সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, আমরা এই জেলায় পাঁচটি আসন আশা করেছিলাম। তার মধ্যে তিনটি আসনে আমরা জিতেছি। গঙ্গারামপুরে আমি হেরে গিয়েছি। মূলত গঙ্গারামপুরে শহরেই আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের শহরে সংগঠন থাকলেও তেমন শক্তিশালী ছিল না। জিন্দাবাদ বলার লোক আছে, কিন্তু বুথভিত্তিক সংগঠন বলতে কিছু ছিল না। তাই হয়ত আমরা পিছিয়ে পড়েছি। তবে আর কী কারণে আমরা তিনটি কেন্দ্রে হেরে গেলাম, তা পরে পর্যালোচনা করা হবে। বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী শেখর দাশগুপ্ত বলেন, বালুরঘাট বিধানসভার গ্রামাঞ্চলগুলিতে আমরা ভালো ফল করেছিলাম। কিন্তু মূলত শহরে এসেই আমরা পিছিয়ে পড়েছি। বিজেপি বালুরঘাট শহরে ভালো লিড পেয়েছে। বালুরঘাটের মানুষ ভেবেছিল যে বিজেপি জিতলে অর্থমন্ত্রী পাবে। তাই আমাকে হয়ত শহরের মানুষের পছন্দ হয়নি। তাই জিততে পারিনি। আমরা পরবর্তীতে হেরে যাওয়ার কারণগুলি পর্যালোচনা করব।
অন্যদিকে, বালুরঘাটের জয়ী প্রার্থী বিজেপির অশোক লাহিড়ি বলেন, বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ আমাকে জয়ী করেছেন। সেজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। বিরোধী দলে থেকে আমি বালুরঘাটের মানুষের জন্য কাজ করব। এই কেন্দ্রের সব মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকব। এছাড়াও বিভিন্ন দাবিদাওয়া পূরণ করার চেষ্টা করব।
বালুরঘাট কেন্দ্রে অশোকবাবু ১৩ হাজার ৪৩৬ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তার মধ্যে শহরেই তিনি ৬০০০’র বেশি ভোটের লিড পেয়েছেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের শিক্ষিত ভোটার এবং শহরের বাইরে রাজবংশী ভোট তাদের দিকে এসেছে। এছাড়াও বিজেপি প্রার্থীকে হবু অর্থমন্ত্রী বলে প্রচার করা হয়েছিল। সেই প্রচারে কিছুটা বেশি ভোট বিজেপি টেনেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। অন্যদিকে, বালুরঘাট শহরে পুরভোট না হওয়া এবং পুর পরিষেবা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এছাড়াও তৃণমূলের অন্দরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দলের একাংশ বর্ষীয়ান নেতাকে প্রচারে দেখা যায়নি। ফলে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় তৃণমূল।
এদিকে, গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বিজেপির কাছে ৪২২৮ ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন। একইভাবে গঙ্গারামপুর শহরেও বিজেপি ভালো লিড দিয়েছে। ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে। এতে শহরেই তারা ১৩ হাজারের বেশি ভোট লিড দিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে সংগঠন থাকলেও বুথস্তরে সংগঠন ছিল না। এছাড়াও হারের পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও একটা কারণ। যার ফলে অনেকটাই পিছনে চলে গিয়েছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর বিধানসভার ভোট গণনায় প্রথম ১০টি রাউন্ডে তৃণমূল এগিয়ে ছিল। কিন্তু পরের রাউন্ডগুলিতে বিজেপি এগিয়ে গিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু তপন বিধানসভা কেন্দ্রে শেষ কয়েকটি রাউন্ড পর্যন্ত তৃণমূল বিজেপি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। প্রথমে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও শেষ দু’টি রাউন্ডে বিজেপি প্রার্থী বুধরাই টুডু তৃণমূল প্রার্থী কল্পনা কিস্কুকে ১৬৫০ ভোটে হারিয়ে দেন।