Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কাকের বাসায় ভালোবাসা 
অমিত ভট্টাচার্য

যদিও গল্পটা পুষ্পদির মুখ থেকে পুরোপুরি শোনা হয়নি, তবে কিছুটা চাক্ষুষ দেখার সুযোগ হয়েছিল।
একদিন হঠাৎ সে হাজির হয়েছিল আমার বাড়ি। আমি তখন বাইরে।
স্ত্রীকে জিগ্যেস করে, ‘আচ্ছা বউদি, দাদা নাকি গপ্প নেকে?’
—‘কেন বল তো?’ কৌতূহল নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে মিতা।
—‘না, আমি এট্টা গপ্প বলতাম।’
এবার ঠোঁটে হাসি এনে মিতা বলে ‘তাকে পাওয়া কি অত সোজা! সারাদিন টো-টো করে কোথায় যে ঘোরে!’
—‘তালে নেকে ককন?’
—‘ওই রাতে। শুতে যাবার আগে।’
—‘অনেক রাত হয় বুজি!’
—‘হ্যাঁ, তা তো হয়।’
—‘দ্যাকো কাণ্ড! শরীল খারাপ হবে যে।’
মিতার তখন সংসার সামলানোর সময়। এসব কথা বেশি দূর গড়াতে দেওয়া যায় না। হয়তো একটু বিরক্তির ঢঙেই বলেছিল, ‘তা জানি না বাপু। হলে আর কী করা যাবে।’ ব্যস। মা জীবিত থাকতে পুষ্পদি এ বাড়িতে কাজের সময় যেভাবে আপনমনে ছড়ি ঘোরাত, প্রায় সেই মুড নিয়েই বলে বসল, ‘এটা কেমন কতা বউদি? দাদার শরীল দেকার নোক আর কে আচে বলো।’
মিতার কটমটে দৃষ্টিতে একটুও না টলে সে বলে, ‘মা বেঁচে থাকতে এ কতা শুনলে কী যে কষ্ট পেত!’
এরপর ওখানে দাঁড়িয়ে থাকার আর কোনও মানে খুঁজে পায়নি মিতা।
বেচারি পুষ্পদি বা কতক্ষণ দরজা আগলাবে। সেও বিদায় নিয়েছে, না বলেই। পুষ্পদির সঙ্গে মিতার পরিচয় হয়েছিল, আমাদের ছেলের জন্মের পরে পরেই। পুষ্পদির তখন অন্য পাড়ায় ঘর। মা খোঁজখবর করে ধরে এনেছিল বাচ্চা সামলাবার জন্য।
যা হোক, বাড়ি ফিরে মিতার থেকে এইটুকু আমার শোনা। এরপর গল্পের খোঁজে নিজেই পুষ্পদিকে খুঁজেছি এখানে ওখানে। ইদানীং সেও আমার পাড়ারই একটা বস্তিতে ঘর ভাড়া নিয়ে আছে। কিন্তু দেখা মেলেনি।
একদিন বাজার করতে করতে হঠাৎ দেখি, পাঞ্জাবি ধরে কে যেন হালকা টান দিচ্ছে। ঘুরতেই পুষ্পদির হাসি হাসি মুখ। সেই সঙ্গে চোখে কৌতূহল ও প্রশ্ন। যা দেখে নিজেই উত্তর দেওয়ার তাগিদে বললাম, ‘শুনেছি। তুমি বাড়ি গেছিলে। তা এসো না, আর একদিন।’
—‘তুমি কি বাড়ি থাকো?’
—‘হ্যাঁ, হ্যাঁ থাকব। আজই চলে এসো সন্ধেবেলা।’
—‘আচ্চা যাব কোন। তোমার বউ রাগ করবে না তো?’
বুঝলাম, মিতার সেদিনের ব্যবহার পুষ্পদির ভালো লাগেনি।
বললাম, ‘না না, তুমি এলে সে খুশি হবে বরং।’
পুষ্পদি সম্মতির ঘাড় নেড়ে বলল, ‘বাড়িতে কিচু শাকপাতা হয়েচে। তোমার জন্য নে যাব?’
—‘আনতে পার।’
—‘বাজার থেকে ওগুনো তালে আর কিনোনি দাদা।’
—‘ঠিক আছে।’
প্রায় মায়ের বয়সি মানুষটা। ছোটবেলায় কোলেপিঠেও উঠেছি। কিন্তু দাদা ডাকটা আদর করে হোক বা সমীহ করে, তা নিয়ে কোনও দিন প্রশ্ন বা আপত্তি তুলিনি। যদিও আজ কেমন ডাকটা বেমানান ঠেকল। সেটা কি মায়ের স্থানটা ইতিমধ্যে ফাঁকা হয়ে যাওয়ার জন্য! ভিতরের কথা চাপা দিয়ে বললাম, ‘বেলা হয়ে গেল। বাজারটা সেরে নিই তাহলে। তুমি কিন্তু চলে এসো।’
