সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
সামনেই বড়দিন। এবার একটু ভিন্ন ধাঁচে বাড়িটাকে সাজাবে নাকি? খুব সহজ একটা পদ্ধতি শেখালেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। গামছা দিয়ে বাড়ির সাজ। এর জন্য লাল রঙের বেশ কয়েকটা গামছা আর পর্দা ঝোলানোর ক্লিপসহ রিং লাগবে। লাল গামছা কেন বেছেছেন ডিজাইনার? কারণ বড়দিনের সাজগোজে লালের প্রাধান্য বেশি থাকে। যদি লালের সঙ্গে কালো বা হলুদ নকশা থাকে তাহলেও ভালো। এবার এই গামছাগুলো জাপানি পাখার মতো করে মুড়ে নিতে হবে। ছোটবেলায় সবাই নিশ্চয়ই তোমরা জাপানি পাখা বানিয়েছ কাগজ দিয়ে। ঠিক সেইভাবেই গামছাটাকে লম্বা করে ভাঁজ করতে হবে। এবার এই ভাঁজের উপর দিকের সঙ্গে ওই ক্লিপওয়ালা রিং লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর তা রিংয়ের ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে দাও। দেখবে তা রিং থেকে ঝুলবে। আর জাপানি পাখার মতো এবার তা খুলে নাও। দারুণ ডিজাইন হবে। এই রিংগুলো পর্দার রড থেকে ঝুলিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে! দারুণ দেখতে, অভিনব ডিজাইনের আর সবচেয়ে বড় কথা তোমাদের হাতে করা পর্দা তৈরি হয়ে যাবে। কী? শিখতে ইচ্ছে করছে তো? তাহলে জেনে নাও কী কী লাগবে।
উপকরণ: ক্লিপওয়ালা রিং পাঁচটা, বড় মাপের গামছা ৫টা, পর্দার রড ঘরের জানলা অনুযায়ী। পদ্ধতি: গামছাটা সমান করে পেতে নাও। এবার তা কাগজের তৈরি জাপানি পাখার স্টাইলে এপিঠ ওপিঠ করে ভাঁজ করে নাও। খানিকক্ষণ রেখে দাও। এবার ভাঁজ করা গামছার একটা মুখ ক্লিপের সঙ্গে লাগিয়ে দাও। বাকি গামছাটা ভাঁজ করা অবস্থাতেই রিংয়ের ভেতর দিয়ে গলিয়ে দাও। তাতে ক্লিপটা ঢাকা পড়ে যাবে। এবার এই রিংগুলো রডে ভরে পর্দার ভাঁজটা খুলে দাও। দেখবে সুন্দর পর্দা রেডি। একে একে প্রতিটি গামছা দিয়েই এই ডিজাইনে পর্দা তৈরি করে নিতে পারবে। তাহলে এবার বড়দিনে বাড়িতে নিজের হাতে তৈরি পর্দা লাগাও আর সবাইকে চমকে দাও।