Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস  পর্ব   ৬
জয়ন্ত দে

সহজের একটিমাত্র টিউশন টিকে আছে। মনোতোষ স্যারের কোচিং ক্লাস সে ছেড়ে দিয়েছে। সৃজনীকে পড়ানোর সময় মুখ ফস্কে সহজ বলে ফেলে, তার ভাগ্য খুলতে আর ঊনত্রিশ দিন বাকি। অথচ, প্রেমিকা বর্ণিনীকেও সে ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কিছু বলেনি। এদিকে, সহজকে পরমেশ্বর সাবধান করে, ‘পিশাচের ফাঁদের পড়িসনি।’ তারপর...

 খোঁচা মেরে সহজ চলে গেল। থম মেরে বসেছিল পরমেশ্বর। ঢপ! ঢপ ছাড়া কিচ্ছু নয়। সে বড্ড দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তাই তাকে নিয়ে খেলেছিল ক্যাপ্টেন। লোকটা নিজেকে পিশাচ বলে। পিশাচ আবার সাধু হয় কী করে? লোকটা কাকচরিত্র জানে, লোকটা হিপনোটাইজ করতে পারে! তবে নিজের মুখে কোনওদিন বলেনি সেকথা। তবু কেন যেন পরমেশ্বরের মনে হয়, কিছু একটা জানে। কোনও একটা গুপ্তবিদ্যা জানা আছে। নইলে সে কেন চোখ কান বন্ধ করে ক্যাপ্টেনের কথা মেনে নিল। আর সেবার সে গুলি খাওয়ার আগে ক্যাপ্টেন হঠাৎই বা তাকে কেন বলেছিল— পিঠে একটা কুলো বেঁধে ঘোর, নইলে এ পিঠ বাঁচবে না।
ক্যাপ্টেনের কথায় মজা করেছিল পরমেশ্বর। বলেছিল, ‘ক্যাপ্টেন তুমি আমার পিঠে এসে চড়ো। আমি তোমাকেই কুলো বানাই।’
ক্যাপ্টেন হাসতে হাসতে বলেছিল, ‘আমি বেঘোরে প্রাণ দিতে চাই না!’
বেঘোরে প্রাণ গিয়েছিল অজিতের। 
পরমেশ্বরের পিছনে বাইকে বসেছিল অজিত। অযাচিতভাবে। পার্টির জোনাল কমিটির মিটিং সেরে একাই ফিরছিল। হঠাৎই দৌড়ে এসে অজিত বসেছিল পিছনে। বলল, ‘পরম তোদের ওদিকে যাব। একটা কাজ আছে।’ পরমেশ্বরের একা ফেরার খবরটা পাকা ছিল, কিন্তু তার পিছনে যে কেউ বসে আছে সেই খবরটা ছিল না। সামনাসামনি রিভলভার তুলে ট্রিগার টেপার সাহস হয়নি। পিচ কোম্পানির রাস্তার ওপর বিচ্ছিরিভাবে ইট ফেলে রেখেছিল। বাইক নিয়ে একটু স্লো হয়েই পরমেশ্বর বুঝেছিল, ইট ফেলা হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে। বাইকের আলোয় দেখেছিল সামনের রাস্তায় ফুট পাঁচেক আধলা ইটের মেলা।  বুঝেছিল বাইক থামিয়ে নামলেই বিপদ আছে। সে মুহূর্তেই বাইক ঘুরিয়েছিল। বাইক ঘুরিয়ে বেরিয়ে আসার সময়ই পর পর চারটে ফায়ারিং হয়। একটা নয় দুটো রিভলভার থেকে গুলি চলেছিল। অজিতের পিঠে লেগেছিল গুলি। আঁক করে আঁতকে উঠেছিল অজিত। টাল খেয়ে পড়ে যেতে যেতে পরমেশ্বরকে আঁকড়ে ধরেছিল। পরমেশ্বর চিৎকার করেছিল— কী রে, কী হল? অজিত বলছিল, আমি ঠিক আছি— তুই চালা পরম। বেরিয়ে যা। রাস্তা থেকে বেরিয়ে এসে বাঁক ঘোরার মুখে হাত ছেড়ে বাইক থেকে পড়ে গেল অজিত। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দু’দিন বেঁচেছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। খবর পেয়েছিল পরমেশ্বর, কাজটা করেছে শান্তিলালরা। করিয়েছে তপতী চক্রবর্তী। একই পার্টির সবাই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিহত কমরেড। ক’মাস পরেই অবশ্য পাল্টা। এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিহত হল শান্তিলাল আর  শুক্লালাল। দু’ভাই, একই সঙ্গে। মাননীয় বিধায়ক তপতী চক্রবর্তী গুন্ডারাজ নিয়ে তোলপাড় করলেন। জমি মাফিয়া আর প্রোমোটার রাজকে ধিক্কার দিলেন। তিনি নেত্রী। পরমেশ্বর মিটিংয়ে সরাসরি বলেছিল— সব ইন্ডাস্ট্রি শেষ, একমাত্র এটাই বেঁচে আছে। আমাদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে এমন বিশটা সংসার চলে। ডায়লগ না দিয়ে আপনি বিশটা ছেলের চাকরির ব্যবস্থা করে দিন। সেদিনই পরমেশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিল, তপতী চক্রবর্তীকে হারাবে। ভোটের দিন ওয়ান ডে খেলে দেবে। করেছিল তাই— তপতী চক্রবর্তী হারল। কিন্তু পার্টির কাছে চিহ্নিত হয়ে থাকল পরমেশ্বর। পরমেশ্বর মানেই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী।
সেই সময় একদিন হঠাৎই ক্যাপ্টেন বলল, তোর পিঠের ছাল বাঁচল। এবার বুকের খাঁচা বাঁচাতে হলে একুশ দিনের বেশি এক নাগাড়ে এলাকায় থাকিস না। আমি তো বলব, একুশ কেন— উনিশ, সতেরো, পনেরো দিন হলেই কেটে পড় কোথাও। মামারবাড়ি আছে? সেখানে চলে যা। এলাকার ত্রিসীমানায় থাকিস না। থাকলেই বুকপকেটে ফুটো হবে। 
তারপর থেকে পরমেশ্বর এলাকায় একনাগাড়ে উনিশ দিন থাকে না। পনেরো দিন কাটলেই কেমন একটা অ্যাংজাইটি। সকাল সন্ধেগুলো কেমন যেন থমকে যায়। ছায়া দেখে! সে কি ভয় পায়? একটা অস্বস্তিবোধ। ক্যাপ্টেনের কথাটা শঙ্কর আর সুজি ছাড়া তেমনভাবে কেউ জানে না। তার এই মাঝে মাঝেই এলাকা থেকে উধাও হয়ে যাওয়াটা অনেকেই নানাভাবে নেয়। পরমেশ্বর বছরে দু’তিনবার ট্রেকিংয়ে যায়। তার ছোট একটা ক্লাব আছে। নেচার লাভার্স ক্লাব। সেই ক্লাবের একমাত্র নির্দিষ্ট সদস্য সে। বাদবাকি সবাই ফ্লোটিং। কিছু দুধেভাতে! তারা যেমন আছে, তেমন নেই। তারা সবাই প্রায় হুজুগে যায়। পরমেশ্বরকে খুশি রাখতে যায়। অনেকগুলো দিন পাশাপাশি দাদাকে একা পাওয়া যাবে, কিছু কাজের কথা সেরে নেওয়া যাবে বলে যায়। বছরে দু’তিনবার এই পাবলিক ট্রেকিং করে নেচার লাভার্স ক্লাব। সেই সূত্র ধরেই পরমেশ্বর এলাকায় না থাকলেই একটা সহজ উত্তর আছে— দাদা পাহাড়ে গিয়েছে। এলাকায় না থাকা মানেই পরমেশ্বর পাহাড়ে। এ-কথায় পরমেশ্বর হ্যাঁ না কিছু বলে না, মৃদু মৃদু হেসে পা নাড়িয়ে ইন্ধন দেয়। কিন্তু ঘনিষ্ঠ বন্ধু যারা, সেই সুজি, শঙ্কর, বাসুদের মতো যারা, তারা বলে দাদা ফুর্তি করতে গিয়েছে। এদের কথাতেই পরমেশ্বর পা নাড়াতে নাড়াতে হাসে। তবে চাপা আর একটা কথা আছে, সেটা হল পরমেশ্বরের শুধু প্রোমোটিং বিজনেস নয়, তার একাধিক ব্যবসা আছে। কেউ বলে মাইনিং বিজনেস। পাথর খাদান টাদান লিজ নেওয়া। কেউ বলে ইটভাটা। পকমিল। সেখানে ফি মাসের কিছুটা সময় তাকে যেতে হয়।
এই কথা দু-একজন যারাই তাকে সামনাসামনি বলেছে, তাদের পরমেশ্বর একটা কথাই বলেছে, হ্যাঁ, লিজ নেওয়া আছে। হীরের খনি। ওই খনিরই হীরে পরে আছে শঙ্কর। ওর ডান হাতের আঙুলটা দেখিস— কেমন চমকায়!
শঙ্কর তার ডান হাতের অনামিকায় দারুণ একটা আংটি পরে। হীরের আংটি। অনেকে বলে এই আংটিটা নাকি ক্যাপ্টেন পরতে বলেছে। এই আংটি পরেই শঙ্করের এমন লেডি লাক!
ক্যাপ্টেনের কাছে শঙ্করের একটা ডিমান্ড ছিল— আমাকে টাকার পাহাড়ে উঠিয়ে দাও। আমার চারদিকে শুধু গোপিনীরা থাকবে। শুনে নাকি ক্যাপ্টেন বলেছিল, তবে একটা হীরের আংটি পর। সেই থেকে শঙ্করের হাতে হীরের আংটি।
এ-কথা শুনে পরমেশ্বর হাসে। হ্যাঁ, শঙ্কর হাওয়াই চটি পরে সাইকেল ঠেলত।  জমির দালাল! ওর একটাই কাজ ছিল সাইকেলে করে খালি জমির খবর জোগাড় করা। সেখান থেকেই একটা জমিতে প্রোমোটিং। আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি। সেসময়ই বন্ধুর বোন রাধাকে বিয়ে। ওর একটাই লক্ষ্য ছিল, টাকা কামাও, ভোগ করো। ভোগ!
পরমেশ্বর হাসে। এই তো সেদিন সাইকেল ফেলে বাইক কিনল। হীরের ঝিলিক তুলল। মধু আছে তাই মৌমাছি আসে। 
শঙ্কর  ক্যাপ্টেনকে ভগবানের মতো মানে। ক্যাপ্টেনের কথা উঠলেই  কপালে আঙুল ঠেকায়। শঙ্কর বলেছিল, ‘ক্যাপ্টেন তোমাকে একটা গাড়ি দেব। তারাপীঠ, কামাখ্যা— যেখানে যাবে গাড়ি করে যাবে।’ শুনে ক্যাপ্টেন বলেছিল, ‘সঙ্গে একটা পেট্রল পাম্পও দিস। নইলে গাড়ি নেব না।’
শঙ্করের দেওয়া গাড়ি ক্যাপ্টেন নেয়নি বলে নতুন বউয়ের খুব দুঃখ। আফশোস করে বলেছিল, ‘এই বুড়োর খুব গোঁ। কেউ কিছু দিলে লাথি মেরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। আরে ক্লায়েন্টরা উপকার পাচ্ছে, তাই ভালোবেসে দিচ্ছে, এমনি কি দিচ্ছে?’
‘চাপ!’ ক্যাপ্টেন ধমক কষিয়েছিল। ‘একটা কথা বলবি না। আমাকে ক্লায়েন্ট দেখাচ্ছে? ভালোবাসা! শালা আমি ঢপ দিচ্ছি আর তাই লেগে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ওরা নাচতে পারে, আমি নাচব কেন?’
শঙ্করকে দেখেছে সহজ। পরমেশ্বরের অফিসে ঢুকেই দামি সিগারেটের প্যাকেট ছুড়ে দেয়।  চিৎকার করে কথা বলে, কী দাপট! তবে লোকটা সুবিধের নয়। সবসময় চোখ ঘুরছে। নচেও পছন্দ করে না শঙ্করকে। নচের ভালো নাম নচিকেতা। নচিকেতা থেকে কেউ নচে হয়! নচে বলল, ‘কেন হবে না? তুই যদি সহজ মিত্র থেকে সহজপাঠ হতে পারিস, আমি কেন পারব না।’ নচে খুব সেয়ানা গলায় বলল, ‘তুই আমার কাছ থেকে ইনফরমেশন নিচ্ছিস? আমি বুঝেছি। টুকে নে শঙ্কর থাকবে না। দাদা না থাকলে ওরা পায়ে ধরে বাঁচবে।’
সহজ বলল, ‘পরমেশ্বরদার সঙ্গে শঙ্করদার খুব বন্ধুত্ব?’
নচে হাসল। বলল, ‘দাদা আছে বলেই ওরা সব করেকম্মে খাচ্ছে। এই যে এত এত ফ্ল্যাট তুলছে, দাদা না থাকলে ওরা পারত না। ওদের সব প্রজেক্টেই দাদা পার্টনার। দাদাকে দেখিয়েই শঙ্কর কাজ হাসিল করে। ও-ই দাদার এক নম্বর লোক। এই যে দাদা এলাকা থেকে হঠাৎই উধাও হয়ে যায়, কিন্তু যেখানে যায় সেখানে বসেই সব খবর পায়। সেই সব খবর দেয় শঙ্কর। শঙ্কর চর পোষে। সুজিদা দাদার মেন বিজনেসের পার্টনার। কিন্তু সুজিদা সব কিছু জানে না— দাদা কোথায় যায়, না-যায়।’
‘সেদিন দারোগাবাড়িতে শঙ্করদা এল না কেন?’
‘শঙ্কর সব জায়গায় ওপেন হয় না। ও না থাকলেও ওর চরেরা আছে।’
সহজ চুপ করে তাকিয়ে থাকল নচের মুখে দিকে। খুব ধীরে ধীরে বলল, ‘সেদিন হঠাৎ ক্যাপ্টেন এল ওখানে কেন? দুপুরের দিকে তো তোরা কেউই ওখানে থাকিস না। হঠাৎ কেন এল— ক্যাপ্টেন তো নেমন্তন্ন খাওয়ার মতো করে এল!’
নচে একটু থামল। বলল, ‘হতে পারে, টিপ ছিল।’ নচে ভাবতে ভাবতে বলে, ‘ক্যাপ্টেনকে শঙ্করও পাঠাতে পারে...।’
সহজ হাসল। তার খুব জোরে হাসা উচিত ছিল।  বলল, ‘বুঝেছি। পুরোটাই স্কিম করে হয়েছে। ছক!’
‘কীসের ছক!’ কথাটা বলেই নচে আনচান করে উঠল। সেদিন গৌরার স্কিমটা ফল্‌প না করলে পিশাচটা এতদিনে মরে ভূত হয়ে যেত। আর ওর বউটা বিধবা হয়ে শঙ্করের হারেমে ঢুকত। 
সন্ধে হয়ে গিয়েছে।  ইদানীং নচে সন্ধে থেকে রাত নামতে দিচ্ছে না। সে টুক করে বাড়ি ঢুকে যাচ্ছে। কাল রাতে বউ আর মেয়েকে ডেকে সে জানিয়ে দিয়েছে— ‘পলিটিক্যাল সিচ্যুয়েশন ভালো না, আমি যে কোনও সময় খালাস হয়ে যেতে পারি।’ 
‘খালাস’ কথাটা বলার সময় তার গলা ধরে এল। ওর কথা শুনে টুয়েলভে পড়া রুমলি ভেবলে গিয়েছিল। কিন্তু কড়া গলায় ধমক কষিয়ে দিল আরতি। ‘আজ মাল গেলোনি নিশ্চয়ই। মাল না খেলেই তোর বাপ এমন ভুলভাল কথা বকে!’
নচে বলল, ‘ভুলভাল নয়, কারেক্ট কথা বলছি। আমার কপালে অপঘাত আছে! শোনো, তোমাকে দোতলা বাড়ি করে দিয়েছি। নীচে ভাড়াটে বসিয়ে খাবে। আর যা পয়সাকড়ি, সোনাদানা আছে রুমলির বিয়ে হয়ে যাবে। মার্ডার হয়ে গেলে পার্টিও কিছু টাকা পয়সা দেবে, সেগুলো গুছিয়ে রাখবে, তোমার চলে যাবে। পেনশন নেই আর কী হবে! পেনশন থাকলে এত চিন্তা করতাম না।’
আরতি তীব্র গলায় উঠল, ‘সারা লাইফ তো পার্টি পার্টি করে এলে, তা পার্টি পারছে না, তোমাকে ক্যাজুয়াল থেকে পারমানেন্ট করে দিতে?’
‘পারলে নিশ্চয়ই দিত। আমি কি একা! কেএমসিতে হাজার হাজার ক্যাজুয়াল কর্মী আছে।’
‘তারা কেউ তোমার মতো পার্টির জন্য ছুরি কাঁচি ধরে না। একটা বেইমান পার্টি!’
‘মুখ সামলে কথা বলবে। পার্টি তুলে একটা কথা বললে, মেরে মুখ ফাটিয়ে দেব। আমরা ভালোবেসে পার্টি করি, পার্টি থেকে কামিয়ে নিতে আসিনি।’    
আরতিকে কাল থামিয়ে দিয়েছিল নচে। কিন্তু নিজেকে থামাতে পারেনি। তার সব যেন জট পাকিয়ে যাচ্ছে। ক্যাপ্টেন তাকে এমন করে বলে দিল, তার অপঘাত আছে।
নচে যখন নিজেকে নিয়ে জট পাকিয়ে বসে, সহজের কাছে তখন সেদিনের অঙ্কটার জট খুলে গেল। 
সহজ সম্পর্কে যাবতীয় ইনফরমেশন ওই পিশাচ সাধুর কাছে ছিল। শঙ্করের কাছ থেকে শুনেছে। হিসেব সোজা! সাদা পাতায় কালো অক্ষরের ধাঁধা খতম!
তাহলে ছকটা কে সাজিয়েছিল? 
সব শুনে জেনে, এখানে এসে তাকে দেখেই দু-চারটে ডায়লগ মেরে আসর জমিয়ে দিল! বাহ্‌ সাধু, জব্বর গেম খেলেছ। কিন্তু তোমার ছকের বাইরে যে আমি বেরিয়ে এলাম। এ-খবর তোমার কাছে যাবে না। তুমি ভাববে আমি তোমার ছকবন্দি হয়ে তেত্রিশ দিন পরে থাকব। তারপর আরও সাত মাস তুমি একটা লম্বা টাইম নিয়েছ। সেখানে যদি কিছু ঘটে? লাগলেই তুক! না লাগলে তাক!
নচের চোয়াল শক্ত, বিড়বিড় করল, ‘তুমি আমার বউ মেয়েকে বেসাহারা করলে ক্যাপ্টেন। আমি নচে, আমি খালাস হওয়ার আগে তোমার নলিটা নাবিয়ে দিয়ে যাব—।’
(চলবে)
28th  March, 2021
ছোট গল্প
সম্ভবামি যুগে যুগে

 

মহাপ্রস্থানের পথে অর্জুনের পতনের পর ভীম ও যুধিষ্ঠির আরও উত্তরদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই বরফে ঢাকা শ্বেত প্রান্তরে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে করতে অর্জুনের মন আসন্ন স্বর্গ না নরক এই দুর্ভাবনার  থেকেও শেষজীবনের পরাজয় ও হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে রইল। তিনি চিরকালের শৌর্যাভিমানী। বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু
পর্ব  ১০

তেত্রিশ দিন হয়ে গেল অথচ সহজের জীবনে ক্যাপ্টেনের করা ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। পরমেশ্বরের কথা শুনে ক্যাপ্টেনকে ফোন করে সহজ বলে দিল, ‘আপনি ফ্লপ! আপনার ভবিষ্যদ্বাণী ফ্লপ!’ সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে বাবার কাছ থেকে সহজ জানতে পারল, তার নামে একটি অফিসিয়াল চিঠি এসেছে। তারপর... বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
মিষ্টু
উৎপল দাস

রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই।  বিশদ

11th  April, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে। বিশদ

11th  April, 2021
বিদিশা কি ভানুমতী?
আশিস ঘোষ

বেশি কথা বা শব্দ, আলো এখন ভালো লাগছে না। বিদিশাকে বলতেই, ও টিউব লাইট নিভিয়ে জিরো পাওয়ারের নীল আলো জ্বালিয়ে দিল। জানলার পর্দা হাওয়ায় উড়ছে। বাইরের রাস্তায় গাড়ির শব্দ। বিদিশা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুই বলছে না। বিশদ

04th  April, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৭
জয়ন্ত দে

দারোগা বাড়ির নিমন্ত্রণে ক্যাপ্টেন হঠাৎ উদয় হল কেন? এ প্রশ্ন সহজের মনে অবিরাম ঘুরপাক খাচ্ছে। নচের সঙ্গে কথা বলে মনে হল, ক্যাপ্টেনকে সেদিন দারোগা বাড়িতে পাঠিয়েছিল পরমেশ্বরের পার্টনার শঙ্কর। সহজের কাছে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে থাকে পুরো স্কিমটা। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণীর আতঙ্ক থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না নচে। তারপর... বিশদ

04th  April, 2021
দহ
হামিরউদ্দিন মিদ্যা

ঘুম-জড়ানো চোখেই ধড়ফড় করে উঠে দাঁড়াল নুরু। মাটি থেকে গামছাটা তুলে, ধুলো ঝেড়ে কোমরে বাঁধল। বাঁ-হাতে নিল পাচন লাঠিটা। গোরু-মোষের দলটা সামনেই চড়ছে। মোষগুলোর দিকে চেয়ে দেখল, নিবারণ ঘোষের লেজকাটা মোষটা নেই। বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল নুরুর। পাগলের মতো ছুটতে লাগল দহের দিকে। বিশদ

28th  March, 2021
ভুল ফোন
কৌশানী মিত্র

ছেলেটি নরম। মেয়েটি কঠিন। ছেলেটির চোখে সারাক্ষণ জল টলটল করছে। আসলে জন্মানোর পর শুধু লড়াই করতে করতে দু-দণ্ড বসে কাঁদতে পারেনি কোনওদিন। এখন যেটুকু যা আছে তাইই ইমনের সামনে উপুড় করে দিতে পারলে যেন বেঁচে যায়। বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৫
জয়ন্ত দে

নচে রেগে গিয়ে ক্যাপ্টেনকে রিকশসুদ্ধু খালে ফেলে দেওয়ার সুপারি দিল নেত্রকে। স্ত্রীকে নিয়ে নেত্রর রিকশয় উঠলেন ক্যাপ্টেন। রিকশ এগতে থাকে আর স্বামীকে একের পর এক অনুযোগ করতে থাকে বঁড়শি। তারপর... বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পিশাচ সাধু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সহজের। নচেও তার ভবিষ্যৎ জানতে চায়। সাধু বলেন, ‘তুই অপঘাতে মরবি।’ শুনে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত নচে। তারপর... বিশদ

14th  March, 2021
তন্ত্রমন্ত্র
সৌমিত্র চৌধুরী

ঠক ঠক ঠক। অন্ধকার ঘর। মিনিট পাঁচেক হল কারেন্ট চলে গিয়েছে। নিজের বিছানায় চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছি। তবুও মশার কামড়। স্বস্তিতে বসতেও পারছি না। তার মধ্যে দরজায় টোকা।  বিশদ

14th  March, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

দারোগাবাড়ির ঠেকে সহজকে দেখে হঠাৎই ক্যাপ্টেন বেমক্কা বলে বসলেন— ‘তুই ভুল করেছিস পরি! এ ছেলে সহজ নয়, এ ছেলে কেন তোর এখানে? বড্ড ভুল করছিস!’ পরমেশ্বর অবাক হয়ে জানতে চাইল, ‘কেন, কী ভুল করলাম ক্যাপ্টেন?’ তারপর... 
বিশদ

07th  March, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের সঙ্গে দারোগা বাড়ির ভূতুড়ে ঠেকে এসেছিল সহজ। হুল্লোড়ের মাঝে সেখানে হঠাৎই হাজির হলেন ক্যাপ্টেন। যিনি নিজেকে পিশাচ সাধু বলেন। তিনি সহজকে দেখে বললেন, তুই এখানে কেন? তারপর... 
বিশদ

28th  February, 2021
একনজরে
আরামবাগের মানুষ মুখ ফেরালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। মানুষের পাশে থেকে কাজ করার গতি থামবে না। এমনটাই দাবি আরামবাগ মহকুমার তৃণমূল নেতৃত্বের। এবার ...

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দু’শোর বেশি আসন পেয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করতে চলেছে তৃণমূল। এই ভোটে  দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন বাংলার মানুষ। ...

ভারতে করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। আর তার ফলে অক্টোবরে-নভেম্বরে দেশের মাটিতে হতে চলা টি-২০ বিশ্বকাপ ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার কোচ রবি শাস্ত্রী ...

হাসপাতালে অক্সিজেন না পেয়ে ফের মর্মান্তিক মৃত্যু দেখল দেশ। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের পর এবার কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ। এই দুই রাজ্যে অক্সিজেন না পেয়ে মোট ৩২ জন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৯: বৃটিশ ভারতের মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা টিপু সুলতানের মৃত্যু
১৮৪৯:- বাঙালি নাট্যকার, সঙ্গীতস্রষ্টা, সম্পাদক ও চিত্রশিল্পী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৮৬: হে মার্কেট স্কোয়ার হিংসা: শিকাগো, ইলিনয় সহ বিভিন্ন শহরে শ্রমিক মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে সচেষ্ট পুলিসকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ, ৮ জনের মৃত্যু, আহত ৬০, জনতাকে লক্ষ্য করে পুলিসের গুলি
১৯১৯: চার মে আন্দোলন: ভার্সাই চুক্তির প্রতিবাদে চীনের বেজিংয়ে তিয়েন আন মেন স্কোয়ারে ছাত্র জমায়েত
১৯৫৩: ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি গ্রন্থের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পেলেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
১৯৫৯: প্রথম গ্র্যামি পুরস্কার দেওয়া হল
১৯৭৯: ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন মার্গারেট থ্যাচার  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৯ টাকা ৭৪.৯০ টাকা
পাউন্ড ১০০.৮৬ টাকা ১০৪.৩৭ টাকা
ইউরো ৮৭.৬৮ টাকা ৯০.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৭, ৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫, ২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫, ৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯, ২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯, ৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ বৈশাখ, ১৪২৮, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১। অষ্টমী ২০/৩৬ দিবা ১/১১। শ্রবণা নক্ষত্র ৮/২০ দিবা ৮/২৬। সূর্যোদয় ৫/৬/১৩, সূর্যাস্ত ৬/০/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪১ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৮ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে ২/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে।  
২০ বৈশাখ, ১৪২৮, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১। অষ্টমী সন্ধ্যা ৫/৪৮। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ১/৫। সূর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৪ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৪৮ মধ্যে।  
২১ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
করোনা আক্রান্ত দীপিকা পাড়ুকোনও
বাবা, মা ও বোনের পর এবার নিজেরও করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট ...বিশদ

09:13:50 PM

হলদিয়ায় পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
খাল থেকে এক ব্যক্তির পচা-গলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ...বিশদ

06:58:00 PM

দেশে এবার সিংহরাও আক্রান্ত করোনায় !
মানবদেহের পর এবার দেশে সিংহদের দেহেও করোনা থাবা বসিয়েছে বলে ...বিশদ

05:16:13 PM

রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠকে মমতা
সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ও কোভিড নিয়ে বৈঠকের জন্য রাজ্য পুলিসের ডিজি, ...বিশদ

05:07:00 PM

১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু রাজ্যে
দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের আকালের মধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়ে গেল ১৮ ঊর্ধ্বদের ...বিশদ

04:50:36 PM

করোনায় আক্রান্ত প্রকাশ পাড়ুকোন
করোনায় আক্রান্ত ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের কিংবদন্তি খেলোয়াড় প্রকাশ পাড়ুকোন। গত শনিবার ...বিশদ

04:48:24 PM