Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। প্রথমে সাম্রাজ্য গঠন। তারপর তা ধরে রাখা। এই কাজটা আরও বেশি কঠিন। রাজার জনপ্রিয়তা লুকিয়ে থাকে বিশ্বাসে। মানুষের বিশ্বাস। প্রজা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারলেই রাজার জনপ্রিয়তা বাড়ে। দুটো মিটারই একসঙ্গে উঠবে। আর নামবেও একসঙ্গে। চব্বিশের মহারণের পর এই সারসত্যটা বোধহয় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বুঝেছেন। ভোটের ফল থেকেই তার আভাস মিলেছে। সেই ফর্মুলা কিন্তু ধরা পড়েছে সঙ্ঘের নজরেও। তাই সংগঠন এবং দলীয় প্রচারে ধীরে ধীরে বোঝা কমানো হচ্ছে মোদিজির। নিঃশব্দে। ভোটের মুখে প্রচারসভার সংখ্যা বিপুলভাবে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে, বিরোধীদের আক্রমণে বারবার তাঁর মুখ সামনে আসছে না, রণনীতি তৈরিতেও তিনি আর প্রকাশ্যে নেই। সবচেয়ে বড় কথা, নির্বাচন মাত্রই মোদি—এই মিথ সুচারুভাবে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এর সাম্প্রতিকতম প্রমাণ ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের ভোট। দুটো রাজ্যেই লক্ষ করার মতো বিষয় কী? সরকারে আসার লড়াইয়ে বিজেপি নেমেছে। মোদি নন। কোনও রাজ্যেই আর তিনি মুখ নন। অর্থাৎ, এতদিন বিজেপির হার-জিতের কৃতিত্ব বা ব্যর্থতার দায় যেভাবে নরেন্দ্র মোদির কাঁধে চাপত, তেমনটা আর হচ্ছে না। মহারাষ্ট্রে জিতলে যেমন ক্রেডিট নেবেন নীতিন গাদকারি এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। আর ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী বিকাশ প্রকল্প। কেন্দ্রীয় হতে পারে, কিন্তু পাঁচ বছর আগে থেকে শুধুমাত্র আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক দখলের লক্ষ্যে এই সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প দিয়েই ঘুঁটি সাজিয়েছিল গেরুয়া শিবির। প্রথমে ছিল মোদির প্রকল্প। এখন বিজেপির। তখনের সঙ্গে এখনের দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক। এবং এই ফারাকটা তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপির চালিকাশক্তিরাই করছে। সেইসঙ্গে হাওয়ায় বাতাসে ঘুরতে শুরু করছে মোক্ষম একটা প্রশ্ন—নরেন্দ্র মোদির অবসর কি আসন্ন?
নিয়মটা অলিখিত। কিন্তু অজ্ঞাত নয়। বরং বারবার প্রচারিত। বিজেপিতে গত ১০ বছর নাকি একটা হাওয়া ছিল... মোদিজি বললে, সেটাই নিয়ম। ঠিক যে নিয়মে লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশিদের মতো প্রথম সারির নেতাদের গ্যালারিতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বছরে একবার মোদিজি বাড়িতে গিয়ে ফুল দিয়ে আসবেন। পোজ দেবেন। ছবিও উঠবে। সবাই দেখবে, এখনকার নেতৃত্ব বর্ষীয়ানদের কতটা সম্মান করে। কিন্তু লক্ষ্মণরেখাটা হল, দল ও সংগঠনে আপনারা আমন্ত্রিত। স্বাগত নন। সিলিংটা যে মোদিজি নিজেই ঠিক করেছিলেন—৭৫ বছর। আনন্দীবেন প্যাটেলকেও ৭৫ ছোঁয়া মাত্র মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয়েছিল। তাহলে মনে হতেই পারে, এবার কি নরেন্দ্র মোদি? আপ সুপ্রিমো তো এই একটি ইস্যু নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর পিছনে পড়ে আছেন। লোকসভা ভোটের প্রচারেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের লাগাতার দাবি ছিল, ‘আপনারা কার জন্য ভোট দিচ্ছেন? নরেন্দ্র মোদি? নাকি অমিত শাহ? মোদি তো আসলে অমিত শাহের জন্য ভোট চাইছেন। ১৭ সেপ্টেম্বর উনি রিটায়ার করে যাবেন। তারপর দেখবেন, হয় যোগী আদিত্যনাথ বা অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। আপনাদের কী মনে হয়, অমিত শাহ তখন মোদির গ্যারান্টি পূরণ করবেন?’ খুব ভুল জায়গায় কিন্তু তিনি আঘাত করেননি। কারণ, দেশজুড়ে মোদিজির যা বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে, অমিত শাহের তা নেই। তিনি দলে চাণক্য হতে পারেন, মানুষের কাছে রবিনহুড নন। বিরোধীদের প্রচার ও মানুষের সংশয় যত বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়েছে বিজেপির ড্যামেজ কন্ট্রোল। যে অমিত শাহ ২০১৯ সালে প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘৭৫ বছরের বেশি কেউ টিকিট পাবে না। এটা পার্টির সিদ্ধান্ত।’ তিনিই আজ বলছেন, ‘বিজেপির সংবিধানে এমন কিছু লেখা নেই। ২০২৯ সাল পর্যন্ত মোদিজিই আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। আগামী যত নির্বাচন হবে, সেই সবক’টিতে।’ সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, নেতৃত্ব তো সামনে থেকে দেয়। গত ১০ বছরে মোদিজি তেমনটাই করে এসেছেন। এখন তাহলে তার অন্যথা হচ্ছে কেন? মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড বা অন্যান্য রাজ্যের উপ নির্বাচনগুলিতে কেন তাঁকে সামনের সারিতে পাওয়া যাচ্ছে না? কেন তিনি এই সময় বিদেশ সফরে গিয়ে সেইসব দেশের সম্মান নিতে ব্যস্ত? মহারাষ্ট্র জয় কি তাঁর দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়?
বরং উল্টোটা। মহারাষ্ট্র না জিততে পারলে বিজেপির আধিপত্যে আরও এক মুঠো চোনা পড়বে। সেটা মোদি-শাহও বিলক্ষণ জানেন। ভোটের সম্পূর্ণ বোঝা যদি মোদিজিকে বইতে হয়, তার ব্যর্থতার দায়ও শুধু তাঁকেই নিতে হবে। এমনিতে বাংলা এবং দক্ষিণ ভারতে বিজেপির একের পর এক ভরাডুবি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের ধার নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তার উপর মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য হারাতে হলে সেই কালো দাগ প্রধানমন্ত্রীর লার্জার দ্যান লাইফ ইমেজের জন্য খুব একটা সুবিধের হবে না। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একটা অংশ তা একেবারেই চাইছে না। তারা জানে, মোদিজিকে যদি সঙ্ঘ সত্যিই ‘অবসর’ নিতে বাধ্য করে, তাহলে তাদের হালও ধীরে ধীরে লালকৃষ্ণ আদবানি বা যশোবন্ত সিনহাদের মতোই হবে। শুধুমাত্র মোদিজির সৌজন্যে যে ক্ষমতার অলিন্দে তারা অবাধ বিচরণ করে থাকে, সেখানে দফায় দফায় বসবে ব্যারিকেড। আর তা টপকে যাওয়ার ক্ষমতা তাদের কারও নেই। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ একেবারে অন্য নেতৃত্ব সাইডলাইনে অপেক্ষায় আছে। একটা সুযোগ মানেই তারা ঢুকে পড়বে ময়দানে। রাশ হাতে তুলে নেবে রাজনীতি নামক নক আউট গেমের। এতটুকু রেয়াত করবে না ছেঁটে ফেলতে। তাই মোদি জনতা পার্টিকে টিকিয়ে রাখতে হলে মোদিজিকেই চাই। দল আরও একবার বিজেপিতে ফিরে গেলে সমীকরণ বেসামাল হবেই। সঙ্ঘ অবশ্য এসব বোঝে না। তাদের কাছে নেতার থেকে অনেক বড় হল এজেন্ডা। নরেন্দ্র মোদি তাই দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ পর্বে এসে সেইসব এজেন্ডার সলতেতেই আগুন দিচ্ছেন। যেমন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, এক দেশ এক ভোট, হিন্দুরাষ্ট্র... এই সবই গণতন্ত্রের মোড়কে একাধিপত্য কায়েমের ব্লু-প্রিন্ট। একাধিপত্য কার? এতদিন একটিই নাম সামনে ছিল—নরেন্দ্র মোদি। এখন কিন্তু তা আর নেই। ধীরে ধীরে রং বদলাচ্ছে আবহাওয়ার। একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার এই এজেন্ডা কোনও ব্যক্তির নয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের। সাম্রাজ্য বিস্তার চলছে সেইমতো। এরপর সেন্সাস হবে, ডিলিমিটেশন, কিংবা রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন। সবেরই অভিমুখ যাবে একইদিকে—একাধিপত্যের ফর্মুলা। দেশের রাজনৈতিক ম্যাপ নিয়ে কাটাছেঁড়া হবে, ভোটব্যাঙ্ক ভাগ হবে, দুর্বল এলাকায় ব্যালান্স আনা হবে... এই সবই ফর্মুলার অঙ্গ। সেখানে নরেন্দ্র মোদি নিমিত্ত মাত্র। সঙ্ঘের আজ্ঞাবহ। তাঁর জনপ্রিয়তা এবং অথরিটি হালে পানি না পেলে সঙ্ঘ দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তিকে খুঁজে নেবে। কাজ না হলে তৃতীয়। এজেন্ডা পরিপূর্ণ করার পথে দৌড় কিন্তু থামবে না। কোনও ব্যক্তির জন্য নয়। এখানেও একটা প্রশ্ন উঠে আসছে—নরেন্দ্র মোদি ছাড়া অন্য কেউ বিজেপির মুখ হলে কি এভাবে ভোট-সাগরে বিজেপি ভাসতে পারবে? আমাদের দেশে এখনও নেতানেত্রীর মুখ দেখে ভোট হয়। কংগ্রেস তাই এত ভালো পরিস্থিতি তৈরি করা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধীর অ্যাভারেজ জনপ্রিয়তার জন্য বিপুল সংখ্যক আসন জিততে পারেনি। যেটা নরেন্দ্র মোদি বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একক ক্যারিশমায় করে থাকেন। সঙ্ঘ সেই মিথটাই ভাঙতে চাইছে। এই বদলের কর্মসূচিতে তাঁদের অস্ত্র একটাই—মেরুকরণ। মোদিকে সামনে রেখে ভারতে মেরুকরণ যদি ঠিকঠাক হয়ে যায়, তাহলে আর ব্যক্তির উপর নির্ভর না করলেও চলবে। প্লেন তখন অটো পাইলটে উড়বে। মানুষ ধর্ম নিয়ে মেতে থাকবে, আর ‘অশিক্ষার আলোয়’ দেদার চলবে ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। 
কবি রাজশেখর সম্রাট বিজয়াদিত্যকে বলেছিলেন, ‘সিংহাসন থেকে একবার মাটিতে পা ফেলেন দিকি। ওই মাটির মধ্যে জীবন-যৌবনের জাদুমন্ত্র আছে।’ কারণ তিনি বুঝেছিলেন, এই মানুষটা সত্যিকারের রাজা হতে চায়। সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখা কিংবা বাড়ানো এর লক্ষ্য নয়। তাহলেই যে সিংহাসনের অলঙ্কার ছাপিয়ে মানুষের মনে তার অধিষ্ঠান হয়। চিরকালের জন্য। শুধু মাটিতে পা রাখতে হবে। ক্ষমতা, অর্থ, অহঙ্কার বা ধর্ম-জাতপাতের জুতোয় পা গলালে সাম্রাজ্য মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, কিন্তু তার ‘দি এন্ড’ আছে। অবসরও আছে। তারপর আর কেউ সেই রাজাকে মনে রাখবে না। বিজেপি কি এমন রাজা চায়? নরেন্দ্র মোদি কি এমন রাজা হতে চান? ফটোসেশন ছাড়া মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তাঁর কোনওদিনই নেই। অবসর এড়াতে হলে ওইটে এখন বড্ড প্রয়োজন। মন কি বাত বলা নয়, বরং শোনা। ‘ত্যাজিয়ে সোনার গদি...।’
19th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
একনজরে
গত ৯ নভেম্বর আইএসএলে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছে ইস্ট বেঙ্গল। দীর্ঘ বিরতির পর আগামী ২৯ নভেম্বর সাউল, ক্লেটনদের প্রতিপক্ষ নর্থইস্ট ইউনাইটেড। অর্থাৎ প্রায় ...

নিজের বুথে দলকে জেতানোর দায়িত্ব নিতে হবে। কোনও অজুহাত শোনা হবে না। দিন-রাত পড়ে থাকতে হবে বুথ আঁকড়ে। মাদারিহাটে বিজেপির ‘গড়’ ভাঙতে কর্মীদের এমনই নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তাতেই হল বাজিমাত। ...

শনিবার ৩৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং (এনআইওএস)। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ...

কসবা রোডের এক বহুতলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক অশীতিপরের। তাঁর নাম প্রভারানি বসাক (৮৯)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ফ্ল্যাট থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই বৃদ্ধাকে। পরে তাঁকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৪: বিশ্বখ্যাত নাবিক ভাস্কোদাগামার মৃত্যু
১৬৩৯: ডেরিনিয়ার হরফ প্রথমবারের মত শুক্রগ্রহের গতিবিধি লক্ষ্য করেন।
১৭১৫: টেমস নদীর জল জমে বরফ হয়ে যায়
১৭৫৯: ভিসুভিয়াসে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়
১৮০০: ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রকৃত কর্মযাত্রার সূচনা
১৮৩১: ব্রিটিশ পদার্থ-বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে বৈদ্যুতিক আবেশ আবিষ্কার করেন
১৮৫৯: চার্লস ডারউইনের লেখা ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস’ প্রকাশিত হল
১৮৮৮: মার্কিন সাহিত্যিক ডেল কার্নেগির জন্ম
১৯২৬:পণ্ডিচেরিতে প্রতিষ্ঠিত হয় শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম
১৯৩১: অভিনেতা রবি ঘোষের জন্ম
১৯৩৫: অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের জন্ম
১৯৪৪: অভিনেতা ও পরিচালক অমল পালেকরের জন্ম
১৯৪৫: অর্থনীতিবিদ মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়ার জন্ম
১৯৫৫: ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার ইয়ান বথামের জন্ম
১৯৬১: লেখিকা এবং সমাজকর্মী অরুন্ধতী রায়ের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী সেলিনা জেটলির জন্ম
১৯৮৬: ফুটবলার সুব্রত পালের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪। নবমী ৪০/৫৩ রাত্রি ১০/২০। পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্র ৪০/৪৫ রাত্রি ১০/১৭। সূর্যোদয় ৫/৫৯/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৮/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/৩৬ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২১ গতে ৪/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/৪০ মধ্যে। 
৮ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪। নবমী রাত্রি ১১/৫৮। পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৪০। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ গতে ৯/৫ মধ্যে ও ১১/৫৪ গতে ২/৪৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১২/০ গতে ১/৪৭ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৬/২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৬ গতে ৪/৮ মধ্যে। বারবেলা ১০/৪ গতে ১২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৪ গতে ২/৪৩ মধ্যে। 
২১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বৈভব আরোরাকে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় কিনল কেকেআর

11:54:47 PM

মানব সুথারকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল গুজরাত টাইটান্স

11:05:00 PM

কার্তিকেয়া সিংকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল রাজস্থান রয়্যালস

11:04:00 PM

নিলামে আনসোল্ড রইলেন পীযূস চাওলা

11:03:00 PM

ময়াঙ্ক মার্কেণ্ডেকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল কেকেআর

11:02:00 PM

করণ শর্মাকে ৫০ লক্ষ টাকায় কিনল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

11:01:00 PM