Bartaman Patrika
 

মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা

 চারণকবি মুকুন্দদাসের ব্রত ছিল পালাগানের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীকে বিদেশি শাসকের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তোলা। মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।

মঞ্চ ঘিরে গ্রামবাসীদের ভিড়। যাত্রাপালা দেখে সকলের রক্ত উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। প্রধান গায়ক-অভিনেতার একের পর এক গান দোলা দিচ্ছে তাঁদের হৃদয়ে—
‘ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে/
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।...’
কিংবা
‘বান এসেছে মরা গাঙে খুলতে হবে নাও/
তোমরা এখনও ঘুমাও...।’
গায়ক মঞ্চের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরে ঘুরে গাইছেন। পরনে গেরুয়া আলখাল্লা, মাথায় পাগড়ি, বুকে ঝুলছে মেডেল। পায়ে বিদ্যাসাগর চটি। তাঁর গানে উদ্বেল মানুষ। তিনি হলেন মুকুন্দদাস। তিনি চারণকবি। তাঁর স্বদেশি যাত্রা ছিল গণজাগরণের হাতিয়ার। তাই সেই যাত্রাপালা পড়েছিল শাসক ইংরেজদের রোষানলে।
ছোটবেলায় নাম ছিল তাঁর যজ্ঞেশ্বর। অধুনা বাংলাদেশের বিক্রমপুরে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম। তবে সন-তারিখ নিয়ে মতান্তর আছে। ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে তাঁরা চলে আসেন বরিশালে। ছোট্ট যজ্ঞেশ্বরের মনে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং আন্দোলনের বাসনা জাগিয়ে তুলেছিলেন অশ্বিনীকুমার দত্ত। বাল্যকালে পড়াশোনায় তাঁর মন বসেনি। কৈশোরে খুলে বসলেন মুদির দোকান। তার মধ্যেই চলতে লাগল স্বেচ্ছাচারী জীবন। বন্ধুদের নিয়ে গুন্ডামি করাটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। দস্যু রত্নাকর হয়ে উঠেছিলেন বাল্মীকি। যজ্ঞেশ্বরেরও মুকুন্দ হয়ে ওঠা যেন এক অলৌকিক আখ্যান। রোজ তিনি ঘুমিয়ে থাকেন আর ভোরবেলা তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে নগরকীর্তনের দল পরিক্রমায় বের হয়। সেই গানে ঘুম ভেঙে গেলে বিরক্ত হন যজ্ঞেশ্বর। রোজ তাঁর কানে সেই নামগান প্রবেশ করে। শুনতে শুনতে গানের কথাগুলো মুখস্থ হয়ে গিয়েছে। মুদির দোকানে বসে সেই কথাগুলো ভাবতে ভাবতে তিনি তন্ময় হয়ে যান। কী গভীর উপলব্ধি! এত প্রেম কৃষ্ণ নামে! ছুটে যান সান্ধ্য কীর্তনের আসরে। দু’চোখ ভেসে যায় তাঁর। তন্ময়তায় ডুবে যান। একদিন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা মিলে যে যাত্রা বা গানের আসর ভণ্ডুল করে দিয়ে আনন্দে হা হা করে হেসে উঠতেন। আজ তিনিই সঙ্গীত ও পালাকীর্তনের অকূল সাগরে আনন্দযাত্রী। একদিন সংকোচের সঙ্গে গেলেন সেই নগরকীর্তনের দলের কাছে। দলের প্রধান বরিশালের বিখ্যাত কীর্তন গায়ক বীরেশ্বর গুপ্ত। যজ্ঞকে দেখে বললেন, ‘এসো। তোমাকে তো প্রায়ই দেখি আমার গানের আসরে। আমার দলে গান গাইবে?’
যজ্ঞেশ্বর বললেন, ‘আমি কি পারব? আমি মুদির কারবারি আর আমাকে তো সবাই বলে যজ্ঞাগুণ্ডা।’
বীরেশ্বর বললেন, ‘বাইরে তুমি যাই হও, ভিতরে তুমি গৌরাঙ্গ। তোমার মধ্যে আমি গৌরভাব দেখতে পাচ্ছি।’
ঢুকে পড়লেন কীর্তন দলে। শুরু হল শিক্ষা। চলল শাস্ত্র পাঠ। বদলে গেলেন আমূল। শৌখিন পোশাক ছেড়ে ধরলেন শ্বেতবস্ত্র। বিভিন্ন মেলায় ঘুরে ঘুরে শুনতে লাগলেন পালাকর্তাদের গান।
এখান থেকেই একদিন তিনি হয়ে উঠলেন মুকুন্দদাস। সন্ন্যাসী রামানন্দ অবধূতের কাছ থেকে দীক্ষা নেন। তিনিই যজ্ঞার নামকরণ করলেন মুকুন্দদাস। বৈষ্ণব সাধক মুকুন্দদাস একদিন হয়ে উঠলেন কালীভক্ত। শ্যাম থেকে শ্যামার পদতলে আশ্রয় নিলেন তিনি। বরিশালের সনাতন ঠাকুর বা সোনা ঠাকুরের কালীমন্দিরে বসে তিনি গান গাইতেন। সেই গান শুনে অশ্বিনী দত্ত বললেন, ‘যজ্ঞা, তুই শক্তির গান বাঁধ। যে শক্তির উল্লাসে মানুষ উজ্জীবিত হবে দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মুক্ত করতে।’ নতুন দিশা পেলেন মুকুন্দদাস। বুঝে গেলেন তাঁর পথ কোন দিকে।
১৯০৫ সালে দেশ উত্তাল বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে। এই সময় তিনি লিখলেন ‘মাতৃপূজা’। সেই পালা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নতুন দল গড়লেন। কিন্তু বায়না নেই তো! পালা আসরস্থ হবে কী করে! মায়ের নাম করে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর রাতে নবগ্রামের পুজোমণ্ডপে অভিনীত হল সেই পালা। তারপর একে একে বায়না আসতে লাগল। খোরাকি বায়নাতেই আসরে আসরে অভিনয় করতে লাগলেন। ফরিদপুর, ইদিলপুর, চাঁদপুর। নৌকা এগিয়ে চলল। ছড়িয়ে পড়তে লাগল মুকুন্দদাসের নাম। বাংলার মানুষ সেই পালা দেখে স্বদেশি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা পেলেন। ‘ভেঙে দাও রেশমী চুড়ি, বঙ্গনারী কভু হাতে আর প’রো না।’ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে সেই গান।
স্বদেশি বর্জনের যে ডাক নেতারা দিয়েছিলেন, মুকুন্দদাসের গান তাতে ঘৃতাহুতি দিল। তাঁর স্বদেশি যাত্রা নতুন করে দেশপ্রেমের আগুন জ্বালিয়ে দিল বাংলার বুকে। ইংরেজ শাসক ভীত হয়ে তাঁর ‘মাতৃপূজা’ নাটকটি বাজেয়াপ্ত করল। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল। কিছুদিন বরিশাল জেলে রাখার পর ইংরেজদের মনে হল এখানকার জেলে তাঁকে রাখা ঠিক হবে না। তাই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল দিল্লি। তিন বছরের কারাদণ্ড শেষে মুক্তি পেলেন। বেরিয়ে দেখেন তাঁর জীবন শূন্য করে চলে গিয়েছেন তাঁর পত্নী সুভাষিণী। জেলে যাওয়ার পরপরই সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যু হয় সুভাষিণীর।
ভাঙা মন। বুঝতে পারেন না এখন উপায় কী! দল গড়ার মতো টাকাও হাতে নেই। জীবনযাপনের জন্য আবার খুলে বসলেন মুদির দোকান। কিন্তু প্রতিবেশী ললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী একদিন তাঁকে ডেকে নিজের গয়না তাঁর হাতে দিয়ে বললেন, ‘ভাই, এই নাও এগুলো বন্ধক দিয়ে আবার দল খোলো। মুদির দোকান চালানো তোমার কাজ নয়। তুমি মানুষকে জাগিয়ে তোলো।’ উৎসাহিত হয়ে মুকুন্দদাস আবার দল খুললেন। আবার শুরু করলেন পালা লেখা।
লিখলেন ‘সমাজ’ নামের একটি পালা। বুঝলেন কলকাতায় যেতে হবে। সেখানকার মানুষকে শোনাতে হবে তাঁর গান। ততদিনে আবার ডাক আসতে শুরু করেছে। একদিন চার টাকায় আসরে পালা গাইতেন। এখন নাম হয়েছে। রেট দাঁড়িয়েছে পঁচিশ টাকা। ‘সমাজ’ পালায় তিনি বিষয়বস্তু করে তুললেন সমাজের বিভিন্ন খারাপ দিকগুলিকে। পণপ্রথা, জমিদারদের অত্যাচার, অস্পৃশ্যতা ইত্যাদি।
একদিন জোড়াসাঁকোয় কবিগুরুর বাড়িতে গিয়ে তিনি গান শোনালেন। তাঁর উদাত্ত কণ্ঠে মোহিত রবীন্দ্রনাথ। তিনি তাঁকে শিখিয়ে দিলেন তাঁর ‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি’ এই গানটি। বললেন, ‘মঞ্চে মঞ্চে তুমি এই গানটি গেও’। মুকুন্দদাসের সঙ্গে দেখা হল নজরুল ইসলামের। তিনিও তাঁর গান শুনে মুগ্ধ। কবি নিজেও শোনালেন তাঁর গান। ‘কারার ওই লৌহকপাট’ ও অন্য কয়েকটি গান। মুকুন্দদাসকে উপহার দিলেন তাঁর দুটি বই। ‘অগ্নিবীণা’ এবং ‘বিষের বাঁশি’। তাতে লিখে দিলেন, ‘চারণসম্রাট মুকুন্দদাসকে উপহার’। মুকুন্দদাস হয়ে গেলেন চারণকবি।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মেয়ের বিয়ে। দেশবন্ধু চিঠি লিখলেন অশ্বিনী দত্তকে। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তিনি পালাগানের আসর বসাবেন। সেখানে মুকুন্দদাসকে গাইতে হবে। সেই আসরে গান গেয়ে সাড়া ফেলে দিলেন তিনি। সেখানে তিনি ইংরেজ বিলাসিতায় আসক্ত আধুনিক মহিলাদের ব্যঙ্গবিদ্রুপ করেছিলেন। গানের শেষে দেশবন্ধু তাঁকে পরিয়ে দিলেন সোনার মেডেল। সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন কবি প্রিয়ংবদা দেবী। তিনি কবির প্রশংসা করে তাঁকে উপহার দিলেন সোনার সেফটিপিন। সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিস কমিশনার। তিনি আড়ালে ডেকে মুকুন্দদাসকে বললেন, ‘দারুণ গান করেছেন। তবে আর নয়। এবার কলকাতা ছাড়ুন। আপনাকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা চলছে।’ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ও তাঁর গান পছন্দ করতেন। তিনি মুকুন্দদাসকে উপহার দিয়েছিলেন একটি রুপোর লাঠি।
তাঁর ‘পল্লিসেবা’, ‘কর্মক্ষেত্র’, ‘পথ’, ‘সাথী’, ‘ব্রহ্মচারিণী’ প্রভৃতি পালার মধ্য দিয়ে তিনি ব্যঙ্গবিদ্রুপে বিদ্ধ করেছেন অসাম্য, অন্যায় আর কুশিক্ষাকে। জমিদার বাড়িতে গানের আসরে তিনি জমিদারি ব্যবস্থার খারাপ দিকগুলিকে তীব্র ব্যঙ্গ করতেও ভয় পেতেন না।
আসর থেকে আসরে ছুটছে দল। এদিকে শরীর আর নিচ্ছে না। মাঝে মাঝেই জ্বর হয়। সব ক্ষেত্রে পুরো পালায় অভিনয় করতে পারেন না। একটি-দুটি গান করেন মাত্র। কিন্তু গান বন্ধ করা যাবে না। কালীপুজোর সময়। অনেক বায়না। তাঁর উপর নির্ভর করছে দলের সকলের পরিবারের ভরণপোষণ। অসুস্থ শরীর নিয়ে চলল পালাগান। কলকাতায় এসে জ্বর বাড়ল। ১৯৩৪ সাল। অনেকগুলি পালার বায়না আছে শহরে। কিন্তু তিনি নিজেই চলে গেলেন সব পালার অভিনয় অসম্পূর্ণ রেখে।
তাঁর যাত্রাপালা ছিল ভিন্নধারার। ব্রজমোহন রায়, মতিলাল রায়ের মতো তিনি পালা রচনা করেননি। তাঁর পালায় ছিল গানের আধিক্য। সেই গানের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কথা বলে তিনি যেন নবনাট্যের প্রস্তাবনাও করে গিয়েছিলেন। একইসঙ্গে যাত্রাপালা এবং স্বাধীনতার আন্দোলনেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
01st  February, 2020
মানব মনের গভীরে 

সম্প্রতি ‘দৃষ্টি এখন’ প্রযোজিত পোস্ট মডার্ন অ্যাবসার্ড নাটক ‘দ্য ডার্কনেস ডিগার’ মঞ্চস্থ হল মুক্তাঙ্গন প্রেক্ষাগৃহে অভিষেক দেবরায়ের রচনা ও নির্দেশনায়। নাটকে দুটিমাত্র চরিত্র, সুদীপ (পলাশ হালদার) ও শুভঙ্কর (নাট্যকার-নির্দেশক নিজে)। 
বিশদ

08th  February, 2020
হত্যাকারী কে? 

একটি হত্যা এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘনিয়ে ওঠা রহস্য নিয়ে সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের নাটক ‘আততায়ী’। ‘নান্দীরঙ্গ’র সাম্প্রতিক প্রযোজনা। অলিভার চেজ এবং স্টিইওয়ার্ট বুরকে-এর নাটকের বঙ্গীয়করণ ঘটিয়েছেন নির্দেশক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।  
বিশদ

08th  February, 2020
এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা 

গুপ্তকবি কবেই এমন কথা বলে গিয়েছিলেন, কিন্তু আজও, এই একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের শুরুতেও সে কথা অকাট্য হয়েই আছে। এমন এক একটি কাহিনী বাংলা সাহিত্য জুড়ে ছড়িয়ে আছে যেখানে রঙ্গরস উপচে পড়ছে।  
বিশদ

08th  February, 2020
কুলভূষণ একাই টেনেছেন নাটকটি
আত্মকথা

৪২-এর আন্দোলনে কারাবাস করা স্বাধীনতা সংগ্রামী আজকের সফল সাহিত্যিক রাজাধাক্ষ্য। তাঁর জীবনীর ওপর রিসার্চ করতে আসে প্রজ্ঞা। নিত্যদিনের যাওয়া-আসার ফলে বিবাহ বিচ্ছিন্ন প্রৌঢ়ের সঙ্গে প্রজ্ঞার সম্পর্কটা আর কেজো থাকে না।
বিশদ

01st  February, 2020
গল্পই মূল চালিকাশক্তি
প্রস্তর যুগ

মফস্‌সলের স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক রবিকান্ত চৌধুরী তাঁর শিক্ষক রথীনবাবুর প্রেরণায় শিক্ষকতাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন। রথীনবাবুর একটি কথা তাঁর মনকে আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে থাকে, ‘একটি প্রদীপ শত প্রদীপকে প্রজ্বলিত করে।’ সেই বিশ্বাস থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের দেখানোর জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাথর সংগ্রহ করেন।
বিশদ

01st  February, 2020
দি বয়েজ ওন লাইব্রেরির শিশু-কিশোর নাট্য প্রশিক্ষণ শিবির

আজকের দিনে শিশু-কিশোররা কেউই কেবলমাত্র পড়াশোনার মধ্যে নিজেদের গণ্ডিবদ্ধ করে রাখে না। অনেকের পছন্দ নৃত্য, গীত, অঙ্কন, খেলাধূলা আবার অনেকেই মঞ্চে অভিনয় করতে আগ্রহী হয়। মঞ্চে অভিনয় করতে হলে শিক্ষা নেওয়াটা জরুরি।
বিশদ

01st  February, 2020
চেতলা কৃষ্টি সংসদের শিশু নাট্যোৎসব

  সম্প্রতি ‘চেতলা কৃষ্টি সংসদ’ আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী এক নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হল মুক্তাঙ্গন রঙ্গালয়ে। এই নাট্যোৎসবের বিশেষত্ব হল, এটি ছোটদের নাটকের উৎসব। বড়দের হাত ধরে ছোটদের সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ।
বিশদ

01st  February, 2020
পূর্বরঙ্গ নাট্যোৎসব 

পূর্বরঙ্গ গঙ্গা পদ্মা নাট্যোৎসব।শুরু হয়েছিল 22 ডিসেম্বর 2019 মধ্যমগ্ৰামে। আট দিনের ঐ উৎসব শুরুতে ছিল ক্যালকাটা পাপেট থিয়েটারের পুতুল নাটক আলাদীন। ঐদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় রোকেয়া রায় পরিচালিত পূর্বরঙ্গের  নিজস্ব নতুন নাটক পাঁচ অধ্যায় ।  
বিশদ

25th  January, 2020
ইঁদুরকল ৭৫০ 

আততায়ী আসছে...! দর্শক প্রায় নিশ্বাস বন্ধ করে বসে আছে। মঞ্চ আধো অন্ধকার, কিন্তু অদ্ভুতভাবে আততায়ীর শুধুমাত্র টুপি, হাতের গ্লাভস আর জুতোটুকুই দর্শকের কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে। বাকি গোটা অবয়বটাই অদৃশ্য!  
বিশদ

25th  January, 2020
বিষাদমাখা ছায়া 

ইংল্যান্ডের বিখ্যাত আলোক পরিকল্পনাকারী রিচার্ড পিলব্রো তাঁর একখানি লেখায় তাপস সেন সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘...অবিশ্বাস্য রকমের সামান্য কিছু উপকরণ, কয়েকটি ল্যাম্প, আমাদের নিত্য ব্যবহার্য কয়েকটি জিনিস আর ছায়া—এই দিয়ে তিনি আলোর জাদু দেখাতেন।’ যে কারণে আমি পিলব্রোর এই উক্তিটি এখানে ব্যবহার করলাম তা হল, ওই ‘ছায়া’।  
বিশদ

25th  January, 2020
গোবরডাঙায় স্টুডিও থিয়েটার শিল্পায়নের উদ্যোগ 

উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা, শিল্প-সংস্কৃতির এক উৎকৃষ্ট কেন্দ্র। গোবরডাঙার এই ঐতিহ্য অতি প্রাচীন। বর্তমানে গোবরডাঙাকে কেন্দ্র করে রয়েছে ২৫টি নাট্যদল। যাদের নতুন ভাবনার নতুন নতুন প্রযোজনা, শুধু বাংলাতেই নয়, সমগ্র দেশের থিয়েটার প্রেমী মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।  
বিশদ

25th  January, 2020
মঞ্চে বুদ্ধদেব গুহর মাধুকরী 

অনেক বছর আগে মরমী কথাকার বুদ্ধদেব গুহর একটি ধারাবাহিক উপন্যাস পাঠকদের মধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ‘মাধুকরী’ নামের বিশাল, বর্ণময়, বেগবান এই উপন্যাসের পটভূমি জঙ্গলমহল। কেন্দ্রীয় চরিত্র পৃথু ঘোষ, যে চেয়েছিল বড় এক বাঘের মতো বাঁচবে।  
বিশদ

25th  January, 2020
আরও একটি গ্রিক ট্র্যাজেডি 

আজ থেকে বহু হাজার শতাব্দী আগে প্রায় ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিস (এখনকার নাম) দেশে এক নাটক রচনা হয় ইউরিপিডিস। নাম হিপলিটাস। এই নাটকের নিরূপ রায় কৃত বাংলা রূপান্তর থেকে নাটকটি মঞ্চস্থ করলেন নির্দেশক সুরজিৎ ঘোষ। সম্প্রতি এটি উপস্থাপিত হয় গিরিশ মঞ্চে। 
বিশদ

25th  January, 2020
আরও একটি গ্রিক ট্যাজেডি
হিপ্পোলিটাস

  আজ থেকে বহু হাজার শতাব্দী আগে প্রায় ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিস (এখনকার নাম) দেশে এক নাটক রচনা হয় ইউরিপিডিস। নাম হিপলিটাস। এই নাটকের নিরূপ রায় কৃত বাংলা রূপান্তর থেকে নাটকটি মঞ্চস্থ করলেন নির্দেশক সুরজিৎ ঘোষ। সম্প্রতি এটি উপস্থাপিত হয় গিরিশ মঞ্চে। এই নাটকের কোরিওগ্রাফ করেছেন স্টেলা।
বিশদ

18th  January, 2020

Pages: 12345

একনজরে
তেহরান ও বেজিং, ২৫ ফেব্রুয়ারি: করোনার হানায় নতুন করে ৭১ জনের মৃত্যুর পর চীনজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ৬৬৩। এর মধ্যে উবেইতে মারা গিয়েছেন ৬৮ জন। যদিও দেশের স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্তের ...

বিএনএ, বারাসত: সংস্কার কাজের জন্য আগামী শুক্রবার থেকে বনগাঁ ও বাগদার সংযোগকারী আষাড়ু ব্রিজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। সোমবার বিকেলে বনগাঁ মহকুমাশাসকের অফিসে ব্রিজ বন্ধ করার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।   ...

প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: বাণিজ্যিক গাড়ির বকেয়া দীর্ঘদিনের সিএফ (সার্টিফিকেট অব ফিটনেস)-এর পুনর্নবীকরণে জরিমানা বাবদ অতিরিক্ত ফি মেটাতে ‘ধামাকা অফার’ ঘোষণা করেছিল রাজ্য। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই স্কিমের সুবিধা নেওয়া যাবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।  ...

মাদ্রিদ, ২৫ ফেব্রুয়ারি: সের্গিও র‌্যামোস, করিম বেনজেমা, সের্গিও আগুয়েরো, কেভিন ডি ব্রুইনের মতো তারকা ফুটবলাররা রয়েছেন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩৬: চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.০৩ টাকা ৭২.৭৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.৩৮ টাকা ৯৪.৬৭ টাকা
ইউরো ৭৬.৬৪ টাকা ৭৯.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,৩৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪১,১৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৭৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) তৃতীয়া ৫৫/১৮ রাত্রি ৪/১২। উত্তরভাদ্রপদ ৪০/৮ রাত্রি ১০/৮। সূ উ ৬/৫/৪, অ ৫/৩৪/৩২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৬ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/২৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫৭ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
১৩ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, তৃতীয়া ৪৯/৪২/৮ রাত্রি ২/০/৫৫। উত্তরভাদ্রপদ ৩৫/৫৬/৩২ রাত্রি ৮/৩০/৪১। সূ উ ৬/৮/৪, অ ৫/৩৩/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩১ মধ্যে ও ৯/৫১ গতে ১১/২৪ মধ্যে ও ৩/১৮ গতে ৪/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৫১ গতে ৬/৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫৯/২৭ গতে ১০/২৫/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫৯/২৭ গতে ৪/৩৩/৪৫ মধ্যে। 
১ রজব  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিন  
১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

৫০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স  

03:18:18 PM

শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন, দিল্লিবাসীর কাছে আবেদন প্রধানমন্ত্রীর 
উত্তর-পূর্ব দিল্লিজুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার চার দিনের মাথায় এবিষয়ে প্রথম ...বিশদ

02:56:50 PM

মহিষবাথানে অগ্নিদগ্ধ প্রৌঢ়া
রান্না করতে গিয়ে গায়ে আগুন লেগে গুরুতর জখম হলেন এক ...বিশদ

02:46:00 PM

উত্তর-পূর্ব দিল্লির চাঁদবাগে মিলল আইবি অফিসারের মৃতদেহ 

02:16:00 PM