কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
দেবিকা জানালেন, সাসটেনেবল আইটেম থেকে গয়না বানানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। ক্লে, সুতো, তুলসীর বীজ, রুদ্রাক্ষ, ঘুঙুর,কাঠের টুকরো ইত্যাদি থেকে উপাদান সংগ্রহ করেন। ডিজাইনের ক্ষেত্রে দু’জনে বসে কালার কম্বিনেশন ঠিক করেন। তারপর গয়না বানাতে শুরু করেন। কোনও পাতা দেখে হয়তো মনে হল, ক্লে দিয়ে পাতা করলে কেমন হয়? তার সঙ্গে মেলানো হল তুলসীর বীজ। এভাবে একটা শিল্প গড়ে তোলার মতোই যত্নের সঙ্গে তাঁরা কাজটা করেন।
দেবায়ন পেশায় আইনজীবী, ভালো ছবিও আঁকেন। পেন্টিংয়ে প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও নিখাদ ভালোবাসা থেকে বোনের সঙ্গে মিলে গিয়েছেন গয়না তৈরিতে। কোনও দুলের মধ্যে একটা মুখ হয়তো এঁকে দিলেন তিনি, তার আশপাশ দিয়ে ফুলের এমব্রয়ডারি করে সাজিয়ে দেওয়া হল মুখটা। কার্ডবোর্ডে কাপড় মুড়িয়ে হোয়াইট বেস করে তার মধ্যেই সূক্ষ্মভাবে পেন্টিং করেন দেবায়ন। তারপর সুতোর কাজ। প্রাথমিকভাবে তাঁরা দু’জনেই করতেন। তবে এখন আরও দু’জন আছেন এমব্রয়ডারির জন্য। ক্লে-তে পোড়ামাটির এফেক্ট দিয়ে অ্যান্টিক লুক দেওয়ার চেষ্টা করেন গয়নায়। তবে তাঁদের গয়নায় বেশি ব্যবহার হয় তুলসী বিডস। নেকপিস, দুল ছাড়াও তাঁদের ব্র্যান্ডের আরও একটি সংগ্রহ রয়েছে যা বেশ ব্যতিক্রমী— নানা শেপ ও মোটিফের ব্রোচ। একটা সময় ছিল যখন মহিলারা ব্রোচ ছাড়া শাড়ি পরার কথা ভাবতেই পারতেন না। সেই ব্রোচ আবার ফ্যাশনে এসেছে ফিরিয়া। ‘নকশা’ সুতোর নিপুণ বুননে ব্রোচে তুলে এনেছে প্রজাপতি, মথ, মাছরাঙার শেপ। যা দেখলেই নজর কাড়বে। এমব্রয়ডারি ছাড়া সংগ্রহে রয়েছে হ্যান্ড পেন্টেড ব্রোচ। দামে বেশ সস্তা।
প্রকৃতির কাছাকাছি যা কিছু, তাই দেবায়ন-দেবিকার প্রিয়। তবে হাতের সূক্ষ্ম কাজ করতে সময় লাগে, তাই তাঁরা অর্ডার অনুযায়ী গয়না বানান। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘নকশা’।