কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
বসিরহাটের সিপিএম প্রার্থী সন্দেশখালি কাণ্ডের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ নিরাপদ সর্দার। ওই ঘটনার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। কাস্তে-হাতুড়ি-তারা প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার পর তিনি সাতটি বিধানসভা এলাকাই চষে ফেলেছেন। চলছে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছোট ছোট বৈঠক। যে সব এলাকায় বামেদের সংগঠন রয়েছে, সেখানে গিয়ে কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, সিপিএমের যে সব দলীয় কার্যালয় বন্ধ ছিল, সেগুলি খোলা হয়েছে। তারা হারানো ভোট উদ্ধারে এবার মরিয়া।
সোমবার সকাল ৯টায় হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি ঘাট থেকে শামসেরনগর পর্যন্ত প্রচারের কর্মসিূচি থাকলেও তা শুরু হয় সাড়ে ১০টা নাগাদ। প্রচণ্ড গরমে ফেরিঘাটের পাশে গাছের ছায়ায় প্রার্থীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন কর্মীরা। আক্ষেপের সুরে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বললেন, প্রার্থী এত দেরি করলে এই গরমে কর্মী-সমর্থকদের আটকে রাখা মুশকিল। তবে নিরাপদ সর্দার আসা মাত্রই মানুষের ঢল নামে মিছিলে। প্রচারের শুরুতেই তৃণমূল ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রার্থী। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে সন্ত্রাস— সবকিছুই প্রচারে তুলে ধরেন নিরাপদ। তাঁকে কেউ শাঁখ, কেউ ফুল, কেউ আবার উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানালেন মহিলারা। চড়া রোদকে উপেক্ষা করেই চলতে থাকে প্রচার। দুপুরে এলাকাতেই একজনের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু জিরিয়ে নেন। বিকেলের দিকে ফের একপ্রস্থ প্রচার করেন। সন্ধ্যায় সামশেরনগরে এসে প্রচার শেষ হয়। নিরাপদ সর্দার বলেন, আমরা জিতলে গরিব মানুষ অধিকার ফিরে পাবেন। মানুষ যেভাবে আমাদের প্রচারে সাড়া দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন, তাতে আমি আশাবাদী। বিজেপি সন্দেশখালি ইস্যুকে ধরেই লোকসভা ভোট করাতে চাইছে। এটা হতে পারে না।