গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালপাড়ার ধুলিয়াবাদ সংসদের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের আজিমুল রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে রাস্তাটি পাকা হয়নি। এই রাস্তাটি দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে আছে। বর্ষার সময়ে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়ে। রাস্তা পাকা করার দাবিতেই গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। প্রশাসন রাস্তার কাজ করার আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
মহকুমার শাসক রজতকান্তি বিশ্বাস বলেন, জেলা পরিষদ গঠনের পর খুব বেশি সময় পাওয়া যায়নি। শুক্রবার থেকেই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ গ্রামবাসীরা আচমকাই কদমতলায় জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করে। জাতীয় সড়ক দিয়ে আসা বাস, ট্রাক তারা আটকে দেয়। আন্দোলনকারীদের কয়েকজন রাস্তার বিভিন্ন অংশে টায়ার, খড় রেখে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এর ফলে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। আন্দোলনকারীরা কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবি তুলে স্লোগান দিতে থাকে। ঘটনাস্থলে পুলিস এসে অবরোধ তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে তাদের একপ্রস্থ বচসাও হয়। এরপর একে একে ঘটনাস্থলে আসেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে, রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস ঘোষ। মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরাও অবরোধ স্থলে আসেন। কিন্তু তাঁদের অনুরোধেও অবরোধ ওঠে না। অবরোধকারীরা জেলাশাসককে হস্তক্ষেপ দাবি করেন। পরে মহকুমা শাসকের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। এদিন অবরোধকারীরা চাপে পড়ে মহকুমা শাসক কাঁচা রাস্তাটির একাংশ পরিদর্শন করেন।
এদিকে জাতীয় সড়কে যানবাহনের লাইন দু’দিকে প্রায় কয়েক কিমি চলে যায়। শহরের দিকে শিলিগুড়ি মোড় ও ইটাহারের দিকে কসবা মোড় পর্যন্ত ওই যানজট ছাড়তে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়।