Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। এমন আশঙ্কাও আছে, ২০ বছর আগে বাজপেয়ি সরকারের ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’র মর্মান্তিক পরিণতির মতো বিসর্জনের বাজনা না বেজে ওঠে ৪ জুন ফল ঘোষণার দ্বিপ্রহরে। তবু সব জেনেও সকাল বিকেল এক ডজন কিংবা তারও বেশিবার একই স্লোগান তুলছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘আব কি বার ৪০০ পার’। সজ্ঞানে সচেতনভাবে বুক চিতিয়ে। ৭৩ বছর বয়সের অদম্য জীবনীশক্তিতে ভর করে বিরোধীদের ফিনিশ করার নেশায়। উপস্থিত জনতাকেও ওই শব্দবন্ধের জাদুতে উদ্বেলিত করার চেষ্টা চলছে ষোলো আনার উপর আঠারো আনা। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, আমরা কি ‘মহামান্য’ হিটলার ও তাঁর প্রোপাগান্ডা মন্ত্রী গোয়েবলসের গন্ধ পাচ্ছি এই উচ্চকিত প্রচারে? বার বার অলীক স্বপ্নের জাল বুনে বিরোধীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া এবং শেষে মিথ্যেকে আপাত সত্যিতে বদলে প্রতিপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করাই এই কৌশলের মূল কথা। সঙ্গে ফাউ মেরুকরণ। যাতে বিপক্ষের নিশ্চিত জয়ী প্রার্থীও ভয়ে নতজানু হতে বাধ্য হন রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর আগেই!
বেকারত্ব থেকে মুক্তি নয়। মূল্যবৃদ্ধির আঁচ 
এড়িয়ে পরিত্রাণের শপথ নয়। কাজ নয়, কারখানা নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নয় গরিবের জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট আর্থিক আশ্বাসও নয়, শ্রমিক, কৃষকের দাবি পূরণ নয়, শুধু এআইয়ের (আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স) প্রসার, সঙ্গে ডিজিটাল উন্নয়নের শুকনো গ্যারান্টি ফেরি করে যাচ্ছেন সকাল বিকেল। কে না জানে, এআইয়ের দৌলতে আগামীতে চাকরির সুযোগ আরও কমবে। আইটি সেক্টর অচিরেই ধসে যাবে। চাকরি গেলে স্টার্ট আপ খুলে সফল হতে পারেন ক’জন? বেকারের কত শতাংশ? 
তবে দেশবাসী এখন গেরুয়া বাহিনীর সৌজন্যে নেশার ঘোরে। আর নেশাড়ুকে বাস্তবের কথা মনে করালে একটাই অভিব্যক্তি বেরিয়ে আসে, সব চুলোয় যাক! সেই মৌতাতেই গেরুয়া নেতারা মশগুল শুধু দেদার দল ভাঙানোয়। প্রচারে প্রতিদিন রুটিন করে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম হাওয়াই জাহাজে চেপে তাঁর মৃগয়া অভিযানে আর কোনও ইস্যু নেই, ইস্যুও সীমিত। এক চামচ পরিবারবাদ। এক চামচ কংগ্রেসকে খতম করার আস্ফালন। বিরোধীদের দুর্নীতি নিয়ে ইডি-সিবিআইয়ের চোর-পুলিস খেলা। মন্দির ও ধর্ম নামক আফিমের মিশেল এবং ব্যাগ ভর্তি গ্যারান্টির ক্লান্তিহীন পরিবেশন! সবশেষে ‘আব কি বার ৪০০ পার’! ক্লিশে শব্দবন্ধের একঘেয়ে পুনরাবৃত্তি। ব্যস মঞ্চ থেকে নেমে ধুলো উড়িয়ে অন্য কোনও রাজ্যে উড়ে যাওয়া। আবার একই স্বপ্ন ফেরি। প্রতিশ্রুতির ওই ফানুসে গরিবের পেট ভরবে তো? না সমাজে বৈষম্যই আরও প্রকট হবে বিশ্বগুরুর জি ২০-র আকাশছোঁয়া সাফল্য আর চাঁদের মাটি ছোঁয়ার অতুল কীর্তি গায়ে মেখে।
একটা জিনিস স্পষ্ট, তিনি গরিবের ঘর থেকে উঠে এসে সযত্নে গরিবকেই আঘাত করছেন। তবে তাঁর প্রোপাগান্ডা মেশিনারিকে সপ্তমে নিয়ে যাওয়ার মরিয়া প্রয়াস চালালেও বাস্তবের দেওয়াল লিখনটাও বুঝতে পারছেন হাড়ে হাড়ে। সময় যত এগচ্ছে সেই দুশ্চিন্তা থেকেই আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। তিনি বিলক্ষণ জানেন, দক্ষিণ ভারতের ১৩০টি আসনের মধ্যে মাত্র কয়েকটিতে পদ্ম ফুটিয়ে ৪০০ কেন, ২৫০ আসন জেতাও বিরাট ঝক্কির কাজ। ৬ বার কেন আরও ৬০ বার গেলেও তামিলনাড়ু ও কেরলে বিজেপির পদ্ম ফোটানো এবারও নামুমকিন। 
ভারতীয় নির্বাচনের ইতিহাস যদি ফিরে দেখি তাহলে হালে মাত্র একবারই কোনও দল ৪০০ অতিক্রম করতে পেরেছিল। সালটা ছিল ১৯৮৪। আজ থেকে ৪০ বছর আগে। নিজের বাড়িতে রক্ষীর হাতে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী খুন হওয়ার তিনমাসের মধ্যে অষ্টম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেবার। রাষ্ট্রনেত্রীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গোটা দেশে শোকের দাবানল। সরকার, বিরোধী কেউ সেই ভয়ঙ্কর অভিঘাত এড়াতে পারেননি। নেহরু-কন্যার মর্মান্তিক পরিণতির ধাক্কায় দু’চোখ বেয়ে নেমে আসা অশ্রুসজল আবেগই জনসমর্থনের সুনামিতে বদলে জাতীয় কংগ্রেসকে চারশো আসনের ম্যাজিক ফিগার পার করেছিল। সেবার সারা দেশের সঙ্গে পাঞ্জাব ও অসমে ভোট হয়নি। ওই দুই রাজ্য বাদে প্রথম দফাতেই জাতীয় কংগ্রেস পায় ৪০৪টি আসন। পরে একবছর বাদে বাকি দুই রাজ্যে ভোট হলে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪১৪-তে। তামিলনাড়ুতে সেবার কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৯ আসনের মধ্যে ৩৭টি। কেরলে ২০টির মধ্যে ১৮টি। কর্ণাটকে ২৮টি আসনের মধ্যে ২৬টি। অর্থাৎ শুধু দক্ষিণ ভারত থেকেই তারা ৮১টিরও বেশি আসনে জেতে। একমাত্র অন্ধ্রে তেলুগু দেশম ছাড়া আর কোথাও কোনও বিরোধী শক্তি দাঁত ফোটাতে পারেনি সেবার। 
অথচ বিগত ২০১৯ সালে যেবার বিজেপি ৩০৩ আসন জিতে ক্ষমতায় আসে সেবারও দক্ষিণ ভারতে তারা ১৩০টির মধ্যে ৩০টির বেশি আসন পায়নি। ওই ৩০টি আসনের মধ্যে শুধু কর্ণাটক থেকেই এসেছিল ২৫টি। ৪টি আসে তেলেঙ্গানা থেকে। তামিলনাড়ু ও কেরল থেকে প্রাপ্তি ছিল শূন্য। এবারও তামিলনাড়ু ও কেরলে শূন্যের কলঙ্ক মেটানো সম্ভব হবে কি? তেলেঙ্গানায় এখন শাসন ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে। সেখানে বিজেপির ৪টি আসন জেতাও কঠিন। নতুন ঝাঁ চকচকে সংসদের গৃহপ্রবেশে তামিল ঐতিহ্য মেনে সেঙ্গল স্থাপন, গত ২২ জানুয়ারি ঐতিহাসিক রামমন্দির উদ্বোধনের আগে তামিলনাড়ুর একের পর এক মন্দিরে সপ্তাহব্যাপী প্রধানমন্ত্রীর পুজোঅর্চনা, সবই আঞ্চলিক ভাবাবেগকে উস্কে দেওয়ারই মরিয়া চেষ্টার নামান্তর। নতুন বছরে তিনি বারবার তামিলনাড়ু ও কেরল গিয়েছেন উত্তর ভারতের কোনও রাজ্যে আসন কমে গেলে তা ক্ষতিপূরণ করার তাগিদেই। এজন্য কোয়েম্বাটোরে রোড শো পর্যন্ত করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।
তবু এতকিছু করেও কপালে চিন্তার ভাঁজ কিন্তু ঢাকতে পারছেন না নরেন্দ্র মোদি। উদ্বেগের কারণ বিহার, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, অন্ধ্র, কেরল, তামিলনাড়ু এবং অবশ্যই উত্তরপ্রদেশ। ইন্দিরার মৃত্যুর পর ভোটে কংগ্রেস সবচেয়ে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ উত্তরপ্রদেশে ৮৫টির মধ্যে ৮৩ আসনে জয়ী হয়েছিল। এখন উত্তরপ্রদেশে মোট আসন সংখ্যা কমে ৮০। ৬৫ আসন মিলবে তো বিজেপির! আরও দু’তিনটি বড় রাজ্য যেমন বিহার ও মহারাষ্ট্রের রাজনীতি এবার জটিল চেহারা নিয়েছে। মহারাষ্ট্রে গতবারের মতো ৪৮-এর মধ্যে ৪১ আসন জেতা কিংবা বিহারে ৪০-এর মধ্যে ৩৯ জেতা প্রায় অসম্ভব। দু’রাজ্যেই সিট কমতে বাধ্য। পাঞ্জাব এবারও বিজেপির উপর সদয় হবে বলে মনে হয় না। তেলেঙ্গানা একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস সুবিধাজনক অবস্থায়। কর্ণাটকে বিজেপির পক্ষে গতবারের মতো ২৫ আসন জেতা সম্ভব হবে না। আসন কমবেই। সিএএ’র প্রভাবে অসমে বিজেপির আসন ক’টা কমে তাও ভোট পণ্ডিতদের গবেষণার বিষয়। অন্ধ্রের রাজনীতি বিজেপির পক্ষে, একথা কোনও পাগলেও বলবে না। কেরল ও তামিলনাড়ুতে শূন্যেই থামতে হতে পারে আবার। 
সবচেয়ে বিস্ময়কর, পশ্চিমবঙ্গে অমিত শাহ নিজেই টার্গেট কমাচ্ছেন, ৩৫ থেকে ৩০ করেছেন নিজেই। টার্গেট কমতে কমতে আবার ২৫-এ। এখনও সব আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি। একের পর এক জেলায় প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ চরমে। 
একেই সংগঠন তলানিতে তার উপর প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভের আগুনে প্রচার বহু জায়গায় থমকে 
যাচ্ছে। অর্ধেক জেলায় বুথওয়াড়ি সংগঠন নেই। তাই বাংলায় গতবারের জেতা আসনও হাতছাড়া হওয়ার ভয় চেপে বসছে ক্রমাগত। কমতে কমতে তা কোথায় দাঁড়ায়, দু’অঙ্কের আগেই থেমে যায় কি না তা জানা যাবে ৪ জুন, তার আগে শুধু টিভির পর্দাজুড়ে আলোচনা আর আলোচনা!
তবু মোদিজি জেতেন কিংবা জেতার কথা সদর্পে বলেন, কারণ তিনি স্বপ্ন বুনতে এবং সেই খোয়াবে দেশবাসীকে বুঁদ করে দিতে জানেন। নতুন নতুন অলীক টার্গেট। একটার পর একটা। কখনও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আর্থিক শক্তি হওয়ার ঘোর। আবার কখনও রামমন্দির নির্মাণের স্বপ্ন সাকার করার দু’শো কৃতিত্ব। ৫০০ বছর পর নাকি ঘর পেলেন রাম, যা দেখেই ছুটছে ভক্তিতে গদগদ দেশবাসী। এখন আবার রামের নিজের বাড়িতে রামনবমী পালনের বর্ণাঢ্য পার্বণ পালনের অপেক্ষা, প্রথম দফার ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে। ষোলো সালে ছিল কালো টাকার লেনদেন বন্ধের হুঙ্কার, যা উপহার দিয়েছিল নোট বাতিলের ফ্লপ শো। মানুষের দুর্দশা ছাড়া বিনিময়ে আর কিচ্ছু মেলেনি। সময় যায়, স্বপ্ন বদলায়। কারণ ভোটে চাই নতুন হুজুগ। কৃষকের আয় কতগুণ হল, কে খবর রাখে আজ? বছরে দু’কোটি চাকরি হল কি না, গরিবের খাতায় টাকা ঢুকল কি না, কারও মনে নেই। হিসেব বুঝে নেওয়ার সময়ও নেই। ক্ষোভ আছে, অসন্তোষ তীব্র তবে তাকে চাপা দিতে নতুন মনোহারি আকাশকুসুম স্বপ্নও এসে গিয়েছে বাজারে। পুরনোটা হারিয়ে গিয়েছে আস্তাকুঁড়ে। গেরুয়া অভিযানে এবার হিন্দুরাষ্ট্রের অঙ্গীকার। সঙ্গে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ভোট’। ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড’। আর বিরোধীদের বেছেবেছে গারদে ভরার বর্ণময় প্রস্তুতি। তাঁর নয়া স্বপ্নকে সবাই ছুঁতে পারবেন না, সাকার হতেও দেখবেন না। অনেকেই কালের নিয়মে অতীত হয়ে যাবেন। এখন তাঁর লক্ষ্য ২০৪৭। ২৪×৭ ফর ২০৪৭। আজ যাঁরা ভোট দেবেন তাঁদের মধ্যে প্রবীণরা অনেকেই ওই পর্যন্ত বেঁচেই থাকবেন না। গোলপোস্টটা ২৩ বছর দূরে ওই কারণেই। 
তবু প্রার্থনা করি, ভারত সমৃদ্ধ হোক, প্রথম তিনটি দেশের তালিকায় স্থান পাক। শুধু এই ভোট বৈতরণী পার করার জন্য নয়, প্রকৃত অর্থেই। ৪ জুন ফল বেরলেই যেন স্বপ্ন ফেরি শেষ হয়ে না যায়। নতুন সরকারের শপথ নিয়ে মন্ত্রীসান্ত্রিরা প্রচারের প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার যেন পাঁচবছরের জন্য না ভুলে যান। স্বপ্ন সাকার করতে যেন তাঁরা প্রাণপাত করেন। 
ইতিহাস কিন্তু কোনওদিনই গোয়েবলসদের ক্ষমা করে না। মিথ্যে অভিনয়ও না-পসন্দ। নাটক ছেড়ে সবাই বাস্তবের মাটিতে আসুন, গরিবের পাশে দাঁড়ান।
14th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
চান্দা দো ধান্দা লো!
মৃণালকান্তি দাস

হেটেরো দেশের অন্যতম বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ প্রস্তুতের কাজে হায়দরাবাদের এই কোম্পানি বিশ্বেরও বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। মহারাষ্ট্র ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই বিখ্যাত কোম্পানির বিরুদ্ধে ছ’টি নোটিস জারি করেছিল। কেন জানেন?
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM