সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
এদিকে ঘটনার পর সক্রিয় হন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাও। তিনি জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন। রবিবার রাত ১২ থেকে রাত দু’টোর মধ্যে ওই করোনা রোগীদের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে অক্সিজেনের সাপ্লাই বন্ধ হওয়ার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে বল্লারি থেকে কিছু অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা না আসায় হাসপাতালটিতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। তখন মাইসুরু থেকে দ্রুত অক্সিজেনের আড়াইশো সিলিন্ডার পাঠানো হলেও, ততক্ষণে যা হবার ঘটে গিয়েছে। অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অন্তত ২৪ জন কোভিড আক্রান্ত।
অন্যদিকে অন্ধ্রের হিন্দুপুর হাসপাতালে রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত আটজন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অনন্তপুরের জেলাশাসক জি চন্দ্রচূড় বলেন, ওই হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি ছিল না। যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেনের মজুত ছিল। তুবও কেন রোগীদের মৃত্যু ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গুরুগ্রামের একাধিক ছোটখাট হাসপাতালে। গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালগুলিতে। জেলা প্রশাসন, পুরসভা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন চেয়ে একাধিকবার দরবারও করেছে এই হাসপাতালগুলি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের অক্সিজেন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই নতুন কোভিড রোগী ভর্তি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় হাসপাতালগুলি। ওল্ড গুরুগ্রামের কাঠুরিয়া হাসপাতালের ডিরেক্টর অশোক কাঠুরিয়া বলেন, সম্প্রতি তাঁদের হাসপাতালেই চারজন রোগী অক্সিজেন না পেয়ে মারা গিয়েছেন। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয়, সেজন্য নতুন করে কোভিড রোগী ভর্তি করা বন্ধ করা হয়েছে। গুজরাতের ভদোদরার এসএসজি সরকারি কোভিড হাসপাতালে অক্সিজেন লিক করার ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এই ঘটনায় রোগীদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। হাসপাতালটিতে মোট ৬০০ জন কোভিড আক্রান্ত ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের সুপার ডাক্তার রঞ্জন আইয়ার বলেন, হাসপাতালে অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের একটি প্লাগ থেকে মৃদুমাত্রায় অক্সিজেন লিক করে। তবে এর ফলে হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়নি।