Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটের কৈফিয়ত
পি চিদম্বরম

একটা আত্মবিশ্বাসী সরকার স্বাভাবিক অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করত আর এটাই করা উচিত, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের মতো জিনিসটার ঘাটতি রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মধ্যে। শুধু বিজেপি এমপিদের বিষণ্ণ মুখগুলোর দিকে তাকান বিশেষত যাঁরা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন এবং আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন।
সুতরাং, অন্তর্বর্তী বাজেট পেশের ঘটনাটাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটা তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী—একজন খেলোয়াড় প্রথমবার ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার মতো করে—বাজেট পেশের ঘটনাটাকে একটা প্রদর্শনীর রূপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন। আইডিয়াটা ছিল সরকারের বিদায় সঙ্গীতে একটু ‘জোশ’ জোগান দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী এবং ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী যেমনটা ভেবে রেখেছিলেন, ফলটা দুর্ভাগ্যক্রমে, ভীষণই অন্যরকম হয়ে থাকতে পারে।
নির্লজ্জতা
প্রতিশ্রুতিগুলো খোলসা হতে আরম্ভ করেছে।
পিএম-কিষাণ স্কিমের ‘বিরাট’ প্রতিশ্রুতির দিকে তাকানো যাক। এই স্কিমে ২ একর বা তার কম জমির মালিক কৃষকদের বছরে তিন কিস্তিতে মোট ৬০০০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্কিমটার কার্যকারিতা পিছিয়ে ২০১৮-র ডিসেম্বরে নিয়ে গিয়ে সরকার নির্বাচন কমিশনকে বোকা বানাবার চেষ্টা করেছে! সেটা সম্ভব কীভাবে? প্রথম কিস্তিতে প্রদেয় ২০০০ টাকা সরকার কি কৃষকদের ব‌্যাঙ্ক অ‌্যাকাউন্টে (২০১৮-র ডিসেম্বরে জমা হচ্ছে ধরে নিয়ে) জমা করে দেবে এবং ওই সময় থেকে হিসেব করে সুদও দিতে নির্দেশ দেবে ব‌্যাঙ্কগুলোকে? নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগেই যদি প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়ে গিয়ে থাকে তো নির্বাচন কমিশন তাদের অসহায়তার দোহাই দিতে পারে, কিন্তু দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া যদি নির্বাচন কমিশন ঠেকাতে না-পারে তবে মানুষ ধরেই নেবে যে আরও একটা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার বিশ্বস্ততা ধ্বংস করে দেওয়া হল বা সেটাকে পরপারে পাঠাবার বন্দোবস্ত হল।
ঘুষ
এবার দেখা যাক পিএম-কিষাণ স্কিমের ভালোমন্দটা: প্রত‌্যেক প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক—যাঁরা ২ একর কিংবা তার চেয়ে কম জমির মালিক—তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তার মানে হল, সারা দেশের মোট কৃষিজমির ৮৬.২ শতাংশ এই সুবিধার আওতায় আসবে। যখন কেউ সুবিধা পায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ, আবার কেউ সুবিধা ‘না-পাওয়ার দলে’ পড়ে গেলে সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ:
১. জমির মালিক—তিনি নিজের হাতে চাষ করতে পারেন অথবা অন‌্যদের দিয়ে চাষ করান—দু’পক্ষই এই আর্থিক সুবিধা গ্রহণের যোগ‌্য বিবেচিত হবেন এবং টাকাটা পাবেন।
২. ভাগচাষি এই সুবিধা পাবেন না।
৩. কৃষি শ্রমিকরা এই সুবিধা পাবেন না।
৪. অকৃষি ক্ষেত্রের গ্রামীণ শ্রমজীবীরা—যেমন ছোট মুদি দোকানির মতো মানুষজন, হকার, ছুতোর, স্বর্ণশিল্পী, নাপিত প্রভৃতি এই স্কিমের বাইরে রয়ে যাচ্ছেন।
৫. আর শহুরে গরিবদের পুরোটাকেই এই স্কিমের বাইরে রাখা হয়েছে।
জমির মালিক-কৃষকরা (যাঁরা নিজের হাতে চাষ করেন না তাঁরাও) দৈনিক ১৭ টাকার একটা ‘বড়সড়’ অঙ্ক পাবেন। স্কিমটা নিয়ে আমি আদৌ মশকরা করছি না। ডিজেল, বিদ‌্যুৎ, সার, বীজ প্রভৃতির দাম বাড়িয়ে, ট্রাক্টর, ফসল কাটার যন্ত্র, শস‌্য মাড়াই করার যন্ত্রের উপর জিএসটি চাপিয়ে এবং কৃষিপণ‌্যের ন‌্যায‌্যমূল‌্য না-দিয়ে সরকার কৃষকদের প্রথমেই জখম করে রেখেছে—এখন তার উপর কৃষকদের অপমানও করছে।
