শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
প্রৌঢ় ইন্দ্রজিৎবাবুর ঘরে রয়েছে তার অবিবাহিত কন্যা রমা। সে অত্যন্ত মুখরা। তার বিয়ের জন্য হন্যে হয়ে পাত্র খুঁজে বেড়ালেও কোনও সুপাত্র মেলেনি ইন্দ্রজিৎবাবুর। ঠিক এমন সময় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হন ইন্দ্রজিৎবাবুর প্রতিবেশী প্রাণগোপাল মিত্র। কিন্তু এঁর সঙ্গে আবার ইন্দ্রজিৎবাবুর জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিবাদ। কিন্তু তা সত্ত্বেও এমন প্রস্তাব পেয়ে ইন্দ্রজিৎবাবু তো হাতে চাঁদ পেলেন। কিন্তু সে আনন্দ ক্ষণস্থায়ী হয়। প্রাণগোপাল আর ইন্দ্রজিতের কলহপ্রিয়া কন্যা রমার মধ্যে দফায় দফায় চলে তুমুল ঝগড়া। বিয়ে ভাঙে আর কি!
কিন্তু এই প্রখর জ্যৈষ্ঠের তীব্র দাবদাহর মধ্যেই এসে যায় বসন্তের মাতাল বাতাস। শুষ্ক কাঠের মধ্যেই মেলে যষ্ঠিমধুর স্বাদ। অনাবিল হাস্যরসের মধ্যেই হয় মধুরেণ সমাপয়েৎ।
সীমিকা রায়ের যথাযথ সম্পাদনা ও নির্দেশনার গুণে নাটকটি উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন চরিত্রে সুঅভিনয় করেছেন রাজশ্রী মণ্ডল (রমা চরিত্রে), সুদর্শন দাস (প্রাণগোপাল), বিশ্বরূপ পুরকায়স্থ (ইন্দ্রজিৎ), অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় (ফটকে) এবং তাপসী কুমার (খেন্তি চরিত্রে)।
যথাযথ ভূমিকা পালন করেছেন বাবলু সরকার (আলো), কবীর সেন বরাট (কোরিওগ্রাফি), নীতীশ রায় (সঙ্গীত), সোমনাথ দত্ত (আবহ), সৌমেন দত্ত (শব্দ প্রক্ষেপণ), অসিত হালদার (বাদ্যযন্ত্র) প্রমুখ।
এদিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্বরচিত কবিতা পাঠ এবং সীমিকা রায়ের একক আবৃত্তির অনুষ্ঠান।