পুষ্পদি অন্যমনস্ক হয়ে ঠায় আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে।
বললাম, ‘কী ভাবছ?’
সে ঘাড় নেড়ে জানাল, ‘কিছু না।’
এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হল। পুষ্পদির দেখা নেই। আমার উশখুশ ভাব দেখে একসময় মিতা প্রশ্ন করল, ‘কী হল? কেউ আসবে নাকি!’
—‘হ্যাঁ, সকালে পুষ্পদির সঙ্গে দেখা। বলল তো সন্ধে নাগাদ আসবে। আমাকে আবার বেরতে হবে।’
—‘বসবে তো গিয়ে ওই চায়ের দোকানে। একটু ওয়েট করে গেলেই হয়।’
এই চায়ের দোকানে বসা নিয়ে মিতার কাছে মাঝে মাঝেই আমার খোঁটা শুনতে হয়। ওর মতে, যত স্ট্যাম্পড লাগানো বেকার সব ওখানে গিয়ে বসে। কী করে বোঝাই যে, আমাদের মতো লোকের জন্য ওটাই হল আসল ছিপ ফেলার জায়গা। কখন যে ফাতনা নড়ে উঠবে কেউ জানে না। একটা চালু চায়ের দোকানে যে কত খবর এসে জড়ো হয়। তার ওপর কতরকম লোক, কত চরিত্র! তাদের দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতেই কল্পানার ঘনঘটা। যাক, পুষ্পদির জন্য আরও একটু সবুর করেই না হয় বেরনো যাবে। এইসব প্রান্তিক মানুষদের গালগল্প শহুরে পাঠকের কদর পায়। কাগজের অফিস তা বোঝে। নিজেদের ভোগ আরাম-আয়েশের সঙ্গে সঙ্গে সাব অল্টার্নদের কষ্ট দুর্দশার জ্ঞানটুকু তারা প্রিন্ট কিংবা বৈদ্যুতিন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে চায়। সেদিন তো একজন সম্পাদক বলেই বসলেন, ‘আরে! মশাই, শহরের বাইরে একটু-আধটু ঘুরুন। ঘরে বসে কি মন্দির দর্শন হয়? সিনিয়রদেরও একই বক্তব্য। কিন্তু বললেই তো হল না। ঘুরতে তো পয়সা লাগে। কে দেবে শুনি! একটা গল্প দু’পায়ে দাঁড়ালে তবে হাজারখানেক মেলে। প্রাইভেট ফার্মে লে অফ হবার পর মনে হয়েছিল, লিখেই তুলে নেব ওই টাকা। তখন টাকাকে টাকা, যশকে যশ। এখন বুঝি, কত ধানে কত চাল। নেহাত বাপের কিছু মালকড়ি ছিল, তাই চলে যাচ্ছে।
এদিকে সময়ের বেশি অপেক্ষা করেও পুষ্পদি যখন এল না, গুটি গুটি বেরিয়ে পড়লাম। আজ চায়ের দোকানে না গিয়ে, কাছাকাছি একটা পার্কের দিকে হাঁটা লাগালাম। যদিও এটা নামেই পার্ক। পুরনো দোলনাটা ভাঙা। ঘাসের আগাছায় ভেতরে পা ফেলার জো নেই। পায়ে হাঁটা রাস্তার দু’দিকে দু’টো মুখোমুখি বেঞ্চির কোনওটাই বসার উপযুক্ত না। নামমাত্র জ্বলা দু’একটা বাল্বের ম্রিয়মাণ আলো জায়গাটাোক আরও বিষণ্ণ করে তুলেছে। অতএব একটা চক্কর মেরে, সেই চায়ের দোকানেই ঢুকতে হল আবার। ভেতরে দু’চারজন অচেনা খদ্দের একটু উঁচু গলায় কথা বলছিল। আমার দেখে দিনু বলল, ‘দাদা লিকার তো? একটু লেবু চলবে?’
—‘হ্যাঁ দে।’ দিনু চায়ের গ্লাসটা আমায় এগিয়ে দিতেই ওদের একজন ধমকের সুরে দিনুকে বলল, ‘কিরে আমরা কি খদ্দের না?’
দিনু বলল, ‘ওনারটা লিকার তাই আগে দিলাম। আপনাদেরটায় দুধ ঢেলে দিচ্ছি।’
ওই তিরিক্ষি মেজাজের লোকটাকে আগেও দেখেছি বটে, কিন্তু তার বেত্তান্ত জানা নেই। ওরা চলে যেতে দিনুকে জিগ্যেস করলাম, ‘লোকটা কে রে?’
—‘আরে, এ হল কাজের মাসি পুষ্পদির বর। দিনের বেলা চা আর রাতে মদ। এই দুই নেশা নিয়ে আছে। আর যা জানি, সে দাদা আপনাকে বলা যাবে না।’
ভাবলাম, যে গল্প খোদ পুষ্পদির থেকে শোনার ছিল। তার শুরুটা অন্তত অন্যের থেকে জানা গেল। মায়ের কাছেও পুষ্পদি তার দুঃখের কথা কিছু কিছু বলত। একজন মহিলা হিসেবে মা-ও সেই দুঃখের ভাগীদার হয়ে দু’-এক কথা বলত বটে, তবে খুব নিচু গলায়। যাতে কেউ শুনতে না পায়। সেই থেকেই বুঝেছিলাম, এমন কিছু মেয়েলি দুঃখ আছে, যা পুরুষদের সঙ্গে ভাগাভাগি হয় না।
আমার চিন্তার জাল ছিঁড়ে এরপর দিনু আরও একটু এগিয়ে বলল, ‘পুষ্পদির ছেলেটাকে দেখেছেন?’ আমার উত্তরের অপেক্ষায় না থেকেই বলল, ‘ও হল আসলে এই লোকটার আগের পক্ষের ছেলে। নিজের বাবাকে ছেড়ে সে সৎমায়ের সঙ্গে থাকে। ছেলের বউটাও নাকি খুব ভালো।’—‘তা তুই এসব কোত্থেকে জানলি?’ আমি বললাম। দিনু বলল, ‘পুষ্পদি নিজেই একদিন চা খেতে এসে বলছিল।’ এইটুকু বলে, দিনু নিজের ফেলে রাখা কাজে আবার মন দিল।
যাক, সংসারের এই দিকটায় পুষ্পদি অন্তত কিছুটা হলেও শান্তি পয়েছে। মনে মনে ভাবলাম। বহুদিন সম্পর্ক নেই। কিন্তু পুষ্পদি মানুষটা যে ভালো, তা অনেকের থেকেই আমার বেশি জানা। কিন্তু আসবে বলেও কেন যে এল না, কে জানে।
দিনুর চায়ের দোকান থেকে জায়গাটা ঠিক দৃশ্যমান না হলেও, শোরগোলটা হাওয়ায় ভেসে আসছে। কান খাড়া করতেই আওয়াজটা আরও স্পষ্ট হল। দিনুও শুনেছে।
বলল, ‘দেখবেন দাদা, এবার একটা কাণ্ড হবে।’
—‘কেন?’
—‘ওরা আমার এখানে বসেই ঘোঁট পাকাচ্ছিল। বলে, ছেলের বউ আর পুষ্পদি মিলেই নাকি ছেলেকে ওই লোকটার থেকে বের করে এনেছে। তাই ওদের শিক্ষে দিতে হবে। বোধহয় ওরাই কোনও গন্ডগোল বাধিয়েছে।’
—‘সে কী কথা! এটা তো জোরজুলুম হচ্ছে!’
দিনু দার্শনিকের মতো আমার দিকে চেয়ে বলল, ‘এটা তো জোরজুলুমেরই যুগ দাদা। ভালো-মন্দের বিচার আর কোথায় আছে?’
বিশেষ প্রতিবাদী হিসেবে এ মহল্লায় আমার কোনও পরিচয়ই নেই। ছোটখাট সভা সমিতিতে একটু-আধটু মনের কথা বলার সুযোগ পাই, ওই পর্যন্ত। কিন্তু এই মুহূর্তে কোনও এক অদৃশ্য শক্তি যেন আমায় ঠেলা মেরে দোকানের বাইরে নিয়ে এল। শরীর মনে একটা উত্তেজনা। দিনু বুঝতে পেরে বলল, ‘এই দেখো, এতসব বলেই ভুল করলাম দেখছি। আপনি আবার লেখার মশলা জোগাড় করার জন্য ওই গন্ডগোলের মধ্যে যাচ্ছেন নাকি!’
ওর কথায় কর্ণপাত না করেই শোরগোলের দিকে এগিয়ে চললাম। সামনে গিয়ে দেখি দু’পক্ষের মধ্যে অকথ্য খিস্তি-খাস্তা চলছে। এর ভেতর নাক গলানোটা কি ঠিক হবে!
ভাবতে ভাবতেই দেখি, ঘরের ভেতর থেকে অল্পবয়সি একটা বউ হাতে কাটারি উঁচিয়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। গলার শির ফুলিয়ে তারস্বরে চেঁচিয়ে বলছে, আয় দেখি কত মায়ের দুধ খেয়েছিলি তোরা। অন্যদিকে ওই লোকটা মানে পুষ্পদির বরও সবাইকে শুনিয়ে পুষ্পদির উদ্দেশে বলছে, ‘শালা ওটাই হল যত নষ্টের গোড়া।’ আশপাশে বস্তির লোক জড়ো হলেও কারওরই এগবার ইচ্ছে নেই। বস্তির ঘিঞ্জির রাস্তার টিমটিমে আলোর মধ্যেও বউটার চোখমুখে উত্তেজনার পারদ। তার হাতের কাটারিটাও তেমনই চকচকে। পরিণতি আঁচ করে লোকগুলো যেন পিছু হটছে। এবং খানিকবাদে আস্ফালনটুকু সম্বল করে তারা কেটেও পড়ল। উত্তেজনা থিতিয়ে আসতে আমি পুষ্পদির নজরে এলাম। তাতে সে যেন মস্ত বল পেল। ছুটে এসে বলল, ‘নিজের চোকেই সব দেখলে তো দাদা? বিকেল থেকেই হারামিগুলো ঘুরঘুর কচ্চে। ছেলেটা তকুন কারখানায়। বউটা ঘরে এগলা। তাই দরজা ধরে বসে ছিলুম। আরে বাবা, কাকের বাসায় কোকিল ডিম পেড়েচে তো কি, কুনোদিন কাককে সেই ডিম ছেড়ে যেতে দেকোচো? কুন ছোট থেকে মানুষ করেচি। আর ওই বদ নোকটা কুত্থেকে একটা মেয়েমানুষ ঘরে নে এল। একুন আবার এয়েচে রোজগেরে ছেলেকে ফিরিয়ে নে যেতে।’
আমি ওকে শান্ত করে ঘরের দিকে পাঠালাম। ওর সৎ ছেলে তখন বাইরের খাটিয়ায় বসে। নাকে মুখে রক্ত। বুঝলাম, মারপিটও হয়েছে। পুষ্পদি একটা ঘটির জলে তার শাড়ির আঁচল ভিজিয়ে পরম স্নেহে ছেলের রক্ত মুছিয়ে দিতে লাগল।
দৃশ্যটা দেখে একটু ঈর্ষা হল। স্মৃতির অতল থেকে উঠে এল ছোটবেলার সেই দিনটা। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ছাদে ঘুড়ি উড়িয়ে সুতোর মাঞ্জায় কাটা আঙুলের করগুলোয় পুষ্পদি কী যত্ন করেই না মলম লাগিয়ে দিচ্ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ঘটনা দেখে মা বাবাকে বলত, পুষ্প কিন্তু আমাদের বাবুকে ছেলের মতো ভালোবাসে।
যা হোক, স্মৃতি ঝেড়ে আমি এবার একটু-একটু করে ওদের খাটিয়ার দিকে এগিয়ে এলাম। পুষ্পদি তার ছেলেকে বলল, ‘দেক তোর এক দাদা এয়েচে। ছেলেটি উঠে দাঁড়াতে যাচ্ছিল। আমি তার হাত ধরে বসিয়ে পাশে বসলাম। বললাম, ‘তুমি তোমার এই মাকে ভালোবাসো?’
শিশুর মতো সে পুষ্পদিকে একবার জড়িয়ে ধরল। সেভাবে আমি কখনও তাকে জড়িয়েছি বলে মনে পড়ছে না।
বাড়ির পথ ধরে যখন ফিরছি, আকাশের চাঁদটা তখন মেঘের ফাঁক গলে প্রায় গোলাকার। সেই আলোয় পাশের পরিত্যক্ত জমিতে গজিয়ে ওঠা কাশফুলগুলো সাদা ধবধব করছে। একটা ফুরফুরে হাওয়া আমার গা ছুঁয়ে ওদের মাথায় দোলা দিয়ে গেল। আর ক’দিন বাদেই ঢাকের তালে মায়ের আগমন।
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
13th  January, 2019
বন্ধুত্ব 
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।  বিশদ

10th  February, 2019
বীরবল 
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

দাসোয়ান খুদকুশি করেছেন শুনে ‌কেল্লার বাইরে বিশাল জমায়েত। মাসুদ খাঁ বলল, হুজুর, দাওনা হয়ে গিয়েছিল তসবিরওয়ালা।
দাওনা, মানে পাগল! দাসোয়ানের কথা কিছু কানে এসেছিল বীরবরের।  বিশদ

10th  February, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা।
বিশদ

03rd  February, 2019
বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস 

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

03rd  February, 2019
মাঠরাখা
হামিরউদ্দিন মিদ্যা 

আলোটা ভাসতে ভাসতে আঁকড়গোড়ে, ভাড়ালগোড়ে, জিওল নালার মাঠ ঘুরে চক্কর দিয়ে মাঝের-দাঁড়ার মাঠে এসে মিলিয়ে গেল। মেঘগুলোকে নীচে ফেলে চাঁদটা অনেকটা ওপরে উঠে এসেছিল। 
বিশদ

20th  January, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

পর্ব ৫৪

সন্ধের নিরিবিলি সময়ে তসবিরখানা থেকে বেরিয়ে দাসোয়ান কোথায় চলেছেন কীরকম আলুথালু মুখে দেখে ধন্দে পড়লেন বীরবর।
বেশ কয়েকদিন ধরে খুব বেতাব দেখাচ্ছে তসবিওয়ালাকে। তসবিরখানায় বসে থাকেন চুপচাপ, তুলিতে রং মাখিয়েও তা খাগের কাগজে মাখাতে ভুলে যাচ্ছেন, কেউ গায়ে হাত দিয়ে নাড়া দিলে থতমত খেয়ে ঝুঁকে পড়ছেন কাগজের উপর। 
বিশদ

20th  January, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

পর্ব ৫৩

ফতেপুর সিক্রির কেল্লার উপর শামের অন্ধকার নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল মগরিবের নামাজ-আস্‌সালাতো খয়রুম মিনন্‌ নওম— বীরবর যাচ্ছিলেন অনুপ তালাওয়ের দিকে, নামাজের আওয়াজ কানে আসার মুহূর্তে থেমে রইলেন যেখানে ছিলেন।  
বিশদ

13th  January, 2019
ছবি ও অস্কার গল্প
ঋষি গৌতম

ছবি ও অস্কা দুই বন্ধু। অস্কা ভাবুক। সে আকাশ-পাতাল অনেক কিছু ভেবে দেখে। ছবি অতশত ভাবে না। কী নিয়ে যে ভাববে সেটাই ভেবে পায় না। কিন্তু অস্কা ভাবে। অনেক রাতে আকাশে চাঁদ দেখলে অস্কার মনে হয় একখানা জিরো পাওয়ারের টুনিবাল্ব জ্বলছে। ভগবান সেই টুনিবাল্ব জ্বেলে ঘুমোচ্ছে।  
বিশদ

06th  January, 2019
বীরবল 
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

পর্ব ৫২

সুবাহ্‌ কাল বাদশা আকবরের পছন্দের সময়। ফজরের আলো ফোটার আগে তিনি অলিন্দে গিয়ে ইন্তেজার করেন কখন আসমানের পুব কোণে উদয় হবে সূর্যের। আজও অপেক্ষা করছিলেন, অপেক্ষার শেষে চোখ মেলে দেখলেন লাল সূর্যের লাফিয়ে দিগন্তের সীমানা পার হয়ে উঠে আসা।
বিশদ

06th  January, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পূর্ব ঘোষণা মতো মঙ্গলবার আইনজীবীরা তাঁদের সব দাবি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সহ রাজ্যের অন্যত্র স্মারকলিপি মারফত জমা করলেন। আইনজীবীদের কল্যাণে ও কিছুটা মামলাকারীদের ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: নাতির উপনয়নের জন্য সোনার গয়না কিনে বাড়ি ফেরার পথে কেপমারদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেন রামপুরহাট থানার খরুণ গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষক। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট শহরের জনবহুল কামারপট্টি মোড়ে।  ...

 চেন্নাই, ১২ ফেব্রুয়ারি: অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছেন পেস অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় দলে থাকার সুবাদে সিনিয়রদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ...

সংবাদদাতা, গাজোল: মালদহের বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট বাসস্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। এজন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর ২০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে। বাসস্ট্যান্ডকে ওই টাকায় ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য, ব্যবসায় গোলোযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়।
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.০৪ টাকা ৭১.৭৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৬৫ টাকা ৯২.৯০ টাকা
ইউরো ৭৮.৪৪ টাকা ৮১.৪২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৪০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১, ৬৯৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ মাঘ ১৪২৫, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বুধবার, অষ্টমী ২৩/৫২ দিবা ৩/৪৭। কৃত্তিকা ৪০/৩৩ রাত্রি ১০/২৭। সূ উ ৬/১৪/১৩, অ ৫/২৭/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১২ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/২ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ১/১৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৩/২ গতে ৪/৩৮ মধ্যে।
২৯ মাঘ ১৪২৫, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বুধবার, অষ্টমী ১০/৩৭/৩১। কৃত্তিকানক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৫৭/২৪, সূ উ ৬/১৫/২৬, অ ৫/২৬/৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৪/৫১ মধ্যে ও ৯/৫৯/০ থেকে ১১/২৮/২৫ মধ্যে ও ৩/১১/৫৯ থেকে ৪/৪১/২৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭/২৪ থেকে ৮/৫১/১৬ মধ্যে ও ১/৫৯/০ থেকে ৬/১৫/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৫০/৪৬ থেকে ১/১৪/৩৬ মধ্যে, কালবেলা ৯/৩/৬ থেকে ১০/২৬/৫৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৩/৫২/২৫ থেকে ৫/২৮/৩৬ মধ্যে।
৭ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম১৯৩১ - ব্রিটিশ ...বিশদ

07:03:20 PM

ঝাড়গ্রামে গাড়ি উল্টে জখম ৬ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি উল্টে জখম ৬ ...বিশদ

05:14:00 PM

কাটোয়ায় পরীক্ষার সেন্টার থেকে নিখোঁজ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীনি, চাঞ্চল্য 

03:33:32 PM

জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ পরিদর্শনে মন্ত্রী গৌতম দেব 

02:27:00 PM

দমদমে সুড়ঙ্গে আটকে গেল মেট্রো
ফের বিভ্রাট মেট্রোয়। এদিন বেলা ১২:৫৮ মিনিটে দমদম ও বেলগাছিয়ার ...বিশদ

02:23:00 PM