Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। আবার নরেন্দ্র মোদির প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক জীবন ৩৯ বছরের। তবে তিনিও ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যুক্ত। তাঁদের দুজনেরই রাজনৈতিক সাফল্য চমকপ্রদ। তাঁরা দুজনেই একক ক্ষমতা ও শক্তিতে মাস লিডার হয়ে উঠেছেন। তাঁদের কারও উত্থানের পিছনে পারিবারিক পেডিগ্রি 
অথবা পদবির ভূমিকা ছিল না। নিজের শক্তিতেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন। তাঁরা দুজনেই বিরোধীদের কাছে ঠিক যতটা নিন্দিত, ভক্তদের কাছে ততটাই জনপ্রিয়। রাজনৈতিক জীবনের বহু উত্থান পতন চড়া‌ই উতরাই পেরিয়ে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদির কাছে অবশেষে হাজির হয়েছে ২০২৪ সাল। ভারতের দুই প্রান্ত থেকে উঠে আসা এই দুই রাজনীতিকের লড়াই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সবথেকে কৌতূহলোদ্দীপক হয়ে উঠেছে রাজনীতি এবং ইতিহাস সচেতন নাগরিক সমাজের কাছে। তাঁদের দুজনের কাছেই এই লোকসভা ভোট এক অগ্নিপরীক্ষা। 
নরেন্দ্র মোদি ১০ বছরের মধ্যে কার্যত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছেন। বলা যেতে পারে তাঁর অশ্বমেধের ঘোড়া আসছে দেখতে পেলে রাজ্যে রাজ্যে প্রতিপক্ষদের মধেয এক চরম শঙ্কার সৃষ্টি হয়। অথচ এহেন অশ্বমেধের ঘোড়া বারংবার একজন নারীর কাছে এসে থেমে যাচ্ছে, স্তিমিত হচ্ছে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট থেকে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট। চারটি বৃহৎ সংসদীয় ভোটেই মোদির প্রভাব ও জনপ্রিয়তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গরিষ্ঠতা এবং আসন সংখ্যায় পরাস্ত করতে পারেনি। ২০২৪ সালের এই লোকসভা ভোটে মোদি যদি আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনায় কম আসন পেয়েই থেমে যান, সেটা বঙ্গবিজেপির কাছে তো বটেই, মোদির কাছেও এক বড়সড় হতাশাই নিয়ে আসবে। সেই হতাশা ২০২৬ সালের জন্য তাঁর দলের পক্ষে ইতিবাচক নয়। 
বয়সে চার বছরের বড় হলেও নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক কেরিয়ারের সময়সীমা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনায় কম। ১৯৭৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজে প্রবেশ করেই ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পড়েন। ছাত্র পরিষদের নেত্রী। মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য নেত্রী হয়ে যান সাতের দশকেই। পক্ষান্তরে, ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘে যোগদান করে সামাজিক  কাজ শুরু করলেও, প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদি আসেন ১৯৮৫ সালে। তাঁকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের পক্ষ থেকে পাঠানো হয় পাঁচ বছর বয়সি একটি রাজনৈতিক দলের সংগঠনের কাজে। সেই দলের নাম ভারতীয় জনতা পার্টি। 
তার আগে কি মোদি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না? অবশ্যই ছিলেন। ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার আগে এবং পরে তিনি ছিলেন অন্যতম এক সক্রিয় সঙ্ঘ কর্মী। এমনকী জরুরি অবস্থার সময় তিনি প্রায় আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান। মাথায় পাগড়ি পরে কখনও নরেন্দ্র সিং নাম নিয়েছেন, কখনও বা প্রকাশ নাম নিয়ে পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে জেলযাত্রা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। যে ক’জন বিরোধী নেতা সেই সময় জেলের বাইরে ছিলেন তাঁদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করার কাজটিও করতেন নরেন্দ্র মোদি। সুতরাং কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য না হলেও তিনি রাজনীতির আবর্তেই ছিলেন। তবে প্রত্যক্ষভাবে ১৯৮৫ সালে বিজেপির সঙ্গী হওয়ার পর তিনি দ্রুত লালকৃষ্ণ আদবানির একটি তরুণ টিমের সদস্য হয়ে যান। ১৯৮৬ সালের পর আদবানি ঝকঝকে এবং করিতকর্মা যে যুব টিম তৈরি করেছিলেন নিজের অনুগামী হিসেছে, সেই দলে ছিলেন, অরুণ জেটলি, বেঙ্কাইয়া নাইডু, সুষমা স্বরাজ, গোবিন্দাচার্য, প্রমোদ মহাজন এবং নরেন্দ্র মোদি।
অর্থাৎ সঙ্ঘ থেকে বিজেপিতে এসেই দলের শীর্ষ নেতার নেকনজরে পড়ে যাওয়া। মোদির পরবর্তী এক দশকে শুধুই উত্থানের কাহিনি। গুজরাতে ছিলেন দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা। শংকর সিং বাঘেলা এবং কেশুভাই প্যাটেল। কিন্তু মোদি হয়ে উঠেছিলেন নিজের ক্যারিশমা আর জনপ্রিয়তা দিয়ে তৃতীয় পাওয়ার সেন্টার। তাঁর উত্থান আটকাতে এই সিনিয়র নেতারা প্রবল চেষ্টা করেছেন। দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে সাধারণ সম্পাদক করে। কিন্তু ২০০১ সালে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করে পাঠাতে হয় গুজরাতে। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। তিনি রাজনীতির কেরিয়ারে সর্বোচ্চ লক্ষ্য পূরণ করেছেন। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী হওয়া। 
অবিকল একই চিত্রনাট্য তার আগে থেকেই দেখেছে বাংলার কংগ্রেস রাজনীতি। রাজ্যে সোমেন মিত্র অথবা দিল্লিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়দের পাশাপাশি সম্পূর্ণ পৃথক এক ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের অন্দরে। কংগ্রেসের আন্দোলন মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতএব যুব কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা সকলেই মমতাপন্থী হয়ে যান।
নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? মোদি যত শক্তিশালীই হন, তিনি বিজেপির ছত্রচ্ছায়ায় থেকে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরাট ঝুঁকি নিয়ে নিজের দল গড়েছেন। এবং নতুন দল গঠনের মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যান একক ক্ষমতায়। মোদি তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পদ মমতার পাওয়া হয়নি। অন্তত এখনও পর্যন্ত! 
ভারতীয় রাজনীতিতে ৫০ বছর ধরে কোনও নারীর টিকে যাওয়া বিশেষ চোখে পড়ে না। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৫৯ সালে কংগ্রেসের সভানেত্রী পদে এসে সক্রিয়ভাবে কংগ্রেস রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন মূলত পিতার রাজনীতি ও প্রশাসনিক ছায়াসঙ্গিনী। ১৯৮৪ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কেরিয়ার ২৬ বছরের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অনেক নারী উঠে এসেছিলেন। জয়ললিতা, মায়াবতী, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, শীলা দীক্ষিত, সুষমা স্বরাজ। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। বিশেষত মায়াবতী ও জয়ললিতা প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু কালক্রমে প্রত্যেকেই বিভিন্ন কারণে আর ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে নেই। সোনিয়া গান্ধীর ১৯৯৯ সালে আগমন রাজনীতিতে। আজও তিনি সক্রিয়। কিন্তু তাঁর সময়কালে দুবার ক্ষমতায় আসা দল আজ ক্ষয়ের খাদের কিনারায়। 
 সাত বারের এমপি, একাধিকবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দুবার রেলমন্ত্রী, তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বর্তমানে তাবৎ সক্রিয় রাজনীতিকদের পার্থক্য হল, তিনি সবথেকে ভালো জানেন যে, একটি সরকার কীভাবে পরিচালিত হয়। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ 
প্রক্রিয়া কেমন। নয়ের দশক থেকে তিনি এসব সরকারের ভিতর থেকে দেখেছেন। ১০ বছর পর আজ মোদিও তাই। গুজরাত এবং ভারত সরকার পরিচালনা করে তিনিও সরকার চালানোর চাবিকাঠি জেনে গিয়েছেন। 
প্রশাসনিকভাবে এই দুজন সম্পূর্ণ সফল কি না সেই তর্ক ও বিতর্ক চলবে। তাঁদের বহু দুর্বলতা ও ব্যর্থতা রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁদেরই একমাত্র একটি ক্যাপটিভ অডিয়েন্স আছে।  ভক্ত এবং নিবেদিত ভোটার।  এই দুজন আর কাউকে দেখিয়ে ভোট 
চান না। নবীনবাবু বিজু পট্টনায়কের পুত্র। 
স্ট্যালিন করুণানিধির রেখে যাওয়া রাজ্যপাটের উত্তরাধিকার। তেজস্বী যাদব লালুপ্রসাদ যাদবের উত্তরসূরি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদিরা নিজেদের দেখিয়ে ভোট চান। তাঁরাই ক্রাউড পুলার। তাঁরাই প্রধান সেনাপতি। তাঁরাই স্টার ক্যাম্পেনার। তাঁদের কোনও হাইকমান্ড ঩নেই। তাঁরাই দল। তাঁরাই নীতি নির্ধারক। 
তাই ক্রমেই মোদি বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই সবথেকে আকর্ষক হয়ে উঠেছে ২০২৪ সালের ভোটে। ১৯৮৪ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসংখ্য পুরুষ প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করে চলেছেন। তাঁর চোখের সামনে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের বহু সেনাপতির অবসান ঘটেছে। তিনি রয়ে গিয়েছেন। অতএব তাঁকে আন্ডারএস্টিমেট করা চরম নির্বুদ্ধিতা। বারংবার সেই প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।
যে বাংলা  শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জন্মস্থান, সেখানে আজ পর্যন্ত বিজেপি এক নম্বর দল হতে পারল না, এটা বিজেপির দীর্ঘকালের এক অনুতাপ। আবার মোদি রাজ্যে রাজ্যে বিজয়কেতন উড়িয়ে চলেছেন, অথচ বাংলা নামক একটি রাজ্যের এক নারীর কাছে বারংবার থমকে যাচ্ছেন, এটাও তাঁর নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারের জন্য সম্মানহানি। বাংলা কি তাঁর অধরাই থেকে যাবে? সুতরাং তিনি সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছেন। 
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন ধরে যে শক্তি প্রদর্শন করে এসেছেন, সেটা রক্ষা করাই তাঁর চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ মোদি বনাম মমতা যুদ্ধে মমতাই জয়ী হয়েছেন বারংবার, এই ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করে যাওয়া। কিন্তু শুধুই তাই নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই লোকসভা ভোট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তাঁর প্রধান লক্ষ্য, দেশের আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি আসন পাওয়া। সেক্ষেত্রে ক্ষমতায় যেই আসুক, আগামী পাঁচ বছর জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পাবে। আর মোদির শেষ প্রচেষ্টা তাঁর অবসরের আগে একবার অন্তত যেন বাংলা জয় করা সম্ভব হয়! 
নরেন্দ্র মোদির অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াইয়ে এবার জয় কার হবে? 
12th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
চান্দা দো ধান্দা লো!
মৃণালকান্তি দাস

হেটেরো দেশের অন্যতম বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ প্রস্তুতের কাজে হায়দরাবাদের এই কোম্পানি বিশ্বেরও বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। মহারাষ্ট্র ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই বিখ্যাত কোম্পানির বিরুদ্ধে ছ’টি নোটিস জারি করেছিল। কেন জানেন?
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...

রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM