গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনার নিন্দা করলেও, কেন এখনও দোষীদের ধরা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। তাদের মূল বক্তব্য, শিক্ষক-প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সরকারি আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়াটাই কাল হয়েছে বোর্ডের। এক অংশের শিক্ষক এই পদক্ষেপকে অপমান হিসেবেই নিয়েছে। কোথাও একটা রাগও তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকারের মতে, প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে পর্ষদ। তারা চাইলে দ্রুত এই ঘটনার উৎস এবং দোষীদের পাকড়াও করতে পারে। কিন্তু তা হয়নি। কে নাটের গুরু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভিতরের কেউই জড়িত কি না, সেই সন্দেহও উঁকি দিয়েছে।
অন্যদিকে, মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্রের কথায়, কোনও না কোনও স্তরে অবহেলার কারণেই এমনটা হয়েছে। এতদিন ধরে শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরাই এই ব্যবস্থা চালিয়ে আসছিলেন। হঠাৎ তাঁদের হাত থেকে দায়িত্ব নিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হল। শিক্ষকদের উপর আস্থা রাখা হলে, এমনটা হয়তো হতো না। মনে হচ্ছে, প্রশাসনিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত কেউ বা কারা, এই কাজ করে থাকতে পারে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, দু’টি পরীক্ষার পরও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এমনকী কোথা থেকে হয়েছে, তা নিয়ে কোনও খবর নেই।
পুরো ঘটনার জন্য পর্ষদকেই দায়ী করেছে সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর মতে, এমন কাউকে দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হল, যাঁরা স্কুল কাঠামোর ব্যাপারে অবহিত নন। এই ঘটনা যে এক জায়গা থেকে হচ্ছে, তা নয়। একাধিক কেন্দ্র থেকেও হতে পারে। এমনকী ভিতর থেকেও হতে পারে। এত সুরক্ষা বিধি, কঠোর বার্তা দেওয়ার পরেও যখন এসব ঠেকানো গেল না, তখন আগামীদিনে এর বড়সড় প্রভাব পড়বে বলেই মনে হচ্ছে। এদিকে আজ, শুক্রবার মাধ্যমিকের তৃতীয়দিনে এমন বিপত্তি ঠেকাতে আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পর্ষদ। কিন্তু তাতেও যেন সংশয় কাটছে না কর্তাদের। যেভাবে দু’টি পরীক্ষা শুরু হওয়া মাত্রই প্রশ্নপত্র মোবাইলে মোবাইলে ঘুরল, তাতে আর কী করলে এমন ঘটনা আটকানো যাবে, সেই চিন্তাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বোর্ড কর্তাদের মাথায়।