Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। মোদির ভাবনাচিন্তার অভিনবত্ব প্রশংসার যোগ্য। তিনি অথবা তাঁর পরামর্শদাতারা সারাদিন ধরে সম্ভবত ভাবেন যে, এবার নতুন কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, যা সকলকে চমকে দেবে। আবার সবাই সেটা নিয়ে আলোচনা করবে। মোদি জওহরলাল নেহরুর তৈরি যোজনা কমিশনের নাম বদলে দিয়ে নীতি আয়োগ রেখেছেন। তিনি দিল্লির প্রশাসনিক ভবনগুলি ভেঙে দিয়ে নতুন করে গড়ে তোলার প্ল্যান নিয়েছেন। কেন্দ্রস্থল ইন্ডিয়া গেটের সামনের রাজপথকে বদলে দিয়েছেন এবং নামও পরিবর্তন করে ফেলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল বদলে যাবে। পূর্বতন সরকারের আমলে চালু থাকা নোটের উপর আচমকা নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেগুলি বদলে ফেলেছেন। নোটের রং বদলে গিয়েছে। কিন্তু বাজারে তার দাম কমে গিয়েছে মূল্যবৃদ্ধির আঁচে। পুরনো পার্লামেন্ট ভবনকে বদলে দিয়ে নতুন পার্লমেন্ট বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। এখন আবার নির্বাচন প্রক্রিয়াই বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন হবে। কিন্তু বাংলা ও বাঙালির ভাগ্যকে মোদি যেভাবে বদলে দিয়েছেন তার তুলনা হয় না। এই অভিনবত্ব সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। 
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাকে যে নানাভাবেই বঞ্চনা করা হয়েছে সেই তথ্য সর্বজনবিদিত। কংগ্রেস, জনতা, যুক্তফ্রন্ট, বিজেপি কেউই বাংলাকে ঢেলে উন্নয়নের উপহার দিয়েছে এরকম হয়নি। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বাংলার প্রতিনিধিরা ছিলেন। ভারত সরকারের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ অংশ নেওয়ার মতো বাঙালি আধিকারিকরা ছিলেন। কখনও কম। কখনও বেশি। কখনও গুরুত্বপূর্ণ। কখনও বা গুরুত্বহীন।
 কিন্তু একটানা ১০ বছর ধরে ভারত সরকারে কোনও বাঙালি পূর্ণমন্ত্রী নেই এই রেকর্ড আর কোনও প্রধানমন্ত্রীর আমলে কি হয়েছে? মনে পড়ে না। মোদি ঠিক সেটাই করে দেখিয়েছেন। ২০১৪ সালে বিজেপি সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোনও বাঙালি মন্ত্রী করা হয়নি। যাঁরাই মন্ত্রী হয়েছেন তাঁরা রাষ্ট্রমন্ত্রী। পূর্ণমন্ত্রী না হলে ভারত সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া যায় না। এই যে প্রতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়, সেই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন পূর্ণমন্ত্রীরা। পূর্ণমন্ত্রীরা সিংহভাগ ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রমন্ত্রীদের গুরুত্বই দেন না। স্বয়ং মোদি বারংবার মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, রাষ্ট্রমন্ত্রীদের দায়িত্ব দিন, তাঁদের কাছে ফাইল পাঠান, তাঁদের গুরুত্ব দিন। কিন্তু ভারত সরকারের মন্ত্রিসভায় সেই প্রথাই গড়ে ওঠেনি। 
আর ঠিক সেই কারণেই লক্ষ করা যায় যে, মোদি সরকারের অন্দরে বাংলা সম্পর্কে দরবার করা, বাংলায় কোনও প্রকল্পকে বেশি করে দেওয়া, বাংলার জন্য বিশেষ কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা অথবা নতুন  সরকারি লগ্নির ঘোষণা হয় না। এর পরোক্ষ প্রভাব হল, বৃহৎ কর্পোরেট সেক্টরও জেনে গিয়েছে যে, বাংলাকে এই সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেয় না। তাই সেইসব শিল্পমহলও বাংলায় কিছু করার আগে দশবার ভাবে। 
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার ঠিক পরেই যে প্রথম মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন জওহরলাল নেহরু, সেখানে নেহরুর চরম সমালোচক হওয়া সত্ত্বেও স্থান হয়েছিল হিন্দু মহাসভার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং ক্ষিতীশ চন্দ্র নিয়োগীর। কয়েক বছর পর তাঁরা পদত্যাগ করেন। শ্যামাপ্রসাদ ছিলেন শিল্পমন্ত্রী। 
১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। সেই নির্বাচনের পরও একক গরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সরকার গঠিত হয়। নেহরুর এই দ্বিতীয় মন্ত্রিসভাতে একজন বাঙালি পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। চারুচন্দ্র বিশ্বাস। যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। এমনকী রাজ্যসভার নেতা ছিলেন তিনি। অর্থাৎ চেয়ারম্যানের পর যেটা সর্বোচ্চ পদ। 
১৯৫৭ সালে আবার জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বেই কংগ্রেস সরকার ফিরে এল ক্ষমতায়। কিন্তু এই প্রথম পূর্ণমন্ত্রী পদে কোনও বাঙালিকে দেখা গেল না। তবে রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনজন বাঙালি রাজনীতিবিদের প্রবেশ ঘটল সেই  সরকারে। এস কে দে। অশোক সেন। হুমায়ুন কবীর। 
ঠিক পরের নির্বাচন অর্থাৎ ১৯৬২ সালে এক ধাক্কায় নেহরু মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই পূর্ণমন্ত্রী বাংলা পেয়ে গেল। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী হলেন হুমায়ুন কবীর। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অশোক কুমার সেন। এক বছরের মধ্যেই হুমায়ুন কবীরকে দেওয়া হয়েছিল পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের দায়িত্ব।
 ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনের সম্মুখীন হয়েছিলেন ১৯৬৭ সালে। সেই ১৯৬৭ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়া ইন্দিরা গান্ধীর মন্ত্রিসভায় প্রথমে বাঙালি মন্ত্রী কেউ ছিলেন না। ১৯৬৯ সালে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের পূর্ণমন্ত্রীর পদে বসেন শিক্ষাবিদ ত্রিগুণা সেন। শিক্ষামন্ত্রী, পেট্রলিয়াম মন্ত্রী, খনি মন্ত্রী। ত্রিগুণা সেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ইন্দিরা গান্ধীর মন্ত্রিসভায় ক্রমেই পরবর্তী নির্বাচনে স্থান করে নিয়েছিলেন সিদ্ধার্থশংকর রায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়রা। 
১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে পরাস্ত করে ভারতে স্বাধীনতার পর প্রথম কংগ্রেসহীন ভারত সরকার গঠন করে জনতা পার্টি। মোরারজি দেশাইয়ের আমলে কিন্তু বাঙালি পূর্ণমন্ত্রী পায়নি বাংলা। ঠিক এই পর্ব থেকেই ক্রমেই বাংলার একঝাঁক রাজনীতিবিদ জাতীয় রাজনীতি তথা দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে উঠে আসেন স্বমহিমায়। এমনকী তাঁরা কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়াতেও প্রবেশ করেন। এই তালিকায় রয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, এ বি এ গনি খান চৌধুরী, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সন্তোষমোহন দেব, অজিত পাঁজারা। অজিত পাঁজা রাজীব গান্ধীর সরকারে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন। এবং ক্রমেই প্রণববাবু, প্রিয়বাবু এবং সন্তোষমোহন দেব রাজ্য নেতা হয়েও কেন্দ্রীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে ওঠেন। 
বাঙালি পূর্ণমন্ত্রী হলে বাংলার কী লাভ হতে পারে সেই ইতিহাস বই লিখে গিয়েছেন সর্বপ্রথম এ বি এ গনি খান চৌধুরী। তাঁর রেলমন্ত্রিত্বের আমলে উজাড় করে দিয়েছেন তিনি বাংলাকে। যেমন রেলে চাকরি পেয়েছে বহু ছেলেমেয়ে, তেমনই আবার প্রকল্প ও ট্রেন। 
আর গনি খান চৌধুরীর রেকর্ডও ভেঙে দিয়ে বাংলার জন্য কল্পতরু হওয়ার উদাহরণ স্থাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে অটলবিহারী বাজপেয়ির সরকারে এবং তারপর মনমোহন সিং সরকারে দফায় দফায় রেলমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার জন্য অসংখ্য প্রকল্প এবং ট্রেন উপহার দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পর দিল্লিতে বাংলার প্রভাবশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব শূন্য। 
১০ বছর ধরে একটানা  ভারত সরকারে একজনও বাঙালি পূর্ণমন্ত্রী নেই, এরকম ৭৭ বছরের ইতিহাসে হয়নি। বঞ্চনার সেরা রেকর্ড।  ২০১৯ সালে বাংলা ১৮ জন বিজেপি এমপি উপহার দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদিকে। কিন্তু মোদি ও অমিত শাহের একবারও মনে হয়নি যে, বাংলার কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করা হোক। ২০২৪ সালেও একই প্রবণতা। ১২ জন বিজেপি এমপি। অথচ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাউকেই পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য মনে করেনি এখনও পর্যন্ত। আর তাই অনায়াসে বাংলা বঞ্চিত হয়ে চলেছে। বাংলায় বিগত ১০ বছরে কোনও বৃহৎ শিল্প লগ্নি আসেনি। নেই কোনও বড়সড় প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বৃহৎ কিছু উপহার দিয়েছে এরকম একটিও উদাহরণ নেই। এটা সবথেকে বেশি সমস্যায় ফেলেছে বঙ্গবিজেপিকেই। একজন পূর্ণমন্ত্রী হলে তাদেরও রাজনীতি করতে সুবিধা হতো। ১০ বছরে যেমন কোনও পূর্ণমন্ত্রীও নেই, তেমনই কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম ইত্যাদি সর্বভারতীয় দলগুলিতে এখন আর বাঙালি কোনও নেতা জাতীয় রাজনীতির সর্বোচ্চ স্তরে নেই। কোনও দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নীতি নির্ধারণ, সরকারকে প্রভাবিত করা, বাংলার জন্য কোনও প্রকল্প কিংবা লগ্নি আদায় করে নিয়ে আসার মতো শক্তিশালী নেতা-নেত্রী নেই। বর্তমানে এইসব দলের বাঙালি নেতানেত্রীরা নিছক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুগামী, অনুগত এবং নির্দেশ পালনকারী। নিজেদের শক্তি নেই। প্রভাব নেই। গুরুত্বও নেই। আজকের বাঙালি নেতা-নেত্রীরা শুধুই তাঁদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তুষ্ট করতে চান। 
আর তা‌ই দাদাসাহেব ফালকের নামাঙ্কিত সর্বোচ্চ মানের পুরস্কার পাওয়া  প্রাক্তন এক হিন্দি সিনেমার বাঙালি স্টার বিজেপি নেতা হয়ে গিয়ে কলকাতায় বসে অনায়াসে মঞ্চে থাকা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে খুশি করতে হিন্দি ভাষায় সংলাপ বলতে পারেন, কেটে ভাগীরথী নদীতে ভাসাব না...ভাগীরথী আমাদের মা। কেটে মাটিতে পুঁতে দেব...। এর আগে একবার ভোটের প্রাক্কালে তিনি ব্রিগেডে আর একটি জনপ্রিয় সংলাপ বলেছিলেন, আমি জাত গোখরো...এক ছোবলেই ছবি...। কিন্তু সেটা ছিল এই পুরস্কার পাওয়ার অনেক আগে। পুরস্কার পাওয়ার পর তো সেই সম্মান বহনের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। সেটাই বুঝলেন না তিনি! 
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার যে ওজন, যে সম্মান, যে ঐতিহ্য, যে আভিজাত্য সেটা বহন করার জন্যও একটি উচ্চমার্গের চিন্তাশক্তি এবং আত্মসম্মানবোধ এবং সামাজিক সংযমের প্রয়োজন হয়। যার মধ্যে বাকসংযম অন্যতম। এর আগে  কারা পেয়েছেন এই পুরস্কার?  সবথেকে বেশি পেয়েছে বাঙালিই। রাইচাঁদ বড়াল, বীরেন্দ্র নাথ সরকার, ধীরেন্দ্র নাথ গাঙ্গুলি,  কানন দেবী, পঙ্কজ মল্লিক,  হৃষিকেশ মুখার্জি, অশোক কুমার, সত্যজিৎ রায়, মান্না দে, হৃষিকেশ মুখার্জি, অশোক কুমার, সত্যজিৎ রায়, তপন সিনহা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মৃণাল সেন। এই ঐতিহ্যের শেষতম প্রতিনিধির মুখে ওই ভাষা কিন্তু বাঙালিকে দুঃখই দিয়েছে। মঞ্চে থাকা অমিত শাহ খুশি হয়েছেন কি না জানা নেই। তবে বাঙালি খুশি হয়নি। 
বাংলা অর্থবরাদ্দ পায়নি। বাংলা উন্নয়ন পায়নি। বাংলা শিল্প পায়নি। বাংলা মনোযোগ পায়নি। একটিও পূর্ণমন্ত্রক পায়নি। ১০ বছর ধরে এই প্রবণতা কি সবথেকে বড় অপমান নয়? বঙ্গবিজেপির কিন্তু এবার ভাবার সময় এসেছে যে, তাদের রাজনীতি কোনদিকে অগ্রসর হওয়া উচিত! তাদের সবথেকে বড় শত্রু তৃণমূল হতে পারে। কিন্তু তাদের অগ্রগতি ও সম্মানের সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তাদেরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যারা বাংলাকে গুরুত্বই দেয় না। 
15th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
একনজরে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে শান্তনু ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার কলকাতার বিধাননগরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ওই ব্যক্তি। ...

কাটোয়া মহকুমার সতীপীঠ গুলির সঙ্গে সংযোগ করতে উদ্যোগী হল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। শনিবার আবার কেতুগ্রামের অট্টহাস সতীপীঠে সরকারি বাস পরিষেবা চালু করল এসবিএসটিসি। কলকাতার পুণার্থীরা যাতে সতীপীঠে আসতে পারেন সে উদ্দেশ্যে এদিন অট্টহাসে বাস চালু করা হয়। ...

ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কুরাম জেলায় আলিজাই ও বাগান জনগোষ্ঠীর মধ্যে হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৭ জনের। ...

কসবা রোডের এক বহুতলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক অশীতিপরের। তাঁর নাম প্রভারানি বসাক (৮৯)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ফ্ল্যাট থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই বৃদ্ধাকে। পরে তাঁকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৪: বিশ্বখ্যাত নাবিক ভাস্কোদাগামার মৃত্যু
১৬৩৯: ডেরিনিয়ার হরফ প্রথমবারের মত শুক্রগ্রহের গতিবিধি লক্ষ্য করেন।
১৭১৫: টেমস নদীর জল জমে বরফ হয়ে যায়
১৭৫৯: ভিসুভিয়াসে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়
১৮০০: ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রকৃত কর্মযাত্রার সূচনা
১৮৩১: ব্রিটিশ পদার্থ-বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে বৈদ্যুতিক আবেশ আবিষ্কার করেন
১৮৫৯: চার্লস ডারউইনের লেখা ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস’ প্রকাশিত হল
১৮৮৮: মার্কিন সাহিত্যিক ডেল কার্নেগির জন্ম
১৯২৬:পণ্ডিচেরিতে প্রতিষ্ঠিত হয় শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম
১৯৩১: অভিনেতা রবি ঘোষের জন্ম
১৯৩৫: অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের জন্ম
১৯৪৪: অভিনেতা ও পরিচালক অমল পালেকরের জন্ম
১৯৪৫: অর্থনীতিবিদ মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়ার জন্ম
১৯৫৫: ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার ইয়ান বথামের জন্ম
১৯৬১: লেখিকা এবং সমাজকর্মী অরুন্ধতী রায়ের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী সেলিনা জেটলির জন্ম
১৯৮৬: ফুটবলার সুব্রত পালের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪। নবমী ৪০/৫৩ রাত্রি ১০/২০। পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্র ৪০/৪৫ রাত্রি ১০/১৭। সূর্যোদয় ৫/৫৯/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৮/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/৩৬ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২১ গতে ৪/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/৪০ মধ্যে। 
৮ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪। নবমী রাত্রি ১১/৫৮। পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৪০। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ গতে ৯/৫ মধ্যে ও ১১/৫৪ গতে ২/৪৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১২/০ গতে ১/৪৭ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৬/২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৬ গতে ৪/৮ মধ্যে। বারবেলা ১০/৪ গতে ১২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৪ গতে ২/৪৩ মধ্যে। 
২১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বৈভব আরোরাকে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় কিনল কেকেআর

11:54:47 PM

মানব সুথারকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল গুজরাত টাইটান্স

11:05:00 PM

কার্তিকেয়া সিংকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল রাজস্থান রয়্যালস

11:04:00 PM

নিলামে আনসোল্ড রইলেন পীযূস চাওলা

11:03:00 PM

ময়াঙ্ক মার্কেণ্ডেকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল কেকেআর

11:02:00 PM

করণ শর্মাকে ৫০ লক্ষ টাকায় কিনল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

11:01:00 PM