সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
সোমবার পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহণ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তরুণ ভট্টাচার্য ও প্রতাপপুর-২ পঞ্চায়েত প্রধান শঙ্কর সামন্ত ইস্তফাপত্র লিখে বিডিও অফিসে জমা করেন। কিন্তু, পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে সেটি গৃহীত হয়নি। বিডিও অফিস থেকেই নির্দিষ্ট ফর্ম দেওয়া হবে। দু’-একদিনের মধ্যেই তাঁরা ফের তা জমা করবেন বলে জানিয়েছেন। ভোটের আগে ওই তৃণমূল নেতারা দলবদল করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। রবিবারের ফলাফলে চরম হতাশ তাঁরা। তারপরই এই সিদ্ধান্ত বলে তরুণবাবু জানিয়েছেন।
শুধু তরুণবাবু বা শঙ্করবাবু নন, জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী, শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা সহ দলবদলু একঝাঁক নেতা রবিবার বিজেপির ভরাডুবির পর ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারে ধরে নিয়ে এতদিন তাঁরা পদ আঁকড়েছিলেন। কিন্তু, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল জনাদেশ পেয়ে হ্যাটট্রিক করতেই তাঁদের যাবতীয় স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের বেশ কয়েকজন দলবদল করে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। যদিও বেশিরভাগই পদ থেকে ইস্তফা দেননি। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে। তাঁরাই একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করবেন। কিন্তু, সেসব সোনার পাথরবাটির মতো অবাস্তব থেকে গিয়েছে। এখন বাস্তবের মাটিতে তাঁদের রাজনৈতিক জীবনটাই চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছে। একরাশ হতাশা আর উৎকণ্ঠা আপাতত সঙ্গী। এখনই তৃণমূলে স্বাগত জানানো হবে এমনটাও তাঁদের মনে হচ্ছে না। তাই রবিবার থেকে আফশোস করছেন বেশিরভাগ দলবদলু নেতা-কর্মী।
নন্দীগ্রাম বিধানসভার বিজেপি প্রার্থীর ইলেকশন এজেন্ট মেঘনাদ পাল গত জানুয়ারি মাসে দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। দীর্ঘদিন তিনি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। রবিবার ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই মেঘনাদবাবুর মোবাইল বন্ধ। সোমবার নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে। বিজেপির লোকজন বিশেষ করে দলবদলু কর্মী-সমর্থকরা মেঘনাদবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করা তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা আবার দলে ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টায় রয়েছেন। দলের পদে থেকেও বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগে কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন ঘড়া ও সহ সভাপতি রাজকুমার কুণ্ডুকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। রবিবার ফল বেরনোর পর তাঁরা ফের দলে ফেরার জন্য জেলা সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন। তপনবাবু বলেন, সৌমেনবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই।