Bartaman Patrika
 

যাত্রার গব্বর সিং ছিলেন দিলীপ চট্টোপাধ্যায় 

চলচ্চিত্রে ভিলেনের প্রসঙ্গ উঠলে যেমন ‘শোলে’র গব্বর সিংয়ের কথা আসবেই, তেমনই যাত্রায় ভিলেনের কথা আলোচনা হলে ভাবনা কাজির কথা আসবেই। তখনকার দিনে গ্রামবাংলার মায়েরা বাচ্চাদের ঘুম পাড়াত ভাবনা কাজির ভয় দেখিয়ে। ‘শিগগির ঘুমিয়ে পড় ওই ভাবনা কাজি আসছে।’ একেবারে ‘শোলে’র সংলাপের বাস্তব রূপ। কিন্তু ‘শোলে’র জন্মের অনেক আগে থেকেই গ্রামবাংলার মঞ্চ কাঁপিয়েছে ভাবনা কাজি। তার সংলাপ ‘গায়ের চামড়া খুলে নেব, ডালকুত্তা দিয়ে খাওয়াব’ শুনলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠত। ভাবনা কাজি মানে বিশাল দশাশই চেহারা। মাথায় টাক। চোখে ক্রুর দৃষ্টি। ভয়ংকর অত্যাচারী এক মানুষ। নিষ্ঠুর ধরনের সংলাপ। হাতে তার সবসময় ধরা থাকে একটা চাবুক। তাই দিয়ে সে যাকে ইচ্ছে মারে। সবাই তার ভয়ে তটস্থ। এমনই এক চরিত্র ব্রজেন দে তৈরি করেছিলেন তাঁর ‘সোনাই দীঘি’ পালায়। সেই পালায় ভাবনা কাজির চরিত্রে অভিনয় করে অমর হয়ে আছেন দিলীপ চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ প্রায় ২৭-২৮ বছর একই পালায় ভাবনা কাজির চরিত্রে তিনি অভিনয় করে গিয়েছেন। অথচ পালায় কিন্তু ভাবনা কাজিকে নাট্যকার এতটা প্রাধান্য দেননি। সেখানে প্রধান চরিত্র হিসাবে তিনি তৈরি করেছিলেন যাদব, মাধব, সোনাইকে।
সেই অপ্রধান চরিত্রকে অভিনয়ের গুণে প্রধান চরিত্র করে তুললেন দিলীপবাবু। কীভাবে সেই কাজ তিনি করেছিলেন, সেই কাহিনী বলেছিলেন দিলীপবাবুর সুযোগ্য অভিনেতা-পুত্র সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়। ‘১৯৫৯-এ সিজনের মাঝামাঝি সত্যম্বর অপেরায় নেমেছিল ‘সোনাই দীঘি’। সিজনের মাঝে সেভাবে রিহার্সালেরও সুযোগ ছিল না। দল যেখানে যেখানে ঘুরত, সকালবেলায় মুড়ি তেলেভাজা খেতে খেতে শিল্পীরা বসে বসে পার্ট বলতেন। যাকে বলা হতো মুখমিল করা। এভাবেই তখন তৈরি হয়েছে অনেক সুপারহিট পালা। সেভাবে নাট্য পরিচালক বলেও কিছু ছিল না। দলের ম্যানেজার এবং স্টার শিল্পী পার্ট বিলি করতেন এবং নিজেরাই ঠিক করে একটা নাটক দাঁড় করাতেন। সেই পালা প্রথম খুলল নাদনঘাটে।’
প্রথম বছরে সেই পালায় যাঁরা অভিনয় করেছিলেন, তাঁরা হলেন গুরুপদ ঘোষ (ভাটুক ঠাকুর), অমর বন্দ্যোপাধ্যায় (মাধব), মেন্টা বোস (যাদব), পান্না চক্রবর্তী (আজিম খাঁ, পরে তিনি যাদবও করেন), জ্যোৎস্না দত্ত (সোনাই), অঞ্জলি ভট্টাচার্য (মুক্তকেশী), মধু বড়াল বা মধুরানি (মল্লিকা), সত্য বাবাজি (নিশাচর) প্রমুখ। সেবার সত্যম্বরের দল পরিচালক ছিলেন হরিপদ বায়েন। পালা যখন ফেলা হল, তখন দিলীপবাবু ভেবেছিলেন তিনি দলের অন্যতম টপ শিল্পী। তিনি হয়তো যাদব চরিত্রটি পাবেন। কিন্তু তাঁকে দেওয়া হল ভাবনা কাজি চরিত্রটি। সে ব্যাপারে সন্দীপবাবু বলেছেন, ‘এই চরিত্রটা পেয়ে বাবা খুব একটা খুশি হতে পারেনি। কেন না চরিত্রটা অথর-ব্যাকিং ছিল না। কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ পার্ট পেয়েও বাবা দমে যায়নি। মনে মনে ঠিক করেছিল, এটাকেই এমন একটা রূপ দেবেন, যাতে সবাই ভাবনা কাজির নামই উচ্চারণ করে।’ ভাবনা কাজি চরিত্রটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিলেন দিলীপবাবু। সব সময় ভাবতেন কীভাবে চরিত্রটাকে তৈরি করা যায়। তার অ্যাপিয়ারেন্স, কথা বলা, হাঁটা, তাকানো সবকিছুর মধ্যে একটা নতুনত্ব আনতে চাইলেন। যাত্রার গতানুগতিক ভিলেনের বাইরে একটা চরিত্রসৃষ্টি। প্রতিনিয়ত মনের মধ্যে সেই চরিত্র নিয়ে ভাঙাগড়া চলতে লাগল। রিহার্সাল দেখে হরিপদ বায়েন এবং দলমালিক গৌরচন্দ্র দাস বলেছিলেন, ‘আপনার অভিনয় মানুষ নেবে না।’ দিলীপবাবু বলেছিলেন, ‘আমি যেমন ভেবেছি, সেভাবে করি। পালা নামুক। মানুষের পছন্দ না হলে আপনারা যেমনভাবে বলছেন, সেভাবেই করব।’ নাদনঘাটে পালা নামল। ভিড়ের মধ্যে মিশে থেকে গৌরবাবু মানুষের মন্তব্য শুনেছিলেন। পালা শেষ হওয়ার পর সকলের মুখে তখন একটাই নাম, ভাবনা কাজি। সাজঘরে এসে গৌরবাবু বলেছিলেন, ‘অপূর্ব হয়েছে। এমন অভিনয় মানুষ কোনওদিন ভুলবে না।’
সেই চরিত্রে দিলীপবাবু অভিনয় করেছিলেন ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত। তিনি যে দলে গিয়েছেন, সেই দলেই ‘সোনাই দীঘি’ পালার অভিনয় হতো। ভাবনা কাজি একই থাকতেন। বদলে যেত যাদব, মাধব, সোনাইয়ের অভিনেতা অভিনেত্রীরা। বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম যাত্রায় আসা তরুণ অপেরায়। সেবার দিলীপবাবু সেই দলে। বর্ণালীও সোনাই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেই স্মৃতি ফিরিয়ে এনে তিনি বললেন, ‘আমি তখন নতুন। ওনাকে সমীহ করতাম, শ্রদ্ধাও করতাম। আমরা মনপ্রাণ দিয়ে অভিনয় করতাম। কিন্তু ‘সোনাই দীঘি’ পালার সব হাততালি উনিই নিয়ে নিতেন।’
অথচ তাঁর যাত্রায় অভিনয় করার কোনও স্বপ্নই ছিল না। হুগলির চুঁচুড়ার চকবাজারের জমিদার বাড়ির ছেলে। যাত্রা দেখার শখ ছিল অবশ্য। পনেরো বছর বয়সে বাবার মৃত্যুর পর দিলীপবাবুর জগৎটা বদলে গেল। বাবার ছিল শেয়ার বাজারের কারবার। ধীরে ধীরে বিপরীতমুখী এক ঝোড়ো হাওয়ায় খসে পড়ল স্বাচ্ছন্দ্য। একে একে জমিদারির ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হল। সংসারের প্রয়োজন মেটাতে তখন দরকার একটা চাকরি। জুটলো বটে, কিন্তু সেখানে থিতু হতে পারলেন না। বসের খারাপ ব্যবহার মেনে নিতে পারেননি। তাঁর নাকে এক ঘুষি মেরে সোজা দৌড়। আর কখনও চাকরিমুখো হননি। কিন্তু কিছু একটা করা দরকার। ১৯৫০ সালে তিনি যাত্রায় যোগ দিলেন। যোগ দিলেন নব রঞ্জন অপেরায়। সেবার পালা ছিল ‘ভক্ত ধ্রুব’ এবং ‘সতীর ঘাট’। এক বছর পর গেলেন সত্যম্বরে। সেখানে পেলেন যাত্রার এক দিকপাল শিল্পী গুরুপদ ঘোষকে। ‘পাষাণের মেয়ে’ পালায় গুরুপদ করতেন তারকাসুর এবং দিলীপবাবু ইন্দ্র। গুরুপদ ঘোষের অভিনয় থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। ঘটনাক্রমে একদিন তাঁকেই তারকাসুরের অভিনয় করতে হল। সে এক কাহিনী। ম্যানেজারের উপর রাগ করে দল ছেড়ে চলে গেলেন দিলীপবাবু। তার কিছুদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়লেন গুরুপদ ঘোষ। কে করবেন তারকাসুর! একদিন সত্যম্বরের মালিক গৌরবাবু তাঁর বাড়িতে হাজির। মান-অভিমানের শেষে আবার যাত্রায় ফিরে গেলেন। করলেন তারকাসুর। প্রচুর প্রশংসা পেলেন। সুযোগ পেয়ে প্রমাণ করলেন নিজেকে। এরপর পালা ‘রাজা লক্ষ্মণসেন’। গুরুপদ ঘোষ নামভূমিকায় এবং দিলীপবাবু অন্যতম প্রধান চরিত্র বখতিয়ার খিলজি।
১৯৬৪ সালে বিশ্বরূপা মঞ্চে যোগ দিন দিলীপবাবু। সঙ্গে সুজিৎ পাঠক। সেখানে অভিনয় হতো কর্ণার্জুন। দিলীপবাবু কর্ণ এবং সুজিৎ পাঠক অর্জুন। জয়শ্রী সেন দ্রৌপদী, রবি ঘোষ শকুনি। এক বছর পর আবার যাত্রায় প্রত্যাবর্তন।
পরের বছর তরুণ অপেরায় গেলেন। দলে ছিলেন বড় ফণী। তখনও শান্তিগোপাল স্টার হয়ে উঠতে পারেননি। পালা হয়েছিল ‘রক্তের নেশা’। আবার সত্যম্বরে প্রত্যাবর্তন। পালা ‘দীপ আজিও জ্বলে’। সঙ্গে ‘সোনাই দীঘি’। এখানে সোনাই করলেন সাহানা বোস। এরপর ভারতী অপেরা। সেই বছরই ভারতী অপেরার মালিক কালীপদ ঘোষ আরামবাগ থেকে এসে কলকাতায় গদিঘর করলেন। দিলীপবাবুর সঙ্গে সে বছর সেই দলে ছিলেন পান্না চক্রবর্তী, চিত্রা মল্লিক। এখানে সোনাই করতেন চিত্রা মল্লিক, পান্না করতেন যাদব। ব্রজেন দে’র ‘ভৈরবের ডাক’ নামল। দিলীপবাবু আওরঙ্গজেব। পান্না চক্রবর্তী ছত্রশাল, চিত্রা উদিপুরী বেগম। আর ছিলেন গুরুপদ ঘোষ। অনেক বড় অভিনেতা ছিলেন তিনি। সেটাই ছিল তাঁর যাত্রায় শেষ বছর। তিনি করতেন আফজল খাঁর চরিত্র।
পরের বছরও ভারতীতে। যাত্রায় নতুন এলেন শ্যামলী ভট্টাচার্য। শ্যামলীর সোনাই অভিনয় শুরু হল। জ্যোৎস্না দত্তের পর তিনিই সোনাই চরিত্রে বেশি অভিনয় করেছিলেন।
একদিন নিজে দল গড়লেন। শ্রীমা অপেরা। পালা ছিল ‘রক্তের পাপ’, ‘মুঘলে আজম’। এই পালায় দিলীপবাবু করতেন ইব্রাহিম লোদি এবং ননী ভট্ট করতেন বাবর। এরপর তিনি দলের নাম বদলে রাখলেন গণনাট্য। ১৯৭৫ সালে গণনাট্যের সুপারহিট পালা ছিল ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পঙ্গপাল’। এক আদর্শবাদী চরিত্র নিতাই মাস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করে দিলীপবাবু প্রচুর খ্যাতি পেয়েছেন। সে বছর ওই চরিত্রের সুবাদে পেলেন ভারতশ্রেষ্ঠ গন্ধর্ব পুরস্কার। এরপর ‘তাজমহল’। সাজাহান চরিত্রও দাগ কাটল মানুষের মনে। তুষার বন্দ্যোপাধ্যায় করতেন আওরঙ্গজেব, শ্যামলী ভট্টাচার্য করতেন জাহানারা। গণনাট্য যেবার ‘চাণক্য’ পালা নামাল, সেবার চিৎপুরে তিনটি চাণক্য অভিনীত হয়েছিল। নট্ট কোম্পানির ‘কুবেরের পাশা’য় শেখর গঙ্গোপাধ্যায় করতেন চাণক্য। গণনাট্যে দিলীপবাবু করতেন চাণক্য এবং তপোবন নাট্য কোম্পানির ‘সম্রাট চাণক্য’ করতেন দুলাল চট্টোপাধ্যায়।
১৯৮৬ সালে ছেলে সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় এলেন যাত্রায়। শুরু হল পিতাপুত্রের একসঙ্গে অভিনয়। পালা ছিল প্রসাদ ভট্টাচার্যের ‘সিরাজদৌল্লা’। সন্দীপবাবু সিরাজ এবং দিলীপবাবু মিরজাফর।
তাঁর অভিনীত অন্য পালাগুলি হল দ্বিতীয় পানিপথ, পুষ্পচন্দন, লৌহ প্রাচীর, কালাপাহাড়, ময়ূরমহল, সুলতান মামুদ, স্বর্ণলঙ্কা, মিশরকুমারী, রাতের বিভীষিকা, রজনী, অগ্নিসংকেত, বাদশা আলমগীর, কাস্তে হাতুড়ি তারা ইত্যাদি।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবসর নিলেন অভিনয় থেকে। তার কয়েক বছর পরে ১৯৯৮ সালে চলে গেলেন ‘নটসূর্য’। এই উপাধি তাঁকে দিয়েছিল বিশ্বরূপার নাট্য উন্নয়ন পরিষদ।
দিলীপ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনীত চরিত্রের মধ্যে একটা দৃঢ়তা ছিল। চেহারা, কণ্ঠস্বর আর অভিনয় মিলে তৈরি হতো একটা বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসটা পৌঁছে যেত দর্শকদের মনের গভীরে এবং তৈরি হতো একটা ভালো লাগা। সে ভিলেন চরিত্রই হোক বা আদর্শবান কোনও চরিত্রই হোক। অভিনয়ে তিনি বারবার চরিত্রের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। সেটাই তাঁকে দিয়েছে খ্যাতি এবং স্থায়িত্ব।  
10th  August, 2019
নর্দার্ন অ্যাভেনিউ পুতুল গোষ্ঠীর পুতুল নাটক

 সম্প্রতি পাইকপাড়া মোহিত মৈত্র মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল নর্দার্ন এভিনিউ পুতুল গোষ্ঠীর পুতুল নাটকের এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে রুদ্রাণী পালের সঙ্গীত পরিচালনায় পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আলোকের এই ঝর্ণা ধারায়’ গানটি। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রথম নাটকটি ছিল নর্দার্ন এভিনিউ পুতুল গোষ্ঠীর পরিবেশনায় ডেঙ্গু নিয়ে পুতুল নাটক।
বিশদ

17th  August, 2019
কমেডির মোড়কে ভূতদর্শন

সুপারন্যাচারাল বিষয়টি কী? আদৌ কি এর কোনও অস্তিত্ব আছে? এই বিষয়টি নিয়ে একই কলেজের দুই অধ্যাপক মহেশ মিত্র ও হরিনাথ কুণ্ডু সবসময় তর্ক-বিতর্ক করে। তাঁরা দু’জনে দু’রকম দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে বিষয়টিকে। সেইমতো তার ব্যাখ্যাও দেন।
বিশদ

17th  August, 2019
তবুও নিয়তিবাদের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই চলবেই
রানি ক্রেউসা

গ্রিক ট্র্যাজেডির অন্যতম উপাদান হল ‘ফেট’ বা ‘অদৃষ্ট’ বা ‘নিয়তি’। প্রাচীন গ্রিসে এই ধারণা ছিল যে, ভাগ্যের তিন দেবী মানুষের অদৃষ্টে যে পরিণতি লিখে দিয়েছেন তা মানুষ কোনওভাবেই বদলাতে পারে না, তা সে যত চেষ্টাই করুক না কেন। অদৃষ্টের মারে মূল চরিত্রের যে পতন তাকে ঘিরেই নাটকের প্রধান দ্বন্দ্ব বা সংকট সৃষ্টি হয়।
বিশদ

17th  August, 2019
বিষ্ণু বসু ও নীতিকা বসু স্মারক বক্তৃতা 

বিষ্ণু বসু ও নীতিকা বসুর স্মৃতিতে প্রতিবছরের মতো এবারও দু’দিন ধরে বক্তৃতাসভার আয়োজন করেছিল কালিন্দী ব্রাত্যজন।   বিশদ

10th  August, 2019
একসঙ্গে ছোটদের তিনটি নাটক 

সম্প্রতি ‘দি বয়েজ ওন লাইব্রেরি’ নিবেদিত এবং ‘দি বয়েজ ওন শিশু কিশোর নাট্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ প্রযোজিত তিনটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের নাটক একসঙ্গে মঞ্চস্থ হলো। ‘পাখিদের পাঠশালা’, ‘আঁধার বনের আলো’ এবং ‘ভাঙ্গা ম্যাকবেথ’, এই তিনটি নাটকের শিল্পীরা শিশু এবং কিশোর।   বিশদ

10th  August, 2019
শাড়ির সঙ্গে বুটজুতো পরে কলেজে যেতেন

আগামী ৫ আগস্ট কেয়া চক্রবর্তীর জন্মদিন। নান্দীকারে থাকাকালীন তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, সেই অভিজ্ঞতায় ভর করে তাঁকে স্মরণ করলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য।
বিশদ

03rd  August, 2019
সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান
করলেন থিয়েটারকর্মী এস রঘুনন্দন

গত ১৭ জুলাই মঙ্গলবার তাঁর নাম ঘোষিত হয় ২০১৮ সালের সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপক হিসেবে। পরদিন অর্থাৎ ১৮ জুলাই বুধবার সামাজিক সংযোগ মাধ্যমগুলিতে একটি খোলা চিঠি লিখে সেই পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান করলেন কর্ণাটকের নাট্যব্যক্তিত্ব এস রঘুননন্দন। বিশদ

03rd  August, 2019
 ভীষণভাবে রাজনৈতিক ও প্রাসঙ্গিক এক নাটক
সীতায়ন

 দীর্ঘ বনবাস কাটিয়ে, রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করে, অবশেষে অযোধ্যা ফিরলেন রামচন্দ্র। স্বামীর অপেক্ষায় থাকা সীতার দুর্বিষহ জীবনযাপনের অবসান হতে চলল। কিন্তু সত্যি কি শেষ হল?
বিশদ

03rd  August, 2019
 নান্দীপটের নাট্যপত্র প্রকাশ

  বার্ষিক নান্দীপটের নাট্যপত্র প্রকাশিত হল তৃপ্তি মিত্র সভাগৃহে। তাদের চল্লিশতম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত এই পত্রিকাটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে কবি শঙ্খ ঘোষ বলেন, পত্রিকাটি যথাসাধ্য ভালো করার চেষ্টা করেছে এরা। দেখে বেশ ভালো লেগেছে।
বিশদ

03rd  August, 2019
 রাত তখন বারোটা

  লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। এই পুরনো প্রবাদটি যে কতটা সত্যি তা আমরা হরহামেশাই মালুম করতে পারি। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলের নিউজ বুলেটিনে এ ধরনের একাধিক ঘটনার কথা শোনা যায়।
বিশদ

03rd  August, 2019
ইন্দিরা গান্ধী এসেছিলেন অ্যান্টনি কবিয়াল দেখতে 

বাংলা পেশাদারি রঙ্গমঞ্চের পীঠস্থান হাতিবাগান ও সংলগ্ন অঞ্চল। ইংল্যান্ডের থিয়েটার পাড়ার সঙ্গে একসময়ে যার তুলনা করা হতো। আজ সবই অতীত। সেই অতীতের গল্পকথায় ড. শঙ্কর ঘোষ।
বিশদ

27th  July, 2019
 রঙ্গমঞ্চে সাহেব

কলকাতার রঙ্গমঞ্চে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন অভিনেতা গায়ক সাহেব চট্টোপাধ্যায়। একান্ত সাক্ষাৎকারে নাটক নিয়ে নানা অভিজ্ঞতার কথা তিনি আমাদের প্রতিনিধি চৈতালি দত্তকে জানালেন।
বিশদ

27th  July, 2019
ম্যাকবেথ বাদ্যর শততম
অভিনয় ও ফ্র্যাঙ্কেন্স্টাইন

থিয়েটার নিয়েই সদা ব্যস্ত কসবা অর্ঘ্য’র মনীশ মিত্র। থিয়েটারেই তাঁর যাপন। তাঁর ভাবনা জুড়ে শুধুই থিয়েটার। থিয়েটারের শিকড়ে পৌঁছে, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, ভাবনাকে সঙ্গী করে, থিয়েটারের এক নতুন ভাষাকে, নিজের মতো করে তৈরি করেছেন। এই ভাষা, কল্পনার সার্থক প্রয়োগ দেখা গিয়েছে ‘ম্যাকবেথ বাদ্যে’।
বিশদ

27th  July, 2019
 ফের মঞ্চে পরশুরাম

তিনজন পরিচিত মানুষের আড্ডা। নানা বিষয় ঠাঁই পাচ্ছে তাদের আড্ডায়। সাম্প্রতিক বিষয়ের হাত ধরে কখনও তাঁরা পৌঁছে যাচ্ছেন মহাকাব্যের সময়ে। আলোচনায় উঠে আসছে রামায়ণকথা, অতীত কথা। কিন্তু রামায়ণ মানে কি শুধুই অতীত? তার সঙ্গে কি আজকের সম্পর্ক নেই? নিশ্চয়ই আছে। রামায়ণতো মানুষের কথা বলে।
বিশদ

27th  July, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 নয়াদিল্লি, ৫ ডিসেম্বর (পিটিআই): আইনজীবীদের আদালত অবমাননার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর করজোড়ে ক্ষমা চাইলেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। মঙ্গলবার বিচারপতি মিশ্রর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে এক জমি অধিগ্রহণ মামলার শুনানি চলছিল। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা। স্থান সল্টলেক স্টেডিয়াম। যুবভারতীর বাঁ দিকে পাশাপাশি দু’টি প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। এটিকে’র প্র্যাকটিসের জন্য প্রথম মাঠটির ফ্লাড লাইট জ্বলে ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

বিশ্বজিৎ মাইতি, বারাসত, বিএনএ: বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত চাষিকে ক্ষতিপূরণ দিতে নতুন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। পৈতৃক সম্পত্তির রেকর্ড না থাকলেও ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 ১৯০১ - মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম,
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩৫ - কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী

05th  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৯২ টাকা ৭৩.০৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.৬২ টাকা ৯৬.০৫ টাকা
ইউরো ৭৭.৪২ টাকা ৮১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, দশমী অহোরাত্র। উত্তরভাদ্রপদ ৪২/৬ রাত্রি ১০/৫৭। সূ উ ৬/৬/৫৩, অ ৪/৪৭/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ৯/৪০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৭ গতে ৯/৪৭ মধ্যে।
১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, দশমী ৫৮/২৮/৪৯ শেষরাত্রি ৫/৩১/৫০। উত্তরভাদ্রপদ ৪১/৪৫/৪১ রাত্রি ১০/৫০/৩৪, সূ উ ৬/৮/১৮, অ ৪/৪৮/২৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ৩/৩৮ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৬/৯ মধ্যে, কালবেলা ১০/৮/২০ গতে ১১/২৮/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৮/২২ গতে ৯/৪৮/২১ মধ্যে।
৮ রবিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। বৃষ: সাংসারিক সমস্যার সমাধান সূত্র ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজের প্রথম টি-২০ জিতল ভারত

10:31:05 PM

 প্রথম টি২০: ভারত ১৭৭/২ (১৬ ওভার)

10:13:22 PM

প্রথম টি২০: ভারত ৮৯/১ (১০ ওভার) 

09:34:38 PM

প্রথম টি২০: ভারতকে ২০৮ রানের টার্গেট দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ 

08:34:59 PM