Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
তথাকথিত ‘তথ্য’-এর দিকটা পরিষ্কার করে বলতে চাই। মামলাগুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছ যে, তাঁরা ‘ঘুষ’ নিয়েছেন এবং তা নেওয়া হয়েছে ঘুষ দাতা বা দাতাদের অন্যায় সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে। এই মুহূর্তে এটুকুই বলা যেতে পারে যে, ‘দুর্নীতির অভিযোগ’ এবং তা ‘অপরাধ উদ্ঘাটন’-এর সমান নয়। মান্য আইনি নীতি এই যে, ‘দোষী প্রমাণিত না-হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকেই নির্দোষ বলে মনে করা হয়।’
নির্দোষ, এই অনুমানের আইনি দিক ধরেই শুরু করা যাক। একজন ব্যক্তি একটা রাজনৈতিক দলের সদস্য। সেই রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেন তার প্রার্থীরা। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের দল একজন ব্যক্তিকে আইনসভায় তাদের নেতা নির্বাচিত করে। রাজ্যপাল সেই ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান। অতঃপর, মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রীরা কার্যভার গ্রহণ করেন। কাজ শুরু করে একটি নতুন সরকার। এটা একটা চেনা চিত্রনাট্য। গত ৭৫ বছরে এইমতোই নাটক অভিনীত হয়েছে শত শত বার। এই চিত্রনাট্য ‘ওয়েস্টমিনস্টার প্রিন্সিপল’ (এটা রাজনৈতিক দিক) এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থা (এটা সাংবিধানিক দিক) মেনে রচিত।
মুখ্যমন্ত্রীকে অপসারণ
এটাই স্বতঃসিদ্ধ যে, তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্য একজন মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাধীন ব্যক্তি হতে হবে। তিনি অবশ্যই রাজ্যপালকে পরামর্শ দেবেন। তাঁকে অবশ্যই মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে হবে। মানুষের মতামত ও অভিযোগ অবশ্যই শুনতে হবে তাঁকে। তাঁকে অবশ্যই বিধানসভায় কথা বলতে হবে এবং অন্যদের বক্তব্য শুনতে হবে। বিধানসভায় যেসব প্রস্তাব এবং বিল উত্থাপিত হয় তার উপর তাঁকে অবশ্যই ভোট দিতে হবে। সর্বোপরি, যেহেতু আমাদের সরকারি ব্যবস্থাদি রেকর্ড বা ফাইলের উপর ভিত্তি করে চলে, তাই সবকিছুই হতে হবে লিখিত এবং সই-স্বাক্ষর সংবলিত। যে-ব্যক্তি স্বাধীন নন, তাঁর পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ ও দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। 
একজন মুখ্যমন্ত্রীকে পরাজিত করার এবং অপসারণের অনেক উপায় রয়েছে। একজন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলকে হারাবার উপায় হল নির্বাচন। পাঁচ বছরে একবার কিংবা তারও আগে এমন নির্বাচনগুলি অনুষ্ঠিত হয়। আর সংসদীয় উপায় হল বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব (মোশান অব নো কনফিডেন্স) পাস করা অথবা অর্থ বিল কিংবা পলিসি সংক্রান্ত কোনও গুরুত্বপূর্ণ ‘মোশান’ প্রত্যাখ্যাত হওয়া। সংখ্যাগরিষ্ঠরা জয়ী হবে উভয় ক্ষেত্রেই। মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য, রাজনৈতিক দলগুলি এর পাশাপাশি একাধিক অসৎ উপায়ও আবিষ্কার করেছে। ‘অপারেশন লোটাস’ হল এমনই একটি আবিষ্কার। এই কৌশলে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বিধায়ককে ক্ষমতাসীন পার্টি থেকে পদত্যাগ বা অন্য দলে যোগদানে প্ররোচিত করা হয়। তার ফলে বিধানসভায় বেচারা শাসক দল হয়ে পড়ে সংখ্যালঘু! দলত্যাগ, দশম তফসিলের অধীনে আইনসভার একজন সদস্যের ক্ষেত্রে ‘যোগ্যতা’ খোয়ানোর শামিল। তা সত্ত্বেও, পরিণামের তোয়াক্কা না করে দশম তফসিল লঙ্ঘন করা হয়েছে।
সরকারকে অস্থির করে তোলা
মুখ্যমন্ত্রীকে অপসারণের অন্যকোনও উপায় আছে কি? আমি তো আর অন্য উপায় খুঁজে পাচ্ছি না, কিন্তু এই ক্ষেত্রে চতুর নারী-পুরুষের অবশ্য অভাব নেই। একজন মুখ্যমন্ত্রীর স্বাধীনতাহরণের ‘দৃশ্যত আইনি’ একটা উপায় তাঁরা আবিষ্কার করেছেন। যে মুখ্যমন্ত্রী টার্গেট, তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) কিংবা ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট) রুজু করবেন ওই চতুর ব্যক্তিরা। অতঃপর ওই অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব এবং গ্রেপ্তার করা হবে। সিবিআই কিছুটা সতর্ক, কিন্তু ইডির লাজলজ্জার বালাই নেই। একজন মুখ্যমন্ত্রী একবার গ্রেপ্তার হলেই তাঁর পদত্যাগের দাবিতে কিছু লোক সোচ্চার হয় অথবা সংশ্লিষ্ট রাজ্যপালের ক্ষমতা প্রয়োগে তাঁকে বরখাস্তের জন্য হল্লা জুড়ে দেয়। যুক্তি দেওয়া হয় যে মুখ্যমন্ত্রীকে অন্য অভিযুক্তদের মতো অবশ্যই আদালতে হাজিরাসহ জামিনের আবেদন করতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিসি হেফাজত কিবা বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া দরকার। তেমন আদেশের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীকেও আদালতে আপিল করতে হবে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর জামিন মঞ্জুর বা খারিজ হতে পারে। তবে একজন অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীকেও এই আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিচার চাইতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সরকারটি নড়বড়ে হয়ে যায়। খুঁড়িয়ে চলাকালে, এমন একট‍া সরকারের দ্রুত পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। বন্দি মুখ্যমন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত কোনও অন্তর্বর্তী নেতাকেও গ্রেপ্তারের হুমকি তাড়া করে বেড়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদটির জন্য পরের পর বিকল্প নেতার জোগান দেওয়া কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষেই সম্ভব নয়। দুর্নীতির অভিযোগের তাৎক্ষণিক উদ্দেশ্য হল, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে গদিচ্যুত করা, সংশ্লিষ্ট পক্ষের জন্য সেটা হাসিল হয়ে যায়।
এসব আপাতদৃষ্টিতে আইনসিদ্ধ। কিন্তু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই জিনিস অসম্মানজক ও আপত্তিকর হতে পারে। সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে বিতর্কের অবকাশ রয়ে যায়। কিন্তু আমার প্রশ্নটি একটি বৃহত্তর দিক থেকে। যে-দেশ সরকার পরিচালনার জন্য ওয়েস্টমিনস্টার মডেল গ্রহণ করেছে, সেখানে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তার ও আটক কি সাংবিধানিক নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? আজকের দিনের রাজনৈতিক ক্ষমতার দ্বারা কি সংবিধান মুছে ফেলা সম্ভব?
সংসদীয় গণতন্ত্র রক্ষা
কিছু দেশ বিদ্বেষপূর্ণ রাজনৈতিক লড়াই, বশংবদ তদন্তকারী সংস্থা এবং জামিনের প্রশ্নে আদালতগুলোর পরস্পর-বিরোধী রায়ের গুরুতর বিপদ উপলব্ধি করেছে। এজন্য তারা কর্তব্যরত রাষ্ট্রপতি বা সরকারের শীর্ষকর্তার ‘ইমিউনিটি’র জন্য একটা ধারা যোগ 
করে রেখেছে। ভারতে বিচারপতিদের ব্যাপারে 
সুপ্রিম কোর্টের একটা রায় রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, দেশের প্রধান বিচারপতি বা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির আগাম সম্মতি ছাড়া কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনওরকমের তদন্ত শুরু করা যাবে না। বলার অপেক্ষা থাকে না যে, এটার 
নিহিতার্থ হল বিচারপতিদের জন্য ‘ইমিউনিটি’রই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। 
মুখ্যমন্ত্রীদের ধরপাকড়ের এই ব্যাপারটা উল্টে গেলে কী হতো? ধরুন, একটা রাজ্য সরকার তার আঞ্চলিক এক্তিয়ারের মধ্যে একটি অপরাধের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনল এবং গ্রেপ্তারও করা হল তাঁকে! এরপর বিচারক নিয়মানুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে পুলিসি কিংবা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠালেন! এর পরিণতি ভয়াবহ এবং বিপর্যয়কর হতে বাধ্য।
কোনও ‘ইমিউনিটি’র ধারা নেই। তাই আদালতগুলোর এই অনুমান করা উচিত নয় কি—একজন প্রধানমন্ত্রী ও একজন মুখ্যমন্ত্রীর উপর যথাক্রমে লোকসভা ও বিধানসভার যতক্ষণ আস্থা (সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন) রয়েছে, ততক্ষণ ঊহ্য রয়েছে তাঁকে গ্রেপ্তার না-করারও ইমিউনিটি? এটা একটা বাস্তব সমস্যা। এর উত্তরের উপরেই নির্ভর করবে, সংসদীয় গণতন্ত্রের ওয়েস্টমিনস্টার নীতিগুলো টিকে থাকবে কি না, এবং জয় হবে কি না ভারতে সাংবিধানিক নৈতিকতার।  
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
08th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
চান্দা দো ধান্দা লো!
মৃণালকান্তি দাস

হেটেরো দেশের অন্যতম বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ প্রস্তুতের কাজে হায়দরাবাদের এই কোম্পানি বিশ্বেরও বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। মহারাষ্ট্র ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই বিখ্যাত কোম্পানির বিরুদ্ধে ছ’টি নোটিস জারি করেছিল। কেন জানেন?
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...

শপিং মলের পর এবার গির্জা। ফের ছুরি নিয়ে হামলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সোমবার আচমকা ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন গির্জার বিশপ সহ আরও বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। জখম ...

একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...

কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM