গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় ঐক্য চাইলেও বাংলার কংগ্রেসকে আর বলি হতে দেওয়া যাবে না। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে তাঁরা এমনই আশ্বাস পেয়েছেন বলে দাবি করলেন দলের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়েছিল। কংগ্রেস নেতাদের মতে, জোটধর্ম বজায় রাখতে গিয়ে আসন বন্টনে তৃণমূলের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেসকে। সেই জোট অবশ্য বেশিদিন টেকেনি। পরে তৃণমূলের সাংগঠনিক পরাক্রমের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে কংগ্রেস। পরিবর্তন উত্তর পর্বে তৃণমূলের আগ্রাসনে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনী সাফল্য না পেলেও কংগ্রেসের এমন সাংগঠনিক দুর্দশা বাম জমানাতেও হয়নি। শুধু সাংগঠনিক শক্তিতে নয়, রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতাও হ্রাস পেয়েছিল বাংলার কংগ্রেসের। জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের পক্ষে তৃণমূলের মতো শক্তিশালী আঞ্চলিক দলকে অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই রাজ্যস্তরে যতই বৈরিতা থাক না কেন, বিজেপি বিরোধী অবস্থানের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার স্বার্থে মমতার মতো কট্টর মোদি সমালোচকের সঙ্গ রাহুলের কাছে অপরিহার্য।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে রাজ্য ভিত্তিতে দলগুলির অবস্থা ও নেতৃত্বের মনোভাব বুঝতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে সব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও পরিষদীয় নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন রাহুল। এদিন সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে সোমেনবাবু দাবি করেন, রাহুল গান্ধী বলে দিয়েছেন, দিল্লি, তামিলনাড়ু বা পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে আর হালাল হতে দেবেন না।