Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উত্তরকাশী সুড়ঙ্গ শেখালো ঐক্যের শক্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

শাবা আহমেদের কাছে আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। পুরনো শিক্ষা। নতুন করে। তিনি শিক্ষা দেবেন বলে বলেছেন এমন নয়। খুবই স্বাভাবিকভাবে বলছিলেন কথাগুলো। কিন্তু প্রতিটি বাক্যে আমরা বুঝলাম হ্যাঁ, এটাই হল সফল, সুখী আর মনের শক্তি অর্জনের চাবিকাঠি। যাঁকে তিনি এই কথাগুলো বলছিলেন, সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও আশা করা যায় শাবা আহমেদের মনের কথা শুনতে ভালোই লেগেছে। 
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন কর্মী যখন অবশেষে মুক্তি পেলেন, তখন গোটা দেশবাসী স্বস্তি পেলেন। ১৭ দিন পর খোলা আকাশের বাতাস পেলেন তাঁরা। দেশে এল দমবন্ধ করা অপেক্ষার অবসান। এই আটকে পড়া নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে বুধবার ফোনে কথা বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি ছিলেন দিল্লিতে। নিজের দপ্তরে। আর ওই কর্মীরা ছিলেন উত্তরাখণ্ডে। ফোন ছিল স্পিকারে। যাতে উভয়ের কথা সকলেই শুনতে পায়। 
প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কাছে নিজের উদ্বেগ এবং স্বস্তির বার্তা দেওয়ার পর তাঁদের মনোভাব জানতে চেয়েছিলেন। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার কর্মী ওই সুড়ঙ্গ নির্মাণে যুক্ত শাবা আহমেদ বলছিলেন, স্যার, আমরা প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যখন থেকে খাবার পাওয়া গেল পাইপের মাধ্যমে তারপর থেকে আমাদের মধ্যে কোনও ভয় ছিল না। আর স্যার, আর কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও মনোবল হারাইনি। কেন জানেন স্যার? কারণ আমরা ৪১ জন একসঙ্গে ছিলাম। এই ৪১ জন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা। ভাষা আলাদা। কিন্তু আমরা সব একজোট ছিলাম প্রতিটি মুহূর্তে। কারও কোনও সমস্যা তৈরি হলে, আমরা সবাই একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। তার পাশে দাঁড়াতাম। একসঙ্গে খাওয়ার পর রাতে টানেলের মধ্যে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতাম শরীর সুস্থ রাখার জন্য। সকালে যোগব্যায়াম করতাম। এই যে একসঙ্গে ছিলাম, এই কারণেই আমাদের মনের জোর কমেনি। 
কারা ছিলেন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ওই ৪১ জনের মধ্যে? বিহারের এই শাবা আহমেদ, উত্তরাখণ্ডের গব্বর সিং নেগি, পশ্চিমবঙ্গের জয়দেব প্রামাণিক, মনির তালুকদার, শৌভিক পাখিরা, ওড়িশার তপন মণ্ডল, ঝাড়খণ্ডের বিশ্বজিৎ কুমার...। শাবা আহমেদরা ১৭ দিন একটি পাহাড়ি এলাকায় সুড়ঙ্গের মধ্যে থেকে উপলব্ধি করেছেন যে, একতার কী শক্তি। আমরা খোলা আকাশের নীচে কিন্তু সেটা বুঝতে পারছি না। আমরা বিভাজনের ফাঁদে পা দিচ্ছি। আর রাজনৈতিক দল ধর্মীয় বিভাজনের জাল ছড়াচ্ছে বারংবার। 
শাবা আহমেদের ওই কথাগুলো শুনে আমরা বুঝতে পারছি যে, উত্তরাখণ্ডের ওই সুড়ঙ্গটি আদতে ওই ৪১ জনের কাছে একটি মিনি ভারতবর্ষ হয়ে উঠেছিল। তাঁরা একটি অন্ধকারে আটকে পড়েছিলেন। সেখানে থেকে আলোর দিকে বেরতে হবে। এই ছিল লক্ষ্য। সেই আলোর দিকে আসার লক্ষ্য পূরণ করতে সর্বাগ্রে তাঁরা সকলেই ওই মিনি ভারতবর্ষের প্রত্যেক নাগরিক স্থির করেছিলেন জাত, ধর্ম, ভাষার ব্যবধানকে সরিয়ে দিতে হবে। সকলের আগে দরকার একে অন্যের হাত ধরে থাকা। দুর্বলকে শক্তি জোগানো। শক্তিমানকে নানাভাবে সাহায্য করা। এভাবে একসঙ্গে খেয়েছেন। একসঙ্গে হেঁটেছেন। একসঙ্গে যোগব্যায়াম করেছেন। একসঙ্গে কেউ হিন্দু দেবতাকে, কেউ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন। ঐক্যই শক্তি তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন। 
এই ৪১ জন তো সুড়ঙ্গের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের বাইরে বের করে আনার অসাধ্য সাধন যাঁরা করলেন সেই র‌্যাট হোল মাইনিং শ্রমিকরা কারা? ৬ জন দিল্লির। ৬ জন উত্তরপ্রদেশের। যখন ড্রিল মেশিন ব্যর্থ হল সুড়ঙ্গ খুঁড়তে, তখন এই ৬ জনের উপর এসে দায়িত্ব পড়ল। ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সি তাঁরা। 
তাঁদের নাম ঩কি? হাসান, মুন্না কুরেশি, নাসিম মালিক, মনু কুমার, সৌরভ, যতীন কুমার, অঙ্কুর, নাসির খান, দেবেন্দ্র, ফিরোজ কুরেশি, রশিদ আনসারি এবং ইরশাদ আনসারি।  দিল্লি জল বোর্ডের কর্মী। তাঁদের কাজই হল পাইপে ঢুকে ইঁদুরের মতো মাটি খোঁড়া। 
ওই কর্মীরা বলেছেন, সাধারণ সময়ে এই কাজটি অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তো অত সময় নেওয়া যাবে না। কারণ, তাঁরা তো আর জলের পাইপ বসাচ্ছেন না। মানুষের প্রাণ রক্ষা করছেন। সুতরাং অমানুষিক পরিশ্রমে ২৭ ঘণ্টায় সাফল্য এসেছে।
আমরা নামগুলো লক্ষ্য করেছি তো? যাঁরা ভিতরে আটকে পড়েছেন! যাঁরা বাইরে থেকে রক্ষা করার কাজে নেমেছেন! আমাদের কাজী নজরুল ইসলামের কবিতাটি মনে পড়েছে তো? ‘হিন্দু না মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কাণ্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার’। এই যে ৪১ প্লাস ১২। অর্থাৎ মৃত্যুগুহায় আটক ও উদ্ধারকর্তা মোট ৫৩ জন ভারতবাসী ১৪০ কোটি দেশবাসীকে কী শিক্ষা দিলেন? সুড়ঙ্গই হোক অথবা দেশ, সঙ্কট এলে বিভাজন কাজে দেয়? নাকি ঐক্য? তাঁরা শেখালেন যেকোনও অসাধ্য সাধন করা যায় যদি দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকে। যদি মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস আর মৈত্রী থাকে। বিভাজন এলে ঘনিয়ে আসে মুষলপর্ব। যদুবংশ ধ্বংস হয়। আর ঐক্যের শক্তি চিরন্তন। 
এই সুপারহিরোদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বললেন। আমরা কি তাঁর কাছে এবার একটা কঠোর সতর্কবার্তা আশা করতে পারি না যে, ধর্মের নামে ভোট চাওয়া, ধর্মীয় প্ররোচনা দিয়ে রাজনৈতিক লাভ, দেশবাসীর মধ্যে কোনওরকম জাত পাত ধর্ম ভাষার বিভাজন, কোনওটাই সহ্য করা হবে না? কঠোর আইন এনে যে দলেরই নেতা কর্মী হোক, তাদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে? 
যতই লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে, ততই আবার বেশি করে ধর্মীয় উগ্রতা প্রবেশ করছে রাজনীতিতে। আবার রাজ্যে রাজ্যে চলছে প্রচার, হিন্দু বনাম মুসলিম। উগ্র ধর্মীয় বিভাজন অন্যতম প্রধান হাতিয়ার শুধু নয়, হয়ে উঠছে যেন ব্রহ্মাস্ত্র। অথচ ১৪০ কোটি দেশের সম্মিলিত সর্বধর্মসমন্বয়ী জনতাই যে আসল অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে তার প্রমাণ আমাদের এই আম জনতাই দিচ্ছে অবিরত।  
প্রধানমন্ত্রী আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় ছিলেন। সেকথা তিনি নিজেই বলেছেন ওই মুক্তি পাওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়। কিন্তু তাঁর অথবা তাঁর সরকারের কাছে আরও একটু সংবেদনশীল আচরণ কি কাম্য ছিল না? ৪১ জন শ্রমিক যখন সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন, তখন বেঙ্গালুরুতে গিয়ে তিনি তেজস নামক একটি ফাইটার জেটে বসে আকাশপথের অ্যাডভেঞ্চারাস উড়ানকে এয়ারফোর্সের ফুল ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় উপভোগ করছিলেন। হেলমেট হাতে ধরে দৃপ্ত পদক্ষেপে তিনি হেঁটে আসছেন ককপিটের দিকে। 
তাঁর পা দেখানো হচ্ছে ক্যামেরায়। ঠিক যেন হিন্দি সিনেমা। বাতাসের গতিতে উড়ে চলা তেজসের সিটে বসে তাঁর সেই উৎফুল্ল হাসিমুখের স্মার্ট  ভিডিও দিনভর ভারত সরকার প্রচার করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এরকম সুপারম্যান ইমেজ কেন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হল ওরকম একটি সঙ্কটময় মুহূর্তে? ওই ইভেন্ট কি পিছিয়ে দেওয়া যেত না?
ঠিক উল্টোদিকে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জনের মধ্যে অন্যতম গব্বর সিং নেগি কী বলেছিলেন আমরা মনে রাখছি তো? যখন উদ্ধারকার্যের সময় একে একে লাইন দিয়ে আটকে পড়া কর্মীদের বেরিয়ে আসতে বলা হচ্ছে বাইরে থেকে, তখন এই গব্বর সিং নেগি বলেছিলেন, আমি সবার বড়। তাই সবার শেষে বেরব। এই স্বার্থহীন অতি মানবিক আচরণ আমাদের হাই প্রোফাইল নেতাদের কাছে পাই না কেন? অবিরত নিজেদের প্রমোট করার এক অন্তহীন তাড়নায় তাঁরা দিগ্‌বিদিকজ্ঞানশূন্য কেন? টিম অথবা দেশ। লিডার কেমন হওয়া উচিত? গব্বর সিং নেগির মতো নয়? 
আমাদের বরাবর সঙ্কটের সময় পথ দেখান, শিক্ষা দেন এই ভারতের মহামানবের অত্যন্ত পিছনের সারিতে থাকা প্রান্তিক মানুষেরা। এই যেমন ধরা যাক ওই দিবারাত্রি পরিশ্রম করা র‌্যাট হোল মাইনিং করা শ্রমিকেরা। তাঁরা এই কাজটির জন্য পারিশ্রমিক নেবেন না বলেছেন! কোথা থেকে আসে এই শক্তি? ঐক্য থেকে! ভারতের চিরকালীন শক্তির নাম ঐক্য! বিভাজন নয়। 
01st  December, 2023
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
একনজরে
এক সময় পড়ুয়া ভর্তি থাকত স্কুলে। কচিকাঁচাদের ভবিষ্যৎ গড়ার পাঠ দিতেন শিক্ষকরা। পড়াশোনার ঝাঁপ কয়েক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন নবাবহাটের কাছে গোদা বাইপাসের ...

অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ভুয়ো নথি বানানোর ক্ষেত্রে এবার নাম জড়াল ফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের। এই পঞ্চায়েত অফিস থেকেই কয়েকজন বাংলাদেশির জন্মের শংসাপত্র বানিয়েছিল বলে অভিযোগ। ...

জামিনের জন্য বাংলাদেশের হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সেদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাস। আগামী সপ্তাহে সেই মামলার শুনানি হবে বলে জানালেন চিন্ময়ের আইনজীবী। ...

মহমেডান আছে মহমেডানেই। বকেয়া বেতনের দাবিতে সোমবার অনুশীলন বয়কট করলেন কাসিমভরা। ২৬ জানুয়ারি অ্যাওয়ে ম্যাচে সাদা-কালো ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি। তার আগে বিতর্কে জেরবার রেড রোডের পাশের ক্লাব। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
aries

সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০১ - টেলিফোনের উদ্ভাবক ইলিশা গ্রে-র মৃত্যু
১৯৩৩ - বিশিষ্ট ভাস্কর  শর্বরী রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯৪৫- স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বসুর মৃত্যু
১৯৭২ - মনিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা ভারতের পূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়।
১৯৮৬- অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্ম
২০০৮ - কালো সোমবার হিসেবে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে প্রতিষ্ঠিত। এফটিএসই ১০০-এর সূচক একদিনে সবচেয়ে বড় পতন ঘটে। ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ - এর পর সবচেয়ে খারাপ করে শেষ হয়। এশিয়ার শেয়ার মার্কেটগুলোর সূচক ১৪% কমে যায়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.১২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৮ টাকা ১০৭.০৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৮২ টাকা ৯০.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী ১৫/৪৩, দিবা ১২/৪০। চিত্রা নক্ষত্র ৪৩/১৩ রাত্রি ১১/৩৭। সূর্যোদয় ৬/২২/৪২, সূর্যাস্ত ৫/১৩/১০।  অমৃতযোগ দিবা ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৩ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ১/৯ গতে ২/৩১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫২ গতে ৮/৩১ মধ্যে। 
৭ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী দিবা ১১/২৫। চিত্রা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৪৭। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১২। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩১ গতে ১০/৪৩ মধ্যে ও ১২/৫৬ গতে ২/২৫ মধ্যে ও ৩/৯ গতে ৪/৩৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৩ মধ্যে ও ৮/৪৯ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ১/৫৯ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৮ মধ্যে ও ১/১০ গতে ২/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫১ গতে ৮/৩০ মধ্যে। 
২০ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কালনায় হাসপাতাল থেকে পালাল বন্দি, চাঞ্চল্য
কালনা মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন এক বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ...বিশদ

04:07:00 PM

আসানসোলে জল প্রকল্পের কাজে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত ৩ শ্রমিক
আসানসোলে সালানপুর থানার ডামালিয়ায় পিএইচইর জল প্রকল্পের কাজে বড় দুর্ঘটনা। ...বিশদ

04:04:56 PM

আলিপুরদুয়ারে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আলিপুরদুয়ারে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার হাসিমারা বায়ুসেনা বিমানবন্দরে ...বিশদ

03:53:00 PM

ছুরিকাঘাত হওয়ার ৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সইফ আলি খান

03:49:00 PM

সম্পত্তির বিবাদ নিয়ে দিল্লিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রৌঢ়ের মৃত্যু
সোমবার রাতে দিল্লির বাওয়ানা থানা এলাকায় ভয়াবহ কাণ্ড। সম্পত্তির বিবাদ ...বিশদ

03:45:00 PM

২৬ জানুয়ারির প্রস্তুতি তুঙ্গে, দিল্লিতে প্যারেড উপলক্ষে ব্যাপক যানজট

03:24:00 PM



Loading...