Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজ্যে জাতপাতের রাজনীতির
গুরুত্ব কি বাড়ছে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

জাতপাতের রাজনীতি কি পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে? রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারে ও প্রার্থী নির্বাচনে যতটা জাতপাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে বাস্তবে ইস্যুটি ততটা প্রাসঙ্গিক কি? স্বাধীনতার পর সর্বজনীন ভোটাধিকারের স্বীকৃতি ভারতীয় সমাজে বহু শতক ধরে চলা জাতব্যবস্থায় নতুন গতি এনেছে। বহু শতক ধরে চলা অবদমিত জাতিগুলি নতুন রাজনৈতিক পরিসর পেয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের পর বহু অবদমিত জাতিগোষ্ঠী এক-একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীতে রূপান্তরিত হতে থাকে। ১৯৫৭ সালের নির্বাচন থেকে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় জাতপাতের প্রভাব ক্রমশ গভীর ও ব্যাপক হতে থাকে। সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থার সুবাদে ভারতীয় রাজনীতিতে জাতপাতের প্রভাব-প্রতিপত্তির যেমন সূত্রপাত, তেমনি নির্বাচনী রাজনীতির হাত ধরেই ভারতীয় রাজনীতিতে জাতপাতের ক্রমশ বিকাশ ও বিস্তার ঘটেছে বলা যায়।
স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী রাজনীতিতে সরাসরি জাতপাতের কোনও প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। যদিও পশ্চিমবঙ্গের সমাজ-জীবনে জাতপাতের প্রবল উপস্থিতি প্রায় সর্বক্ষেত্রেই ছিল। এরাজ্যে সংবিধানের অন্তর্গত তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের নিয়ে অল্পবিস্তর সংগঠিত রাজনীতি দেখা গেলেও সেভাবে কংগ্রেস বা বাম দলগুলি কখনোই জাতভিত্তিক রাজনীতি করেনি। বাম এবং কংগ্রেস উভয় দলের ক্ষেত্রেই সমাজের সব জাতির মানুষের সমর্থন কমবেশি ছিল। যেভাবে মায়াবতীর সঙ্গে দলিতদের সম্পর্ক, মুলায়ম সিং যাদবের সঙ্গে যাদব ভোটারদের সম্পর্ক বা অজিত সিংয়ের সঙ্গে জাঠ ভোটারদের সম্পর্ক আমরা দেখতে পাই পশ্চিমবঙ্গে তেমন সম্পর্ক রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে জাতের দেখা যায় না।
বিধানচন্দ্র রায় থেকে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় পর্যন্ত সকলেই জাতের রাজনীতির বাইরে থেকে রাজ্য-রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে বামেরা মূলত শ্রেণীগত রাজনীতির ওপর ভিত্তি করেই নিজেদের সংগঠিত করেছেন। তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের জন্য আলাদা করে গণসংগঠন গড়ে তুললেও নির্বাচনী রাজনীতিতে কংগ্রেস বা বামেরা কখনওই নির্বাচনী প্রচারে তাদের আত্মপরিচয়কে ব্যবহার করেনি। বরং সরকারে থাকার সুবিধায় রাজ্য বা কেন্দ্রের তরফ থেকে তফসিলি জাতি এবং জনজাতিদের জন্য যে সমস্ত কল্যাণকর প্রকল্প রূপায়ণ করতে পেরেছে তার ভিত্তিতেই শাসক দল যেমন সমর্থন আদায় করতে চেয়েছে, তেমনি বিরোধীরা তফসিলি জাতি ও জনজাতির মানুষের উন্নয়নের কাজে সরকারের ব্যর্থতাকে সামনে রেখে সংরক্ষিত আসনগুলি জেতার চেষ্টা করেছে। নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলায় নমঃশূদ্র ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে কদাচিৎ কোনও নেতা রাজ্য-রাজনীতিতে উঠে এলেও অল্প সময়ের মধ্যেই জাতিগোষ্ঠীর চেতনার থেকে সরে এসে সার্বিক রাজ্য-রাজনীতির ভাবনার সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা গেছে। একথা বামফ্রন্টের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কান্তি বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও যেমন প্রযোজ্য, তেমনি কংগ্রেস নেতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দু’কোটি তফসিলি জাতির মানুষ। তাঁদের অর্ধেক নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ভুক্ত, তাঁদের অর্ধেক মতুয়া।
ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ফরিদপুরের হরিচাঁদ ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়াদের সামাজিকভাবে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর অনেক পরে প্রমথরঞ্জন ঠাকুর বাংলার আইনসভার সদস্য হন। ১৯৬২ সালে প্রমথরঞ্জনবাবু হাঁসখালি থেকে কংগ্রেস প্রতীকে জিতে মন্ত্রী হন। যদিও পরে তিনি রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। তিনি দলীয় রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এলেও মতুয়াদের মধ্যে রাজনীতি সম্পর্কিত একটি সাধারণ ভাবনা সবসময় বিরাজ করছে। এই ভাবনাটি হল, ‘যে জাতির দল নেই সেই জাতির বল নেই।’ এই ভাবনা স্পষ্ট ইঙ্গিত করে মতুয়া নেতৃবর্গ রাজনৈতিক দলকে ব্যবহার করে নিজেদের কৌমকে শক্তিশালী করতে চায়। বাম জমানায় উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদীয়ায় মতুয়া-প্রধান বিধানসভা এবং লোকসভাগুলোতে দীর্ঘ সময় মতুয়া ভোটারদের সমর্থন বামপ্রার্থীদের সঙ্গে ছিল। এই পর্যায়ে প্রমথরঞ্জন ঠাকুরের ছেলে কপিলকৃষ্ণের সঙ্গে বামেদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা সুবিদিত। পাশাপাশি একাধিক বাম নেতাও ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যেমন ফরওয়ার্ড ব্লকের হরিপদ বিশ্বাস ছিলেন, তেমনি ছিলেন সিপিএমের কান্তি বিশ্বাস, সুভাষ চক্রবর্তী বা গৌতম দেব। বামেদের ভূমিসংস্কার কর্মসূচি বা পঞ্চায়েত ব্যবস্থা মতুয়াদের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কিছুটা ইতিবাচক আবহ তৈরি করেছিল। কিন্তু, তাঁদের জাতিসত্তার সংরক্ষণ, নাগরিকত্ব সমস্যার সমাধান, ঠাকুরবাড়ির উন্নয়নে বামেরা কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেনি। এই অবস্থায় সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রভাবে নদীয়া ও দুই ২৪ পরগনার কৃষকদের কাছে তো বটেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রহণযোগ্য বিরোধী মুখ হয়ে ওঠেন মতুয়া নেতৃবর্গের কাছে। ২০০৮ সালের পর থেকে মূলত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১০ সালে বীণাপাণি দেবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মতুয়া মহাসভার মুখ্য উপদেষ্টার পদে বসান। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা দেবী শরণার্থীদের পুনর্বাসনের নীতি প্রণয়ন, ঠাকুরনগরে খেলার স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং রেলওয়ে হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এছাড়া ঠাকুরনগরের পবিত্র পুকুর কামনাসাগরের জন্য মমতা অর্থ প্রদান করেছিলেন।
২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচন থেকেই মতুয়াদের ভোটদানের প্রবণতায় স্পষ্টভাবে তৃণমূলের প্রতি ঝোঁক ধরা পড়েছিল। শেষবেলায় বামেরা বিমান বসুকে নামিয়েও মতুয়া সম্প্রদায়ের তৃণমূলের প্রতি এই ঝোঁককে ঠেকাতে পারেনি। ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূলের প্রতি মতুয়াদের স্পষ্ট সমর্থন ধরা পড়ে। তৃণমূল নেতৃত্বও ঠাকুরনগরে বীণাপাণি দেবীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে থাকেন। বীণাপাণি দেবীর ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরকে গাইঘাটা কেন্দ্র থেকে জয়ী করে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন মমতা। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বীণাপাণি দেবীর আর এক ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর বনগাঁ থেকে তৃণমূল এমপি হন। এই পর্যায় পর্যন্ত মতুয়াদের ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূলের প্রতি অটুট ছিল। কিন্তু কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী মমতা ঠাকুরকে উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করার সঙ্গে সঙ্গেই ঠাকুর পরিবারে বিবাদ শুরু হয়। মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে এসে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর তাঁর পুত্র সুব্রত ঠাকুরকে ওই নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান। মতুয়া শিবিরে রাজনৈতিক বিভাজনও সেই থেকে স্পষ্ট। দলকে ব্যবহার করে মতুয়া সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করার কথা কেউ কেউ বলছেন, আবার একটি অংশ মতুয়া মহাসংঘকে ভারত সেবাশ্রম সংঘ বা রামকৃষ্ণ মিশনের মতো রাজনীতিমুক্ত রাখার পক্ষপাতী।
এই ভোটেও বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর। অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর বিজেপি প্রার্থী। মতুয়া ভোটাররা কি নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক ভাবনা থেকেই ভোট দিচ্ছেন? নাকি আর পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের মতোই মতুয়া ভোটারদের নির্বাচনী আচরণের বহিঃপ্রকাশ হয় তা পরখ করে দেখার সুযোগ রয়েছে বনগাঁ নির্বাচনের ফলাফল থেকে। তবে আপাতত তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় শিবির থেকেই দাবি করা হচ্ছে তারাই মতুয়াদের প্রকৃত বন্ধু। বিজেপি ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব সংশোধন বিল প্রচারে এনে মতুয়াদের বোঝাতে চাইছে স্থায়ীভাবে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে তারা কতটা আন্তরিক। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি’র নাগরিকত্ব পঞ্জিকরণ উদ্যোগ যে মতুয়াদের সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে তা নিয়ে সরব।
রাজ্যে যে ৬৮টি তফসিলি জাতির আসন রয়েছে তাতে ২০১৬-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল একাই ৪৬.৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে ৪৯টি আসন পেয়েছিল। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোট ৪০.২১ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৯টি আসন পায়। বিজেপি এই কেন্দ্রগুলিতে ১০ শতাংশ ভোট পেলেও কোনও আসন পায়নি। আমরা যদি নদীয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় মতুয়া-প্রধান তফসিলি জাতি বিধানসভা কেন্দ্রগুলির ফলাফলের দিকে তাকাই, তবে সেক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট এই তিন জেলার ২১টি তফসিলি কেন্দ্রে ছিল ৪৮.৫৭ শতাংশ। যা ৬৮টি তফসিলি কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হারের থেকে ২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে বামেদের এই তিন জেলায় প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার ২ শতাংশ কম ছিল। এই তথ্য অবশ্যই প্রকাশ করে তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ৬৮টি কেন্দ্রের মধ্যে মতুয়াপ্রধান ২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষে অতিরিক্ত সুইং ছিল। অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষে অতিরিক্ত ২ শতাংশ ভোট মতুয়াপ্রধান বিধানসভাগুলিতে ছিল। অন্যদিকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বর্ধমানে বাগদি-প্রধান ১৬টি তফসিলি জাতি বিধানসভা কেন্দ্রের গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার ছিল ৪৭.২৮ শতাংশ। যা নদীয়া, দুই চব্বিশ পরগনায় মতুয়াপ্রধান তফসিলি জাতির বিধানসভা কেন্দ্রগুলির থেকে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের ১ শতাংশ কম।
বাম আমলে অধিকাংশ তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত কেন্দ্রগুলি তাদের দখলে ছিল। এই প্রবণতা তৃণমূলের আমলেও প্রায় অব্যাহত বলা যায়। পার্থক্য শুধু মতুয়া-প্রধান তফসিলি কেন্দ্রগুলিতে প্রচারের ধরন ও বহরে। যেখানে শাসক এবং মূল বিরোধী উভয় পক্ষই মতুয়াদের পরিচয় সত্তার রাজনীতির ওপর জোর দিচ্ছেন।
আমাদের রাজ্যে তফসিলি জনজাতিদের জন্য ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং ২টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এই ১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে একাই ১৩টি লাভ করে। বাম-কংগ্রেস জোট পায় ২টি, ১টি কেন্দ্র বিজেপি’র পক্ষে ছিল। তফসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত ২টি লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস গত লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু গত নির্বাচনে আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ এই দুটি কেন্দ্রেই বিজেপি’র উত্থান লক্ষ করা গেছে। ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার যেখানে ছিল ১০ শতাংশের মতো, সেখানে বিধানসভার ১৬টি তফসিলি জনজাতি আসনে বিজেপি ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। অন্যদিকে তৃণমূলের ভোট ছিল প্রায় ৪৫ শতাংশ এবং বামেদের ৩২ শতাংশের মতো। বিধানসভা নির্বাচনের পর তফসিলি জনজাতি কেন্দ্রগুলির রাজনৈতিক ভাবনায় স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ করা গিয়েছে। মূলত শাসকদলের অন্তর্দলীয় বিবাদ এবং দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার এবং ঝাড়গ্রাম দুটি লোকসভার অন্তর্গত বিভিন্ন ব্লকের ফলাফল কিন্তু তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়েছিল। পাশাপাশি মালদা থেকে জলপাইগুড়ি বা দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও আদিবাসী এলাকাগুলিতে বিজেপি’র স্পষ্ট প্রভাব বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল যেখানে ৪৮.৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে, বিজেপি’র সেখানে প্রাপ্ত ভোট ৩৬.১৬ শতাংশ। আবার ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট যেখানে ৪৯.৬১ শতাংশ, বিজেপি’র প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪০.১১ শতাংশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আলিপুরদুয়ার এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় বিজেপি যে ফলাফল করেছে তা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, রাজ্যের দুটি তফসিলি জনজাতি কেন্দ্রেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
 লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
04th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া
এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

রাজনীতির পাঁকে সরকারের
উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা
শুভময় মৈত্র

দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। কেউ কেউ বড্ড বেশি যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তারপর সেখানে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে। নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় যোগ দিতে হচ্ছে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে। ভোটপ্রচারে তাঁদের মুখ ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে এমন সব ভাষা যা একেবারে রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকেই শেখা।
বিশদ

মোদিময় রাজনীতিতে
নয়া পাঠ ‘বাণপ্রস্থ কথা’
মৃণালকান্তি দাস

তাঁর বাড়িতে পা দিলেই চন্দনকাঠের একটা মূর্তিতে চোখ পড়বেই। তাতে অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ। তার পিছনে মহাভারতের টুকরো নানা ছবি। শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মও। বিজেপিতে আদবানিকে ভীষ্ম পিতামহের সঙ্গে তুলনা করা হয়। নিজের হাতে তৈরি দলে যেভাবে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, তাকে কি তাঁকে আজ ভীষ্মের সেই শরশয্যার সঙ্গে তুলনা করা যায়?
বিশদ

10th  May, 2019
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অনেক
সংশোধন প্রয়োজন 
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ভারতীয় সংবিধান রচয়িতারা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান প্রদত্ত পূর্ণ স্বাধিকার দিয়েছিল। সংবিধানের ৩২৪নং ধারা বলে লোকসভা নির্বাচনে তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নির্বাচনের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখবার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।
বিশদ

10th  May, 2019
নরেন্দ্র মোদি মেজাজ হারাচ্ছেন কেন?
শুভা দত্ত

 নরেন্দ্র মোদির রাজনীতি নিয়ে অনেকের ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু তাঁর সৌজন্যবোধ নিয়ে এ যাবৎ কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। ২০১৯-এর ভোটপর্ব যখন শেষ পর্যায়ে, তখন তিনি মেজাজ হারিয়ে একেবারে রাহুল গান্ধীর প্রয়াত পিতার নামে নিন্দা করে বসলেন। এভাবে তিনি ভদ্রতার সীমা ছাড়ালেন।
বিশদ

09th  May, 2019
কেন্দ্রে শক্তিক্ষয়, রাজ্যে শক্তিবৃদ্ধি—
সম্ভাবনার বিচিত্র জল্পনায় মুখর বঙ্গ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 বিশেষ করে বিষয় যখন দেশের ক্ষমতা দখলের ভোট-মহারণ সঙ্গে বাংলায় জোড়া ফুলের ৪২-এ ৪২-এর ডাক, আর সে মহাসংগ্রামে দুই প্রধান প্রতিপক্ষের নাম মোদি-মমতা— তখন পায় কে! একেবারে রসিয়ে কষিয়ে গরমে নরমে যুক্তি অযুক্তি কুযুক্তির কড়া পাকে পাহাড় থেকে সাগর জঙ্গলমহল থেকে যাদবপুর যাকে বলে জল্পনা-কল্পনার একটা উৎসবই যেন শুরু হয়ে গেছে।
বিশদ

09th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

07th  May, 2019
রাজনীতির পাঁকে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা
শুভময় মৈত্র

 দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। কেউ কেউ বড্ড বেশি যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তারপর সেখানে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে।
বিশদ

07th  May, 2019
ইরান-মার্কিন দ্বন্দ্ব
তেলসংকটের মুখে ভারত 
গৌরীশঙ্কর নাগ

গত ২২ এপ্রিল ইরান থেকে তেল আমদানির ওপর আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার ফলে ২ মে থেকে ভারতসহ ৬টি রাষ্ট্র (চীন, ইতালি, গ্রিস, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও তুর্কি) ফের অসুবিধার মুখে পড়তে চলেছে।  বিশদ

06th  May, 2019
আমাদের কি ‘সাচ্চে দিন’
আসতে পারে না?
পি চিদম্বরম

আমার সামনে ১ মে তারিখের একটি ইংরেজি দৈনিক কাগজ রয়েছে। চলতি নির্বাচনের রকমারি খবর পড়ছি। নজরকাড়া শিরোনামের একটি ‘স্টোরি’ পড়লাম: ‘লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নেই, সেই দল প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার স্বপ্ন দেখে: মোদি’। নরেন্দ্র মোদি লখনউ এবং মজফ্ফরপুরে যে ভাষণ দিয়েছেন তার গুরুত্বপূর্ণ অংশের বিস্তারিত বিবরণ ওই রিপোর্টে রয়েছে।  বিশদ

06th  May, 2019
মোদিকে ঘিরে বিরোধীদের ইস্যুহীন লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের সাধারণ নির্বাচন আরও একবার দারুণভাবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এবং সেই ব্যক্তিকে ঘিরেই গোটা দেশে গড়ে উঠছে আশা-নিরাশার এক অদ্ভুত দোলাচল। বিরোধীদের যাবতীয় মরণ-কামড়ও। এই লোকসভা নির্বাচনে তিনিই ওয়ান ম্যান আর্মি।
বিশদ

05th  May, 2019
ফণী: বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতিতে ফুল মার্কস মমতাকে
শুভা দত্ত 

প্রকৃতির রোষ ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষের নেই। ঝড়ঝঞ্ঝা, বজ্র-বিদ্যুৎ, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দাপটের কাছে সত্যি বলতে কী—আজও মানুষ অসহায়। অবশ্য, আধুনিককালে বিজ্ঞানের বলে মানুষ প্রকৃতির ওই দাপটের হাত থেকে আত্মরক্ষার অনেক কলাকৌশলও আয়ত্ত করেছে।  
বিশদ

05th  May, 2019
একনজরে
 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা: সন্দেহভাজন বেশ কিছু বাংলাদেশির গতিবিধি নিয়ে সীমান্তের ওপারের পুলিসের কাছে তথ্য চাইল রেল পুলিস (জিআরপি)। এরা সকলেই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে সন্দেহ। এদেশে একাধিক অপরাধের সঙ্গে তারা যুক্ত রয়েছে বলেও খবর। ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নতুন কোচ হিসাবে স্প্যানিশ কোচ হোসে আন্তেনিও কিবু ভিচুনাকে বেছে নিল মোহন বাগান। ভারতে কাজ করার কোনও অভিজ্ঞতা না থাকলেও উয়েফা প্রো-লাইসেন্স আছে তাঁর। ছ’বছর পর সবুজ-মেরুনের দায়িত্বে আবার বিদেশি কোচ। ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া একব্যক্তির মৃতদেহ বালুরঘাট হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে এসে বিপাকে পড়ে একটি দরিদ্র পরিবার। মৃত ব্যক্তির নাম বাবুলাল চৌধুরী(৫৫)। তাঁর বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার গচিহারে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা
১৯০৪: ১৯০৪ - স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির জন্ম
১৯১৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্তকুমার বিশ্বাসের জন্ম।
১৯১৬: আপেক্ষিকতাবাদের উপস্থাপনা আইনস্টাইনের
১৯৮৪: স্পেনের ফুটবলার আন্দ্রে ইনিয়েস্তার জন্ম
১৯৯৮: পোখরানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করল ভারত
২০১৬: বাগদাদে আইএসের হামলায় হত শতাধিক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭০.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৫৭ টাকা ৯২.৮২ টাকা
ইউরো ৭৭.১৮ টাকা ৮০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৩২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৬৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,১২৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
10th  May, 2019

দিন পঞ্জিকা

২৭ বৈশাখ ১৪২৬, ১১ মে ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৬/৪৫ রাত্রি ৭/৪৫। পুষ্যা ২০/২৭ দিবা ১/১৩। সূ উ ৫/২/৩২, অ ৬/৩/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৩ মধ্যে পুনঃ ২/৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৫ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে উদয়াবধি। 
২৭ বৈশাখ ১৪২৬, ১১ মে ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৪/৪৭/৪১ রাত্রি ৬/৫৮/৭। পুষ্যানক্ষত্র ১৯/২৭/১৬ দিবা ১২/৪৯/৫৭, সূ উ ৫/৩/৩, অ ৬/৪/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে, বারবেলা ১/১১/৩৩ গতে ২/৪৯/১৫ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪০/৪৫ মধ্যে ও ৪/২৬/৫৭ গতে ৬/৪/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২৬/৫৭ মধ্যে ও ৩/৪০/৪৫ গতে ৫/২/৩০ মধ্যে। 
৫ রমজান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শেয়ার বা ফাটকাতে লাভ হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ থাকবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা১৯০৪: ১৯০৪ ...বিশদ

07:03:20 PM

পাকিস্তানের একটি পাঁচতারা হোটেলে ৩ বন্দুকবাজের হামলা, চলছে গোলাগুলি

07:18:04 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুলে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী বাস, মৃত ১৩, জখম বেশ কয়েকজন 

06:18:00 PM

বাইক বাহিনী ও বহিরাগতদের দাপাদাপি রোখার দাবিতে বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের অবস্থান বিক্ষোভ 

05:05:00 PM

উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক তুষারপাত

04:55:00 PM