Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ফিরে দেখা ব্যোমকেশ 

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়... পার হয়ে গেল প্রয়াণের ৫০ বছর। এখনও প্রাচীন থেকে নবীন—সব প্রজন্মের মননে জায়গা করে নেয় তাঁর লেখনী। এবং অবশ্যই তাঁর অন্যতম সেরা সৃষ্টি ব্যোমকেশ বক্সী। গোয়েন্দা নন, সেই সত্যান্বেষীকে ফিরে দেখা দুই চরিত্রাভিনেতার চোখ দিয়ে।

আবীর চট্টোপাধ্যায়: সত্যের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা। এই দু’টোর কম্বিনেশনের নাম সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। এমন কোনও মানুষ সামনে থাকলে ভালো লাগে। নাই বা হলেন তিনি রক্তমাংসের কেউ। তাঁকে দেখে, তাঁকে ‘পড়ে’ মনে হয়, যদি এমনটা হতে পারতাম... যদি এভাবে কেউ গাইড করত! এই আশ্রয়টাই হয়ে উঠেছে ব্যোমকেশ। আদিম রিপু-তে তখনকার দিনে ২ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে মানুষটা। কতটা মানসিক জোর থাকলে, কতটা নির্লোভ হলে কেউ সেটা করতে পারে! সাধারণ জীবনযাপন, অথচ চিন্তাভাবনা বিশ্বমানের। আজকাল সবাই তো এটাই মিস করে। সেই হিরোকে... যে এখন আর আমাদের সমাজে নেই। তাই আমরা ফিরে দেখি। বারবার। তাই তো আজও এতটা জনপ্রিয় সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ এবং তাঁর স্রষ্টা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরও শুরুতেই একটা কথা না বলে পারছি না... ব্যোমকেশের জন্য শরদিন্দুর অন্য সব অসামান্য সৃষ্টি কিন্তু কিছুটা হলেও অবহেলিত। এটা আমার একটু খারাপই লাগে। যারা নিয়মিত পড়াশোনা করে, তারা হয়তো জানে। বাকিরা জানে না। যাই হোক, ব্যোমকেশের কথায় ফিরে আসি। চরিত্রটা এত জনপ্রিয় কেন জানেন? সেই সময়ের দলিল হয়েও এই সৃষ্টি কালের সীমা ছাপিয়ে গিয়েছে। ব্যোমকেশ শুধু গোয়েন্দা গল্প নয়। তিনি নিজেকে সত্যান্বেষী বলতেন। গল্পগুলো ১৯৩০-৪০ সাল নাগাদ শুরু। তারপর মাঝে অনেকদিন লেখেননি শরদিন্দুবাবু। যখনই লিখেছেন, ফুটে উঠেছে সেই সময়কার সামাজিক-রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এবং তার সঙ্গে বদলে যাওয়া মানুষের জীবনধারা, ভাবনাচিন্তা। তাই এটা শুধু ‘হু ডান ইট বা হাউ ডান ইট’ নয়।
পড়তে গিয়ে আমার নিজেরও মনে হয়েছে, ওখানে আন্ডারলাইনড অনেক বিষয় রয়েছে। যত পড়বেন, তত বুঝতে পারবেন। একটা সময়কে তুলে ধরলেই লেখা বা সিনেমা কালজয়ী হয় না। ঠিক ঠিক সময়টা প্রতিফলিত হলেই উত্তীর্ণ হয় সেই মাপকাঠি। ২০২০-তে বসে ১৯৩০কে যখন ফিরে দেখি, তখন ভাবি... সেই সময়টা কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে। কিছু জিনিস ইটারনাল, বদলায়নি। বেশিটাই পাল্টে গিয়েছে। বাঙালি চিরকালই বুদ্ধিমত্তাকে প্রাধান্য দিয়েছে। এর সঙ্গে সততা এবং সত্যের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকা—এই চরিত্র বাঙালিকে খুবই টানে। তাই আজও একইভাবে অন্তরে থেকে গিয়েছেন ব্যোমকেশ। অসম্ভব ক্ষুরধার বুদ্ধির স্মার্ট বাঙালি, গ্লোবাল চিন্তাভাবনা... তিনি সাহিত্য পড়েন, ক্রাইম নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আবার বাড়িতে বউ নিয়ে সংসারও পাতেন। সঙ্গে রয়েছে বন্ধু অজিতের সঙ্গে হৃদ্যতা—সব মিলিয়ে একটা ইউনিক চরিত্র, বাঙালি যাকে আইডিওলাইজ করতে পেরেছে।
