উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য, ব্যবসায় গোলোযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
‘যখন প্রথম ধরেছে কলি আমার মল্লিকাবনে...’
গুনগুন করে গাইছিল রবি। মুখে তুলে সৌরসেনী বলল, বোঝা যাচ্ছে ভালোবাসার দিন আসছে। কাল সরস্বতী পুজো। আমি তো শাড়ি পরব। তুই কি পরবি রবি?
রবির চোখে কৌতুক। ‘তুই কাল শাড়ি পরবি? কান বিশ্বাস করছে না। আজ তো ফাটা জিনস পরে...।’ কথা শেষ করতে দিল না সৌরসেনী। ‘সেই ছোটবেলা থেকে সরস্বতী পুজোর দিন শাড়ি পরছি রে। এবার তো মা লাল হলুদ কম্বিনেশনে দারুন একটা শাড়ি কিনে দিয়েছেন।’
রবি চোখ গোল গোল করে বলল, ‘তাই-ই-ই? কী শাড়ি রে?’
চোখে রোমান্স ছুঁয়ে গেল সৌরসেনীর। কাঁচা হলুদ হাতে বোনা শাড়ির ওপর লাল সাদা দক্ষিণী প্রিন্টের পাড় বসানো। আর আঁচলটা লালে সাদায় সিম্ফনি প্রিন্ট। যেন সুরলহরী নেচে বেড়াচ্ছে আঁচল জুড়ে।’
—হুম। মা সরস্বতীর ভারী পছন্দ হবে ব্যাপারটা। কিন্তু আমি কী পরি বলতো? তোর সঙ্গে রং মিলিয়ে পরতে হবে তো? যতই হোক তুই তো আমার...।’
‘থাক থাক। আর বলিস না। তুই বরং জিনসের ওপর একটা পাঞ্জাবি গলিয়ে নিস। লাল টুকটুকে চান্দেরি কটনের পাঞ্জাবি পরতে পারিস। রাউন্ড নেক, সাইড বাটন। বেশ স্মার্ট লাগবে তোকে।’
‘তথাস্তু দেবী। কিন্তু ক’দিন বাদেই তো আবার আমাদের সম্পর্ক উদ্যাপনের দিন। মানে ওই ভালোবাসার দিন আসছে যে...’
বলতে বলতে যেন স্বপ্নের জগতে চলে যাচ্ছিল রবি।
‘হোঁশ মে আ যাও বান্দা’ বলে হো হো করে হেসে উঠল সৌরসেনী। সেদিনও তুই পাঞ্জাবিই পরিস। আর আমি পরব শাড়ির মতোই একটা পোশাক। সারঙ।
‘পারিসও বটে সৌর। সারঙ! সেটা কী বস্তু রে!’ রবির অবাক দু’চোখে মজার ঝিলিক।
‘রহস্য ক্রমশ প্রকাশ্য। তবে একুটু বলি, হলুদ-কালো কম্বিনেশনে সহজ পাঠের মোটিফে তৈরি হয়েছে আমার এক্সক্লুসিভ সারঙ। চিন্তা নেই, হলুদ-কালো কাঁথাকাজ করা একটা পাঞ্জাবি কিনেছি তোর জন্যে। ভালোবাসার দিনে একরকম রঙে সাজব বলে।’
‘বুঝেছি।’ মাথা নাড়ল রবি।
‘কী বুঝেছিস?’
‘মেড ফর ইচ আদার হতে না পারি, ম্যাচ ফর ইচ আদার তো হওয়াই যায়। তাই না?’