Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কেন্দ্রে শক্তিক্ষয়, রাজ্যে শক্তিবৃদ্ধি—
সম্ভাবনার বিচিত্র জল্পনায় মুখর বঙ্গ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

মহাযুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটা চূড়ান্ত করে বলবে ২৩ মে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য কার হাতে যাবে দেশের শাসনভার, সংসদ মহাসভার নিয়ন্ত্রণ থাকবে কার জিম্মায়, কার কপালে আকাশ ভেঙে পড়বে আর কার মুখ আলোয় ভরে দেবে সাফল্যের জাদু—সমস্ত কিছুই অপেক্ষা করে আছে সাত দফার চলতি মহারণ শেষের সেই প্রথম বৃহস্পতিবারের জন্য! বৃহস্পতিবার ২৩ মে। কিন্তু, সে তো এখনও পাক্কা দু সপ্তাহ মানে চোদ্দো দিন দূর! অতদিন কি তর সয়! আরে বাবা, ২৩ যখন আসবে আসুক, বলুক না ফাইনাল করে। কিন্তু, তার জন্য দেশ জনতার মনপ্রাণ কল্পনা-জল্পনা হা-পিত্যেশ করে বসে থাকবে কেন? কী হবে সেটা আপাতত তোলা থাক না সেদিনের জন্য। কিন্তু তার আগে এই মাঝের সময়টায় কী হতে পারে, কতটা হতে পারে, কেমন করে হতে পারে কার কোথায় কদ্দূর হতে পারে—এমন হাজারো সম্ভাবনায় কল্পনা-জল্পনার ডানা মেলে দিতে অসুবিধে কী! পাবলিকের প্রাণ গড়ের মাঠ—ওড়ার জায়গার অভাব আছে নাকি?
বিশেষ করে বিষয় যখন দেশের ক্ষমতা দখলের ভোট-মহারণ সঙ্গে বাংলায় জোড়া ফুলের ৪২-এ ৪২-এর ডাক, আর সে মহাসংগ্রামে দুই প্রধান প্রতিপক্ষের নাম মোদি-মমতা— তখন পায় কে! একেবারে রসিয়ে কষিয়ে গরমে নরমে যুক্তি অযুক্তি কুযুক্তির কড়া পাকে পাহাড় থেকে সাগর জঙ্গলমহল থেকে যাদবপুর যাকে বলে জল্পনা-কল্পনার একটা উৎসবই যেন শুরু হয়ে গেছে। এবং এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতো দেশের বাকি রাজ্যগুলির চেয়ে এগিয়ে বাংলা সবার আগে সবচেয়ে মুখর সন্দেহ নেই। হবে নাই বা কেন? আজও এই পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে অন্যতম রাজনীতি সচেতন রাজ্য বলে, দেশ রাজনীতির অন্যতম পীঠস্থান বলে স্বীকৃত। সেখানে ভোট মহাযুদ্ধের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ পোলিটিক্যাল ইভেন্ট হয়ে যাবে আর পাবলিক চুপ করে বসে থাকবে—তাই কি হয়! তারওপর দেশের বিদায়ী শাসকের এবার বাড়তি নজর পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংখ্যার হিসেবে এই রাজ্যেই সর্বাধিক নির্বাচনী সভা করছেন—১৯টি, গড়ে প্রতি দফায় আড়াইখানারও বেশি! ফলে, সকলেই বুঝেছেন—এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য জাতীয় রাজনীতিতে যেমন তেমনি মোদিজির এই অতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপের জন্য দেশের ভোটযুদ্ধের মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান বিশেষ মাত্রা পাচ্ছে। তার ওপর মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বাঙালি হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখার স্বপ্ন তো আছেই।
সব মিলিয়ে এবার দেশের ভোটের পাশাপাশি বাংলার ভোটও তাই জনতার আগ্রহ কৌতূহলের কেন্দ্রে। আর সেই সূত্রেই ২৩-এর অপেক্ষায় না থেকে বাংলার জনমন জল্পনা-কল্পনার জমজমাট উৎসবে পুরোপুরি মজে গেছে। কী হতে পারে তার একটা পাকাপোক্ত হিসেব এখন আমবাঙালির মুখে মুখে। এবং সাত দফার মহাযুক্ত যত অন্তিম পর্বের দিকে এগচ্ছে তত যেন রাজনৈতিক মহলের বড়-মেজ-ছোট কর্তা থেকে কর্মচারী মহাজনদের মধ্যেও এই কল্পনার উৎসবে শামিল হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তিন-পাঁচজনের জটলা হলেই হল—শুরু হয়ে যাচ্ছে যুক্তি প্রতিযুক্তির ধুন্ধুমার। আলাপ-আলোনার ঢেউ ছাপিয়ে উত্তেজনার উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ফণী পাশ কাটিয়ে বাংলা বাঁচিয়ে উড়ে গেছে ঠিকই কিন্তু যাওয়ার পথে যে কড়া তাপপ্রবাহ ছেড়ে গেছে তাতে এখন জেরবার বাংলার মানুষজন। ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে চলেছে কলকাতা মহানগরী! ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলি আগুনঝরা রোদে ঝামলা পোড়া হচ্ছে। কালবৈশাখী দূরে থাক সামান্য মেঘের রেখাও নেই নির্মম নীলে! তাতেও কিছুমাত্র ভাবান্তর নেই বাঙালির। তাঁদের বিশ্বাস এবং তর্কের যুগলবন্দি অব্যাহত। প্রধান জল্পনায় অবশ্যই বিজেপি। কেন্দ্রে শক্তিক্ষয়, রাজ্যে শক্তিবৃদ্ধি ঘটবে মোদিজির বিজেপি’র নাকি নেত্রী মমতার দাবিমতো বাংলায় ৪২-এ ৪২ হবে, ঘাসফুলে ভরে যাবে আসমুদ্রহিমাচল—তাই নিয়ে সম্ভাবনার বিচিত্র জল্পনায় মুখর বঙ্গ।
পথেঘাটে অফিস কাছারিতে দোকানে বাজারে মায় সেলুনে অব্দি এখন জল্পনার ভিড়। নানান প্রশ্ন আর উত্তরে সরগরম জনতা। তাঁদের কথা চালাচালিতে ছয় দফা শেষে যেটা উঠে আসছে তাতে এ রাজ্যে অন্তত বিজেপি’র আশান্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। কারণ, আম পাবলিকের বোধ বিশ্বাসে এ রাজ্যে বিজেপি’র সিট প্রাপ্তির অঙ্ক ৭/৮ থেকে ১৭/১৮ ওঠানামা করছে। অবশ্য, পদ্মদলের প্রধান সেনাপতি অমিত শাহজি অনেক আগেই ২৩ আসনের দাবি রেখে গিয়েছেন, এখনও রাখছেন। এখন ঠারেঠোরে আরও বেশির দিকেই তাঁর ইঙ্গিত! এই ইঙ্গিত বাস্তবে কতটা ফলপ্রসূ হবে তা জানে ২৩ মে। কিন্তু জনতার দাবি—এতটা না হলেও এবার এ রাজ্যে বিজেপি বেশ ভালো ভোট টানবে এবং বেশ কিছু আসন ছিনিয়ে নেবে। সংখ্যাটা কত তা তো আগেই বলেছি।
কেন এমন ধারণা পাবলিকের? কারণ, তাঁরা মনে করছেন—সিপিএমের সমর্থক কর্মীদের একটা বড় অংশ এবার বিজেপি’র দিকে ভোট করবে। কারণ, তাঁরা নাকি ভাবছেন সামনে মমতা থাকলে পার্টির পক্ষে অদূর ভবিষ্যতে ‘ঘুরে দাঁড়ানো’ মুশকিল। মমতার নজিরবিহীন ভাবমূর্তি, উন্নয়ন এবং সর্বোপরি তাঁর অবিসংবাদী প্রভাব অতিক্রম করে বামেদের পক্ষে রাজ্যের ক্ষমতা দখল কখনওই সহজ হবে না। মমতা প্রতিপক্ষ হলেই নন্দীগ্রাম সিঙ্গুর নেতাই কেশপুর জঙ্গলমহল সব উঠে আসে, আসবে। উঠে আসবে ২১ জুলাইয়ের সেই রক্তাক্ত কলকাতা, পার্টির ডান্ডায় মাথা ফেটে মরণাপন্ন মমতার ছবি! পাশাপাশি আজকের বিশ্ববাংলা পশ্চিমবঙ্গ ও তার সর্বাত্মক উন্নয়নের দৃষ্টান্তগুলিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ধ্বজা হয়ে রাজ্যবাসীর সামনে এসে দাঁড়াবে, দাঁড়াচ্ছে। রাজ্যের বাম শিবিরে এইসব কঠিন বাধা অতিক্রম করার মতো জোরালো নেতৃত্ব থাকলেও তাঁদের অধিকাংশই আজ বয়সের ভারে অনেকটাই স্তিমিত। বিমান বসু সূর্যকান্ত মিশ্রের মতো প্রবীণ নেতাকে তাই উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম শারীরিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ছুটে বেড়াতে হয়। কিন্তু, নন্দিনী মুখোপাধ্যায় কনীনিকা ঘোষ, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বা শতরূপের মতো সামান্য কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে তাঁদের জায়গা নেওয়ার মতো যোগ্য উত্তরসূরির দেখা নেই আজও। কবে দেখা মিলবে তাও অজানা।এই পরিস্থিতিতে ‘দক্ষিণপন্থী’ গেরুয়া শিবিরকে যদি ভবিষ্যতে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে খাড়া করা যায় তবে একটা ভালো সুযোগ থাকবে। দক্ষিণ-বামে লড়াই হলে মাইনাস পয়েন্টের বিচারটা হয়তো জনতার আদালতে পাল্টে যাবে। কারণ, বাংলা সাম্প্রদায়িক ব্যাপারে অনেক সহিষ্ণু ও ধর্মীয় সংহতিতে অনেক বেশি উৎসাহী। সেক্ষেত্রে পদ্মশিবিরের চেয়ে তখন তাঁদের কাছে বামেরা মূল্য পাবে বেশি। তার ওপর ইউপি ত্রিপুরার মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পরিস্থিতি তুলে ধরে জনতার সহানুভূতি আদায়েও বাড়তি সুবিধা মিলতে পারে। সেইদিক বিচারেই নাকি এবার বামের ভোটে রামের ঝুলি ভরবে! এটা জনতার জল্পনা। একটু কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। অর্জুন সিং, লকেট চ্যাটার্জিদের মতো অনেকের ভাগ্যই নাকি এই জল্পনায় জড়িত! এই জল্পনায় শামিল হয়ে শেষ লোকসভা ভোটের প্রায় ৩০ শতাংশ বাম ভোটের (২০১৬ বিধানসভায় যা নেমে দাঁড়ায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি) একটা অংশ যদি পদ্মদলের বাক্সে পড়ে তবে বেশ কিছু আসনে যে তৃণমূল চাপে পড়বে তাতে সন্দেহ কী? আর একটি অভিমতও ঘুরছে—যাঁদের জেতার সম্ভাবনা কম তাঁদের দিয়ে ভোট ‘নষ্ট’ করতেও এবার নাকি অনীহা অনেকের। নোটার চেয়ে এবার জয়ের সম্ভাবনাযুক্ত পক্ষে প্রতিপক্ষেই আগ্রহ বেশি জনগণেশের! এই মানসিকতার হদিশও মিলছে। লোকে বলছেন এমন কথা। এতে লাভের ভাঁড়ার সেই তৃণমূল বিজেপিতেই ভাগাভাগি হচ্ছে—জনতার মতে এ রাজ্যে লড়াইটা ওই দুই দলেই। বাকিরা সামান্য দু-একটি আসন ছাড়া ভোট মহাযুদ্ধের ময়দানে বাজনদার মাত্র। সারা দেশে আসন সংখ্যার নিরিখে বিজেপি কতটা শক্তি হারাবে তা সময় বলবে, তবে এ রাজ্যে তৃণমূল বিরোধীদের মধ্যে ‘জয়ের সম্ভাবনাযুক্ত’ প্রার্থীতালিকায় তাদের অগ্রাধিকার যে সর্বাধিক মান্যতা পাবে তা রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন। এক্ষেত্রেও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো এক-আধজন ব্যতিক্রম হতে পারেন—এই যা। সব মিলিয়ে রাজ্যের আমজনতার এই জল্পনা-কল্পনা বুঝিয়ে দিচ্ছে—এবার ২৩ মে বিজেপির পক্ষে ভালো দিন হতে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো এক ধাপ চড়িয়ে ২০০৯ সালের ভোটফল টেনে আনছেন। বোঝাই যাচ্ছে এতক্ষণ যাদের মন্তব্য হিসেব-নিকেশ নিয়ে কথা হল—তারা সকলেই মন মানসিকতায় মমতা বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধি। তাতে যে বর্তমান শাসকদলের কেউ নেই—এমন অবশ্য হলফ করে বলা যায় না। ধান্দাবাজ সবসময় ছিল আজও আছে—তৃণমূলেও আছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় এরা ‘গদ্দার’। তথ্যভিজ্ঞদের মতে, এই ‘গদ্দার’দের ভূমিকাও এবারের ভোটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। কিন্তু, এইসব জল্পনায় শেষপর্যন্ত বাংলার ভোটদেবতা শেষ অব্দি কতটা বিচলিত হবেন, তাঁর প্রসন্নতা কার প্রতি অধিক বর্ষিত হবে—সত্যি বলতে কী কেউ জানে না। তবে, বিজেপি যে দেশের অন্যত্র শক্তিক্ষয়ের ক্ষত পশ্চিমবঙ্গ সমেত পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো থেকে ভরিয়ে নিতে চাইছে সেটা পরিষ্কার। সে জন্যই এবার মোদিজি অমিতজির এত সভা বাংলায়, পদ্মদলের পাখির চোখ হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। তবে, মজাটা হল এই যে দেশে বিজেপি’র সামগ্রিক শক্তি হারানোর অনেক অঙ্ক পাওয়া যাচ্ছে বটে কিন্তু বাংলার ভোটে শক্তিবৃদ্ধির তেমন নিশ্চিত অঙ্ক এখনও মিলছে না। মোদিজি অমিত শাহ থেকে আম পাবলিক—সকলের সব হিসেবনিকেশ ৮/১০ থেকে ২২/২৩ যেন সেই একজনের সামনে এসে কেমন ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে, হারিয়ে ফেলছে খেই! বলা বাহুল্য, তিনি মমতা! তাঁর সামনে তাই যেন যাবতীয় জল্পনা-কল্পনার স্রোত প্রতিস্রোত উহ্য করে ৪২-এ ৪২-ও অসম্ভবের সম্ভাবনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। লোকেই বলছে, হতেই পারে। নামে ৪২ ক্যান্ডিডেট কিন্তু প্রার্থী তো একজনই—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং, হতেই পারে। দেখুন কল্পনার বাহাদুরি না বাস্তবের রসায়ন—বাংলার ভোট-রাজনীতির মহারণাঙ্গনে ২৩ মে শেষে বিজয় শঙ্খ কে বাজায়। দেখা যাক।
09th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া
এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

রাজনীতির পাঁকে সরকারের
উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা
শুভময় মৈত্র

দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। কেউ কেউ বড্ড বেশি যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তারপর সেখানে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে। নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় যোগ দিতে হচ্ছে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে। ভোটপ্রচারে তাঁদের মুখ ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে এমন সব ভাষা যা একেবারে রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকেই শেখা।
বিশদ

মোদিময় রাজনীতিতে
নয়া পাঠ ‘বাণপ্রস্থ কথা’
মৃণালকান্তি দাস

তাঁর বাড়িতে পা দিলেই চন্দনকাঠের একটা মূর্তিতে চোখ পড়বেই। তাতে অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ। তার পিছনে মহাভারতের টুকরো নানা ছবি। শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মও। বিজেপিতে আদবানিকে ভীষ্ম পিতামহের সঙ্গে তুলনা করা হয়। নিজের হাতে তৈরি দলে যেভাবে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, তাকে কি তাঁকে আজ ভীষ্মের সেই শরশয্যার সঙ্গে তুলনা করা যায়?
বিশদ

10th  May, 2019
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অনেক
সংশোধন প্রয়োজন 
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ভারতীয় সংবিধান রচয়িতারা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান প্রদত্ত পূর্ণ স্বাধিকার দিয়েছিল। সংবিধানের ৩২৪নং ধারা বলে লোকসভা নির্বাচনে তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নির্বাচনের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখবার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।
বিশদ

10th  May, 2019
নরেন্দ্র মোদি মেজাজ হারাচ্ছেন কেন?
শুভা দত্ত

 নরেন্দ্র মোদির রাজনীতি নিয়ে অনেকের ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু তাঁর সৌজন্যবোধ নিয়ে এ যাবৎ কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। ২০১৯-এর ভোটপর্ব যখন শেষ পর্যায়ে, তখন তিনি মেজাজ হারিয়ে একেবারে রাহুল গান্ধীর প্রয়াত পিতার নামে নিন্দা করে বসলেন। এভাবে তিনি ভদ্রতার সীমা ছাড়ালেন।
বিশদ

09th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

07th  May, 2019
রাজনীতির পাঁকে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা
শুভময় মৈত্র

 দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। কেউ কেউ বড্ড বেশি যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তারপর সেখানে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে।
বিশদ

07th  May, 2019
ইরান-মার্কিন দ্বন্দ্ব
তেলসংকটের মুখে ভারত 
গৌরীশঙ্কর নাগ

গত ২২ এপ্রিল ইরান থেকে তেল আমদানির ওপর আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার ফলে ২ মে থেকে ভারতসহ ৬টি রাষ্ট্র (চীন, ইতালি, গ্রিস, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও তুর্কি) ফের অসুবিধার মুখে পড়তে চলেছে।  বিশদ

06th  May, 2019
আমাদের কি ‘সাচ্চে দিন’
আসতে পারে না?
পি চিদম্বরম

আমার সামনে ১ মে তারিখের একটি ইংরেজি দৈনিক কাগজ রয়েছে। চলতি নির্বাচনের রকমারি খবর পড়ছি। নজরকাড়া শিরোনামের একটি ‘স্টোরি’ পড়লাম: ‘লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নেই, সেই দল প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার স্বপ্ন দেখে: মোদি’। নরেন্দ্র মোদি লখনউ এবং মজফ্ফরপুরে যে ভাষণ দিয়েছেন তার গুরুত্বপূর্ণ অংশের বিস্তারিত বিবরণ ওই রিপোর্টে রয়েছে।  বিশদ

06th  May, 2019
মোদিকে ঘিরে বিরোধীদের ইস্যুহীন লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের সাধারণ নির্বাচন আরও একবার দারুণভাবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এবং সেই ব্যক্তিকে ঘিরেই গোটা দেশে গড়ে উঠছে আশা-নিরাশার এক অদ্ভুত দোলাচল। বিরোধীদের যাবতীয় মরণ-কামড়ও। এই লোকসভা নির্বাচনে তিনিই ওয়ান ম্যান আর্মি।
বিশদ

05th  May, 2019
ফণী: বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতিতে ফুল মার্কস মমতাকে
শুভা দত্ত 

প্রকৃতির রোষ ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষের নেই। ঝড়ঝঞ্ঝা, বজ্র-বিদ্যুৎ, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দাপটের কাছে সত্যি বলতে কী—আজও মানুষ অসহায়। অবশ্য, আধুনিককালে বিজ্ঞানের বলে মানুষ প্রকৃতির ওই দাপটের হাত থেকে আত্মরক্ষার অনেক কলাকৌশলও আয়ত্ত করেছে।  
বিশদ

05th  May, 2019
রাজ্যে জাতপাতের রাজনীতির
গুরুত্ব কি বাড়ছে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 জাতপাতের রাজনীতি কি পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে? রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারে ও প্রার্থী নির্বাচনে যতটা জাতপাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে বাস্তবে ইস্যুটি ততটা প্রাসঙ্গিক কি? স্বাধীনতার পর সর্বজনীন ভোটাধিকারের স্বীকৃতি ভারতীয় সমাজে বহু শতক ধরে চলা জাতব্যবস্থায় নতুন গতি এনেছে।
বিশদ

04th  May, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া একব্যক্তির মৃতদেহ বালুরঘাট হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে এসে বিপাকে পড়ে একটি দরিদ্র পরিবার। মৃত ব্যক্তির নাম বাবুলাল চৌধুরী(৫৫)। তাঁর বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার গচিহারে।  ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নতুন কোচ হিসাবে স্প্যানিশ কোচ হোসে আন্তেনিও কিবু ভিচুনাকে বেছে নিল মোহন বাগান। ভারতে কাজ করার কোনও অভিজ্ঞতা না থাকলেও উয়েফা প্রো-লাইসেন্স আছে তাঁর। ছ’বছর পর সবুজ-মেরুনের দায়িত্বে আবার বিদেশি কোচ। ...

 সায়ন্ত ভট্টাচার্য, কলকাতা: লর্ডসের মোড় পেরিয়ে তখন হুডখোলা জিপ ঢুকছে বিক্রমগড়ে। চারপাশে মানুষ। কেউ হাত নাড়ছেন, কেউ নমস্কার করছেন। প্রত্যুত্তরে প্রত্যেককে হাতজোড় করে নমস্কার করছেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা
১৯০৪: ১৯০৪ - স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির জন্ম
১৯১৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্তকুমার বিশ্বাসের জন্ম।
১৯১৬: আপেক্ষিকতাবাদের উপস্থাপনা আইনস্টাইনের
১৯৮৪: স্পেনের ফুটবলার আন্দ্রে ইনিয়েস্তার জন্ম
১৯৯৮: পোখরানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করল ভারত
২০১৬: বাগদাদে আইএসের হামলায় হত শতাধিক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭০.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৫৭ টাকা ৯২.৮২ টাকা
ইউরো ৭৭.১৮ টাকা ৮০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৩২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৬৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,১২৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
10th  May, 2019

দিন পঞ্জিকা

২৭ বৈশাখ ১৪২৬, ১১ মে ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৬/৪৫ রাত্রি ৭/৪৫। পুষ্যা ২০/২৭ দিবা ১/১৩। সূ উ ৫/২/৩২, অ ৬/৩/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৩ মধ্যে পুনঃ ২/৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৫ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে উদয়াবধি। 
২৭ বৈশাখ ১৪২৬, ১১ মে ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৪/৪৭/৪১ রাত্রি ৬/৫৮/৭। পুষ্যানক্ষত্র ১৯/২৭/১৬ দিবা ১২/৪৯/৫৭, সূ উ ৫/৩/৩, অ ৬/৪/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে, বারবেলা ১/১১/৩৩ গতে ২/৪৯/১৫ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪০/৪৫ মধ্যে ও ৪/২৬/৫৭ গতে ৬/৪/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২৬/৫৭ মধ্যে ও ৩/৪০/৪৫ গতে ৫/২/৩০ মধ্যে। 
৫ রমজান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শেয়ার বা ফাটকাতে লাভ হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ থাকবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা১৯০৪: ১৯০৪ ...বিশদ

07:03:20 PM

পাকিস্তানের একটি পাঁচতারা হোটেলে ৩ বন্দুকবাজের হামলা, চলছে গোলাগুলি

07:18:04 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুলে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী বাস, মৃত ১৩, জখম বেশ কয়েকজন 

06:18:00 PM

বাইক বাহিনী ও বহিরাগতদের দাপাদাপি রোখার দাবিতে বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের অবস্থান বিক্ষোভ 

05:05:00 PM

উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক তুষারপাত

04:55:00 PM