এই জন্যেই সত্যান্বেষী ভদ্রলোকটি ভীষণ স্পেশাল। মানুষের কাছে, আমার কাছেও। আমার জন্য যদিও একটা আলাদা সমীকরণ রয়েছে... আমার নিজের জনপ্রিয়তার শুরুও যে এখান থেকেই। নিজেকে ব্যোমকেশ হিসেবে অবশ্য ভিজুয়ালাইজ কোনওদিন করিনি। সেভেন-এইটে প্রথম ব্যোমকেশ পড়া। বাবা গিফট করেছিলেন। কলেজে আবার পড়েছি। অন্যরকম লেগেছে। মজা করে বললে ব্যোমকেশের সঙ্গে আমার লিভ ইন রিলেশন! আমি যখন প্রথম চরিত্রটা করতে এলাম, তখন কিন্তু বহুদিন ব্যোমকেশ হয়নি। মানে এখনকার মতো মুহূর্মুহূ ব্যোমকেশ হচ্ছিল না। তাই সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে দর্শক আমাকে ব্যোমকেশ হিসেবে অ্যাকসেপ্ট করেছিল। সেটাই প্রাপ্তি। সেটাই স্পেশাল। চরিত্রটা করতে গিয়ে আবার গল্পগুলো পড়া, নতুন ভাবে ভাবা, এসব করতে করতে আমিও যেন ব্যোমকেশের সঙ্গে ইভলভড হয়েছি। কারণ, প্রথম ছবির (ক্রস কানেকশন) শ্যুটিং যখন চলছে, তখন আমি চাকরি করি। টেলিভিশনের কাজও চলছে। ক্রস কানেকশন-এর জন্য অঞ্জনদা (দত্ত) দু’টো গান গেয়েছিলেন। সেই ছবির ডাবিংয়ের কাজ চলাকালীনই হঠাৎ ফোন এল অঞ্জনদার। তার আগে থেকেই উনি আমার হিরো। ফোনে স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে বললেন, একটা ছবির কথা ভাবছি। দেখা করতে পারবে? সল্টলেকে ছিল আমার অফিস। সেখান থেকে গেলাম দেখা করতে। অর্ঘ্যদার (অর্ঘ্যকমল মিত্র) বাড়িতে কথাবার্তা হল। অঞ্জনদা বলছেন, ‘তোমার ক’টা ছবি তুলব। কাউকে বলা যাবে না। সুপার সিক্রেট’, ইত্যাদি ইত্যাদি। মোটা চশমা পরানো হচ্ছে। এইসব করতে করতে হঠাৎ মনে হল, কিছুদিন আগেই না কাগজে পড়েছি অঞ্জনদা ব্যোমকেশ করবেন! তখনই কীরকম সব গুলিয়ে যাচ্ছিল। অর্ঘ্যদা ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে ছবি তুললেন। অঞ্জনদা তারপর আচমকা বললেন, ‘আমি ব্যোমকেশ করব। তোমার আপত্তি নেই তো?’ আমি তো তখন কিছু বলার অবস্থায় নেই। হ্যাঁ বলে কোনওমতে ওখান থেকে বেরিয়ে ১৫ মিনিট হেঁটে অফিস ফিরলাম। পুরো সময়টা মাথা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করছিলাম। ব্যোমকেশ নিয়ে শেষ ছবি বলতে ‘চিড়িয়াখানা’... সত্যজিৎ রায়, উত্তম কুমার...। তারপর আবার হবে! এইসব চিন্তায় একদম ঘেঁটে গিয়েছিলাম। তারপর সবই হল... একে একে। বাস্তবে।
প্রথমে তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এত বড় একটা ব্যাপার ঘটছে, মানিয়ে নিতে বেশ সময় লেগেছিল। তখনও আমার প্রথম ছবিটা রিলিজ হয়নি। আবার তখন ব্যোমকেশ পড়া শুরু করেছি। অঞ্জনদার বাড়ি যাচ্ছি। আড্ডার পরিবেশ। মোটেই বাঁধাধরা ওয়ার্কশপ নয়। কখনও স্ক্রিপ্ট নিয়ে আলোচনা... আ ড্ডার মধ্যেই। পুরনো ছবি দেখা। ‘চিড়িয়াখানা’ দু’বার দেখতে বলেছিল। ‘ছবি হিসেবে নয়, উত্তমবাবুকে দেখ, কীভাবে ম্যানারিজম থেকে বেরিয়ে এসে দাদাগিরিটা করেছেন।’ এসব বললেও একটা বিষয় পরিষ্কার ছিল... অঞ্জনদা বলেছিল, ‘ফ্রেশ একটা কিছু করতে চাই। কোনও প্রভাব চাই না।’
অন্য একটা রেফারেন্স অবশ্যই ছিল—বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ। যা এই চরিত্রকে সর্বভারতীয় স্তরে জনপ্রিয় করেছে। চিড়িয়াখানা নিয়ে যেমন অনেকের অনেক মত আছে। সত্যজিৎ রায়ের নিজেরই মনে হয়েছিল, ওটা অন্যভাবে করা যেত। কিন্তু ব্যোমকেশ হিসেবে রজিত কাপুরের যে সমাদর, সেটা আগে হয়নি। রজিত কাপুরের অভিনয় অবশ্যই দেখা ছিল, কিন্তু খুব স্পষ্ট মনে ছিল না। তবে নিজের দিক থেকে বলতে পারি, ‘আদিম রিপু’ (২০১০-এর ১৩ অগস্ট, ঘটনাচক্রে এই বছরেই ১০-এ পা) সাংঘাতিক বাণিজ্যিক সাফল্য পায়। প্রচুর লোকের সমালোচনাও অবশ্য শুনেছি। তবে ব্যোমকেশের যাত্রাটা সেই শুরু হয়ে যায়। সবাই তারপর ব্যোমকেশ করতে আরম্ভ করল। আমার জার্নির মধ্যেই একটা স্পেশাল শোয়ে রজিত কাপুরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমার পাশে বসেই দেখেছিলেন। ছবি শেষ হলে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমার কী কী শেখার আছে বলে আপনার মনে হল? উনি বলেছিলেন, ‘আমি কখনওই তোমায় গাইড করব না, পরামর্শও দেব না। তুমি তোমার মতো করে ব্যোমকেশকে ইন্টারপ্রিট করবে।’ পরে মজা করে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘স্ক্রিনে তুমি বড্ড বেশি স্মোক করেছ বলে মনে হচ্ছে না তোমার? তবে ছবিটা আমার ভালো লেগেছে। অল দ্য বেস্ট।’ আরও একটা মজার কথা জানিয়েছিলেন রজিতজি। যখন বাসু চট্টোপাধ্যায়ের কাছে উনি প্রথম যান, তখন সেখানে কে কে রায়না বসেছিলেন। তিনি তখন বেশ পরিচিত। রজিত কাপুরের ধারণা হয়েছিল, কে কে-ই ব্যোমকেশ, উনি অজিতের রোলে!
আমার আর একটা অভিজ্ঞতা হল, দুই পরিচালকের (অঞ্জন দত্ত ও অরিন্দম শীল) সঙ্গে ব্যোমকেশ করা। দু’জনের ইন্টারপ্রিটেশন সম্পূর্ণ আলাদা। আমার মনে হয়, অঞ্জনদার ক্ষেত্রে ব্যোমকেশ কথাবহুল, ইন্ডোরটা বেশি প্রেফার করেন উনি। লিবার্টি নিয়ে ছবির সময়টাকে পাল্টে দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। ১৯৬০-৬৫-৭০-এর সময়টা ওঁর প্রিয়। অরিন্দমদা মোর সিনেম্যাটিক, লার্জার দ্যান লাইফ। বিটুইন দ্য লাইনস খেলতে অরিন্দমদা খুব পছন্দ করেন। অরিন্দমদার পাশাপাশি স্ক্রিপ্ট রাইটার পদ্মনাভ দাশগুপ্তর সঙ্গে আলোচনা হতো। যে কোনও একটা গল্পে অন্যান্য অনেক গল্পের ঘটনা, রেফারেন্স, কথোপকথন মিশিয়ে দেওয়া হতো। ১৯৪৬ সালের সময় ধরে ‘বহ্নিপতঙ্গ’। ১৯৪৮-এর আবহে ব্যোমকেশ পর্ব। ১৯৫০-৫১ ধরে ব্যোমকেশ গোত্র (রক্তের দাগ)। আমার সবচেয়ে পছন্দের ‘হর হর ব্যোমকেশ’। ওই কালার প্যালেটটা খুব ভালো লাগে। বেনারসে শ্যুট। বেনারস মানেই আবার ‘জয় বাবা ফেলুনাথ।’ ছবির শেষেও দেখা যাবে, ভজন গাইছে... মগনলালের ছোঁয়া। এটা কেউ কেউ ভাবলেন টোকা। আরে ট্রিবিউট বলেও কিছু তো হয়।
হর হর ব্যোমকেশে গল্পটা শুধু কেন খুন হল, সেটা নিয়ে নয়। গল্পের মধ্যে রাজনীতিটাও গুরুত্বপূর্ণ। রাজা কুমারী মেয়েকে বিয়ে করেছে, কারণ তার সন্তান চাই। মেয়েটিকে তুলে এনেছে গ্রাম থেকে। এখানে এসে সে সকলের সঙ্গে গল্প করছে, ঘোড়ায় চড়ছে, খুব আধুনিক। কিন্তু আদতে ভেতরে খুব ফিউডাল। পাশাপাশি ব্যোমকেশ-সত্যবতী আছে, সবে বিয়ে হয়েছে। দু’জন দুজনকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে, স্বামী-স্ত্রীর থেকেও প্রেমিকা-প্রেমিকার মতো। সব জায়গায় একসঙ্গে যাচ্ছে। ব্যোমকেশ বলছে, আমার সহধর্মিনী। বাংলায় সে সময় মহিলারা অনেক এগিয়ে ছিলেন। শিক্ষাদীক্ষায় বা স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের পুরোভাগে দেখা যেত। সেটাকে তুলে আনার চেষ্টা। ব্যোমকেশ গোত্রেও খুব সরাসরি নয়, অথচ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে কথা রয়েছে। ২০২০-তে এসেও যা প্রাসঙ্গিক। সঙ্গে আছে উদ্বাস্তু সমস্যা। এগুলো এক্সপ্লোর করতে অরিন্দমদা ভালোবাসে।
শরদিন্দুবাবুর ব্যোমকেশে প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারই কিন্তু বেশ স্ট্রং। তা সে সত্যবতী হোক, বা অজিত। আমার প্রথম ব্যোমকেশের সময় অপুদা (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) ছিলেন অজিতের রোলে। অনেক বড় অভিনেতা। কিন্তু একেবারেই সেটা আমাকে বুঝতে দেননি। বরং অনেক সাহায্য করেছেন... গার্ড করে, গাইড করে। অনেকে প্রথমে বলেছিলেন, অজিত তো স্মার্টার দ্যান ব্যোমকেশ। আসলে ও-ই ব্যোমকেশটা করতে পারত। এসব বলে নতুন ছেলেদের দমিয়ে দেওয়া হয়... এগুলো পুরনো স্ট্র্যাটেজি। তখন অত বুঝিনি। সেটে ওই ভাইবস ছিল না কখনও। পরে ভেবেছি, যদি তাই হতো, তাহলে এই ব্যোমকেশ এত পপুলার হতো কি? অপুদার সঙ্গে কাজ খুব ভালো লেগেছে। পরে অরিন্দমদার নির্দেশনায় ঋত্বিক (চক্রবর্তী) অজিত, আর সোহিনী (সরকার) সত্যবতী। ঋত্বিক আমার চেয়ে একটু বড়। কিন্তু বড় হয়ে ওঠা অনেকটা একরকম। আমরা ভালো বন্ধু। সেই ইকুয়েশনটাই তুলে আনার চেষ্টা করেছি স্ক্রিনে। আমাদের বলা হতো ছুপা রুস্তম। এত বদমায়েশি করতাম সেটে। হাড়ে হাড়ে টের পেত অরিন্দমদা। সোহিনী সিরিয়াস কাজ করে। প্রথমদিকে খুব কনভিন্সড ছিল না। পরে ঠিক ধরে নিয়েছে।
আমার বড় প্রাপ্তি কোথায় জানেন, ভক্তরা অনেকেই আমাকে সত্যান্বেষী বা ব্যোমকেশ বলে ডাকেন। ১১ বছরের কেরিয়ারে ছ’টা ব্যোমকেশ। নট এ ম্যাটার অব জোক। গত চার-পাঁচ বছরে আরও বুঝেছি। কলকাতার বাইরে বা ভারতের বাইরে গিয়েও দেখেছি ব্যোমকেশের আলাদা মাহাত্ম্য। অনেক অবাঙালি দর্শকই আমায় চেনেন ব্যোমকেশ হিসেবে। তাই বুঝেছি, আমার দায়িত্ব কতটা বেড়ে গিয়েছে। ব্যোমকেশের প্রতি। শরদিন্দুবাবুর প্রতি। তাই সেই ভাবনা মাথায় রেখেই এগতে চাই। সব সময়।
 
02nd  August, 2020
জাগরিত জ্যোতির্ময়ী 
সৌম্য নিয়োগী

১৯ বছর পর... আরও একবার কার্তিকে মায়ের আগমনি।
আজ মাস পয়লা। ১ কার্তিক, ১৪২৭। ক্যালেন্ডার থেকে আশ্বিনের পাতা ঝরে গিয়েছে। শরৎ নেই। আকাশের দিকে চোখ রাখা যায় না। মাটিতে রোদ্দুরের ছায়া। হেলে পড়া আলো আর বিষাদ। ঋতুর কি কোনও ভাবনা থাকে? মানুষ কি সৃষ্টি করে তাকে?   বিশদ

18th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
প্যান্ডেলওয়ালা থেকে শিল্পের সফর
বন্দন রাহা

 একটি অগ্নিকাণ্ড একরাতেই বদলে দিয়েছিল বাংলার দুর্গাপুজো। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। দুঃসাহসিক এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন এক মহান বাঙালি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনে। বিশদ

11th  October, 2020
থিমের বিবর্তন
শিল্প হল ‘সর্বজনীন’
ভবতোষ সুতার

 পুজোয় প্রথম কাজ ২০০০ সালে। বড়িশা জনকল্যাণ সংঘ। বেহালা চৌরাস্তা ও সখেরবাজারের মধ্যিখানে। স্বল্প পরিচিত একটি ক্লাব। তারাই আমার উপর ভরসা রাখার সাহস দেখিয়েছিল। অক্লান্ত পরিশ্রম সেবার ছিল আমার সঙ্গী। দিনরাতের খেয়াল নেই। বিশদ

11th  October, 2020
ছৌ নাচের ইতিকথা
মৃন্ময় চন্দ

সিঁদুরের বিন্দু বিন্দু মূষিক বাহন/ নমঃ নারায়ণ/ গণেশদেব হর গৌরীর নন্দন...।  তাক ধিন দা ধিন—বেজে উঠল ঢোল-ধামসা। সূত্রধর সানাইয়ে একতালে ঝুমুরে শুরু করেছে গণেশ বন্দনা। হেলতে দুলতে শুঁড় নাড়াতে নাড়াতে, নাচের তালে পা ফেলে আসরে আগমন গণেশ বাবাজির। বিশদ

04th  October, 2020
নিয়ন্ত্রণের জালে
মৃণালকান্তি দাস

যন্ত্রমানব আজও তো এক ফ্যান্টাসি! যা আমার হুকুম মেনে চলবে। চা বানিয়ে দেবে। গাড়ি চালিয়ে দেবে। হাত-পা টিপে দিতে বললে, তাও। আমারই অঙ্গুলিহেলনে নাচ দেখাবে গান শোনাবে... বিশদ

27th  September, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী।   বিশদ

06th  September, 2020
মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।   বিশদ

06th  September, 2020
চালকহীন কংগ্রেস 
সমৃদ্ধ দত্ত

অসহযোগ আন্দোলন স্তিমিত। এখন আর আইনসভা বয়কট করার কারণ কী? প্রশ্ন তুললেন চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২২ সালে কংগ্রেসের গয়া অধিবেশনে। উপস্থিত প্রতিনিধিরা একটু চমকে গেলেন। প্রাথমিকভাবে। 
বিশদ

30th  August, 2020
ভানু ১০০
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

শুধু কমেডিয়ানের পরিধিতে বেঁধে রাখা যায় না তাঁকে। পূর্ণাঙ্গ অভিনেতা তিনি। প্রত্যেকটা শটে অনন্য। মেধাবি ছাত্র হয়েও বেছে নিয়েছিলেন বিনোদনের জগৎকে। আজও টিভির পর্দায় তাঁকে দেখতে পেলে আটকে যায় রিমোট। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বুধবার তাঁর শতবর্ষ।
বিশদ

23rd  August, 2020
অদ্বিতীয়
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়

 প্রত্যেকের জীবনেই একটা মুহূর্ত আসে। গড়পড়তা জীবনধারাকে বদলে দেওয়ার মুহূর্ত। জীবনের খোলনোলচে বদলে দেওয়ার বাঁকে এসে দাঁড়াই আমরা। কারও ক্ষেত্রে ঘটনাগুলো ঘটে যায় আপনা থেকেই। তবে আমার মতো সৌভাগ্যবতীদের জন্য ঈশ্বর তৈরি রাখেন তাঁর দূতকে। আমার জীবনে সেই দেবদূত ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

23rd  August, 2020
ফিকে হয়নি আজও...
আশা ভোঁসলে

প্রথম আলাপ। প্রথম দেখা একজন খাঁটি গায়ককে। পারফর্মার ছিলেন না রফি সাব। নিজেকে পারফর্মার বলতেনও না। ধ্যান, জ্ঞান, জীবন... সবটাই জড়িয়ে ছিল গান। তাঁর কণ্ঠ...।
বিশদ

09th  August, 2020
অজানা রফি

 ফিল ইন দ্য ব্ল্যাঙ্কস’ ভূমিকাতেই যাত্রা শুরু ফিকুর। বিনা মাইকেই। অধৈর্য শ্রোতারা ক্রমশ শান্ত হলেন। সেই ফকির বাবার কাওয়ালিতেই বাজিমাত ছোট্ট ছেলেটির। বিশদ

09th  August, 2020
একনজরে
বংশপরম্পরায় আজও মহানায়ক উত্তমকুমারের বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন কুমোরটুলির একটি নির্দিষ্ট শিল্পী পরিবার। পটুয়াপাড়ার ৪০/১, বনমালি সরকার স্ট্রিটে মৃৎশিল্পী জয়ন্ত পালের ঘরে জোরকদমে ...

‘দরওয়াজা বন্ধ’ করেই অনুশীলন করাতে পছন্দ করেন এটিকে মোহন বাগানের হেডস্যার আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। গতবার সল্টলেক স্টেডিয়ামের সংলগ্ন প্র্যাকটিস মাঠে এরকমই চিত্র দেখা গিয়েছিল। এবার গোয়াতে আইএসএলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রণয়-প্রবীররা। ...

কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে দুই মুসলিম দেশের কাছে বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার ইরানে কালা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইমরান খানের সরকার। এমনকী, সৌদি আরবের রিয়াধেও সেই ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: ভুয়ো ভাউচার ছাপিয়ে ময়নার শ্রীকণ্ঠা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠল সমিতির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। গত ১৭ অক্টোবর সমবায় সমিতির সম্পাদক সুবোধচন্দ্র মাইতি ম্যানেজার সোমনাথ দাসের বিরুদ্ধে ময়না থানায় এফআইআর করেছেন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস
১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার
১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ম্যাথু হেডের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী রীমা সেনের জন্ম
১৯৮৫: বক্সার বিজেন্দর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৮: সমাজ সংস্কারক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯৯: ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু
২০০৫: দিল্লিতে পরপর তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ৬২জনের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৪.৪৭ টাকা ৯৭.৮৪ টাকা
ইউরো ৮৫.২৮ টাকা ৮৮.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,৮১০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,৮৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ কার্তিক, ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০, ত্রয়োদশী ২৩/৫২ দিবা ৩/১৬। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৫/৪১ দিবা ১২/০। সূর্যোদয় ৫/৪৩/১৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৮ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।
১২ কার্তিক, ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০, ত্রয়োদশী দিবা ৩/২১। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১/১২। সূর্যোদয় ৫/৪৪, সূর্যাস্ত ৪/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪৫ মধ্যে। কালবেলা ২/১০ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৭ মধ্যে।
১১ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?  
মেষ: কর্মরতদের উপার্জনের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। বৃষ: শেয়ার বা ফাটকায় বিনিয়োগ ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
বিশ্ব স্ট্রোক দিবস ১৯৬৯: ইন্টারনেটের আগের স্তর আরপানেটের আবিষ্কার ১৯৭১: অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: কেকেআর-কে ৬ উইকেটে হারাল সিএসকে 

11:14:20 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১২১/৩ (১৫ ওভার) 

10:43:26 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৮৮/১ (১১ ওভার) 

10:19:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৩৭/০ (৫ ওভার) 

09:51:13 PM