কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
সামনেই বড়দিন। আর বড়দিন মানেই কেক উৎসব। কিন্তু তার বহু আগে থেকেই কেক তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। পুজোর পর থেকেই শুরু হয় ক্রিসমাস কেক বানানোর সাজসরঞ্জাম জোগাড়। এর জন্য কাজু, কিশমিশ, ক্র্যানবেরি, নানা রকমের বাদাম, চেরি সহ আরও বিভিন্ন ফল অ্যালকোহলে জারিয়ে রেখে দিতে হয়। এই জারিয়ে রাখার কাজটা যত বেশিদিন ধরে করা যায় বড়দিনের রিচ ফ্রুট কেকের স্বাদ ততই ভালো হয়। এই গোটা পদ্ধতিকে বলে কেক মিক্সিং। আগে শুধুই নামী বেকারিতে এই পদ্ধতিতে কেক বানানো হতো, এখন হোটেল রেস্তরাঁ বা কাফেতেও শীতকালীন কেক বানানোর আগে তার উপকরণগুলো অ্যালকোহলে জারিয়ে নেওয়া হয়। পুজোর পর থেকেই কলকাতার বিভিন্ন রেস্তরাঁ শুরু করে দিয়েছে কেক মিক্সিং পর্ব। একটা বড় পাত্রে রেড ও হোয়াইট ওয়াইন, পোর্ট ওয়াইন, মার্টিনি সহ আরও বিভিন্ন স্বাদের অ্যালকোহল দিয়ে দেশি বিদেশি ফলের টুকরোগুলো মাখানো হয়। সম্প্রতি কেক মিক্সিং অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল ফাইভ ডাইম রেস্তরাঁয়। এখানে ফলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ক্র্যানবেরি, চেরি, আঞ্জির, ড্রায়েড কিয়ুই, ড্রায়েড পাইন্যাপেল, অরেঞ্জ ইত্যাদি।
আওয়াধ ১৫৯০ রেস্তরাঁয় কাবাব ফেস্ট
আওয়াধ ১৫৯০ রেস্তরাঁর নামের সঙ্গেই মিশে রয়েছে মোগলাই খাবারের সুবাস। প্রতি বছর লখনউ ঘরানায় তৈরি মোগলাই খাবারের বিভিন্ন রকম উৎসবের আয়োজন করা হয় এই রেস্তরাঁয়। তারই অন্যতম কাবাব ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবের মাধ্যমে নতুন ধরনের কাবাব মেনুতে চালু করা হয়। খাবারের জনপ্রিয়তার একাংশ নির্ভর করে তার স্বাদ ও রন্ধন পদ্ধতির নতুনত্বের উপর। আওয়াধ-এর ফুড ফেস্টগুলোও এই নতুনত্ব খোঁজার উপায়। এবছর কাবাব ফেস্টে যে ধরনের কাবাব পাবেন তার মধ্যে রয়েছে তন্দুর কা ফুল, সব্জ গিলাফি কাবাব, তন্দুর কে কুম্ভ, মুর্গ ভারওয়াঁ টেংরি, কান্দাহারি মুর্গ টিক্কা,তবক মাজ, আদরক কে পাঞ্জে, গোস্ত বোটি কাবাব, গোস্ত কুবে কাবাব, ইমলি মাহি টিক্কা, ক্র্যাব শাম্মি কাবাব, আফগানি হাংসা, স্মোকড তন্দুরি কোয়েল ইত্যাদি।
তাল কুটিরে হকার্স অব সিঙ্গাপুর ফেস্ট
তাজ তাল কুটিরের বারান্দা রেস্তরাঁয় চলছে হকার্স অব সিঙ্গাপুর ফুড ফেস্ট। প্রাচ্যের খাবারের স্বাদের বাহার ও বৈচিত্র্য সর্বজনবিদিত। প্রাচ্যের খাবারের ঘরানাই একেবারে ভিন্ন। এখানে একাধারে তেল-মশলা যুক্ত খাবার যেমন পাবেন তেমনই হাল্কা পাতলা রান্নাও পাবেন। এবং সব ধরনের রান্নাই সমান মুখরোচক। প্রাচ্যের খাবারের এই বৈচিত্র্য বিশেষত ধরা পড়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরের মতো দেশে। এখানকার স্ট্রিট ফুডও খুবই সুস্বাদু। সেই ধরনের খাবার নিয়েই উৎসবের আয়োজন করেছে তাজ তাল কুটির। সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত অ্যাময় স্ট্রিট মার্কেট, ম্যাক্সওয়েল ফুড সেন্টার, তিয়ং বাহরু মার্কেট, লাউ প্যাট স্যাট ইত্যাদি থেকে খাবারের রেসিপি নিয়ে তৈরি হয়েছে মেনু। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, হেনানিজ চিকেন রাইস, নয়ন্যা রোজাক, রোতি জোন, খারিপাপ পুসিং ইত্যাদি। এই ফেস্ট চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।