Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। ভোট ঘোষণার আগে থেকেই যিনি হুঙ্কার দিয়ে আসছিলেন, ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেককে দেখে নেবেন, তিনি রহস্যজনক কারণে লড়াইয়ের ময়দান থেকে ভ্যানিশ। শেষ পর্যন্ত লাজ রাখতে আইএসএফ একজনকে দাঁড় করিয়েছে 
বটে, তবে তিনি নৌশাদ নন, স্বল্পপরিচিত মজনু লস্কর। নৌশাদদের সঙ্গে জোট ছিন্ন (পড়ুন হানিমুন শেষ) হওয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় অনেক কেঁদেকঁকিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে সিপিএম দাঁড় করিয়েছে ছাত্র ও যুব নেতা প্রতীক উর রহমানকে। কিন্তু এত আকাশ কাঁপানো হুঙ্কারের পরও বিজেপি যেমন এখনও ডায়মন্ডহারবারে যোগ্য প্রার্থীর তালাশ চালিয়ে যাচ্ছে, তেমনই অজ্ঞাত কারণে গতবারের জেতা আসানসোল আসনটিও ফাঁকাই থেকে গিয়েছে। কেন? দলবদলু কম পড়িয়াছে! নাকি কারও আসার অপেক্ষায় দিন গুনছে গেরুয়া শিবির।
বাংলার রাজনীতি এই মুহূর্তে দু’টি মোক্ষম প্রশ্ন ঘিরে আবর্তিত। এক, বাংলায় কে কত আসন পাবে, মায় তৃণমল ক’টা আর বিজেপির প্রাপ্তিই-বা কত হতে চলেছে? এক একটি সমীক্ষক দল এক-একরকম দেখাচ্ছে। ওসবে না ভুলে ফল বেরনো পর্যন্ত অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মোদিজি ক্ষমতায় আসবেন কি না, ক্ষমতায় ফিরলে কত আসনে জিতে আসবেন, তার চেয়েও এই বঙ্গে বড় প্রশ্ন রাজ্যের ৪২ আসনের ফল কী হবে? সিপিএমের শূন্যের কলঙ্ক মুছবে কি না? দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, ক্রমাগত আস্তিন গোটানোর পরেও অভিষেকের গড়ে বিরোধীদের প্রার্থী খুঁজে পেতে এত টালবাহানা কীসের? সত্যি তাঁরা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের বিরুদ্ধে লড়ার মতো কোনও আগমার্কা সঙ্ঘী কিংবা দলবদলু নেতা পাচ্ছেন না? নাকি অভিষেকের গড়ে দাঁড়িয়ে কোনও লাভ নেই বলে এলেবেলেদের এগিয়ে দিতে গিয়েও কার্যক্ষেত্রে ঢোঁক গিলছেন। এমনও শোনা যাচ্ছে, অনেককে প্রস্তাব দিলেও এখনও বিজেপির কেউই ‘বলির বকরা’ হতে রাজি হচ্ছেন না। ডায়মন্ডহারবারে ভোট একদম শেষ পর্যায়ে ১ জুন। বিজ্ঞপ্তি জারি হতে ঢের দেরি। শেষ পর্যন্ত বিজেপি কাউকে খুঁজে পেলেও তুল্যমূল্য লড়াই কি আদৌ হবে! 
অথচ ইডি কেন শুধু বেছে বেছে চুনোপুঁটিদের দুয়ারে, তা নিয়ে বাম ডান সব দলই গত দু’বছর ধরে অহরহ চিৎকার করে আকাশ বাতাস কাঁপিয়েছে। তাঁদের একটাই দাবি, যে কোনও মূল্যে এজেন্সিকে আরও সক্রিয় হয়ে মাথার দিকে পৌঁছতে হবে। কে মাথা, কোথায় প্রমাণ, তার কোনও দিশা নেই। সবটাই হাওয়ায়। তবু কেউ কেউ এক পা এগিয়ে কালীঘাট, কেউ ডায়মন্ডহারবারের দুর্গে আঘাত হানার কথা বলেছেন, গণতান্ত্রিক দেশে যা দস্তুর। তাঁদের একটাই দাবি ছিল, দুর্নীতির গোড়ায় আঘাত হানতে হবে। ভাবটা এমন, সুযোগ পেলে এক ছুটে মাথাকে টেনে নামাবেন তাঁরা, শুধু ভোটটা আসতে দিন। কিন্তু গত একমাসের নির্বাচনী লড়াইয়ের ইতিবৃত্ত যদি খতিয়ে দেখি তাহলে বুঝতে অসুবিধা হয় না এত কিছুর পরও শুধু ইডি, সিবিআই নয়, এরাজ্যের বিরোধীদেরও মাথা পর্যন্ত পৌঁছনোর সাহস নেই। তাহলে প্রথম তালিকাতেই ডায়মন্ডহারবারে হেভিওয়েট প্রার্থী দিয়ে মোদির বিজেপি ধর্মযুদ্ধ ঘোষণা করত। ডায়মন্ডহারবারের জমি একতরফা শাসক দলকে ছেড়ে রাখতেন না। রাজ্যের বিরোধীদের আজব আশা, হাতের মোয়া পেড়ে দেবে কেন্দ্রের এজেন্সি। তাঁরা শুধু ঘোমটা খুলে ফল ভোগ করবেন আর তারিয়ে তারিয়ে মধু চাখবেন। কিন্তু ইচ্ছে আছে, সাধ্য নেই, হাওয়াই জাহাজ আছে, বন্ডের হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, কিন্তু প্রার্থী বাড়ন্ত। সংগঠন অন্ধকারে। সেই কারণেই হাল খারাপ বুঝে রায়গঞ্জ থেকে এনে গতবারের জেতা এমপিকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে অচেনা দক্ষিণ কলকাতায়। আর ডায়মন্ডহারবারের জমি খালিই রাখা হয়েছে। 
সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার, বিজেপি তিন দফাতেও ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থীই দিতে পারেনি। অথচ কখনও ২৫, কখনও ৩৫ আসন জেতার খোয়াব দেখছে। প্রধানমন্ত্রী তো পুরো ৪২ আসনই চান। কিন্তু এ কী হাল! আসানসোল গেরুয়া দলের গতবারের জেতা আসন। শুরুতেই ভোজপুরী নেতা না অভিনেতা পালিয়েছেন। তৃণমূল ভেঙে কেউ যোগ দেননি বলে সেখানেও আপাতত প্রার্থী নেই বিজেপির। উল্টে পাঁচ বছর আগে আসানসোলে যিনি জিতেছিলেন তিনিও রং বদলে আজ তৃণমূলে। 
এখনও সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি কংগ্রেস কিংবা সিপিএমও। অধিকাংশ আসনেই দুই দলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়ার লড়াই। শূন্যের কলঙ্ক মুছে দেওয়ার সংগ্রাম। ভোট শতাংশ কত দাঁড়াবে? ৬ থেকে ১৪ শতাংশ। দেওয়াল লিখন স্পষ্ট জেনেও গত একমাস ধরে জোটের জট ক্রমশ জটিল আকার নিয়েছে। পুরুলিয়ায় কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক সম্মুখসমরে। একই অবস্থা একদা বামেদের গড় কোচবিহারেও। আমরা সবাই জানি গত কয়েক বছর ধরে এরাজ্যে আইএসএফ নামক সংগঠনটি বেড়েছে। এই বাড়বাড়ন্তে প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় ও মদত দিয়েছেন সিপিএমের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। গত বিধানসভা ভোটের আগে তাঁদের নেতাকে মঞ্চে তুলে বিমান-সেলিমদের অদ্ভুত আহ্লাদও চোখ এড়ায়নি কারও। অধীরের ভাষণ থামিয়ে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয় ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা নৌশাদের দাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে। ভাবটা এমন ছিল, জোড়াফুলের মুসলিম ভোটের কারিকুরি ভ্যানিশ হয়ে যাবে অচিরেই। এখন সেই আইএসএফ ‘গুরুদক্ষিণা’ দিতে শুধু সেলিমের মুর্শিদাবাদ আসনেই প্রার্থীই দেয়নি, শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থীকে তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আলিমুদ্দিনকে বেজায় অস্বস্তিতে ফেলেছে। যাদবপুর ও ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেসকেই বড় ধাক্কা দিয়েছে। আবার বসিরহাটে সিপিএম নিরাপদ সর্দারকে দাঁড় করিয়ে সিপিআইয়ের পুরনো ঘাঁটি কেড়ে নিয়েছে।
ওই যে বললাম, এরাজ্যে বাম কংগ্রেসের লড়াই এবার দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় হওয়ার। কিন্তু যে বিজেপি বাংলা দখলের স্বপ্ন ফেরি করে বেড়াচ্ছে, পাড়ায় পাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে প্রচারে টেনে আনছে তাদেরও এত প্রার্থী সঙ্কট কেন? একাধিক জেতা আসনে পর্যন্ত প্রার্থী দিতে বিজেপি হিমশিম খেয়েছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে সেই জোড়াফুল শিবির ভেঙে আসা দলবদলুদের উপরেই ভরসা রাখতে হয়েছে। বারাকপুরের অর্জুন, উত্তর কলকাতার তাপস তো তৃণমূল ভেঙে আসা। সাময়িক আবেগে ভর করতে বসিরহাট ও কৃষ্ণনগরে একেবারে রাজনীতিতে আনকোরা অনভিজ্ঞ লোকেদের নামানো হয়েছে। সন্দেশখালির রেখা পাত্র কিংবা কৃষ্ণনগরের রাজমাতা হেরে গেলে পদ্ম পতাকা হাতে আগামী ২৬ সাল পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে থাকবেন কি না তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আবার বারাকপুরে এখনও বহু দেওয়ালে অর্জুন সিংয়ের পাশে তৃণমূলের প্রতীকই জ্বলজ্বল করছে। জয় বা পরাজয় যাই হোক, বারাকপুরে রা঩জ্যের পয়লা নম্বর বাহুবলীর দলবদলের এই রঙ্গ যে পুনরায় মঞ্চস্থ হবে না, তার গ্যারান্টি দেবে কে! বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ আর কতবার বোকা বনবেন। 
লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে গত ১৬ মার্চ। তার আগে ১০ মার্চ রাজ্যের ৪২ কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো সেনাপতি অভিষেককে পাশে নিয়ে ভরা ব্রিগেডের জনগর্জন সভায়। তৃণমূলের আগেই প্রথমে 
২০ আসনের নামের তালিকা দিলেও বেশকিছুটা থমকে ১৯ এবং শেষে দু’টি কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। তৃতীয় দফায় যে দু’টি কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি তারমধ্যে আছে গতবারের জেতা ঝাড়গ্রাম ও অনুব্রতহীন বীরভূম আসনটি। এবার তো কেষ্টদা মায় বীরভূমের বাঘ সকন্যা তিহারে। চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোরও কেউ নেই। তবু বীরভূমে প্রার্থী পেতে নাকাল হতে হল কেন? শেষে লড়াই যখন প্রায় একপেশে চেহারা নিয়েছে তখন সদ্য সরকারি চাকরি ছেড়ে আসা বিতর্কিত পুলিসকর্তাকে দাঁড় করিয়ে লজ্জা বাঁচাল বিজেপি। প্রমাণ হল, মুখে যতই বাংলা দখলের কথা বলে সর্বভারতীয় নেতৃত্ব উত্তেজিত করার চেষ্টা করুক না কেন এখনও প্রস্তুত নয় বঙ্গ বিজেপি। না আছে প্রার্থী, না আছে বুথওয়াড়ি সংগঠন। 
রাজ্যে ৮০ হাজার ৫৩০টি বুথ রয়েছে। শুধু দিল্লি থেকে হাওয়াই জাহাজে উড়ে এসে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করলেই তো আর বুথ সংগঠন হয় না। সেই কারণেই মাত্র ৪০ হাজারের মতো বুথে কমিটি তৈরি করতে পেরেছে বঙ্গ নেতৃত্ব। তাও ওদের দাবি। উত্তরবঙ্গে বুথ কমিটির অবস্থা তুলনায় ভালো হলেও দক্ষিণবঙ্গের হাল শোচনীয়। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, 
হুগলি, বীরভূম, মালদহ, মুর্শিদাবাদে সংগঠনের হাল অত্যন্ত খারাপ। বারাসত, দমদম, বরানগর, দক্ষিণ কলকাতা, পুরো দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, উলুবেড়িয়া ও হুগলির বড় অংশে কিছু নেতা থাকলেও মাঠে নেমে কাজ করার কর্মী নেই। এর উপর তীব্র আদি-নব‌্য দ্বন্দ্ব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। বহু কেন্দ্রে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ তো প্রকাশ্যে চলে আসছে। নিচুতলায় সংগঠন না থাকলে শুধু মোদির ছবি দেখিয়ে, আর গ্যারান্টি ফেরি করে যে ভোট বৈতরণী পার করা যাবে না, মানছেন গেরুয়া শিবিরের বড় অংশই। 
শেষকথা বলবে বাংলার মানুষ এবং সোয়া দু’কোটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা মহিলার পরিবার। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথীতে যাঁরা লাভবান হয়েছেন তাঁরা। অপেক্ষা ৪ জুনের ফলের। একুশ সালের ২ মে’র ফল ঘোষণার দুপুরের ‘রিপিট টেলিকাস্ট’ই যে হবে না তা কে বলতে পারে! এবারও কিন্তু বাঙালি অস্মিতারই লড়াই।
07th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
চান্দা দো ধান্দা লো!
মৃণালকান্তি দাস

হেটেরো দেশের অন্যতম বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ প্রস্তুতের কাজে হায়দরাবাদের এই কোম্পানি বিশ্বেরও বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। মহারাষ্ট্র ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই বিখ্যাত কোম্পানির বিরুদ্ধে ছ’টি নোটিস জারি করেছিল। কেন জানেন?
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

শপিং মলের পর এবার গির্জা। ফের ছুরি নিয়ে হামলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সোমবার আচমকা ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন গির্জার বিশপ সহ আরও বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। জখম ...

নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM