Bartaman Patrika
 

কলা বিক্রেতা থেকে এক সময় বিদ্যাসুন্দর পালাগানে শহর মাতিয়ে দেন গোপাল উড়ে

‘চাঁপাকলা চাই চাঁপাকলা। বাবু চাঁপাকলা নেবেন।’
ছেলেটা কলকাতা শহরের পথে পথে কলা ফেরি করে বেড়ায়। নাম তার গোপাল। গোপাল করণ। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা পথে পথেই হাঁক দিয়ে সে কলা বেচে। শুধুমাত্র দুটি অন্ন সংস্থানের জন্য সে ছুটে এসেছে সেই উড়িষ্যা থেকে। কটকের জাজপুরে তার বাড়ি। বাবা মুকুন্দ করণ করতেন আদা আর বেগুনের চাষ। তাতে সংসার চলে না। জোয়ান বয়স। এখনই সংসারের হাল ধরা দরকার। কিন্তু আদা আর বেগুন চাষে সংসারের অবস্থা ফিরবে না। গ্রামেরই একজন পরামর্শ দিল, ‘গোপাল তুই কলকাতা শহরে চলে যা। বিরাট শহর। সেখানে মানুষের হাতে পয়সা আছে। কিছু একটা ব্যবসা করতে পারলে তোর জীবনটা ফিরে যাবে।’ সময়টা তখন ১৮৩৪ বা ৩৫।
গোপাল ভাবল, সেটা করলে মন্দ হয় না। বয়স এখন কম। এভাবে খেতখামারিতে কাজ করতে তার ভালোও লাগে না। প্রভু জগন্নাথের নাম করে গোপাল হাতে কিছু পয়সা নিয়ে চলে এল কলকাতায়। তারপর এটা সেটার ব্যবসা শুরু করল। পরে সে কলার ব্যবসা ধরে। এভাবেই চলে কয়েকটা বছর।
সেদিন কলকাতা গরমের তাপে ফুটছে। রাস্তায় লোকজন তেমন নেই। গোপাল সেদিন মাথায় কলার ঝুড়ি নিয়ে বউবাজারের অলিতে গলিতে ঘুরছে। কিছু বিক্রি না হলে আজ সন্ধ্যায় হয়তো পেটে কিছুই জুটবে না। বউবাজারের সেই গলিতে বাড়ি ছিল মতিলালদের। বাড়ির কর্তা বিশ্বনাথ মতিলাল তখন কয়েকজনের সঙ্গে বিদ্যাসুন্দর পালা নিয়ে আলোচনা করছেন। কীভাবে এই পালা দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায়, তাই নিয়ে চলে জোর আলোচনা। তখন বাংলাদেশে বিদ্যাসুন্দর খুব জনপ্রিয়।
বস্তুত বাংলা নাট্যসংস্কৃতি বা যাত্রার ধারায় বিদ্যাসুন্দর প্রথম এক কাহিনি, যা দেবদেবীর বাইরে গিয়ে সাধারণ মানুষের প্রেম-ভালোবাসার কথা বলেছিল।
কয়েকটা বছর পিছিয়ে গেলে আমরা দেখব কবি ভারতচন্দ্রের জীবনাবসান হল ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে। এর পর রুশ সঙ্গীত বিশারদ গেরাসিম স্তেফানোভিচ লেবেদেফ বেঙ্গলি থিয়েটার স্থাপন করে অভিনয় করলেন এক বাংলা নাটক। রিচার্ড পল জোডরেলের দি ডিসগাইজ অবলম্বনে অভিনীত হল কাল্পনিক সংবদল। মঞ্চে প্রথম বাংলা নাটক। এ নাটকে তিনি বিদ্যাসুন্দর পালার গান ব্যবহার করেছিলেন। লেবেদেফের নাটক তখন ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। মানুষের মুখে মুখে ফিরছে তাঁর নাম। সেই সময় একদিন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বেঙ্গলি থিয়েটার। লেবেদেফের জনপ্রিয়তা দেখে বুকে আগুন জ্বলেছিল ইংরেজদের। একজন রুশ নাট্যপ্রেমীর নাম মানুষের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে এটা তারা মেনে নিতে পারেনি। তাই একদিন রাতের অন্ধকারে তারা লোক লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দিল সেই থিয়েটারে। দেনায় ডুবে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন লেবেদেফ। কিন্তু ইতিহাসকে মুছে ফেলা গেল না। ইংরেজরা এদেশে নাট্য উপস্থাপনায় অনেক অবদান অবশ্যই রেখেছে, কিন্তু বাংলা নাটকের উন্মেষকালে তাদের যে খলনায়কের ভূমিকা ছিল, তাকে ইতিহাস ভুলে যায়নি।
একবারে হার মানেননি লেবেদেফ। দেশে ফিরে তিনি রুশ ভাষায় বিদ্যাসুন্দর অনুবাদের কাজে হাত দিয়েছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর কারণে সে কাজ তিনি শেষ করতে পারলেন না।
তারপর আবার বিদ্যাসুন্দর ফিরে এল প্রায় চল্লিশ বছর পর। বউবাজারের রাধামোহন সরকারের হাত ধরে। ধনপতি রাধানাথবাবুর একটা দল ছিল। সেই দল নিয়ে উৎসাহী ছিলেন মতিলালরা। ঘরের ভিতর তখন পালাগানের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চলছে। বিদ্যাসুন্দর তো নামানো হবে কিন্তু মালিনী সাজবে কে? দলে তখন সখী সাজতেন রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই সময় দুপুরবেলা বাইরে সুর করে কেউ বলছে, ‘চাঁপাকলা চাই চাঁপাকলা।’ ঘরের মধ্যে বিশ্বনাথ মতিলাল চমকে তাকালেন। ‘এমন সুর করে কে কলা বেচে! আরে বাবা এতো গান্ধার সুর! এই সুরে যে কলা বেচে তার গানের গলা কতই না সুন্দর হবে।’ কলাবিক্রেতাকে দেখার খুব কৌতূহল হল। বিশ্বনাথবাবু বাড়ির চাকরকে ডেকে বললেন, ‘যা তো ওই চাঁপাকলা বিক্রি করছে যে ছেলেটা, তাকে ডেকে আন তো।’
চাকর গিয়ে ডাকল গোপালকে। আশান্বিত হল গোপাল। যাক দুটো কলা তাহলে বিক্রি হবে। আজ রাতে না খেয়ে থাকতে হবে না। বিশ্বনাথবাবুর সামনে এসে দাঁড়ালেন গোপাল। তাকে ভালো করে দেখলেন বিশ্বনাথ। খুব একটা লম্বা নয়। গায়ের রং একটু চাপা। নাকটি টিকলো। একের পর এক প্রশ্ন করে চললেন বিশ্বনাথ। তার নাম কী, বাবার নাম কী, বাড়ি কোথায়, জাত কী,বর্ণ কী, এমন কী গোত্র পর্যন্ত জানতে চাইলেন। গোপাল নরম স্বরে সব প্রশ্নের জবাব দিলেন। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এই কলা বিক্রি করে তার কেমন রোজগার হয়।
গোপাল একটু বিরক্তই হল। কিনবে দুটো কলা, তাতে এত জিজ্ঞাসার কী আছে বাপু! কিন্তু তাও নরম করে বলল, ‘আজ্ঞে সেভাবে আর চলে কই। যেদিন বিক্রি হয় সেদিন খাবার জোটে আর যেদিন বিক্রি হয় না, সেদিন শুধুই জল’। বিশ্বনাথবাবু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি গান জানো?’ গোপাল মাথা নেড়ে বললেন, না সে গান জানে না।
বিশ্বনাথবাবু একটু ভেবে বললেন, ‘দেখো হে রাধানাথ, একে শিখিয়ে পড়িয়ে যদি নিতে পারো তবে একদিন লাভ পাবে। অবশ্য পাখি যদি উড়ে না যায়।’
রাধানাথ বললেন, ‘গলা তো মন্দ নয়, ছেলে যদি খাটে তবে মনে হয় একটা রত্ন পাব।’ গোপালকে জিজ্ঞাসা করা হল, সে যাত্রা দলে অভিনয় করবে কিনা। করলে সে দশ টাকা পাবে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল গোপাল। এর পরের কয়েকটা বছর ইতিহাস। রাধামোহনবাবুর বাড়িতে গানের আসরে মাঝে মাঝেই গান গাইতেন ওস্তাদ হরিকিষণ মিশ্র। রাধামোহনবাবুর অনুরোধে গোপালকে গান শেখাতে শুরু করলেন তিনি। সেই সঙ্গে তালিম চলল বাংলা ভাষা শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করার এবং অভিনয়ের। উড়িষ্যা থেকে আগত গোপাল করণ সকলের মুখে মুখে হয়ে গেলেন গোপাল উড়ে। এই নামেই তিনি মঞ্চে নেমে আসর মাত করতেন।
হরিকিষণ মিশ্রের কাছ থেকে খুব তাড়াতাড়ি গোপাল শিখে নিলেন টপ্পা, ঠুংরি। শিখলেন অভিনয়ের ছলাকলাও। তাকে দিয়ে মালিনী করানোর কথা ভেবে রেখেছিলেন রাধামোহনবাবু। অবশেষে আসর বসল ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে। শোভাবাজারে রাজা নবকৃষ্ণ দেবের বাড়িতে।
প্রথম আসরেই মাতিয়ে দিলেন গোপাল উড়ে। মালিনীর ভূমিকায় তাঁর গান, অভিনয় ও চাউনি, ভ্রু-ভঙ্গিমা এবং চটক দেখে মজে গেলেন দর্শকরা। অনেকেই ভেবেছিলেন মালিনীর ভূমিকায় নেমেছেন কোনও অভিনেত্রী। এক রাতের অভিনয়ের পরই তাঁর বেতন মাসিক দশ টাকা থেকে বেড়ে হল পঞ্চাশ টাকা। আর সেই সঙ্গে গোপালের নাম ছড়িয়ে পড়তে লাগল। এরপর রাধামোহনের দলে গোপাল উড়ে আরও দু’বার মালিনীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সেই দুটি অভিনয়ের আসর বসেছিল হাটখোলার দত্তদের বাড়িতে এবং শিমুলিয়ার সাতুবাবুর বাড়িতে। এই দত্তবাড়ি থেকেই আমরা পেয়েছিলাম সে যুগের বিখ্যাত অভিনেতা অমরেন্দ্রনাথ দত্তকে।
বিদ্যাসুন্দর পালা নামানোর আগে দু’বছর ধরে রিহার্সাল হয়েছিল। এই পালার জন্য রাধামোহনের মোট ব্যয় হয়েছিল লক্ষ টাকারও বেশি। সেই সময় লক্ষ টাকা মানে বিরাট অঙ্কের টাকা। কিন্তু রাধামোহনের মৃত্যুর পর হঠাৎ সঙ্কট দেখা দিল। দল বন্ধ হয়ে গেল। গোপাল তখন সেই দলের সাজপোশাক, বাদ্যযন্ত্র সব কিনে নিলেন। স্থির করলেন নতুন দল গড়বেন। বিদ্যাসুন্দর তাঁকে দিয়েছে খ্যাতি। দিয়েছে অর্থ। তাই তিনি বিদ্যাসুন্দর ছাড়তে পারবেন না। যুগ বদলাচ্ছে। যুগের প্রয়োজন মেটাতে হবে। তাই বিদ্যাসুন্দরকে ঘষেমেজে নবরূপে উপস্থাপন করা দরকার।
একটা হিসাবে দেখা যাচ্ছে ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার মোট জনসংখ্যা ছিল মাত্র বারো হাজার। আর ১৭৫০ থেকে ৬০-এর মধ্যে এই জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার এবং অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে জনসংখ্যা পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ক্রমবর্ধমান শহর। বাইরে থেকে অর্থনৈতিক কারণে আশপাশের গ্রাম থেকে এসে জুটছিল ময়রা, ধোপা, জেলে, নাপিত, দরজি। ক্রমে গড়ে ওঠে ছোট ব্যবসায়ী শ্রেণী। এদের বিনোদনের চাহিদা অন্যরকম। সেই চাহিদা কেমন, সেটা গোপাল উড়ে ভালো করেই জানতেন। তাই তিনি বিদ্যাসুন্দরকে নিয়ে গেলেন অন্যমাত্রায়। নাচে, গানে আরও সরল, আরও অপেরাধর্মী। সেই যাত্রা শুধু সাধারণ মানুষকেই নয়, মজিয়ে দিয়েছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িকেও। গোপাল উড়ের পালা দেখে ঠাকুরবাড়ি নাট্যশালা প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হয়েছিল। ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ইংরেজিতে একটা চিঠি লিখেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাতে তিনি লেখেন, ‘গোপাল উড়ের যাত্রা থেকেই আমরা থিয়েটার করার প্রেরণা পেয়েছি।’
অলংকরণ : সুব্রত মাজী
30th  March, 2019
প্রকৃত জ্ঞানীর মতোই নিরহঙ্কার এবং আড়ম্বরহীন মানুষ ছিলেন সলিলদা

প্রয়াত হলেন নাট্যব্যক্তিত্ব সলিল বন্দ্যোপাধ্যায়। উঁচুপদে চাকরির লোভ সম্বরণ করে আজীবন থিয়েটারের সেবা করে এসেছেন। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের দল ‘থিয়েট্রন’। প্রথম নাটক ‘প্রথম পার্থ’। তাঁর নির্দেশিত ‘বিসর্জন’, ‘অসংগত’, ‘খেলাঘর’ প্রভৃতি নাটকগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। স্মৃতিচারণ করলেন সংগ্রামজিৎ সেনগুপ্ত।
বিশদ

08th  June, 2019
ভালো প্রযোজনার ইচ্ছেই সম্বল

 প্রত্যন্ত একটি গ্রামে বাবা মায়ের সঙ্গে বাস অভির। একটি অখ্যাত অনামী স্কুলে অভির পড়াশোনা। কিন্তু স্কুল যাই হোক না কেন পড়াশোনায় অভি অত্যন্ত ভালো আর কৃতী ছাত্র হওয়ার সুবাদে গ্রামের মানুষ তাকে একটু অন্যরকমভাবে দেখে। অর্থাৎ ভালোছেলের মর্যাদায় ভূষিত অভি। অভির গৃহশিক্ষক (নাটকে ব্যবহৃত নাম মাস্টারমশাই) অভির আদর্শ।
বিশদ

08th  June, 2019
অন্যায় ও মনস্তত্ত্ব

  মনস্তত্ত্ব আর আবেগ দুটি অত্যন্ত জটিল বিষয়। যার ব্যাখ্যা করা সহজ নয়। কারণ এই দুটি বিষয়ের ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই যখন মানুষ ভুল করে, তখন তার কাজের একটা ব্যাখ্যা থাকে নিজের কাছে। যেটা সে অন্যদের বোঝাবার চেষ্টা করে। কিন্তু সে বুঝতে পারে না যে তার ছোট্ট একটা ভুল অন্য একজনের কত বড় ক্ষতি করে দিতে পারে।
বিশদ

08th  June, 2019
বাংলা থিয়েটারকে জাতে তুলেছিলেন রামকৃষ্ণ

তখন বাংলা থিয়েটারের অভিনেত্রীরা আসতেন পতিতালয় থেকে। ফলে সাধারণ মানুষ থিয়েটারে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বাংলা থিয়েটার সমাজে অপাংক্তেয় হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে থিয়েটারকে জাতে তোলেন রামকৃষ্ণ পরমহংস। কীভাবে, তা লিখেছেন ডা. শঙ্কর ঘোষ।
বিশদ

08th  June, 2019
পড়াশুনো না জেনেও ইংরেজিতে সংলাপ বলতেন

 যাত্রাভিনেত্রী বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  June, 2019
অন্ধ পুত্রস্নেহ আর লোভ, দুই-ই ভয়ংকর

মনুষ্যত্বের সবচেয়ে বড় প্রকাশ প্রেম, ভালোবাসা ও ক্ষমাশীলতাকে কেন্দ্র করে শতাধিক বছর আগে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় লিখেছিলেন তাঁর বিখ্যাত নাটক ‘সাজাহান’। নাটকের মধ্যে একদিকে যেমন ক্ষমতালোভী, প্রতিহিংসাপরায়ণ পুত্রের জঘন্য অপরাধ তুলে ধরা হয়, অন্যদিকে তেমনই অত্যাচারের শিকার হওয়া স্নেহশীল আবেগপ্রবণ পিতার ক্ষমাশীলতাও পরিলক্ষিত হয়।
বিশদ

01st  June, 2019
মহাকাব্যের আড়ালে

  কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এক গ্রামীন পালা। বেশ উত্তেজনাময় দৃশ্য। একদিকে ভীমের হুঙ্কার, আর অন্যদিকে দুর্যোধনের আস্ফালন। দুই মহারথীর গদাযুদ্ধের আহ্বান। দর্শকরাও বেশ উত্তেজিত। ভীম অর্থাৎ ধর্মের কাছে অধর্মের প্রতীক দুর্যোধনের বিনাশ দেখার জন্য যখন তারা উদগ্রীব, ঠিক তখনই বাঁধল গোল। বিশদ

01st  June, 2019
 বিপজ্জনক ৫০

বিশ্বজুড়ে এক অদ্ভুত আঁধার নেমে এসেছে। পরমতঅসহিষ্ণুতা, পরধর্মঅসহিষ্ণুতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গণতন্ত্রের পীঠস্থান বলে ভাবা হতো যে দেশটিকে, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের মানুষ তাদের শেষ আশ্রয়স্থল বলে ভাবত যে দেশটিকে সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অভিবাসন নীতিতে কড়া পদক্ষেপ করছে।
বিশদ

01st  June, 2019
অন্ধ পুত্রস্নেহ আর লোভ, দুই-ই ভয়ংকর

মনুষ্যত্বের সবচেয়ে বড় প্রকাশ প্রেম, ভালোবাসা ও ক্ষমাশীলতাকে কেন্দ্র করে শতাধিক বছর আগে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় লিখেছিলেন তাঁর বিখ্যাত নাটক ‘সাজাহান’।
বিশদ

25th  May, 2019
মহাকাব্যের আড়ালে

 কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এক গ্রামীন পালা। বেশ উত্তেজনাময় দৃশ্য। একদিকে ভীমের হুঙ্কার, আর অন্যদিকে দুর্যোধনের আস্ফালন। দুই মহারথীর গদাযুদ্ধের আহ্বান। দর্শকরাও বেশ উত্তেজিত। ভীম অর্থাৎ ধর্মের কাছে অধর্মের প্রতীক দুর্যোধনের বিনাশ দেখার জন্য যখন তারা উদগ্রীব, ঠিক তখনই বাঁধল গোল।
বিশদ

25th  May, 2019
পড়াশুনো না জেনেও ইংরেজিতে সংলাপ বলতেন

যাত্রাভিনেত্রী বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস। বিশদ

25th  May, 2019
 মুক্তাঙ্গনে কমেডি ড্রামা ফেস্টিভ্যাল

সম্প্রতি টালিগঞ্জ রঙ্গ ব্যঙ্গ অদ্বিতীয়ার আয়োজনে, ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক-এর আর্থিক সহায়তায় কমেডি ড্রামা ফেস্টিভ্যাল হয়ে গেল মুক্তাঙ্গনে। হাসতে ভুলে যাওয়া মানুষদের কাছে একগুচ্ছ হাসির নাট্যসম্ভার উপহার দিলেন তাঁরা। ৬ দিন ব্যাপী এই হাসির নাটকের অনুষ্ঠানে প্রতিদিন দুটি করে মজাদার কমেডি ড্রামা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিশদ

25th  May, 2019
নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মনোগ্রাহী প্রযোজনা 

গত ১৭ই এপ্রিল গিরিশ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গড়িয়া কৃষ্টি প্রযোজিত নাটক ‘কালপুরুষ’। সাতের দশকের বামপন্থী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত সমরেশ মজুমদারের কাহিনী অবলম্বনে এই নাটক।  বিশদ

18th  May, 2019
রহস্য, রোমাঞ্চ, উত্তেজনায় টানটান নাটক
 

ঝিনুকের জন্মদিনে সকলেই এসেছে। নাচ,গান পার্টি সবই হচ্ছে। তবুও ঝিনুকের মন পড়ে আছে তাঁর বাবার পথের দিকে।আজ কী উপহার আনবে তার বাবা? সকলের যখন চলে যাওয়ার সময় তখন তার বাবা, দিগন্ত পত্রনবিশ ঝিনুকের জন্য ইয়া বড় এক বাঘ নিয়ে ঢুকলেন। ঝিনুকের সে কী আনন্দ বাঘ পেয়ে!  বিশদ

18th  May, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ১১ জুন: রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতির অভিযোগ তুলে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেবে বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ...

 পবিত্র ত্রিবেদি, কলকাতা: বর্ষায় জল জমার দুর্ভোগ থেকে এবারও রেহাই মিলছে না বিধাননগর পুরসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দাদের। সল্টলেকে জল না জমলেও বিধাননগর পুরসভার বাকি অংশে এই সমস্যা এলাকাবাসীর যন্ত্রণার কারণ হয়। ...

গ্রেম স্মিথ : অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান অস্ত্র পেস বোলিং। ওভালে ভারতের বিরুদ্ধে মন্থর, ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অজিদের এই অস্ত্র কাজ করেনি। অন্য ম্যাচে ভয়ঙ্কর মূর্তিতে আবির্ভূত হলেও মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সের মতো বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর বিন্দুমাত্র ত্রাসের সঞ্চার করতে ...

বিএনএ, বাঁকুড়া: এনআরএসের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল থেকে কর্মবিরতি শুরু করলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন সকাল থেকে হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,
১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,
১৯৫৭- পাকিস্তানের ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের জন্ম,
২০০৩- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৫৮ টাকা ৮৯.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.২১ টাকা ৮০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৯১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,২৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৩/৫০ সন্ধ্যা ৬/২৭। হস্তা ১৭/১৯ দিবা ১১/৫১। সূ উ ৪/৫৫/২০, অ ৬/১৭/৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে পুনঃ ১/৪৯ গতে ৫/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ১/১২ মধ্যে, বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৫/৫৪/৩৯ রাত্রি ৭/১৭/২৫। হস্তানক্ষত্র ২০/৪৩/৩৩ দিবা ১/১২/৫৮, সূ উ ৪/৫৫/৩৩, অ ৬/১৮/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৭/১২ গতে ১/১৭/৩৭ মধ্যে, কালবেলা ৮/১৬/২২ গতে ৯/৫৬/৪৭ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬/২৩ গতে ৩/৩৫/৫৭ মধ্যে। 
৮ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: ভ্রমণ যোগ আছে। মিথুন: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকে দিনে 
বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,১৯৫৭- পাকিস্তানের ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: ৪১ রানে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া 

10:35:44 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ২৩০/৭(৪০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮) 

10:03:16 PM

 বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১৬০/৬(৩০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

09:20:41 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১১০/২(২০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

08:34:26 PM