Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সঙ্ঘ নেতারা সেদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে দ্রুত আমূল সংস্কার চাই। অটলবিহারী বাজপেয়ি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তাঁর মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মুরলীমনোহর যোশি যেভাবে শিক্ষায় গৈরিকীকরণ করতে চেয়েছিলেন, মোদি জমানায় সেই পথেই হাঁটতে পরামর্শ দিয়েছিলেন আরএসএস নেতারা। উদ্দেশ্য— প্রচলিত ‘সেকুলার’ শিক্ষাব্যবস্থার ‘ভারতীয়করণ’। শিক্ষার গৈরিকীকরণের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয় সঙ্ঘ পরিচালিত ‘শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান— ন্যাস’-এর প্রেসিডেন্ট দীননাথ বাত্রার উপর। তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হয় ইতিহাস বিকৃত করার, হাতে-কলমে ইতিহাস ধ্বংস করার প্রকল্প। 
দীননাথ বাত্রা সরাসরি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত। ‘শিক্ষা বাঁচাও আন্দোলন’ নামে একটি এনজিও তৈরির মাধ্যমে দেশে শিক্ষার হাল পাল্টানোর আন্দোলনে যুক্ত। ২০১৭ সালে সেই দীননাথ বাত্রা এনসিইআরটিকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা করেছিলেন, কেন পাঠ্যক্রম থেকে রবীন্দ্রভাবনা বাদ যাওয়া উচিত। তাঁর মতে, জাতীয়তাবাদী মনোভাবের সঙ্গে খাপ খায় না রবীন্দ্রচেতনা। তাই রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত অংশ ইংরেজি পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছিল ন্যাস। রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও দীননাথের কোপে পড়েছিলেন মির্জা গালিব, চিত্রকর এম এফ হুসেন থেকে কবি রামধারী সিং দিনকর। আর পড়ুয়ারা যাতে বিশুদ্ধ হিন্দি শেখে সে জন্য পাঠ্যপুস্তক থেকে সমস্ত উর্দু, ইংরেজি বা আরবি শব্দ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন দীননাথ। বাদের তালিকায় পড়েছিলেন ‘সারে জঁহা সে আচ্ছা’ গানের স্রষ্টা উর্দু ভাষার কবি ইকবাল, ডারউইনের বিবর্তনবাদের অধ্যায়। সেই তালিকায় কোথাও নারী আন্দোলনের ইতিহাস। কোথাও বা ভারতের সামাজিক বৈষম্য। গত পাঁচ বছর ধরে সর্বত্রই এ নিয়ে চলেছে বিতর্ক।
আসলে রাষ্ট্রযন্ত্র যাঁদের হাতে, ইতিহাসের পাঠ্যসূচিতে তাঁদের রাজনৈতিক মতামত ও অভিসন্ধির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব পড়ে। এই অভিজ্ঞতা এ দেশেও নতুন নয়। স্কুলপাঠ্য ইতিহাস সংশোধন প্রকল্পটি এই অভিযানের নতুন পর্ব। এমন প্রকল্প অবশ্যম্ভাবী ছিল, কারণ ভাবী নাগরিকদের মস্তিষ্কগুলিকে দখলে আনতে পারলে সামাজিক চিন্তায় ও চেতনায় হিন্দু রাষ্ট্রের ভিত আরও অনেক বেশি জোরদার হয়ে উঠতে পারে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর এক নতুন ভারতের সূচনা হয়েছে, যেখানে মোদি-শাহকে প্রকাশ্যে বলতে শোনা গিয়েছে ৭৫ বছরের ভারতের ধারণাকে তাঁরা বদলে দিতে চান। বদলের অন্যতম হাতিয়ার পাঠ্যবই। ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে চাঁদমারি করেই তাই অমিত শাহের আস্ফালন। তিনি তো জোর গলায় বলেছিলেন, এখন আমাদের কে আটকাবে? শিক্ষায় শাসকের এই শক্তি প্রদর্শনের ফলটা ঠিক কী? শেষপর্যন্ত পড়ুয়াদের কাছে বিচ্ছিন্ন বা খণ্ডিত ইতিহাস তুলে ধরা। যে পাঠ্যসূচি যত্ন করে গঠনমূলক পদ্ধতিতে সাজানো হয়েছিল, সেখান থেকে আস্ত একটা পর্ব বাদ দেওয়া মানে ইতিহাস বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভিতকে নড়বড়ে করে দেওয়া। জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদী মাতব্বরি চালাতে চাওয়া গেরুয়া শিবির শিক্ষাকে গৈরিক করতে চেয়েছে শুরু থেকেই। বিজ্ঞান তথ্য ও তত্ত্বসাপেক্ষ, যুক্তি ও প্রমাণনির্ভর, তাতে কী! প্রাচীন শাস্ত্র বা পুরাণের আশ্চর্য বস্তু ও ঘটনা সামনে এনে প্রাণপণ প্রমাণের চেষ্টা চলেছে, তা বৈজ্ঞানিক। প্রাচীন হিন্দু ভারতে আগে থেকেই ছিল। উগ্র জাতীয়তাবাদী আবহে ভূগোলে অখণ্ড ভারতকে দেখিয়ে তা পুনরাধিকারের স্বপ্নও জাগিয়ে তোলা হয়েছে। ইতিহাসেরও করুণ দশা! শেখানো হচ্ছে মুঘল তথা ইসলামি শাসন মানেই অন্ধকার যুগ। হলদিঘাটের যুদ্ধে আসলে হিন্দু রাজপুত রানাপ্রতাপই জিতেছিলেন।
ইতিহাস এখন বাত্রা-গোত্রীয় ব্যক্তিদের কাছে এমনই একটি বিষয়, যাতে গবেষণা কিংবা অধিকার কষ্ট করে অর্জন করার আর দরকার নেই। ইতিহাস তাঁদের কাছে চর্চাযোগ্য বিদ্যা নয়, রাজনীতির উপাদান-মাত্র। বাত্রা তাই বলেছিলেন, গৈরিকীকরণের অভিযোগে তিনি বিন্দুমাত্র আহত নন। বরং গর্বিত। গোটা দেশ গৈরিকীকৃত হলে তবেই-না দেশের ভাবমূর্তি খুলবে! সেই বাত্রা-রচিত বইগুলি একটি রাজ্যে (গুজরাতে) বিদ্যালয় স্তরে চালু হয়ে গিয়েছে কবেই। রাজ্য সরকার সেগুলি অনুমোদন দিয়েছে। এমনকী বইগুলির সূচনা-পৃষ্ঠা অলঙ্কৃত করেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদির স্বাক্ষর। বইয়ের ভিতরের পৃষ্ঠায় কী কী আছে? আছে প্রাচীন ভারতের ‘ইতিহাসে’ দেবতাদের আবির্ভাব ও দেব-দানবের যুদ্ধের কথা। কিংবা প্রাচীন রাজাদের মহাড়ম্বর গো-সেবা ও গো-আরাধনা প্রথার বিস্তারিত প্রশংসা। রামায়ণের ঐতিহাসিকতা প্রমাণের চেষ্টা ইত্যাদি। ভারতীয়ত্ব যেকোনও মতেই একটি মিশ্র সংস্কৃতি নয়, বরং দেব-নন্দিত ধর্ম-সিঞ্চিত একটি অটল ও অচল সভ্যতা। এই মৌলিক তথ্যটি ছাত্রছাত্রীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত। এ কথা ঠিক, গভীরতর সমস্যা লুকিয়ে আছে আমাদের শিক্ষার, বিশেষত ইতিহাস-শিক্ষার ভুবনে। ইতিহাসকে আমরা পাঠ্যবইয়ের খোপেই পুরে রেখেছি, দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে তার সংযোগ হারিয়ে গিয়েছে। তার ফলে ইতিহাসের বিকৃতি আমাদের মনে আজ আর কোনও অভিঘাত সৃষ্টি করে না। সিনেমার পর্দায় ঐতিহাসিক কাহিনি বা চরিত্রের উপস্থাপন নিয়ে থেকে থেকেই অন্তঃসারশূন্য শোরগোল ওঠে বটে, একইসঙ্গে সমাজমাধ্যমে রকমারি বিকৃত ইতিহাস প্রচারের পিছনেও থাকে হিন্দুত্ববাদীদের অভিসন্ধি। অথবা নিখাদ অজ্ঞতার সবজান্তা আস্ফালন। ইতিহাস-বিচ্ছিন্ন সমাজে সেই সব আবর্জনার স্তূপই জ্ঞানভাণ্ডার হিসেবে স্বীকৃত হয়।
২৪ নভেম্বর ২০২২। দেশবাদী ভুলে যায়নি দিল্লির বিজ্ঞান ভবন থেকে অমিত শাহের নতুন ইতিহাস লেখার নিদান। যে ইতিহাসে লেখা হবে রামমন্দিরের কথা। ইতিহাসে থাকবে শুধুই হিন্দু রাজাদের সাহসের ইতিহাস। তাই বাদ পড়ার তালিকায় প্রথমেই মুঘলরা। এনসিইআরটি-র দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যবই থেকে ‘কিংস অ্যান্ড ক্রনিকলস: দ্য মুঘল কোর্টস’ শীর্ষক ৩১ পৃষ্ঠার একটি অধ্যায় বাদ, ছাঁটা হয়েছে অন্য একাধিক অধ্যায়ের পাঠও। এর মূল সুর অবশ্য আগেই বাঁধা হয়ে গিয়েছিল। সেই ২০০৫ সালে। অর্থাৎ আর্য সভ্যতা, বৈদিক যুগ থেকে রাজপুত পেরিয়ে মাঝের দীর্ঘ মুঘল যুগ সম্পর্কে জানা থেকে বঞ্চিত হবেন পড়ুয়ারা। গোটা মুঘল যুগ বাদ দেওয়া মানে মধ্যযুগের একটা বড় পর্ব ইতিহাস থেকে বাদ দেওয়া। যা আসলে ইতিহাসের উপর বিরাট এক কোপ। হিন্দু রাজাদের ইতিহাস পড়ুয়ারা পড়বে, কিন্তু মুঘল শাসকদের সম্পর্কে পড়বে না। কারণ পাঠক্রমের বর্তমান নিয়ন্তাদের মতে, মুঘল মানেই মুসলিম। আর মুসলিম মানেই নিষিদ্ধ। এ দেশে একাংশের ধর্মের নেশা দেখে একসময় মির্জা গালিবও লিখে গিয়েছিলেন, বেহুঁশ ধর্মপ্রচারীদের খুদা কীভাবে হুঁশে ফেরান: ‘হোশ তব আয়া যব উসনে কহা কে খুদা কিসি এক কা নহি হোতা’। হিন্দুত্বের বেহুঁশ প্রচারকদের অবশ্য এই সার সত্য বোঝানোর কেউ নেই। মোদি সরকারের প্রথম চার বছরে ১৮২টি পাঠ্যবইয়ে ১৩৩৪টি ‘পরিবর্তন’ হয়েছিল। আর গত পাঁচ বছরে স্কুলশিক্ষা সংস্কার সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছে। বার্তা পরিষ্কার, শিক্ষা ধর্মনিরপেক্ষ নয়, হিন্দুত্ববাদী হবে।
