সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
এই জেলায় ভোট মেটার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাগাতার মাইকে প্রচার চলছে। অন্যকিছু মহলও সচেতনতামূলক বার্তা দিচ্ছে নানাভাবে। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকতে রাজি নন কিছু যুবক। তাঁদের মধ্যে বাম মনোভাপন্ন পাঁচ-সাতজন এগিয়ে এসেছেন স্বেচ্ছায়। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কোদালিয়া এলাকায় রাজনৈতিক দলের দেওয়াল মুছে নানারকমের বার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।
এই উদ্যোগে শামিল অর্ক চট্টোপাধ্যায় বলেন, সামাজিক দূরত্ব নয়, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বরং বেশি প্রয়োজন সামাজিক ঐক্য। সকলকেই ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। কোথাও কোনো জটলা করা নয়। জটলা দেখলেই পাশ কাটিয়ে চলে যেতে হবে। মূলত এসবই আমরা দেওয়ালে লিখেছি। তার থেকেও বড় কথা হল, সাধারণ মানুষ যেন এই পরিস্থিতিতে অযথা আতঙ্কিত বা ভীত না হয়ে পড়েন। সবচেয়ে প্রয়োজন সাবধানতা অবলম্বন। রাস্তায় বেরলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এই বার্তা লিখে তার মাঝে করোনা ভাইরাসেরও একটি ছবি এঁকে দেওয়া হয়েছে। এসবের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন করে তোলা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অর্কদেবের সঙ্গে মলয় আচার্য, অঞ্জন গুহঠাকুরতা, শুভেন্দু দে’র মতো তরুণ ব্রিগেডের সাহায্যে যে-কাজ পাড়ায় করা হয়েছে তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের মতে, ভোট মিটে যাওয়ার পর রাজনৈতিক দলের নেতাদের আর সেভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু এই পাড়ার যুবকের দল নিজেদের প্রচেষ্টায় করোনা সংক্রমণের পরোয়া না করেই সচেতনতামূলক প্রচারে নেমে পড়েছেন। বলে রাখা ভালো, এই পুরো এলাকায় করোনা সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে। তাই বিষয়টি কেউ যাতে হালকাভাবে না নেন, তা নিয়েও প্রচার চলছে। ফলে স্থানীয় যুবকদের হাতে দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে এই যে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচারিত হচ্ছে, তাতে পরোক্ষে প্রশাসনেরও সাহায্য হচ্ছে।