কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
হাওড়া পুরভবনের পিছনে ওই চত্বরেই রয়েছে কর্মীদের আবাসন। সেখানে যাওয়া-আসার জন্য সাধারণত কর্পোরেশনের মূল গেটটিই ব্যবহার করতে হয়। শুক্রবার রাতে কর্মী আবাসনের ভিতরেই একটি ঘরে বেশ কয়েকজন বহিরাগত যুবক জুয়ার আসর বসিয়েছে বলে পুলিসের কাছে খবর আসে। এরপরই সেখানে অভিযান চালায় হাওড়া থানার পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে হাওড়া থানায় নিয়ে আসা হয়। নগদ টাকার পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জুয়ার বোর্ড। ধৃতদের শনিবার হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক প্রত্যেককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেন, ‘ধৃতরা মূলত বিভিন্ন থানা এলাকার বাসিন্দা। কতদিন ধরে এখানে জুয়ার আসর চলছিল, সেখানকার কর্মীরাও এর সঙ্গে জড়িত কি না, সেসব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিক্যামেরার ফুটেজও।’
এই ঘটনায় এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। রাতে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও তাঁদের নজর এড়িয়ে কীভাবে বহিরাগতরা ঢুকছে, তা নিয়ে অন্তর্বর্তী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সুজয়বাবু বলেন, ‘রাতে যারা ডিউটি করছিলেন, প্রয়োজনে তাঁদের শো-কজ করা হবে। এ ধরনের ঘটনা কখনওই বরদাস্ত নয়।’ পুরসভার কর্মীদের একাংশ বলছে, ‘কর্পোরেশনের বহু দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রয়েছে। বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ না আটকানো গেলে আগামীতে বড়সড় চুরির ঘটনাও অস্বাভাবিক নয়।’ নিজস্ব চিত্র