Bartaman Patrika
 

থিয়েটার পাড়ার গপ্পো
সাংবাদিক সম্মেলন করে অবসর
নিয়েছিলেন অভিনয় জীবন থেকে

বড়পর্দা জুড়ে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করলেও, পেশাদারি রঙ্গমঞ্চে তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল দেরিতে। অভিনেতা বিকাশ রায়ের মঞ্চাভিনয় সম্পর্কে লিখেছেন ড. শঙ্কর ঘোষ।

মঞ্চের বিশাল পর্দা সরছে। মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন ফোকলা চ্যাটার্জি। আলো এসে পড়েছে ফোকলা চ্যাটার্জির মুখে। আবছা আলোতে মঞ্চটাও দেখা যাচ্ছে। শাজাহান হোটেলের রিসেপশন কাউন্টার ডানদিকে। বাঁদিকে রয়েছে লিফট। ফোকলা চ্যাটার্জি উচ্চস্বরে জিজ্ঞাসা করলেন; ‘স্যাটা হোয়্যারইজ স্যাটা’। আলো এসে পড়ত গেটের দিকে। পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতেন স্যাটা বোস। বললেন; ‘আই অ্যাম হিয়ার স্যার।’ সবাই অর্থাৎ দর্শকেরা পেছনের দিকে মুখ ঘুরিয়ে দেখতেন স্যাটা বোসের প্রবেশ। স্যাটা বোস ততক্ষণে একস্ট্রা সিটের দর্শকের গা ঘেঁষে, কারও বা পিঠ চাপাড়িয়ে ‘হাউ আর ইউ স্যার’ বলে স্টেজে এসে উঠতেন। উচ্ছ্বসিত হাততালিতে হল ফেটে পড়ত। যে নাটকের শুরুতেই এমন উত্তেজনার পারদ, সেই নাটকের নাম ‘চৌরঙ্গী’। কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ার সর্বকালীন বেস্ট সেলার উপন্যাস শংকরের ‘চৌরঙ্গী’। তারই নাট্যরূপ মঞ্চস্থ হচ্ছে বিশ্বরূপা থিয়েটারে (বটতলা থানার ঠিক পাশেই এ মঞ্চ ছিল)। এই নাটকেই প্রথম সাড়ম্বরে বিকাশ রায় অভিনয় করতে এলেন স্যাটা বোসের চরিত্রে। পাশে পেলেন তরুণকুমার (ফোকলা চ্যাটার্জি), মঞ্জু দে (মিসেস পাকড়াশি) দিলীপ রায় (শংকর), সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় (ন্যাটাহরি), জয়শ্রী সেন প্রমুখ শিল্পীকে। পরে কবরী চরিত্রে এলেন আরতি ভট্টাচার্য। বিপরীতে অজয় গঙ্গোপাধ্যায় (অনিন্দ্য)। প্রথমে যখন এ নাটকে অভিনয়ের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয় বিকাশ রায়ের সঙ্গে, তখন তিনি সম্মত হননি। কারণ যে চরিত্র উত্তমকুমার করে রেখে গেছেন বড় পর্দায়, সে চরিত্রে স্টেজে করতে মন থেকে সায় পাচ্ছিলেন না বিকাশ রায়। কিন্তু বিশ্বরূপার মালিক রাসবিহারী সরকারও নাছোড়বান্দা। তিনি গেলেন বিকাশ রায়ের ঢাকুরিয়ার বাড়িতে। পার্ট শোনালেন। যথোচিত মর্যাদা দিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেন। আর আপত্তি রইল না বিকাশ রায়ের। সামান্য ক’দিনের রিহার্সাল হল। এর আগে বিশ্বরূপায় ‘বেগম মেরী বিশ্বাস’ বা ‘ঘর’ একদম জমেনি। ‘কোথায় পাবো তারে’ একদম চলেনি। তাই সকলের উৎকণ্ঠা। ‘চৌরঙ্গী’ জমবে তো? পুজোর ঠিক আগেই শুরু হল ‘চৌরঙ্গী’ নাটক। প্রথম থেকেই হাউসফুল। সিনেমার এতগুলি শিল্পীকে চোখের সামনে দেখার আনন্দই তো আলাদা। প্রথম ক’দিন বিকাশবাবু খুব ঘাবড়ে ছিলেন, কণ্ঠস্বর যেন শেষের দিকে ঠিক পৌঁছচ্ছে না। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দিলেন, ‘হোটেলের কাউন্টার অংশ থেকে বেরিয়ে আসুন দাদা, কণ্ঠস্বরের আর অসুবিধা হবে না।’ তরুণ কুমার রাসবিহারী সরকারকে পরামর্শ দিলেন, ‘বিকাশদা প্রথম স্টেজে নামছেন। ওঁর প্রথম প্রবেশ দর্শকদের মধ্যে দিয়ে হোক।’ গোড়াতে যে দৃশ্যের বর্ণনা করলাম, সেই ভাবেই বিকাশ রায়ের প্রবেশ ঘটলও স্টেজে। নগদ বিদায়ও পেতেন দর্শকদের কাছ থেকে। ভালো লাগলে উচ্ছ্বসিত আবার যদি কোনওদিন পছন্দ মতো না হতো তাহলে ধমকও খেতেন দর্শকদের কাছ থেকে, ‘কী হচ্ছে কী?’ ১৯৭১ সালের শেষে এবং ১৯৭২ সালের গোড়ার দিকে সবে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, বড় বড় গাড়ি করে, এমনকী বাস ভরে বাংলাদেশিরা আসতেন যশোর সীমান্ত পেরিয়ে নাটক দেখতে—পুরনো আমলের শিল্পীদের দেখতে। ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে বিকাশ রায়ের খুবই ভালো লাগত।
হঠাৎ একদিন বিশ্বরূপার কর্ণধার রাসবিহারী সরকার ঘোষণা করলেন যে তিনি এবার নাটক বদলাবেন। বিকাশ রায় সহ সব শিল্পীরা হতবাক। তখন রমরমিয়ে চলছে ‘চৌরঙ্গী’। সেই অবস্থায় উঠিয়ে দেবার মানে বুঝতে পারলেন না কেউ। রাসবিহারীবাবু জানালেন চলতি নাটক উঠিয়ে দেবারও প্রয়োজন হয়, এছাড়া উনি একটা নজির স্থাপন করতে চাইছেন। প্রায় সাড়ে পাঁচশো রজনী চলল ‘চৌরঙ্গী’। নতুন নাটকের মহড়া শুরু হল। এবারের উপন্যাস ‘আসামী হাজির।’ বিমল মিত্রের সাড়া জাগানো কাহিনী। যথারীতি নাট্যরূপ ও নির্দেশনার রাসবিহারী সরকার। বিকাশ রায় রইলেন। মঞ্জু দে, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় গোড়া থেকেই বাদ। তরুণ কুমার, দিলীপ রায়, আরতি ভট্টাচার্য রইলেন। নতুন ঢুকলেন পাহাড়ি সান্যাল। প্রায় আটষট্টি বছর বয়সে স্টেজে অভিনয় করতে নামলেন পাহাড়ি সান্যাল। তিন বুড়ো (বিকাশ রায়, পাহাড়ি সান্যাল, রবীন মজুমদার) উইংস-এর পাশের বড় বেঞ্চে বসে জমিয়ে আড্ডা দিতেন। খোশ গল্প চলত। ভালোই চলছিল। হঠাৎ পাহাড়ি সান্যাল মারা গেলেন। আনন্দের হাট ভাঙল বিকাশ রায়ের। এ নাটক চলেছিল ৬৩৭ রজনী। সেই অবস্থায় নাটক বন্ধ করলেন রাসবিহারী সরকার। তখনও বিশ্বরূপার বাইরে ৭ টাকার টিকিট ১৫ টাকায় ব্ল্যাকে বিক্রি হচ্ছিল।
বিকাশ রায় এরপরে এলেন শ্যামাপ্রসাদ মঞ্চে। অধিকাংশ নাট্যমোদীরা এ মঞ্চের নামই হয়তো শোনেননি। বিকাশ রায় নিজেই তার বর্ণনা দিয়েছেন, ‘টালাপুলের পশ্চিম দিকে বস্তিটস্তির মধ্যে বিচ্ছিরি রাস্তা, রেল ইয়ার্ড, কাঁচা কয়লার ধোঁয়া, সন্ধ্যার পর যেতে গা ছমছম করে, বৃষ্টিতে রাস্তা তো ডুবে যায়ই হলের মধ্যেও জল ঢোকে। ছোট্ট একটি হল— রেলওয়ে ইনস্টিটিউট। শ’আড়াই লোককে কষ্টে বসানো যায়।’ এমন এক স্টেজে বিকাশ রায় করতে এলেন ‘বিষ’ নাটক। নাট্যকার সমর মুখার্জির লেখা নাটক, তাঁরই পরিচালনা। সঙ্গে অভিনয়ে ছিলেন মলিনা দেবী, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তোষ দত্ত, অঞ্জনা ভৌমিক। ১৬০ রজনীর পর বিকাশ রায় নিজেই বিদায় নিলেন।
তরুণকুমার ও সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বরাবর ভালো সম্পর্ক বিকাশ রায়ের। ‘চৌরঙ্গী’র সময়েই তাঁরা বিকাশবাবুকে বলেছিলেন, ‘আপনার কাছ থেকে আলাদা থাকতে ইচ্ছে করছে না দাদা। যদি সুযোগ পাই আপনাকে ডাকব, কথা দিন আসবেন।’ সে কথা বিকাশ রায় রেখেছিলেন। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও তরুণকুমার দক্ষিণ কলকাতার সদানন্দ রোডে তপন থিয়েটার ভাড়া নিয়ে শুরু করলেন ‘নহবৎ’ নাটক। সে নাটক রঙমহলে জমল না, সে নাটক তপন থিয়েটারে এ ইতিহাস তৈরি করল। এঁরা তিনজন ছাড়াও ছিলেন রত্ন ঘোষাল, প্রদীপ মুখোপাধ্যায় আর কিছুদিনের জন্য মহুয়া রায়চৌধুরী।
তবে এ সব অভিনয় নিয়মিত করতে করতে বিকাশ রায়ের আর ভালো লাগল না। বেরিয়ে এলেন নিজেই ‘নহবৎ’ ছেড়ে। কিছুদিন শ্রুতিনাটক পরিচালনা করলেন। তার মধ্যে একটি হল রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’। অমিতের চরিত্রে নিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে, লাবণ্যের ভূমিকায় লিলি চক্রবর্তী, কেটির চরিত্রে শ্রাবন্তী মজুমদার আর যোগমায়ার চরিত্রে নীলিমা দাস। এখানে তিনি নির্দেশক। নাট্যরূপ তাঁরই দেওয়া। প্রথম মঞ্চস্থ হল রবীন্দ্র সদনে। তারপর বহু জায়গায়। এর অডিও ক্যাসেটও বেরিয়েছে এইচ.এম.ভি’র তরফ থেকে।
পেশাদারি রঙ্গমঞ্চে আসার আগে নামীদামি শিল্পীদের নিয়ে কম্বিনেশন নাটকে অংশ নিয়েছিলেন বিকাশ রায়। রঙমহল থিয়েটারে ‘পথের দাবী’ নাটকে অপূর্ব’র চরিত্রে। তাবড় তাবড় শিল্পী। ছবি বিশ্বাস, জহর গঙ্গোপাধ্যায়, কমল মিত্র, ধীরাজ ভট্টাচার্য, হরিধন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ধীরাজ ভট্টাচার্য তলওয়ারকার-এর চরিত্রে। হরিধনবাবু তেওয়ারির চরিত্রে। ধীরাজবাবু লাইটসম্যানকে বলে রেখেছিলেন যে, দৃশ্যে সমস্ত আলোর ফোকাস যেন তাঁর মুখের উপরেই থাকে। লাইটসম্যান তাই করলেন, বিকাশবাবু ও হরিধনবাবু আছেন ফোকাসের বাইরে। দেখা গেল দর্শকেরা হাসতে শুরু করেছেন। ক্রমশ হাসিটা বাড়ছে। অল্প আলোতে বিকাশবাবু দেখলেন হরিধনবাবু নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে গঙ্গাজল ছেটাচ্ছেন। সিনের বারোটা বেজে গেছে। ছবি বিশ্বাসের কাছে ধীরাজবাবু নালিশ জানালেন। ছবি বিশ্বাসের গম্ভীর মুখ, তিনি বিচারক। তিনি হরিধনবাবুর কৈফিয়ত চাইলেন। হরিধনবাবু বললেন, ‘আমি তো ধীরাজবাবুর ফোকাসের বাইরে ছিলাম। আর আমার চরিত্রের যা করা উচিত তাই তো করব।’ ছবিবাবু বললেন, ‘ঠিক। তবে হরিধন, এবার থেকে আর অতটা জল ছিটিও না।’ ধন্যি ধন্যি পড়ে গেল ছবি বিশ্বাসের এই বিচারে।
একবার ‘বিষ’ নাটকের অভিনয় করতে কলকাতার বাইরে গেছেন বিকাশবাবুরা। পেল্লায় বড় প্যান্ডেল পনের হাজার লোক বসার মতো। তারই পিছনে এক প্রাইমারি স্কুলের বাড়ি নেওয়া হয়েছিল শিল্পীদের জন্য। দুপুরে একটু বিশ্রাম করবেন। হঠাৎ একদঙ্গল মেয়ে এসে হাজির সেখানে। বিরক্ত হয়ে বিকাশবাবু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী ব্যাপার? তোমরা কারা?’ একটি মেয়ে এসে বললে, ‘আমি বাংলার টিচার আর এরা সব ছাত্রী। শুনেছি আপনারা, বড় বড় আর্টিস্টরা মফঃসস্‌঩লে প্লে করতে এসে খুব ফাঁকি দেন। আপনাদের এই নাটক কলকাতায় আমি দেখে এসেছি। বাদটাদ দেবেন না যেন। আমরা সামনেই থাকব।’ ঘুম মাথায় উঠল। পার্ট মুখস্থ করতে বসে গেলেন বিকাশ রায়। সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী নট প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বন্ধুদের ডেকে অভিনয় জীবনের অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন ১৯৮৭ সালের ১৬ এপ্রিল।
ঋণ: ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’: বিকাশ রায়, করুণা প্রকাশনী।
04th  January, 2020
পূর্বরঙ্গ নাট্যোৎসব 

পূর্বরঙ্গ গঙ্গা পদ্মা নাট্যোৎসব।শুরু হয়েছিল 22 ডিসেম্বর 2019 মধ্যমগ্ৰামে। আট দিনের ঐ উৎসব শুরুতে ছিল ক্যালকাটা পাপেট থিয়েটারের পুতুল নাটক আলাদীন। ঐদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় রোকেয়া রায় পরিচালিত পূর্বরঙ্গের  নিজস্ব নতুন নাটক পাঁচ অধ্যায় ।  
বিশদ

25th  January, 2020
ইঁদুরকল ৭৫০ 

আততায়ী আসছে...! দর্শক প্রায় নিশ্বাস বন্ধ করে বসে আছে। মঞ্চ আধো অন্ধকার, কিন্তু অদ্ভুতভাবে আততায়ীর শুধুমাত্র টুপি, হাতের গ্লাভস আর জুতোটুকুই দর্শকের কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে। বাকি গোটা অবয়বটাই অদৃশ্য!  
বিশদ

25th  January, 2020
বিষাদমাখা ছায়া 

ইংল্যান্ডের বিখ্যাত আলোক পরিকল্পনাকারী রিচার্ড পিলব্রো তাঁর একখানি লেখায় তাপস সেন সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘...অবিশ্বাস্য রকমের সামান্য কিছু উপকরণ, কয়েকটি ল্যাম্প, আমাদের নিত্য ব্যবহার্য কয়েকটি জিনিস আর ছায়া—এই দিয়ে তিনি আলোর জাদু দেখাতেন।’ যে কারণে আমি পিলব্রোর এই উক্তিটি এখানে ব্যবহার করলাম তা হল, ওই ‘ছায়া’।  
বিশদ

25th  January, 2020
গোবরডাঙায় স্টুডিও থিয়েটার শিল্পায়নের উদ্যোগ 

উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা, শিল্প-সংস্কৃতির এক উৎকৃষ্ট কেন্দ্র। গোবরডাঙার এই ঐতিহ্য অতি প্রাচীন। বর্তমানে গোবরডাঙাকে কেন্দ্র করে রয়েছে ২৫টি নাট্যদল। যাদের নতুন ভাবনার নতুন নতুন প্রযোজনা, শুধু বাংলাতেই নয়, সমগ্র দেশের থিয়েটার প্রেমী মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।  
বিশদ

25th  January, 2020
মঞ্চে বুদ্ধদেব গুহর মাধুকরী 

অনেক বছর আগে মরমী কথাকার বুদ্ধদেব গুহর একটি ধারাবাহিক উপন্যাস পাঠকদের মধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ‘মাধুকরী’ নামের বিশাল, বর্ণময়, বেগবান এই উপন্যাসের পটভূমি জঙ্গলমহল। কেন্দ্রীয় চরিত্র পৃথু ঘোষ, যে চেয়েছিল বড় এক বাঘের মতো বাঁচবে।  
বিশদ

25th  January, 2020
আরও একটি গ্রিক ট্র্যাজেডি 

আজ থেকে বহু হাজার শতাব্দী আগে প্রায় ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিস (এখনকার নাম) দেশে এক নাটক রচনা হয় ইউরিপিডিস। নাম হিপলিটাস। এই নাটকের নিরূপ রায় কৃত বাংলা রূপান্তর থেকে নাটকটি মঞ্চস্থ করলেন নির্দেশক সুরজিৎ ঘোষ। সম্প্রতি এটি উপস্থাপিত হয় গিরিশ মঞ্চে। 
বিশদ

25th  January, 2020
আরও একটি গ্রিক ট্যাজেডি
হিপ্পোলিটাস

  আজ থেকে বহু হাজার শতাব্দী আগে প্রায় ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিস (এখনকার নাম) দেশে এক নাটক রচনা হয় ইউরিপিডিস। নাম হিপলিটাস। এই নাটকের নিরূপ রায় কৃত বাংলা রূপান্তর থেকে নাটকটি মঞ্চস্থ করলেন নির্দেশক সুরজিৎ ঘোষ। সম্প্রতি এটি উপস্থাপিত হয় গিরিশ মঞ্চে। এই নাটকের কোরিওগ্রাফ করেছেন স্টেলা।
বিশদ

18th  January, 2020
 মঞ্চে বুদ্ধদেব গুহর মাধুকরী

  অনেক বছর আগে মরমী কথাকার বুদ্ধদেব গুহর একটি ধারাবাহিক উপন্যাস পাঠকদের মধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ‘মাধুকরী’ নামের বিশাল, বর্ণময়, বেগবান এই উপন্যাসের পটভূমি জঙ্গলমহল। কেন্দ্রীয় চরিত্র পৃথু ঘোষ, যে চেয়েছিল বড় এক বাঘের মতো বাঁচবে। কারও ওপর নির্ভরশীল না হয়ে। বিশদ

18th  January, 2020
গোবরডাঙায় স্টুডিও থিয়েটার শিল্পায়নের উদ্যোগ

  উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা, শিল্প-সংস্কৃতির এক উৎকৃষ্ট কেন্দ্র। গোবরডাঙার এই ঐতিহ্য অতি প্রাচীন। বর্তমানে গোবরডাঙাকে কেন্দ্র করে রয়েছে ২৫টি নাট্যদল। যাদের নতুন ভাবনার নতুন নতুন প্রযোজনা, শুধু বাংলাতেই নয়, সমগ্র দেশের থিয়েটার প্রেমী মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
বিশদ

18th  January, 2020
 দি বয়েজ ওন লাইব্রেরির
শিশু-কিশোর নাট্য প্রশিক্ষণ শিবির

  আজকের দিনে শিশু-কিশোররা কেউই কেবলমাত্র পড়াশোনার মধ্যে নিজেদের গণ্ডিবদ্ধ করে রাখে না। অনেকের পছন্দ নৃত্য, গীত, অঙ্কন, খেলাধূলা আবার অনেকেই মঞ্চে অভিনয় করতে আগ্রহী হয়। মঞ্চে অভিনয় করতে হলে শিক্ষা নেওয়াটা জরুরি। বিশদ

18th  January, 2020
পূর্বরঙ্গ নাট্যোৎসব

  পূর্বরঙ্গ গঙ্গা পদ্মা নাট্যোৎসব শুরু হয়েছিল ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ মধ্যমগ্ৰামে। আটদিনের ওই উৎসবের শুরুতে ছিল ক্যালকাটা পাপেট থিয়েটারের পুতুল নাটক আলাদীন। ওইদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় রোকেয়া রায় পরিচালিত পূর্বরঙ্গের নতুন নাটক পাঁচ অধ্যায় ।
বিশদ

18th  January, 2020
গল্পই মূল চালিকাশক্তি
প্রস্তর যুগ

মফসস্‌লের স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক রবিকান্ত চৌধুরী তাঁর শিক্ষক রথীনবাবুর প্রেরণায় শিক্ষকতাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন। রথীনবাবুর একটি কথা তার মনকে আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে থাকে, ‘একটি প্রদীপ শত প্রদীপকে প্রজ্বলিত করে।’
বিশদ

18th  January, 2020
কথায় গানে সময়ের প্রতিচ্ছবি 

বাদল সরকারের ‘ভুল রাস্তা’ নাটকটি পুনর্নির্মাণ করে ‘রাজ কাহানী’ নাম দিয়ে মঞ্চস্থ করল আসানসোলের চর্যাপদ। রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী নির্দেশিত এই নাটকটি সম্প্রতি মিনার্ভা থিয়েটারে পরিবেশিত হল। ১৯৮৮ সালে বাদল সরকার এই নাটকটি লিখেছিলেন।  বিশদ

11th  January, 2020
উদীয়মান নারীর মঞ্চ ২০১৯ 

সম্প্রতি গোবরডাঙায় হয়ে গেল মানিকতলা দলছুট আয়োজিত নাট্যোৎসব ‘উদীয়মান নারীর মঞ্চ’। ‘দলছুট’, এই শব্দটির মধ্যে লেগে রয়েছে অদ্ভুত এক প্রতিষ্ঠান বিরোধী গন্ধ। আর দলের তরফেও লেখা হয়, ‘...থিয়েটারকে অভিজাত শ্রেণীর দখলদারি থেকে মুক্ত করে সর্বজনীন করার লক্ষ্যে মানিকতলা দলছুটের জন্ম...।’  বিশদ

11th  January, 2020

Pages: 12345

একনজরে
 আগ্রা, ২৫ জানুয়ারি: কথায় বলে প্রেমের কোনও বয়স হয়না। এই প্রবাদবাক্যটি ফের একবার বাস্তবে ধরা পড়ল। আর তার ঘটল খোদ তাজমহলেরই শহর আগ্রায়। যার রূপকার ...

 ওয়াশিংটন: আরও একবার রেকর্ড ছাড়িয়েছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্য গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২৬: জন লগি বেয়ার্ড লন্ডনে প্রথম টেলিভিশন সিস্টেমকে জনসমক্ষে নিয়ে আসেন
১৯৩৬: জনগণের জন্য লন্ডনে শুরু হল বিবিসি-র সম্প্রচার
১৯৩৯: আমেরিকায় নিয়মিতভাবে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু
১৭৮২ – বাঁশের কেল্লা খ্যাত বিপ্লবী তিতুমীর তথা সৈয়দ মীর নিসার আলীর জন্ম
১৮৮০ - টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতির বাণিজ্যিক পেটেন্ট করেন।
১৯৬৯: অভিনেতা ববি দেওলের জন্ম
১৯৬৯: চিত্রপরিচালক বিক্রম ভাটের জন্ম
১৯৮৬: বিশিষ্ট সেতারবাদক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০০৯: ভারতের অষ্টম রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরামনের মৃত্যু
২০০২ - নাইজেরিয়ার লেগোস শহরে এক বিস্ফোরণে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুন গৃহহীন হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৬৪ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.৭৩ টাকা ৯৫.০২ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৫ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৯৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,৪৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
26th  January, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, (মাঘ শুক্লপক্ষ) দ্বিতীয়া ৫৯/৪৫ শেষ রাত্রি ৬/১৬। ধনিষ্ঠা অহোরাত্র। সূ উ ৬/২১/৫৩, অ ৫/১৬/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৫৬/১৭/৫২ শেষরাত্রি ৪/৫৬/৫। ধনিষ্ঠা ৫৮/৫৪/২৯ শেষরাত্রি ৫/৫৮/৪৪। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/১৪/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৯/৫৬ গতে ১/১১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৮/৪১ গতে ৩/৭/২৬ মধ্যে।
৩০ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করতে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯২৬: জন লগি বেয়ার্ড লন্ডনে প্রথম টেলিভিশন সিস্টেমকে জনসমক্ষে নিয়ে ...বিশদ

07:03:20 PM

গিরিশ পার্ক এলাকায় ১১ মাসের শিশুকে অপহরণের অভিযোগ

04:55:03 PM

আনন্দপুরে একটি বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে বেঁধে লুটতরাজ দুষ্কৃতীদের, তদন্তে পুলিস 

04:18:31 PM

৮৩ যাত্রী নিয়ে আফগানিস্তানের গজনিতে ভেঙে পড়ল বিমান

04:15:59 PM

৪৫৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:11:36 PM