Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ শেখালো ঐক্যের শক্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

শাবা আহমেদের কাছে আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। পুরনো শিক্ষা। নতুন করে। তিনি শিক্ষা দেবেন বলে বলেছেন এমন নয়। খুবই স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন কথাগুলো। কিন্তু প্রতিটি বাক্যে আমরা বুঝলাম হ্যাঁ, এটাই হল সফল, সুখী আর মনের শক্তি অর্জনের চাবিকাঠি। যাঁকে তিনি এই কথাগুলো বলছিলেন, সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও আশা করা যায় শাবা আহমেদের মনের কথা শুনতে ভালোই লেগেছে। 
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন কর্মী যখন অবশেষে মুক্তি পেলেন, তখন গোটা দেশবাসী স্বস্তি পেলেন। ১৭ দিন পর খোলা আকাশের বাতাস পেলেন তাঁরা। দেশে এল দমবন্ধ করা অপেক্ষার অবসান। এই আটকে পড়া নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে বুধবার ফোনে কথা বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি ছিলেন দিল্লিতে। নিজের দপ্তরে। আর ওই কর্মীরা ছিলেন উত্তরাখণ্ডে। ফোন ছিল স্পিকারে। যাতে উভয়ের কথা সকলেই শুনতে পায়। 
প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কাছে নিজের উদ্বেগ এবং স্বস্তির বার্তা দেওয়ার পর তাঁদের মনোভাব জানতে চেয়েছিলেন। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার কর্মী ওই সুড়ঙ্গ নির্মাণে যুক্ত শাবা আহমেদ বলছিলেন, স্যার, আমরা প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যখন থেকে খাবার পাওয়া গেল পাইপের মাধ্যমে তারপর থেকে আমাদের মধ্যে কোনও ভয় ছিল না। আর স্যার, আর কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও মনোবল হারাইনি। কেন জানেন স্যার? কারণ আমরা ৪১ জন একসঙ্গে ছিলাম। এই ৪১ জন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা। ভাষা আলাদা। কিন্তু আমরা সব একজোট ছিলাম প্রতিটি মুহূর্তে। কারও কোনও সমস্যা তৈরি হলে, আমরা সবাই একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। তার পাশে দাঁড়াতাম। একসঙ্গে খাওয়ার পর রাতে টানেলের মধ্যে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতাম শরীর সুস্থ রাখার জন্য। সকালে যোগব্যায়াম করতাম। এই যে একসঙ্গে ছিলাম, এই কারণেই আমাদের মনের জোর কমেনি। 
কারা ছিলেন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ওই ৪১ জনের মধ্যে? বিহারের এই শাবা আহমেদ, উত্তরাখণ্ডের গব্বর সিং নেগি, পশ্চিমবঙ্গের জয়দেব প্রামাণিক, মনির তালুকদার, শৌভিক পাখিরা, ওড়িশার তপন মণ্ডল, ঝাড়খণ্ডের বিশ্বজিৎ কুমার...। শাবা আহমেদরা ১৭ দিন একটি পাহাড়ি এলাকায় সুড়ঙ্গের মধ্যে থেকে উপলব্ধি করেছেন যে, একতার কী শক্তি। আমরা খোলা আকাশের নীচে কিন্তু সেটা বুঝতে পারছি না। আমরা বিভাজনের ফাঁদে পা দিচ্ছি। আর রাজনৈতিক দল ধর্মীয় বিভাজনের জাল ছড়াচ্ছে বারংবার। 
শাবা আহমেদের ওই কথাগুলো শুনে আমরা বুঝতে পারছি যে, উত্তরাখণ্ডের ওই সুড়ঙ্গটি আদতে ওই ৪১ জনের কাছে একটি মিনি ভারতবর্ষ হয়ে উঠেছিল। তাঁরা একটি অন্ধকারে আটকে পড়েছিলেন। সেখানে থেকে আলোর দিকে বেরতে হবে। এই ছিল লক্ষ্য। সেই আলোর দিকে আসার লক্ষ্য পূরণ করতে সর্বাগ্রে তাঁরা সকলেই ওই মিনি ভারতবর্ষের প্রত্যেক নাগরিক স্থির করেছিলেন জাত, ধর্ম, ভাষার ব্যবধানকে সরিয়ে দিতে হবে। সকলের আগে দরকার একে অন্যের হাত ধরে থাকা। দুর্বলকে শক্তি জোগানো। শক্তিমানকে নানাভাবে সাহায্য করা। এভাবে একসঙ্গে খেয়েছেন। একসঙ্গে হেঁটেছেন। একসঙ্গে যোগব্যায়াম করেছেন। একসঙ্গে কেউ হিন্দু দেবতাকে, কেউ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন। ঐক্যই শক্তি তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন। 
এই ৪১ জন তো সুড়ঙ্গের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের বাইরে বের করে আনার অসাধ্য সাধন যাঁরা করলেন সেই র‌্যাট হোল মাইনিং শ্রমিকরা কারা? ৬ জন দিল্লির। ৬ জন উত্তরপ্রদেশের। যখন ড্রিল মেশিন ব্যর্থ হল সুড়ঙ্গ খুঁড়তে, তখন এই ৬ জনের উপর এসে দায়িত্ব পড়ল। ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সি তাঁরা। 
তাঁদের নাম ঩কি? হাসান, মুন্না কুরেশি, নাসিম মালিক, মনু কুমার, সৌরভ, যতীন কুমার, অঙ্কুর, নাসির খান, দেবেন্দ্র, ফিরোজ কুরেশি, রশিদ আনসারি এবং ইরশাদ আনসারি।  দিল্লি জল বোর্ডের কর্মী। তাঁদের কাজই হল পাইপে ঢুকে ইঁদুরের মতো মাটি খোঁড়া। 
ওই কর্মীরা বলেছেন, সাধারণ সময়ে এই কাজটি অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তো অত সময় নেওয়া যাবে না। কারণ, তাঁরা তো আর জলের পাইপ বসাচ্ছেন না। মানুষের প্রাণ রক্ষা করছেন। সুতরাং অমানুষিক পরিশ্রমে ২৭ ঘণ্টায় সাফল্য এসেছে।
আমরা নামগুলো লক্ষ্য করেছি তো? যাঁরা ভিতরে আটকে পড়েছেন! যাঁরা বাইরে থেকে রক্ষা করার কাজে নেমেছেন! আমাদের কাজী নজরুল ইসলামের কবিতাটি মনে পড়েছে তো? ‘হিন্দু না মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কাণ্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার’। এই যে ৪১ প্লাস ১২। অর্থাৎ মৃত্যুগুহায় আটক ও উদ্ধারকর্তা মোট ৫৩ জন ভারতবাসী ১৪০ কোটি দেশবাসীকে কী শিক্ষা দিলেন? সুড়ঙ্গই হোক অথবা দেশ, সঙ্কট এলে বিভাজন কাজে দেয়? নাকি ঐক্য? তাঁরা শেখালেন যেকোনও অসাধ্য সাধন করা যায় যদি দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকে। যদি মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস আর মৈত্রী থাকে। বিভাজন এলে ঘনিয়ে আসে মুষলপর্ব। যদুবংশ ধ্বংস হয়। আর ঐক্যের শক্তি চিরন্তন। 
এই সুপারহিরোদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বললেন। আমরা কি তাঁর কাছে এবার একটা কঠোর সতর্কবার্তা আশা করতে পারি না যে, ধর্মের নামে ভোট চাওয়া, ধর্মীয় প্ররোচনা দিয়ে রাজনৈতিক লাভ, দেশবাসীর মধ্যে কোনওরকম জাত পাত ধর্ম ভাষার বিভাজন, কোনওটাই সহ্য করা হবে না? কঠোর আইন এনে যে দলেরই নেতা কর্মী হোক, তাদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে? 
যতই লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে, ততই আবার বেশি করে ধর্মীয় উগ্রতা প্রবেশ করছে রাজনীতিতে। আবার রাজ্যে রাজ্যে চলছে প্রচার, হিন্দু বনাম মুসলিম। উগ্র ধর্মীয় বিভাজন অন্যতম প্রধান হাতিয়ার শুধু নয়, হয়ে উঠছে যেন ব্রহ্মাস্ত্র। অথচ ১৪০ কোটি দেশের সম্মিলিত সর্বধর্মসমন্বয়ী জনতাই যে আসল অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে তার প্রমাণ আমাদের এই আম জনতাই দিচ্ছে অবিরত।  
প্রধানমন্ত্রী আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় ছিলেন। সেকথা তিনি নিজেই বলেছেন ওই মুক্তি পাওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়। কিন্তু তাঁর অথবা তাঁর সরকারের কাছে আরও একটু সংবেদনশীল আচরণ কি কাম্য ছিল না? ৪১ জন শ্রমিক যখন সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন, তখন বেঙ্গালুরুতে গিয়ে তিনি তেজস নামক একটি ফাইটার জেটে বসে আকাশপথের অ্যাডভেঞ্চারাস উড়ানকে এয়ারফোর্সের ফুল ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় উপভোগ করছিলেন। হেলমেট হাতে ধরে দৃপ্ত পদক্ষেপে তিনি হেঁটে আসছেন ককপিটের দিকে। 
তাঁর পা দেখানো হচ্ছে ক্যামেরায়। ঠিক যেন হিন্দি সিনেমা। বাতাসের গতিতে উড়ে চলা তেজসের সিটে বসে তাঁর সেই উৎফুল্ল হাসিমুখের স্মার্ট  ভিডিও দিনভর ভারত সরকার প্রচার করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এরকম সুপারম্যান ইমেজ কেন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হল ওরকম একটি সঙ্কটময় মুহূর্তে? ওই ইভেন্ট কি পিছিয়ে দেওয়া যেত না?
ঠিক উল্টোদিকে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জনের মধ্যে অন্যতম গব্বর সিং নেগি কী বলেছিলেন আমরা মনে রাখছি তো? যখন উদ্ধারকার্যের সময় একে একে লাইন দিয়ে আটকে পড়া কর্মীদের বেরিয়ে আসতে বলা হচ্ছে বাইরে থেকে, তখন এই গব্বর সিং নেগি বলেছিলেন, আমি সবার বড়। তাই সবার শেষে বেরব। এই স্বার্থহীন অতি মানবিক আচরণ আমাদের হাই প্রোফাইল নেতাদের কাছে পাই না কেন? অবিরত নিজেদের প্রমোট করার এক অন্তহীন তাড়নায় তাঁরা দিগ্‌বিদিকজ্ঞানশূন্য কেন? টিম অথবা দেশ। লিডার কেমন হওয়া উচিত? গব্বর সিং নেগির মতো নয়? 
আমাদের বরাবর সঙ্কটের সময় পথ দেখান, শিক্ষা দেন এই ভারতের মহামানবের অত্যন্ত পিছনের সারিতে থাকা প্রান্তিক মানুষেরা। এই যেমন ধরা যাক ওই দিবারাত্রি পরিশ্রম করা র‌্যাট হোল মাইনিং করা শ্রমিকেরা। তাঁরা এই কাজটির জন্য পারিশ্রমিক নেবেন না বলেছেন! কোথা থেকে আসে এই শক্তি? ঐক্য থেকে! ভারতের চিরকালীন শক্তির নাম ঐক্য! বিভাজন নয়। 
01st  December, 2023
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
শুক্রবার বিকেল। আইফেল টাওয়ারের অদূরে হঠাৎই নজর কেড়ে নিলেন পাঞ্জাবি স্বামী-স্ত্রী। বয়স মেরেকেটে ৩০-৩৫। কাঁধে ঝোলানো এক তালবাদ্য। আর তাতেই হাতের খেল দেখাচ্ছেন তাঁরা। উপরি পাওনা অমরিন্দরের গান। খোলা গলায় তিনি ধরেছেন দালের মেহেন্দির ‘বোলো তা রা রা রা...’।  ওলিম্পিকসের ...

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুক্রবার দেখা গেল, উন্মুক্ত গেট। নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও করা হচ্ছে না তল্লাশি। ক্যাম্পাস দিয়ে অবাধে ...

আলুর দাম কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ফের এই দাবি করলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায়। শুক্রবার বণিকসভা আইসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন বাজারে হানা দিচ্ছে। ...

চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা কর পরবর্তী মুনাফা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের নিরিখে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM

উপত্যকায় ৭ সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশ, সতর্কতা জারি
ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। জম্মু এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে এক মহিলা ...বিশদ

26-07-2024 - 04:50:38 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ১ (৬৩ মিনিট)

26-07-2024 - 04:39:32 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ০ (৬১ মিনিট)

26-07-2024 - 04:36:52 PM

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে অগ্নিদগ্ধ অস্থায়ী কর্মী
কাজ চলাকালীন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানায় বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হলেন এক অস্থায়ী ...বিশদ

26-07-2024 - 04:08:05 PM