ইরফান হাবিব, শিরিন মুসভি, বরুণ দে, সতীশ চন্দ্র, নুরুল হাসান প্রমুখ ঐতিহাসিক প্রমাণ করেছেন যে ভারতের ইতিহাসে মধ্যযুগ আদৌ অন্ধকারময় ছিল না। সেখানে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, স্থাপত্য-শিল্পকলা, শাসনপদ্ধতি— অনেক ক্ষেত্রেই গৌরবোজ্জ্বল অগ্রগতি ঘটেছিল। এই তত্ত্ব মেনে নিলে আজকের শাসকের বড়ই অসুবিধে। মুঘল শাসকরা তাঁদের শাসনে যোগ্য ব্যক্তিদের উপযুক্ত মর্যাদা দিয়েছিলেন। ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয় কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আকবরের আমলে রাজস্বব্যবস্থা তথা অর্থনীতির ভারপ্রাপ্ত টোডরমল ছিলেন হিন্দু। তাঁকেই আকবর করেছিলেন মুন্সিফ-ই-দেওয়ান বা সাম্রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন ভকিল-আস-সুলতানাত বা সম্রাটের মন্ত্রণাদাতা। কতটা বিশ্বাসযোগ্যতা থাকলে কাউকে প্রশাসনে এতটা গুরুত্ব দেওয়া যায় তা একবার ভেবে দেখুন। এই ইতিহাস ছাত্রছাত্রীরা শিখলে তো তাদের একথা বোঝানো যাবে না, মুসলিম মুঘল শাসকদের হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ ছিল। যে হলদিঘাটের যুদ্ধে আকবর রানাপ্রতাপকে পরাজিত করেছিলেন সেই যুদ্ধে আকবরের প্রধান সেনাপতি ছিলেন অম্বরের রাজা মানসিংহ। আর রানাপ্রতাপের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন শের শাহের বংশধর হাকিম খান সুরি। 
একথা ছাত্রছাত্রীরা জানলে তো আর আজকের শাসকদল বলতে পারবে না, মুঘল যুগ মানেই হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্বের ইতিহাস। তাদের তো লক্ষ্য একটাই, মধ্যযুগকে অগ্রাহ্য করতে হবে, বিকৃত করতে হবে, সবকিছুর উপর হিন্দু আধিপত্য স্থাপন করতে হবে। কিন্তু এঁদের কে বোঝাবে, শিক্ষার বিপর্যয় একদিনে ধরা পড়ে না, কিন্তু গভীরে অগোচরে সমাজের বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করে।
ত্রিশের দশকের জার্মানি থেকে আজকের ভারত— জাতীয়তাবাদ কাদের শেষ আশ্রয় হয়, ইতিহাস তা বারবার দেখিয়েছে। সেই আশ্রয় শেষ পর্যন্ত পতন ডেকে আনে, তাও ইতিহাসেরই শিক্ষা। শাসকদল সেই শিক্ষা নিতে না পারলে ইতিহাস তাকে অভিশাপ দেয়— ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর অভিশাপ!
11th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
চান্দা দো ধান্দা লো!
মৃণালকান্তি দাস

হেটেরো দেশের অন্যতম বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ প্রস্তুতের কাজে হায়দরাবাদের এই কোম্পানি বিশ্বেরও বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। মহারাষ্ট্র ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই বিখ্যাত কোম্পানির বিরুদ্ধে ছ’টি নোটিস জারি করেছিল। কেন জানেন?
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...

শপিং মলের পর এবার গির্জা। ফের ছুরি নিয়ে হামলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সোমবার আচমকা ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন গির্জার বিশপ সহ আরও বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। জখম ...

একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM