তারি পাশ করেছিলেন তিনি।
শরৎচন্দ্র ছেড়ে আসি রাজচন্দ্রের কথায়। পরশুরাম রাজশেখর বসুর একশো বছর আগে প্রকাশিত ‘গড্ডালিকা’ গল্পগ্রন্থের ‘চিকিৎসা-সঙ্কট’ গল্পের গত বছর শতবর্ষ পূর্তি হল। সেখানে যেন রকমারি ডাক্তারের মেলা বসেছে। ইউনানি চিকিৎসক হাকিম সাহেব, তামাকখেকো কবিরাজ তারিণী সেন, বত্রিশ টাকা ভিজিটের গড়গড়াটানা হোমিওপ্যাথ নেপালচন্দ্র রায়, গ্রে স্ট্রিটের বাড়িগাড়ি হাঁকানো অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার তফাদার সকলেই সেখানে রয়েছেন। 
সামান্য আছাড় খেয়ে উদ্বিগ্ন নন্দদুলাল মিত্র রোগ নিরাময়ের জন্য এঁদের সকলের কাছে গিয়ে নিরাশ হয়েছিলেন। অবশেষে বউবাজারের লেডি ডাক্তার মিস বিপুলা মল্লিককে মিসেস বিপুলা মিত্র বানিয়ে রোগমুক্ত হন। বিবাহের পরে মিসেস মিত্রের একমাত্র রোগী হয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থেকে যান। ‘নিকশিত হেম’ (১৯৫৩) গল্পে বোম্বাইয়ের ডাক্তার কির্লোস্কারকে ট্রান্সজেন্ডার হওয়া নিরঞ্জনার চিকিৎসা করতে দেখা যায়। 
অ্যালোপ্যাথি পড়ে তৎকালে সর্বপ্রধান হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হওয়া এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা স্বনামধন্য মহেন্দ্রলাল সরকারের প্রসঙ্গ রয়েছে তাঁর ‘গগন-চটি’ (১৯৫৭) গল্পে। স্পিচ থেরাপিস্ট ডাক্তার অনিল মিত্রের দেখা মেলে ‘দীনেশের ভাগ্য’(১৯৫৮) গল্পে। 
রসায়নবিদ হয়েও তাঁর সাহিত্যে নানাবিধ ডাক্তারদের চাঁদের হাট বসিয়েছিলেন পরশুরাম। বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘লঘুগুরু’-র দ্বিতীয় প্রবন্ধ ‘ডাক্তারি ও কবিরাজি’-র প্রথম লাইনেই তাই তিনি যা লিখেছিলেন, তা অহমিকা নয়, যথার্থতার প্রমাণবাহক—‘আমি চিকিৎসক নহি, তথাপি আমার তুল্য অব্যবসায়ীর চিকিৎসা সম্বন্ধে আলোচনা করিবার অধিকার আছে।’ একশো বছর আগের এই লেখাটিতে পরশুরাম আয়ুর্বেদ, ন্যাচারোপ্যাথি, ফার্মাসি ইত্যাদি বিষয়ের প্রসারের দাবি তুলেছিলেন যা আজ অনেকাংশে রূপায়িত হচ্ছে।
চন্দ্রকিরণে রঞ্জিত কুমুদরঞ্জন মল্লিকের ‘বনতুলসী’ কাব্য ১৩১৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়। এর মাত্র আট লাইনের একটি কবিতায় এক কবিরাজ মশাইয়ের বেদনাকে মর্মস্পর্শী ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন কবি। ‘ধন্বন্তরি-কল্প’ সেই কবিরাজ বুঝেছেন যে জগদীশ্বরের কাছে তিনি কিছুই করতে পারেন না, শুধু ‘নিমিত্তের ভাগী’ হয়ে থাকেন। গল্পকার জগদীশ গুপ্তের ‘পয়োমুখম্’গল্পে আমরা পাই বিষকুম্ভসম কবিরাজ কৃষ্ণকান্ত সেনশর্মাকে। ওষুধ না দিয়ে, ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল ওষুধ বা বিষ দিয়ে পুত্রবধূদের মেরে ফেলা তার শখ ছিল। 
আয়ুর্বেদ শিখতে গিয়ে ব্যাকরণ জানার উপযোগিতা বুঝতে না পারা তার মূর্খ পুত্র  ভূতনাথ কিন্তু তার মতো অমানুষ ছিল না। তার বারবার বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে মোটা টাকা আদায় যে পিতার শৌখিন ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তা বুঝতে পেরেছিলেন। তৃতীয় স্ত্রীর অসুস্থতার সময় তাই বাবার দেওয়া ওষুধ খেতে না দিয়ে স্ত্রীকে বাঁচান তিনি।
আর যাঁর কথা না বললে বাংলা সাহিত্যে চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্ক অসম্পূর্ণ থেকে যাবে তিনি হলেন বিভূতিভূষণ।    (চলবে)
05th  September, 2024
ডুয়াল পার্সোনালিটি হয় কেন

দ্বৈত সত্তা! কাদের থাকে, কেন হয়? এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায়ই বা কী? জানালেন মনোবিদ ডঃ অমিত চক্রবর্তী। বিশদ

হার্ট ও কোলেস্টেরলের সমস্যায় রোজ কটা ডিম খাবেন?

পরামর্শে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র। বিশদ

অন্ধত্বের চিকিৎসায় স্কুল উদ্বোধন

এই রাজ্যে প্রায় ১.৬৬ শতাংশ জনসংখ্যা অন্ধত্বে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় এই রাজ্যে উদ্বোধন হল শঙ্কর নেত্রালয়া এলিট স্কুল অফ অপটোমেট্রি (এসএনইএসও)-এর। বিশদ

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হোমিওপ্যাথিক ফোরাম

সম্প্রতি অভয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিল পশ্চিমবঙ্গ হোমিওপ্যাথিক ফোরাম। প্রায়৭০০ জনেরও বেশি চিকিৎসক মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের দলমত নির্বিশেষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা  শিয়ালদহ থেকে মানিকতলা পর্যন্ত রাজপথ জুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী মিছিলে হাঁটলেন। বিশদ

বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের জন্মদিন পালন

বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ জে এন কাঞ্জিলালের ১১৬ তম জন্মদিন পালিত হল কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে। বিশদ

তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়!

প্রতিটি সমস্যাই আসলে জীবনের শিক্ষা!’— একথা আমরা পড়েছি পাঠ্যবইয়ে। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় সেকথা উপলব্ধি করেছেন নিজের জীবন দিয়ে। একদা চলচ্ছক্তিহীন মেয়েটি মেরুদণ্ড শক্ত করে উঠে দাঁড়িয়েছেন নিজের পায়ে। দাঁড় করিয়েছেন ব্যবসা। আরও এক লড়াকু মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করালেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।  বিশদ

08th  September, 2024
পথ্যে অক্ষত যৌবন!

পরামর্শে নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান শতভিষা বসু।  বিশদ

08th  September, 2024
রাগের মিটার! 

স্ট্রেস ও টেনশন থেকে রাগ হলেও কেউ কেউ সেই পরিবেশে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে পারেন। কেউ আবার অল্পেই মাথা গরম! আপনি ঠিক কোন দলে? রাগ, স্ট্রেস এগুলো আপনার মনকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করে? আমরা দিলাম প্রশ্নমালা। নীচে থাকবে সম্ভাব্য কিছু উত্তর। সব উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু মান আছে। মনে মনে সৎ থেকে মিলিয়ে নিন আপনার উত্তরের নম্বর কী হল। তারপর দেখে নিন আপনার রিপোর্ট কার্ড!
বিশদ

08th  September, 2024
রাশ টানুন সন্তানের টেনশনে

ছোট থেকেই তৈরি হয় স্বভাব। কীভাবে শুরু থেকেই টেনশন, মেজাজ, রাগ আয়ত্তে রাখা সম্ভব? জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসক ডাঃ রীমা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

08th  September, 2024
হঠাত্‍ হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কী করবেন?
 

পরামর্শে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ ইন্দ্রনীল দাস। বিশদ

08th  September, 2024
জিমে না গিয়ে মেদ ঝরান, জেনে নিন সঠিক নিয়ম

পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যোগা ও ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও যোগ বিশারদ তুষার শীল। বিশদ

05th  September, 2024
অপরাধী চিনতে ডিএনএ

অপরাধের জায়গায় অপরাধী ফেলে যায় তার কিছু না কিছু সূত্র। কোন কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকারীরা ধরে ফেলেন তাকে? জানালেন জিন গবেষক ডঃ অনির্বাণ মিত্র ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বিশদ

05th  September, 2024
সর্বোচ্চ কোন বয়সে করা যেতে পারে হাঁটু এবং কোমর প্রতিস্থাপন!

পরামর্শে রবীন্দ্রনাথ টেগোর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট অর্থোপেডিক এবং রোবোটিক সার্জেন ডাঃ সূর্যউদয় সিং। বিশদ

05th  September, 2024
পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্টের খুঁটিনাটি

কে করল অপরাধ? দোষীকে খুঁজতে তদন্তকারী অফিসাররা প্রায়ই করেন এই দুই পরীক্ষা। কেমন করে হয় এই পরীক্ষাগুলি? বিস্তারিত জানালেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জয়রঞ্জন রাম। বিশদ

29th  August, 2024
একনজরে
বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তিন নাবালক সহ মোট পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ডোমজুড়ের ওই কিশোরীর বন্ধুরা ...

শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...

এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে ‘ফাঁকিবাজ’ চিকিৎসকদের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ঘেটে গত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অসমে দখল বিরোধী অভিযানে গিয়ে অশান্তি, পুলিসের গুলিতে হত ২, জখম ৩০

10:03:00 PM

মালদহের কালিয়াচকের মোজামপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী আসাদুল্লা বিশ্বাসকে দিল্লিতে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:02:00 PM

মেট্রোর লাইন ধরে হাঁটছিলেন তরুণী!
মেট্রোর লাইন ধরেই হাঁটা শুরু করেছিলেন তরুণী। বিষয়টি নজরে আসতেই ...বিশদ

10:01:00 PM

বিমানে চেপে মালকানগিরিতে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

08:44:00 PM

প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, শোকপ্রকাশ সোনিয়া গান্ধীর

08:41:00 PM

মালকানগিরিতে বৈঠক ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির, রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ আহুজা

08:35:00 PM