Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কলকাতা এক পরীর দেশ

উবাজারে বাবু শ্রীনাথ দাসের বাড়ির জগদ্ধাত্রী ঠাকুর। প্রচলিত ছাঁদের ‘সিংহস্কন্ধসমারূঢাং নানালঙ্কারভূষিতাম্‌’ প্রতিমা। কিন্তু দৃষ্টি আকর্ষণ করল প্রতিমার চালচিত্র। একটা ঘড়ি আর তার উপরে বসা কাক এবং পাশে দুই পতাকাধারী বিলিতি পরীর মর্ম উদ্ধার করা গেল না। পরে জানা গেল বিষয়টির সঙ্গে তন্ত্র ও বংশ রক্ষার সম্পর্ক আছে। কিন্তু তার থেকেও মজার কথা হচ্ছে যে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার সঙ্গে এমন পরীর অস্তিত্ব মহাত্মা হুতোমেরও চোখেও পড়েছিল।  জগদ্ধাত্রীমূর্তির বর্ণনায় হুতোম লিখেছিলেন,  ‘প্রতিমের উপরে ছোট ছোট বিলাতী পরীরা ভেঁপু বাজাচ্ছে— হাতে বাদশাই নিশেন ও মাঝে ঘোড়া সিঙ্গিওয়ালা কুইনের ইউনিকর্ন ও ক্রেস্ট।’ পরে দেখেছি বটকৃষ্ট পাল এবং শোভাবাজার দাঁ বাড়িতেও জগদ্ধাত্রী প্রতিমায় নিশান আর পরীর উপস্থিতি। তবে ইতিহাসের পদচিহ্নের ছাপ পড়ে কোথাও সে পতাকা গৈরিক আবার কোথাও ত্রিবর্ণ রঞ্জিত।  
আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী। দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর পূর্ববঙ্গ গীতিকার ফুটনোটে বলেছেন যে, বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবতের আদিখণ্ডে ‘মধুমালা পরী’-র উল্লেখ আছে। তাই কলকাতার পরীদের উৎস খুঁজতে ইউরোপ যাত্রা করলে অনেকেই আপত্তি তুলবেন। কিন্তু কলকাতার স্থাপত্য থেকে আসবাব হয়ে বিয়ের পদ্যের হলুদ গোলাপি কাগজে ছাপা পরীদের চেহারা ও হাবভাব খুঁটিয়ে দেখলে ইউরোপীয় উৎস আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। কেলটিক অঞ্চলে প্রাচীন খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের কেন্দ্রে ছিল এই এঞ্জেল নামের পরীরা। মানুষের বিশ্বাস ছিল যে, স্বর্গলোকের ব্যাপার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হন  কবিরা। তারা নিজেদের রচনায় পরীদের আহ্বান করতেন, কারণ পরীরা ঈশ্বরের নাম গান করে। সেই মঙ্গলবার্তা বা মঙ্গলসঙ্গীতের প্রতীক পরীদের হাতে ভেঁপু। যা হুতোমও দেখেছিলেন এবং আপনিও দেখেন।
হ্যাঁ, আপনিও দেখেন। কলকাতার সবুজ ময়দানের উপর সাদা মুক্তোর মতো দেখতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। এর মাথায় ব্রোঞ্জ নির্মিত ১৬ ফুট উচ্চতার এই ‘এঞ্জেল অব ভিক্ট্রি’ নামের কালো রঙের পরীটিও ভেঁপু নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিজয় ও পরবর্তী সময়ে শান্তি ও প্রগতির বার্তা ঘোষণা করে চলেছে সেই ১৯২০ সাল থেকে। নান্দনিকতা ছাড়াও তিন টন ওজনের ভাস্কর্যটি লাইটনিং অ্যারেস্টার হিসাবে কাজ করে সমগ্র স্থাপত্যটিকে রক্ষা করে চলেছে।
মহারানির স্মৃতিসৌধ ছাড়াও কলকাতার আরও স্থাপত্যে পরীর ছোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। আর্মেনিয়ান স্ট্রিটের একটি বাড়ির মাথায় সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে আছে শান্ত পরীরা। যদিও বাড়িটির নাম ‘ঝগড়া কোঠি’। আবার প্রসন্নকুমার ঠাকুর স্ট্রিটে মল্লিক বাড়ির ছাদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে স্থাপিত ইউরোপীয় মূর্তিটির ডানা নেই। তবে, এই মূর্তির কল্যাণে লোকে বাড়িটি পরীওয়ালা মল্লিক বাড়ি নামেই চেনে। পুরো পরিবারের অভিভাবক হিসাবে বাড়িতে পরীর মূর্তি বসানোর প্রথার অনুকরণেই এদেশে শুরু হয়েছিল ‘গার্জিয়ান এঞ্জেল’ বসানো। তেমনই একটি নমুনা শোভাবাজার স্ট্রিটের এক পুরনো বাড়ির পেডিমেন্ট আলো করে আজও দাঁড়িয়ে। অন্যদিকে, বৈঠকখানার ক্যাথলিক উপাসনালয়ের মতো বিভিন্ন গির্জায় বা খ্রিস্টান কবরখানায় প্রার্থনারত পরীর মূর্তি তাদের ধর্মীয় উৎসের কথা মনে করিয়ে দেয়। এছাড়াও বাগানের ফোয়ারা আর থামের গায়ে হেলান দেওয়া পরীরাও একসময় খুব চেনা দৃশ্য ছিল কলকাতার। তবে কলকাতার পরীদের মধ্যে আলাদা করে বলতে হয় রাধানাথ মল্লিক লেনে বসুমল্লিক পরিবারের ঠাকুরদালানের উঠোনে বসানো ঢালাই লোহার পরীদের কথা। এই পরীদের ডানা তাদের শিরস্ত্রাণের দুই পাশে। ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে ‘ফ্লাইং মারকারি’ নামে ভাস্কর্যের ভঙ্গির ও ডানার অবস্থানের সঙ্গে মল্লিক বাড়ির ভাস্কর্যগুলির মিল থাকলেও পাশ্চাত্যের মূর্তি পুরুষের আর কলকাতার মূর্তিগুলি নারীর।
স্থাপত্য থেকে দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসের দিকে দৃষ্টি দিলেও ডানা মেলা পরীদের উপস্থিতি  নজর এড়ায় না। বাগানে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বসানো নকশাদার পাথরের ফোয়ারা অংশ হতো পরীরা। খাটের মাথার ও পায়ের দিকে ছত্রি বসানোর থামকে দু’টি বিশাল পরীর আকার দিয়ে তৈরি বিশেষ ধরনের শয্যা আসবাবের নামই ছিল ‘পরী-পালঙ্ক’। বাংলার সূত্রধর কারিগরদের শিল্প সুকৃতির নিদর্শন এই প্রাচীন আসবাবের নকশা। কাঠের সন্দেশের ছাঁচেও পরীর অবয়ব আজও ফুটিয়ে তোলেন চিৎপুর নতুন বাজারের কারিগররা। পুজোয় ব্যবহৃত পঞ্চপ্রদীপ থেকে নানা তৈজসপত্রে পরীর দেখা পাওয়া যেত। বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার মুখে বাবুরা দেখতেন সহাস্যে ধাতুর তৈরি পরীরা হাতে বাতি নিয়ে তাঁদের পথ আলোকিত করছে। ছোটদের খেলার জন্য অথবা শো-কেসে সাজিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে পোর্সেলিনের পরীরাও আলো ছড়াত উনিশ শতকের কলকাতায়। প্রথমদিকে সে সব পুতুল ইউরোপ থেকে আসত। পরে কলকাতায় বেঙ্গল পটারি উৎপাদন শুরু করলে এখানেই তৈরি হতো। 
আলাদা ভাবে উল্লেখ করতে হয় আরও একটি ছবির, যার মূল চরিত্ররা পরী। ফ্রান্সিস বি ব্রাডলি বার্টের বেঙ্গল ফেয়ারি টেলস বইটির ইলাস্ট্রেশন করেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই বইয়ের ছবিগুলির মধ্যে মধুমালা, দ্য রিথ অব সুইটনেস শীর্ষক গল্পে অবনীন্দ্রনাথের আঁকা ‘কালা পরী অ্যান্ড নিদ্রা পরী’ শীর্ষক পাতা জোড়া ছবিতে স্বপ্নের পরিবেশ ধরা হয়েছে। নরম সাদা মেঘ এবং জ্যোৎস্নার চাঁদের রয়েছে সঙ্গে রয়েছে কালো পরী আর নিদ্রা পরীর মুখের প্রোফাইল। সাধারণত পরীদের শুভ্র গাত্রবর্ণ ও ইউরোপীয় ছাঁদের চেহারায় কল্পনা করা হয়। এর  সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে ১৯২০ সালে আঁকা অবনীন্দ্রনাথের পরীদের শ্যামবর্ণ ও মুখশ্রীতে স্পষ্ট ভারতীয় ছাপ যেন পরীদের দুনিয়াতেও নিয়ে এসেছিল স্বদেশির হাওয়া। 
ছাপার কাগজে ছবির আবির্ভাবের পর নানা সন্দর্ভে পরীর ছবির ব্যবহার হতে শুরু হয়। পঞ্জিকার ছবিতে বা রূপকথার গল্পের পরীরা ভরিয়ে তুলেছে ছাপা বইয়ের পাতা। পিঠে ডানা আর হাতে তির-ধনুক নিয়ে ছোট শিশুর রূপে কিউপিডের ছবিও দেখা যেত বটতলার নানা প্রকাশনায়। বিয়ে উপলক্ষ্যে  ছাপা পদ্যের কাগজে মালা হাতে পরীদের উপস্থিতি অপরিহার্য ছিল মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের প্রতীক হিসাবে।  
কাঠ পাথর ধাতু আর কাগজে ছাপা ছবি ছাড়াও কলকাতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে জীবন্ত পরীদের গল্পও। অযোধ্যার রাজা ওয়াজিদ আলি শাহ একজন সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ ছিলেন। তিনি নাচ গানে পারদর্শী বাইজিদের এনে জড়ো করেছিলেন নিজের দরবারে। সোহাগ করে তাদের নাম দিয়েছিলেন— ‘পরী’। একটি আস্ত মহল তৈরি করেছিলেন লখনউ শহরে। সেই প্রাসাদের নাম ছিল ‘পরীখানা’। অযোধ্যার রাজ্যপাট কেড়ে নিয়ে তাঁকে কলকাতায় নির্বাসিত করা হয়। এই নির্বাসনে বেশ কয়েকমাস তাকে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছিল একটি ঔপনিবেশিক স্থাপত্য শৈলীর বাড়িতে। যা বর্তমান বিএনআর হাউসে। সেসময় অনেকে সেটাকেই পরীখানা বলতেন। তবে ওয়াজিদ আলি মেটিয়াবুরুজে ছোটা লখনউ গড়ে তোলার সময় সুলতানখানা, আসমানি মঞ্জিল, রইস মঞ্জিল, কয়সর উল বয়জা সহ বেশ অনেকগুলি ইমারত গড়লেও আর কোনও পরীখানা তৈরি করেননি। নতুন জায়গায় মন বসানোর এই সব চেষ্টার মাঝে নিজের শৈশব-কৈশোর-যৌবন কাটানো গোমতী তীরে পরীদের আর হয়তো ফিরে পাননি নির্বাসিত মানুষটি। আমরা এর উত্তর জানি না। ইতিহাসও তার উত্তর দেয় না। 
 
(আমাদের চারপাশের হাওয়ায় দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী। লিখেছেন অমিতাভ পুরকায়স্থ)
15th  December, 2024
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
একনজরে
পানীয় জলের পাইপলাইন দিয়ে জলের সঙ্গে বের হল আস্ত সাপ। মঙ্গলবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের গ্রুপ-ডি কর্মীদের কোয়ার্টারে এমন ঘটনায় হইচই শুরু হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ...

মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের পেত্নীদিঘি এলাকায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশিনালার কাজের সূচনা হল। এদিন কুশমণ্ডি মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীষ সরকার, সদস্য মৃণাল সরকার এই উন্নয়নমূলক কাজের সূচনা করেন। ...

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সম্প্রতি খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়েও সংঘাত সামনে এসেছে। তার মধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি নির্বাচন: চতুর্থ তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস, রয়েছে ৫ জন প্রার্থীর নাম

11:56:00 PM

পাঞ্জিপাড়ায় পুলিস কর্মীদের গুলির ঘটনায়, অকুস্থলে এল স্নিফার ডগ
পুলিস কর্মীদের গুলি করে বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের ...বিশদ

11:13:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: রাতে আলোয় সেজে উঠল প্রয়াগরাজ

10:55:00 PM

কটোয়ায় বাড়িতে চুরির ঘটনায় কালনা থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মহিলা, উদ্ধার টাকা ও গয়না

10:44:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: মেলায় এলেন কাঁটেওয়ালে বাবা

10:18:00 PM

কর্ণাটকের মুলকি এলাকা থেকে বিপুল মাদক উদ্ধার করল পুলিস

10:06:00 PM