Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ফণী: বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতিতে ফুল মার্কস মমতাকে
শুভা দত্ত 

প্রকৃতির রোষ ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষের নেই। ঝড়ঝঞ্ঝা, বজ্র-বিদ্যুৎ, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দাপটের কাছে সত্যি বলতে কী—আজও মানুষ অসহায়। অবশ্য, আধুনিককালে বিজ্ঞানের বলে মানুষ প্রকৃতির ওই দাপটের হাত থেকে আত্মরক্ষার অনেক কলাকৌশলও আয়ত্ত করেছে। সেই কলাকৌশলের জোরে প্রকৃতির দাপট ঠেকাতে না পারুক প্রাণহানি বহুলাংশেই ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘরবাড়ি সংসার-সম্পত্তি গাই-বাছুর খেতখামারের সর্বনাশও অনেকটা রোধ করার শক্তি অর্জন করেছে। এখন প্রকৃতির চলনবলন, হাবভাবে মানুষের বিপদ বিপর্যয় ঘটানোর কিছুমাত্র সম্ভাবনা দেখা দিলেই আমাদের আবহাওয়াবিদেরা উপগ্রহ চিত্র বা অন্যান্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে তার আগাম খবর পেয়ে যাচ্ছেন। এবং কখন কোথায় সে বিপদ ঘটবে বা ঘটতে পারে তার প্রায় নির্ভুল তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরগুলোতে সরবরাহ করছেন। তার ফলে বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত দপ্তরগুলো যেমন প্রাকৃতিক তাণ্ডবের মোকাবিলায় প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় পেয়ে যাচ্ছে তেমনি সাধারণ মানুষও বিপদ ব্যাপারে আগাম সতর্ক হতে পারছে।
গত শুক্রবার হাতেনাতে তার প্রমাণ আর একবার মিলল। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার সকালে ওড়িশার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেড়-দুশো কিলোমিটার বেগে বেশ কয়েক ঘণ্টা দাপিয়ে বেড়াল বটে, ভাঙচুরও করল অনেক—কিন্তু মানুষের প্রাণ বিশেষ কাড়তে পারল না। গোটা ওড়িশায় মাত্র আট হতভাগ্যের প্রাণ নিয়েই এ যাত্রায় ফণীকে বিদায় নিতে হল। অথচ, এর আগে এই শতকের শুরুর কয়েক মাস আগে ১৯৯৯ সালের ২৯ অক্টোবর ওড়িশায় যে সুপার সাইক্লোন হয়েছিল তাতে ধ্বংসের ছবি আর মৃত্যুর সংখ্যা প্রকৃত অর্থেই মর্মান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছিল। মৃত্যু ছাড়িয়ে ছিল দশ হাজার, ২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে গৃহহীন করে ধূলিসাৎ হয়েছিল সাড়ে তিন লাখের মতো বাড়িঘর। এই বিরাট ক্ষয়ক্ষতির কারণ ছিল একটাই—প্রকৃতির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে উপযুক্ত তথ্যের অভাব। সেদিন তার সুযোগেই অসহায় অপ্রস্তুত ওড়িশায় অমন কালান্তক হত্যালীলা চালাতে পেরেছিল সুপার সাইক্লোন।
এবার সেই সুপার সাইক্লোনের দোসর ফণী কিন্তু তার ধারেকাছেও পারল না! পারল না কেবল ওড়িশায় নয়—পারল না তার গতিপথে পড়া পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশেও। ওড়িশায় অবশ্য তাণ্ডবে কিছুটা সফল হয়েছে ফণী কিন্তু প্রাণ নিতে তেমন পারেনি। আর পারল না তার কারণ যে তার উগ্র বিধ্বংসী চলন সম্পর্কে অনেক আগে থেকে পেতে থাকা বিপদবার্তা এবং সুপার সাইক্লোনের পর ভবিষ্যৎ বিপর্যয় মোকাবিলায় নেওয়া ওড়িশা সরকারের পদক্ষেপগুলি—তাতে সন্দেহ কী? এবার তো পুরী সমেত ওড়িশার সমুদ্রপাড় ফণী আসার বহু আগে খালি করে দেওয়া হল, বিশেষ ট্রেনে পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা হল, হোটেল অফিস-কাছারি দোকানবাজার মায় বিমানবন্দর অব্দি বন্ধ রাখা হল। এমনকী জগন্নাথদেবের মন্দিরের ধ্বজাও ফণীর আসার আগে খাটো করে দেওয়া হল। ফলে, প্রায় জনশূন্য বন্ধ হাটবাজার, দোকানপাটের পুরীতে বা সতর্ক ভুবনেশ্বর কটক বালেশ্বরের মতো জায়গাগুলোতে দাপিয়ে বেড়ালেও বড় সংখ্যায় প্রাণহানি ঘটাতে ব্যর্থ হল ফণী। তবে তার ছোবলে এয়ারপোর্ট রেলস্টেশন হোটেল রেস্তরাঁ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মতো কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দোকানপাট বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হল। ক্রেন ভেঙে পড়ল বসত বাড়ির উপর, মোবাইল টাওয়ার উপড়ে গেল। গাছপালা খেতখামারের কিছু ক্ষতি হল এবং সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণও মোটেই কম নয়। তবে, যা আশঙ্কা ছিল তার চেয়ে এবার ক্ষতি হয়েছে অনেক কম—সেটা বিশেষজ্ঞ তথ্যভিজ্ঞজনেরা কিন্তু স্বীকার করছেন।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা এটাও বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেও ফণী এবার বিশেষ ক্ষতি করতে পারত না। ফণীর হাওয়ার জোর যদি ঘণ্টায় দেড় দুশো কিলোমিটার থাকত তাহলে ওড়িশার মতো ক্ষয়ক্ষতি হতো ঠিকই তবে প্রাণহানি হতো না। ফণী আসার খবর পাওয়ামাত্র যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যেভাবে এবার মমতা-প্রশাসন বিপর্যয় মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং দীঘা শঙ্করপুর মন্দারমণির মতো রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী পর্যটনকেন্দ্রগুলি থেকে পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরত পাঠাবার ব্যবস্থা করেছে, যেভাবে বিপজ্জনক বাড়ি বা এলাকার মানুষজনকে আগেভাগে রেসকিউ সেন্টারে তুলে এনেছে, যেভাবে পুলিস পুরসভা দমকল ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি কোমর বেঁধে ঝড়ের মোকাবিলায় একজোট হয়ে নেমে পড়েছে, তা অনেকের কাছেই রাজ্যে নজিরবিহীন বলে মনে হয়েছে। অনেকের কথা শুনে মনে হয়েছে—মমতার বিপর্যয় মোকাবিলা প্রস্তুতি রাজ্যবাসীর মনে এই আত্মবিশ্বাসটা জাগিয়ে দিয়েছিল যে ঘূর্ণিঝড় ফণী আর যা-ই হোক আয়লার মতো তাঁদের সর্বনাশ করতে পারবে না। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসনের সর্বাত্মক চেষ্টায় তাঁরা এবার আগেভাগেই সুরক্ষিত এবং সচেতন। সে জন্য মমতা বিরোধী থেকে পথঘাটের সাধারণ—বহুজনই স্বীকার করছেন, ঝড়, শেষপর্যন্ত তার ভয়াল রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বুকে ছোবল না মারলেও তার মোকাবিলায় মমতা যে তৎপরতা দেখিয়েছেন তা তুলনারহিত। ফণী-বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতিতে ফুল মার্কস মমতার।
আসলে মনে হয়, আয়লার মারাত্মক স্মৃতি এখনও বহুমনেই পুরনো ঝাপসা দুঃস্বপ্নের মতো লেগে আছে। সামান্য কয়েক মুহূর্তের ঝড়ে সেদিন কীভাবে চুরমার হয়ে গিয়েছিল কলকাতা, ভেসে গিয়েছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা, বাঁধভাঙা নোনাজলে কীভাবে ছারখার হয়ে গিয়েছিল একর একর খেতখামার, হারিয়ে গিয়েছিল কত বাড়িঘর সংসার কত মানুষ মুহূর্তে নিঃস্ব হয়ে প্রাণ বাঁচাতে ঝড়বৃষ্টি মাথায় করে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়েছিলেন অসহায়—সেই ব্যথার অতীত কি সহজে ভোলার! আর সরকার?! সেদিন রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম সরকার ও তার প্রশাসনের কিংকর্তব্যবিমূঢ় দিশেহারা ভাবটিও কি ভোলার! গোটা রাজ্যে সেদিন প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বলতে কি কোনও ব্যবস্থাই যে ছিল না। গাছ পড়ে কলকাতা অচল হয়ে থেকেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। উপায় নেই। কোথায় ইলেকট্রিক করাত, কোথায় গাছ সরিয়ে রাস্তা সাফ করার আধুনিক সরঞ্জাম? সরঞ্জাম বলতে কুড়ুলের মতো পুরনো হাতিয়ার! যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি অথচ কাজ হচ্ছে ঠুকঠুক করে। নোনা জলে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, একচিলতে বাঁধের ওপর খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার—রেসকিউ সেন্টারের নামগন্ধ নেই রাজ্যে—তাঁরা যাবেন কোথায়? আয়লা বিধ্বস্তদের হাতে সামান্য খাবার, পানীয় জল তুলে দিতে চাইলেও দেওয়ার উপায় নেই—রাস্তাঘাট গাছ পড়ে বন্ধ না হয় ঝড়জলের তোড়ে এমনভাবে ভেঙেছে যে উপদ্রুত এলাকায় যাওয়াই যাচ্ছে না!
সেই ভয়ঙ্কর অতীতের পাশে আজকে মমতার উদ্যোগকে রাখলে যে কেউই আশ্বস্ত বোধ করবেন, প্রকৃতির তাণ্ডবের মুখে দাঁড়িয়েও হিম্মত হারাবেন না—তা বলাই বাহুল্য। অবশ্য, মমতা প্রথম থেকেই বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে মানুষের হয়ে লড়েন। সে আমরি বা পার্ক স্ট্রিটের বহুতলে অগ্নিকাণ্ডই হোক কি মেছুয়া বা মাঝেরহাটের ব্রিজ বিপর্যয় মা-মাটি-মানুষের নেত্রী সবসময় সবার আগে, সবার পাশে অতন্দ্র সক্রিয়। ভাবুন তো, মুখ্যমন্ত্রী মমতা স্বয়ং রাত জেগে মনিটরিং করছেন, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য, পুরসভার মেয়র থেকে শুরু করে ছোটবড় নেতানেত্রীরা ঝড়ের অপেক্ষায় পথে নেমেছেন—পরস্পর যোগাযোগ রেখে ঝড়ের গতিবিধির খোঁজখবর নিচ্ছেন—ঝড় তাণ্ডব করে যাওয়ার অব্যবহিত পর থেকে কী কী করতে হবে তা বারবার ঝালিয়ে নিচ্ছেন—এমন দৃশ্য কলকাতা কবে দেখেছে? সিপিএমের ৩৪ বছরে কিছু কেউ করেননি এমন কখনওই বলব না। কিন্তু, বিপদের মুখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রীরা বা তাঁদের সহকর্মীরা কে কবে এভাবে রাত জেগে জনপদ পাহারা দিয়েছেন?! মানুষকে ক্রমাগত সাহস জুগিয়ে চলেছেন?
এ কথা ঠিক, এবার ফণী বাংলায় প্রাকৃতিক কারণেই তেমন কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারল না। শনিবার সকালে আকাশের খানিকটা প্রসন্ন মুখ দেখে মানুষ বিপদ কেটে গেছে বুঝে আশ্বস্ত হলেন। ফণীর আগমন সংবাদে থমকে যাওয়া ভোটযুদ্ধের ময়দানেও হয়তো শনিবারের এক ঝলক রোদ ফের দামামা বাজিয়ে দেবে, পঞ্চমদফার প্রচারে সরগরম হয়ে উঠবে ভোটবাজার। কিন্তু, দিনের শেষে সত্য এটাই যে ভবিষ্যৎ ফণীর সম্ভাবনা থেকেই যাবে—হয়তো অন্য নামে অন্য ধাঁচে। সুতরাং, আজ রেহাই মিলেছে বলে কাল যে বিপদ এসে সামনে দাঁড়াবে না, তছনছ করে দেবে না আমাদের ঘরসংসার—এমন গ্যারান্টি কোথায়? নেই। আর নেই বলেই একটা জোরদার অত্যাধুনিক বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থার প্রয়োজন সবসময় বহাল থাকছে। রাজ্য জুড়ে ব্যাপক উন্নয়নের মাঝে সেই ব্যবস্থাটাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা করে ফেলেছেন। ফুল মার্কস মমতা। বাংলার মানুষকে এবার সেটাই কি জানিয়ে গেল দুরন্ত ফণী! 
05th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া
এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

রাজনীতির পাঁকে সরকারের
উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা
শুভময় মৈত্র

দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। কেউ কেউ বড্ড বেশি যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তারপর সেখানে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে। নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় যোগ দিতে হচ্ছে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে। ভোটপ্রচারে তাঁদের মুখ ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে এমন সব ভাষা যা একেবারে রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকেই শেখা।
বিশদ

মোদিময় রাজনীতিতে
নয়া পাঠ ‘বাণপ্রস্থ কথা’
মৃণালকান্তি দাস

তাঁর বাড়িতে পা দিলেই চন্দনকাঠের একটা মূর্তিতে চোখ পড়বেই। তাতে অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ। তার পিছনে মহাভারতের টুকরো নানা ছবি। শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মও। বিজেপিতে আদবানিকে ভীষ্ম পিতামহের সঙ্গে তুলনা করা হয়। নিজের হাতে তৈরি দলে যেভাবে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, তাকে কি তাঁকে আজ ভীষ্মের সেই শরশয্যার সঙ্গে তুলনা করা যায়?
বিশদ

10th  May, 2019
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অনেক
সংশোধন প্রয়োজন 
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ভারতীয় সংবিধান রচয়িতারা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান প্রদত্ত পূর্ণ স্বাধিকার দিয়েছিল। সংবিধানের ৩২৪নং ধারা বলে লোকসভা নির্বাচনে তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নির্বাচনের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখবার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।
বিশদ

10th  May, 2019
নরেন্দ্র মোদি মেজাজ হারাচ্ছেন কেন?
শুভা দত্ত

 নরেন্দ্র মোদির রাজনীতি নিয়ে অনেকের ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু তাঁর সৌজন্যবোধ নিয়ে এ যাবৎ কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। ২০১৯-এর ভোটপর্ব যখন শেষ পর্যায়ে, তখন তিনি মেজাজ হারিয়ে একেবারে রাহুল গান্ধীর প্রয়াত পিতার নামে নিন্দা করে বসলেন। এভাবে তিনি ভদ্রতার সীমা ছাড়ালেন।
বিশদ

09th  May, 2019
কেন্দ্রে শক্তিক্ষয়, রাজ্যে শক্তিবৃদ্ধি—
সম্ভাবনার বিচিত্র জল্পনায় মুখর বঙ্গ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 বিশেষ করে বিষয় যখন দেশের ক্ষমতা দখলের ভোট-মহারণ সঙ্গে বাংলায় জোড়া ফুলের ৪২-এ ৪২-এর ডাক, আর সে মহাসংগ্রামে দুই প্রধান প্রতিপক্ষের নাম মোদি-মমতা— তখন পায় কে! একেবারে রসিয়ে কষিয়ে গরমে নরমে যুক্তি অযুক্তি কুযুক্তির কড়া পাকে পাহাড় থেকে সাগর জঙ্গলমহল থেকে যাদবপুর যাকে বলে জল্পনা-কল্পনার একটা উৎসবই যেন শুরু হয়ে গেছে।
বিশদ

09th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

07th  May, 2019
রাজনীতির পাঁকে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা
শুভময় মৈত্র

 দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। কেউ কেউ বড্ড বেশি যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তারপর সেখানে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে।
বিশদ

07th  May, 2019
ইরান-মার্কিন দ্বন্দ্ব
তেলসংকটের মুখে ভারত 
গৌরীশঙ্কর নাগ

গত ২২ এপ্রিল ইরান থেকে তেল আমদানির ওপর আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার ফলে ২ মে থেকে ভারতসহ ৬টি রাষ্ট্র (চীন, ইতালি, গ্রিস, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও তুর্কি) ফের অসুবিধার মুখে পড়তে চলেছে।  বিশদ

06th  May, 2019
আমাদের কি ‘সাচ্চে দিন’
আসতে পারে না?
পি চিদম্বরম

আমার সামনে ১ মে তারিখের একটি ইংরেজি দৈনিক কাগজ রয়েছে। চলতি নির্বাচনের রকমারি খবর পড়ছি। নজরকাড়া শিরোনামের একটি ‘স্টোরি’ পড়লাম: ‘লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নেই, সেই দল প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার স্বপ্ন দেখে: মোদি’। নরেন্দ্র মোদি লখনউ এবং মজফ্ফরপুরে যে ভাষণ দিয়েছেন তার গুরুত্বপূর্ণ অংশের বিস্তারিত বিবরণ ওই রিপোর্টে রয়েছে।  বিশদ

06th  May, 2019
মোদিকে ঘিরে বিরোধীদের ইস্যুহীন লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের সাধারণ নির্বাচন আরও একবার দারুণভাবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এবং সেই ব্যক্তিকে ঘিরেই গোটা দেশে গড়ে উঠছে আশা-নিরাশার এক অদ্ভুত দোলাচল। বিরোধীদের যাবতীয় মরণ-কামড়ও। এই লোকসভা নির্বাচনে তিনিই ওয়ান ম্যান আর্মি।
বিশদ

05th  May, 2019
রাজ্যে জাতপাতের রাজনীতির
গুরুত্ব কি বাড়ছে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 জাতপাতের রাজনীতি কি পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে? রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারে ও প্রার্থী নির্বাচনে যতটা জাতপাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে বাস্তবে ইস্যুটি ততটা প্রাসঙ্গিক কি? স্বাধীনতার পর সর্বজনীন ভোটাধিকারের স্বীকৃতি ভারতীয় সমাজে বহু শতক ধরে চলা জাতব্যবস্থায় নতুন গতি এনেছে।
বিশদ

04th  May, 2019
একনজরে
সৌম্যজিৎ সাহা, জামশেদপুর, ১০ মে: জামশেদজি টাটার নামকরণেই শহর। কিন্তু এই শহরের কারিগর কে জানেন? একজন বাঙালি। পি এন বোস। ছিলেন একজন ভূতত্ত্ববিদ। তাঁর অবদানকে সম্মান জানিয়ে এই শহরে একটি মূর্তিও বসানো আছে। জন্মলগ্নের পর থেকেই এ শহর ধীরে ধীরে ...

বিএনএ, তমলুক: উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি আসনে তৃণমূলকে রেকর্ড ভোটে জেতানোর লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছেন দলের অন্যতম সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী। নিজের খাসতালুক পূর্ব মেদিনীপুরে দলের রেকর্ড অক্ষত রাখাই তাঁর টার্গেট।  ...

 রূপাঞ্জনা দত্ত, লন্ডন, ১০ মে: অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর হামলায় মৃত্যু হল এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনের কাছে বার্কশায়ারের স্লাও এলাকায়। নিহত ওই যুবকের নাম ...

 সায়ন্ত ভট্টাচার্য, কলকাতা: লর্ডসের মোড় পেরিয়ে তখন হুডখোলা জিপ ঢুকছে বিক্রমগড়ে। চারপাশে মানুষ। কেউ হাত নাড়ছেন, কেউ নমস্কার করছেন। প্রত্যুত্তরে প্রত্যেককে হাতজোড় করে নমস্কার করছেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা
১৯০৪: ১৯০৪ - স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির জন্ম
১৯১৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্তকুমার বিশ্বাসের জন্ম।
১৯১৬: আপেক্ষিকতাবাদের উপস্থাপনা আইনস্টাইনের
১৯৮৪: স্পেনের ফুটবলার আন্দ্রে ইনিয়েস্তার জন্ম
১৯৯৮: পোখরানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করল ভারত
২০১৬: বাগদাদে আইএসের হামলায় হত শতাধিক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭০.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৫৭ টাকা ৯২.৮২ টাকা
ইউরো ৭৭.১৮ টাকা ৮০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৩২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৬৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,১২৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
10th  May, 2019

দিন পঞ্জিকা

২৭ বৈশাখ ১৪২৬, ১১ মে ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৬/৪৫ রাত্রি ৭/৪৫। পুষ্যা ২০/২৭ দিবা ১/১৩। সূ উ ৫/২/৩২, অ ৬/৩/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৩ মধ্যে পুনঃ ২/৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৫ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে উদয়াবধি। 
২৭ বৈশাখ ১৪২৬, ১১ মে ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৪/৪৭/৪১ রাত্রি ৬/৫৮/৭। পুষ্যানক্ষত্র ১৯/২৭/১৬ দিবা ১২/৪৯/৫৭, সূ উ ৫/৩/৩, অ ৬/৪/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে, বারবেলা ১/১১/৩৩ গতে ২/৪৯/১৫ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪০/৪৫ মধ্যে ও ৪/২৬/৫৭ গতে ৬/৪/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২৬/৫৭ মধ্যে ও ৩/৪০/৪৫ গতে ৫/২/৩০ মধ্যে। 
৫ রমজান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শেয়ার বা ফাটকাতে লাভ হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ থাকবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা১৯০৪: ১৯০৪ ...বিশদ

07:03:20 PM

পাকিস্তানের একটি পাঁচতারা হোটেলে ৩ বন্দুকবাজের হামলা, চলছে গোলাগুলি

07:18:04 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুলে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী বাস, মৃত ১৩, জখম বেশ কয়েকজন 

06:18:00 PM

বাইক বাহিনী ও বহিরাগতদের দাপাদাপি রোখার দাবিতে বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের অবস্থান বিক্ষোভ 

05:05:00 PM

উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক তুষারপাত

04:55:00 PM