পরিবারপিছু দৈনিক ১৭ টাকায় কি তাদের দুর্দশা ঘুচে যাবে অথবা কৃষক-পরিবারের দারিদ্রমুক্তি ঘটবে? নিশ্চিতভাবেই নয়। মাসে ৫০০ টাকার (বছরে ৬০০০ টাকা) এই অনুদানটা অনেক রাজ‌্যের বার্ধক‌্যভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা বা বিধবাভাতার থেকেও কম। দৈনিক ১৭ টাকা বা প্রথম কিস্তির ২০০০ টাকাটা মোটেই দারিদ্র-দূরীকরণের উপায় নয়। এটা তাহলে কী? সোজা কথায়, এটা হচ্ছে ভোটের জন‌্য নগদ ইনাম। ভোটে জেতার আশায় নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকার এই টাকাটা ভোটারদের দেবে—যেভাবে কিছু দল অসদুপায়ে জোগাড় করা টাকার পুরোদস্তুর আর্ট দেখিয়ে থাকে। পিএম-কিষাণ স্কিমে, এই প্রথম সরকারি অর্থ ভোটারদের ঘুষ দিতে ব‌্যবহার করা হবে।
জমির মালিকানা সংক্রান্ত রেকর্ডপত্তর কি রাজ‌্য সরকারগুলো ‘আপডেট’ এবং ‘ভেরিফাই’ করেছে? একদিকে, জমির মালিকানা সংক্রান্ত রেকর্ড ‘আপডেট’ করে দেওয়ার জন‌্য সরকার গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজ‌্যগুলোকে লিখেছে। অন‌্যদিকে, ওই একই দিনে, সংশ্লিষ্ট সচিব ঘোষণা করে দিয়েছেন যে প্রথম কিস্তির টাকা এখনই দেওয়া হবে এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকাটাও ভোটের আগে দিয়ে দিতে পারে সরকার। ধরে নেওয়া যায় যে সচিব হলেন সরকারের গোপনীয়তার রক্ষাকর্তা।
বাগাড়ম্বর
অন‌্য বড় প্রতিশ্রুতি হল পেনশন প্রকল্প—বাস্তবিক ‘অন‌্য-একটা’ পেনশন প্ল‌্যান—অটল পেনশন যোজনা নামক প্রথমটা ‘ফ্লপ’ হওয়ার কারণেই। পুরনো কনট্রিবিউটরি প্ল‌্যান ২০১৫-র মে মাসে চালু করা হয়েছিল এবং ২০১৮-র ডিসেম্বর অবধি ওতে গ্রাহক নথিভুক্ত করা গিয়েছে মাত্র ১ কোটি ৩৩ লক্ষ। ওই প্ল‌্যানে জমানো টাকার বিনিময়ে বাস্তবে যতটুকু পাওয়া যাবে সেই জটিল হিসেবটা খুব কম গ্রাহকের মাথাতেই ঢুকবে। নতুন প্ল‌্যানটার হিসেবপত্তর তুলনামূলকভাবে সহজ হলেও জমানো টাকার বিনিময়ে শেষাবধি যা পাওয়া যাবে বলা হচ্ছে তাতে গ্রাহকের আর্থিক লাভ কোথায়? ধরে নেওয়া যায় যে একজন গ্রাহক নিরবচ্ছিন্নভাবে ৩১-৪২ বছর মাসে মাসে ৫৫-১০০ টাকা জমা দেবেন। তার বিনিময়ে ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৩০০০ টাকা পেনশন পেলেও সেই কালে তার অর্থনৈতিক গুরুত্ব কী থাকবে? এই প্ল‌্যানে গ্রাহক হওয়ার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫০ বছর, অতএব ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষণ থেকে অনুমেয় যে, প্রথম ১০ বছর সরকারকে কোনও পাওনা মেটাতে হবে না। আগের প্ল‌্যানের অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হয়, প্রস্তাব অনুসারে ১০ কোটি শ্রমজীবী মানুষের নাম এই প্ল‌্যানে নথিভুক্ত হওয়ার কোনও আশা নেই; ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী এই কর্মসূচির জন‌্য মাত্রই ৫০০ কোটি টাকার সংস্থান রেখেছেন! (ও হ‌্যাঁ, বাজেট ভাষণের ৩৭ নং অনুচ্ছেদ ছাড়া বাজেট ডকুমেন্টের আর কোথায় অ‌্যালোকেশন বা বরাদ্দের উল্লেখ আছে?)
বাগাড়ম্বর করার অন‌্য ব‌্যাপারগুলোর মধ‌্যে রয়েছে নির্মল জেলা ও গ্রামগুলো, প্রত‌্যেক বাড়িতে বিদ‌্যুৎ পৌঁছে যাওয়া, গরিব পরিবারগুলোকে রান্নার গ‌্যাসের নিখরচার সংযোগ এবং ‘মুদ্রা’ স্কিমের ঋণগ্রহীতারাই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিকারী—তৎসত্ত্বেও বাস্তবটা হল—এই সমস্ত দাবির প্রত‌্যেকটার অসত‌্যতা প্রকট হয়ে পড়েছে—জ্ঞানীগুণিমহল, এনজিও এবং সাংবাদিকদের ফিল্ড রিপোর্টে।
সব মিলিয়ে অন্তর্বর্তী বাজেট এটাই খোলসা করে দিল যে বিজেপির লোকসভা নির্বাচনের কৌশলটা হল ‘বাগাড়ম্বর এবং ভোটারদের ঘুষের প্রলোভন’।  
11th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
বিশদ

14th  February, 2019
স্মার্ট সিটি এবং সুশাসন
রঞ্জন সেন

স্মার্ট হওয়া ভালো, কিন্তু আরও ভালো হল সুশাসিত হওয়া। আর এটা হয় না বলেই রাতারাতি স্মার্ট বলে দেগে দেশের স্মার্ট সিটিগুলিতে হঠাৎ প্রয়োজনে জরুরি পরিষেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে তার প্রশস্ত রাজপথে চরে বেড়ায় গোরু। তার পরিণতিতে মানুষের প্রাণও যায়।
বিশদ

12th  February, 2019
ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

10th  February, 2019
হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়!
বিশদ

07th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 
বিশদ

05th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে?
শুভা দত্ত

শুক্রবার সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ হল হিসেব মতো সেটা দেশের চলতি সরকারের শেষ বাজেট—অন্তর্বর্তী বাজেট। কিন্তু, বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েলের বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচার-আচরণ দেখে মনে হল অন্তর্বর্তী নয়, আসন্ন অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করল বিদায়ী সরকার! শুধু তাই নয়, গোটা বাজেট প্রস্তাব জুড়ে মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক শ্রমিক প্রান্তিক মানুষজনের জন্য ‘ছাড়’ আর অর্থবরাদ্দের যে হিড়িক দেখা গেল—এককথায় তা নজিরবিহীন।
বিশদ

03rd  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে আপস করে
জনমোহিনী বাজেট

দেবনারায়ণ সরকার

 শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদি সরকারের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন। কার্যত এটাকে পূর্ণাঙ্গ বাজেটই বলা চলে। বিশদ

02nd  February, 2019
ইয়ং ইন্ডিয়া
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রায় বছর দশেক হয়ে গেল এই পিতাপুত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। যা ক্রমেই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতায় পর্যবসিত। রাউলাট বিলের প্রতিবাদ করে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় একটি সভা হয়েছিল এলাহাবাদে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বলা হয়েছিল স্থানীয় একজন আইনজীবীর বাড়িতে থাকতে।
বিশদ

01st  February, 2019
একনজরে
বিএনএ, চুঁচুড়া: রাস্তাঘাট, পথবাতি, নর্দমা সহ উন্নয়নের কাজ করে শহরগুলিকে ঝাঁ চকচকে করে তোলার চলছে জোর কদমে। তবে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঘিঞ্জি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গৃহহীন মানুষগুলিকে সরিয়েও দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই শহর ...

  বিএনএ, আরামবাগ: পুরশুড়ার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে জাতীয় ক্রীড়া ময়দান কাঁপাল দুই বোন। ঘরের মেয়েরা গুজরাত ও হরিয়ানায় জাতীয় স্তরের আসরে সফল হওয়ায় গর্বে বুক ফুলেছে বাবা, মা সহ এলাকাবাসীর। এতদিন স্কুল থেকে জেলা, রাজ্যস্তরের পর্যায়ে তারা একই সঙ্গে খেলে ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাণ্ডার দেউচা-পাচামি থেকে কয়লা তুলবে পোল্যান্ডের সংস্থা। এই বিষয়ে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি করতে রাজ্য সরকার অনেকটাই এগিয়েছে। ...

মুম্বই, ১৪ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): ৮৬ তম জন্মদিনে প্রয়াত অভিনেত্রী মধুবালাকে শ্রদ্ধা জানাল গুগল। সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবহার হল বেঙ্গালুরুর শিল্পী মহম্মদ সাজিদের তৈরি ডুডল। ১৯৩৩ সালে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম
১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু
১৮৯৮: কিউবা উপকূলে মার্কিন রণতরী ডুবে গিয়ে মৃত ২৭৪। স্পেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল আমেরিকা
১৯২১: ঐতিহাসিক রাধাকৃষ্ণ চৌধুরির জন্ম
১৯৩৩: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা। নিহত শিকাগোর মেয়র
১৯৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরের পতন। জাপানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ব্রিটিশ জেনারেল।
১৯৪৭: রণধীর কাপুরের জন্ম
১৯৫৬: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইনসের জন্ম
১৯৬৪: আশুতোষ গোয়ারিকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৮০ টাকা ৭১.৪৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৮.৫৩ টাকা ৮১.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৪০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,৬৯৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, দশমী ১৭/৪৫ দিবা ১/১৯। মৃগশিরা ৩৬/৩৯ রাত্রি ৮/৫২। সূ উ ৬/১২/৪৫, অ ৫/২৯/১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২৮ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৭ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৯/১১ গতে ১১/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৩৯ গতে ১০/১৫ মধ্যে।
২ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, দশমী ৮/২২/২০। মৃগশিরানক্ষত্র অপঃ ৪/৪৪/৫, সূ উ ৬/১৪/১৩, অ ৫/২৭/১১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩/৫৭ মধ্যে ও ৮/২৮/৪৯ থেকে ১০/৪৩/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮/০ থেকে ২/২৭/৪৪ মধ্যে ও ৩/৫৭/২৭ থেকে ৫/২৭/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৯/২৭ থেকে ৮/৫১/৪৪ মধ্যে ও ৩/৪০/৪৯ থেকে ৪/৩১/৫৭ মধ্যে, বারবেলা ৯/২/২৮ থেকে ১০/২৬/৩৫ মধ্যে, কালবেলা ১০/২৬/৩৫ থেকে ১১/৫০/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৩৮/৫৭ থেকে ১০/১৪/৪৯ মধ্যে।
৯ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সপরিবারে ভ্রমণের সুযোগ। বৃষ: নতুন কাজের সুযোগ। মিথুন: অর্থ সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু১৮৯৮: কিউবা উপকূলে ...বিশদ

07:03:20 PM

গোপীবল্লভপুরে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল এক কিশোর 

06:37:00 PM

ভুয়ো কোম্পানি খুলে রাজ্যজুড়ে প্রতারণার জাল, ধৃত ৭
গৃহঋণ থেকে চাকরির টোপ দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে প্রচুর মানুষকে ...বিশদ

04:12:00 PM

৬৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:11:35 PM

পুলওয়ামায় হামলা: নদীয়া, হাওড়ার শহিদ জওয়ানদের বাড়িতে আসছেন দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 

04:03:51 PM