Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? উত্তরটা খুব দ্রুত খুঁজতে হয়েছিল শীর্ষ নেতৃত্বকে। অনেক হিসেব কষে কংগ্রেসের সভাপতি কামরাজ যখন ইন্দিরা গান্ধীর নাম প্রস্তাব করলেন, দলের একটা বড় অংশ বেঁকে বসতে চাইল। কামরাজ জানতেন এমনটা হবে। তাই আগে থেকেই ঘুঁটি সাজিয়ে রেখেছিলেন। দেশের অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়ার আয়োজন সেরে রেখেছিলেন কামরাজ। ফলে গুলজারিলাল নন্দাকে টপকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কুর্সি দখল করেন ইন্দিরা। গুলজারিলাল নন্দার ব্যাপারে কামরাজের ব্যাখ্যা ছিল, ‘হি উইল রুইন দ্য পার্টি’। কিন্তু ইন্দিরা-বিরোধীরা তখন কামরাজকে বলেছিলেন, ‘শি উইল রুইন দ্য কান্ট্রি’। শোনেননি কামরাজ। ইন্দিরাও জানতেন, তাঁর এই যাত্রাপথ খুব সহজ হবে না। নিজেকে জনগণের সামনে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার জন্য সবার আগে সমাধান করতে হবে খাদ্য সঙ্কটের। আর সেইসঙ্গে পাবলিককে বোঝাতে হবে, ইন্দিরা ছাড়া বিকল্প নেই। কৌশল নিলেন প্রিয়দর্শিনী—মাসে একবার করে জাতির উদ্দেশে ভাষণ... ইন্দিরার ‘মন কী বাত’।
নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়ার জন্য দিনরাত এক করে ফেলতে পারেন, ইন্দিরাকে কিন্তু তিনি মুছে ফেলতে পারেননি। পারবেনও না। প্রতি পদক্ষেপে মোদি মনে করিয়েছেন ইন্দিরাকে। এবারও তাঁর পিছনে ছুটে চলেছেন মোদি। তৃতীয় ইনিংস। তাহলেই স্পর্শ করে ফেলবেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীর রেকর্ড। তিনটি শর্ত মেনে চলতেন ইন্দিরা—১) আগ্রাসন, ২) মানুষের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে যাওয়া, ৩) পাকিস্তান বিরোধিতা। তিনি জানতেন, সরকারের যাবতীয় খামতি এই তিন ফর্মুলাই ঢেকে দেবে। নরেন্দ্র মোদি খুব ভালো শিক্ষার্থী। ইন্দিরার থেকে এগুলো সযত্নে তুলে নিয়েছেন তিনি। নিতে পারেননি একটি আদর্শ... দেশবাসী সমস্যায় পড়লে প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য তাদের পাশে দাঁড়ানো। শুধু মুখে বলে নয়, পদক্ষেপ নিয়ে। কুর্সিতে বসার পরই আকাশে কালো মেঘ হয়ে দেখা দিয়েছিল খাদ্যসঙ্কট। দেশের কোণায় কোণায় খাবারের হাহাকার, মানুষ পথে নেমে পড়ছে, শুরু হয়েছে আন্দোলন, খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে নেমে জুটছে পুলিসের গুলি। ইন্দিরা বুঝেছিলেন, বিদেশি সাহায্য না পেলে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। সেই প্রথম আমেরিকার সঙ্গে শুরু হল ভারতের হৃদ্যতা। মূল সাহায্যটা মার্কিন সরকারই করল। কিন্তু পাল্টা একটি শর্তের মাধ্যমে। মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমাতে হবে। খাদ্যসঙ্কট থেকে বাঁচার জন্য অন্য কোনও উপায় ইন্দিরার হাতে ছিল না। দেশের রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গেলেও সেই শর্তই মেনেছিলেন ইন্দিরা। ১৯৬৬ সালের ৬ জুন—ইন্দিরার ভারত ঘোষণা করল, মার্কিন ডলারের নিরিখে ৫৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন ঘটছে ভারতীয় মুদ্রার। অর্থাৎ এক মার্কিন ডলার হচ্ছে সাড়ে ৭ টাকা। ভারতীয় মুদ্রার দাম কমল, কিন্তু দুর্ভিক্ষের ভারতে খাবারের জোগান এল। 
ইন্দিরার বহু কৌশল নিখুঁত ফটোকপি করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। মন কী বাত, পাবলিককে কানেক্ট করা, একনায়কতান্ত্রিক গণতন্ত্র এবং বিরোধীদের অভিযোগ মতো ‘অঘোষিত ইমার্জেন্সি’। কিন্তু মানুষের স্বার্থে ইন্দিরা গান্ধীর মতো কোন পদক্ষেপটা নিয়েছেন মোদিজি? করোনাকালের আগে থেকেই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে দেশ। মহামারী বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ভাগ্য ফেরেনি ভারতবাসীর। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসার যে কোনও লক্ষণ নেই, সেটা রিজার্ভ ব্যাঙ্কও স্বীকার করছে। মানছেন না শুধু মোদিজি। তিনি বলে বেড়াচ্ছেন, সব নিয়ন্ত্রণে আছে। তাহলে যে মধ্যবিত্ত ১০ বছর আগে ২৮ টাকায় চাল কিনত, সেই চালই এখন তাঁকে ৬৫ টাকা কেজিতে কিনতে হয় কেন? 
জওহরলাল নেহরু তাঁর মেয়েকে জাতীয় রাজনীতিতে একটা বড়সড় ‘পুশ’ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই রকেট কিছুদূর যেতেই থমকে গিয়েছিল। ইন্দিরা জানতেন, এবার নিজস্ব জ্বালানি লাগবে। আর তার জন্য বাবার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে তাঁকে। এখানে প্রশ্ন হল, বাবার ছায়া থেকে বেরিয়ে কেন? নেহরুর লেগাসি তো চিরকাল বয়েছেন ইন্দিরা। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তাঁর সুযোগও বাবার হাত ধরে। তাহলে ছায়া থেকে বেরনো কেন? কারণ নেহরুর মৃত্যুর পর ইন্দিরা হাড়ে হাড়ে বুঝেছিলেন, শুধুমাত্র বাবার নাম থাকলেই হবে না। সেটাই বরং তাঁকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে। তাই নিজের জমি বানাতে হবে। নেহরুর জুতো থেকে পা বের করে ভাবতে হবে। সেটাই করেছিলেন ইন্দিরা। তাই যে কয়েকজন মহিলা ভারতীয় রাজনীতির ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, নিঃসন্দেহে তাঁদের প্রথম নাম ইন্দিরা।
মোদিজি কিন্তু ইন্দিরার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। বলা ভালো, আসতে চাননি। ইন্দিরার বেলায় যদি নেহরুর সিঁড়ি থাকে, মোদির জন্য লিফটের ব্যবস্থা করেছে সঙ্ঘ। তাই গোধরা কাণ্ডের পরও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়নি তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও পথ তাঁর মসৃণই ছিল। তিনি বুঝেছিলেন, সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিতে হবে। গণতন্ত্র থাকবে, কিন্তু রাশ থাকবে একজনের মুঠোয়। কোন ফর্মুলায়? ইন্দিরার। আর যদি জোটের গলায় লাগাম পরাতে হয়? তাহলে অবশ্য ইন্দিরা নন, তাঁর পুত্রবধূ... সোনিয়া গান্ধী। 
নেহরুর মৃত্যুর পর বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছিল ইন্দিরাকে নিয়ে। জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী পদে ‘ইন্দু’কে বসানোর জন্য কামরাজকে বলে গেলেও সেই পথে হাঁটেননি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি। ইন্দিরা সবটা দেখেছিলেন, বুঝেছিলেন এবং তা সত্ত্বেও বিবাদে যাননি। কোনও পক্ষ না নিয়ে শুরু করেছিলেন প্রতীক্ষা। সঠিক সময়ের। কিন্তু ইন্দিরা ভাবেননি, ৩০ বছর পর তাঁর পুত্রবধূকে নিয়েও কাটাছেঁড়া শুরু হবে। কংগ্রেসের অন্দরে। বাইরেও। একটি ইস্যু মাথাচাড়া দিয়ে কংগ্রেসকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেবে—বিদেশিনী। শাশুড়ির ভয়াবহ মৃত্যু থেকে ধাতস্থ হতে সময় লেগেছিল সোনিয়ার। কিন্তু স্বামীকেও এভাবে হারাতে হবে! দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। কয়েকদিন আগেই ২৩তম বিবাহবার্ষিকী ছিল তাঁদের। তেহরানের রেস্তরাঁয় ডিনার সেরেছিলেন দু’জন। ছেলেমেয়ে অ্যাডাল্ট হয়েছে। ছেলে হার্ভার্ড থেকে পড়াশোনা শেষ করে ফিরছে। বুড়ো হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছেন তাঁরা... সময়টা উপভোগ করছিলেন দু’জনই। এলটিটিই হানায় সেই সময় যে হঠাৎ ফুরিয়ে গেল! শরীরের টুকরোগুলো এক জায়গায় করার সময় রাজীবের হাসিমুখটা মনে পড়ছিল সোনিয়ার। ফিরে এসেছিল ছোটবেলার সেই সঙ্গী... হাঁপানি রোগটা। জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারতেন, কিন্তু যাননি। ভারতই যে তাঁর নিজের দেশ হয়ে গিয়েছিল। কংগ্রেসের সভানেত্রীর পদের জন্য তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ’৯১ সালেই। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সোনিয়া। হতে চাননি প্রধানমন্ত্রীও। সময়ের প্রয়োজন ছিল তাঁর। কয়েকটা বছর। অপেক্ষা করছিলেন তিনিও। সঠিক সময়ের। সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে যখন বিদ্রোহ বাড়ছে... একে একে দল ছাড়ছেন মাধবরাও সিন্ধিয়া, এন ডি তিওয়ারি, পি চিদম্বরমরা... হাল ধরেছিলেন তিনি। গুছিয়ে উঠতে কয়েকটা বছর। তারপর ২০০৪ সালের মাস্টারস্ট্রোক। জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনিই ছিলেন অটোমেটিক চয়েজ। কিন্তু না। প্রত্যাখ্যান করলেন সোনিয়া। চমকে উঠল গোটা বিশ্ব। মনমোহন সিংকে বসালেন ক্ষমতার মাউন্ট এভারেস্টে। দ্বিতীয়বার নারীশক্তি হল ভারতীয় রাজনীতির নেপথ্য-পরিচালক। ‘ফ্যাক্টর’ও।
কংগ্রেসে সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আঁচে আরও একজন সেই সময় দল ছেড়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবা, মা, শাশুড়ি... নামজাদা কোনও হাত তাঁর মাথায় আশীর্বাদের মতো ছিল না। বিদেশি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিও ছিল না ঝুলিতে। সামান্য নিম্নবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসা দলীয় কর্মী। সম্বল বলতে মাটির সঙ্গে যোগ, আর অসম্ভব টেনাসিটি। লেগে থাকার ক্ষমতা। শেষ না দেখা পর্যন্ত হাল ছাড়তেন না তিনি। এখনও ছাড়েন না। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে বিশ্বস্ত কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে তৈরি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস। স্বপ্ন দেখলেন, ‘সিপিএমের অপশাসন থেকে মুক্ত করব বাংলাকে’। বছরের পর বছর কেটে গেল, স্বপ্ন সফল হল না। সিপিএম একের পর এক আঁকাবাঁকা স্লোগান তৈরি করল মমতার নামে। তিনি তাও হাল ছাড়লেন না। পাঁচ বছরের মধ্যে ২৩৫ আর ৩৫-এর ফারাক ঘুচে গেল। সেই সিপিএম এখন বাংলা বিধানসভায় শূন্য। আর মমতা জাতীয় রাজনীতিতে মহিলা হিসেবে ‘তৃতীয় ফ্যাক্টর’। আজ থেকে ৩০ বছর আগে তিনি মিশে যেতেন অজানা অচেনা ভিড়ের মাঝে। আজও যান। তখনও সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর গলা গর্জে উঠত, আজও ওঠে। এখনও রাস্তার পাশে যন্ত্রণায় কাতর কোনও মুখ দেখতে পেলে গাড়ি থেমে যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। ১০ বছর বাংলার ক্ষমতায় থেকে সামাজিক সুরক্ষায় তাঁর অবদান কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ২ টাকা কেজি চাল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী। বহু বছর আগে তিনি বুঝেছিলেন, রাজনীতিতে নেতা নেত্রীদের থেকেও বড় ফ্যাক্টর ভোটার। আরও নিখুঁতভাবে বললে মহিলারা। ১৯৭১ সালে মাত্র ৪৮ শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালেই পরিসংখ্যানটা পৌঁছে গিয়েছিল ৬০ শতাংশে। আর তার জন্য দায়ী ছিলেন শুধুই ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর মৃত্যু। ১৯৯১ সালে কিন্তু আবার মহিলা ভোট নেমে গিয়েছিল ৫০ শতাংশে। ট্রেন্ডটা বদলাতে শুরু করে ২০০০ সালের পর। ২০১৪ সালে মোদি যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন, সেবার পুরুষদের ৬৭.১ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন, আর মহিলা ৬৫.৩ শতাংশ। মহিলারা যে ভোটের সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর, সেটা নরেন্দ্র মোদি বুঝেছেন একুশে বাংলার বিধানসভা ভোটের পর। শুধুমাত্র মহিলা ভোটই তাঁদের ২০০ পারের স্বপ্ন ধুলোয় মাখিয়ে দিয়েছে। তাই তিনি মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করিয়েছেন, এই ভোটের পুরো ফোকাস নিয়ে গিয়েছেন মা-বোনদের উপর। মমতার কথায় তাঁর দলের নেতারা নাক সিঁটকাতে পারেন, তাঁকে অনুসরণ করার ব্যাপারে কোনও ধন্দ তাঁরা রাখেন না। প্রকল্প থেকে আগ্রাসী প্রচার, মমতাকে আদর্শ না করলে হালে পানি পাওয়া মুশকিল। তাই মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ভিক্ষার টাকা বলেন, আর জিতে এলে ওটাই ৩ হাজার করে দেওয়ার প্রচার চালান। আম আদমি যদি প্রশ্ন করে, কোনটা মিথ্যা? তাহলে কি খুব অপরাধ হবে? মানুষ যদি মোদিজিকে জিজ্ঞেস করে গত ১০ বছরে কটা চাকরি হয়েছে, মানুষের মাথাপিছু আয় আদৌ বেড়েছে কি না, কিংবা আপনি দুটো ইনিংসে মন্দির বানানো ছাড়া আর কী করেছেন, তার উত্তর তৈরি আছে তো?
বাংলায় সভা করতে আসছেন মোদিজি। লাগাতার। তাঁর সভামঞ্চের সামনের দিকে বসানো হচ্ছে মহিলাদের, ঠিক মমতার মতো। এরপরও প্রশ্ন থাকছে—কোনটা স্বতঃস্ফূর্ত? সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁদের প্রতিনিধিকে প্রার্থী করছেন। কিন্তু ভাবছেন না মহিলা অস্ত্রে মমতা ফ্যাক্টরকে জব্দ করা যাবে তো? চেষ্টা তাঁরা করছেন। করতেই পারেন। কিন্তু ফাঁক থেকে যাবে। কারণ, খেলাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগে শুরু করে দিয়েছেন। আপনারা যখন মাঠে নামছেন, অগ্নিকন্যার তখন পিচে হাত সেট হয়ে গিয়েছে। অনুসরণ হোক বা অনুকরণ, দিনের শেষে মানুষ ভাববেই... কী পেলাম, আর কার থেকে পেলাম। 
মমতা একটা কথা বলেন, মনে করবেন ৪২টা আসনেই প্রার্থী আমি। এখন মোদিও সেই কথা বলছেন। অনুসরণ? আসলে মোদি জানেন, প্রভাব বিস্তার করতে হবে। ফর্মুলা যারই হোক না কেন। ইন্দিরা নেই, সোনিয়া অসুস্থ, বাকি থাকলেন মমতা। এই টালিচালার বাসিন্দাকে আটকাতেই হবে। তৃতীয় ইনিংসের দম্ভে তিনি কিন্তু  দেখতে পাচ্ছেন না যে, ঝড় উঠে গিয়েছে। বাংলায়। আর দিল্লিতেও। মমতা আসরে নেমে পড়েছেন। রোগজীর্ণ শরীরে ঝলসে উঠেছেন সোনিয়া গান্ধীও। এখন ফ্যাক্টর?
বিপন্ন গণতন্ত্র।
09th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
চান্দা দো ধান্দা লো!
মৃণালকান্তি দাস

হেটেরো দেশের অন্যতম বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ প্রস্তুতের কাজে হায়দরাবাদের এই কোম্পানি বিশ্বেরও বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। মহারাষ্ট্র ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই বিখ্যাত কোম্পানির বিরুদ্ধে ছ’টি নোটিস জারি করেছিল। কেন জানেন?
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...

শপিং মলের পর এবার গির্জা। ফের ছুরি নিয়ে হামলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সোমবার আচমকা ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন গির্জার বিশপ সহ আরও বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। জখম ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM