উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জিআরএসই লিমিটেড ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়ন অভিযোগ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেও। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। জিআরএসই কর্তৃপক্ষ অবশ্য কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি বিক্ষোভের নামে কাজের সময় বিশৃঙ্খলা তৈরির পাল্টা অভিযোগকেই শোকজের কারণ বলে জানিয়েছে।
ইউনিয়ন নেতৃত্বের অভিযোগ, সংস্থার নিরাপত্তার কাজে যুক্ত সিআইএসএফ বাহিনীর ৪২ জন এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন দু’জন। তাঁদের সংস্পর্শে অন্তত চারজন কর্মী করোনার কবলে পড়েছেন। আলফা সিরিজের একটি বড় যুদ্ধজাহাজ তৈরির কাজ চলার সুবাদে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বহু বিদেশি নাগরিকের কারখানায় আনাগোনা হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্ব পালন করেছে সিআইএসএফ বাহিনী। সংক্রমণের সূত্রপাত সেখান থেকেই বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর একের পর এক সিআইএসএফ কর্মীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কর্মীদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়। এখনও কর্তৃপক্ষ সংস্থার নিজস্ব ক্যান্টিন খোলার অনুমতি দেয়নি। উল্টে সংস্থা যখন কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত ছিল, তখন থেকেই ধীরে ধীরে কাজ চালু করে দেয় স্থানীয় থানা ও পুরসভার অনুমতির দোহাই দিয়ে। সর্বোপরি, কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়েও কর্তৃপক্ষ উদাসীন মনোভাব নিয়ে চলেছে।
জিআরএসই কর্তৃপক্ষ অবশ্য এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, কর্মী বিক্ষোভের কারণ মোটেও তা ছিল না। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরও কেন কারখানার কাজ চালু করা হয়েছে, তা নিয়েই কাজের সময় বিক্ষোভ দেখানোয় শোকজ করা হয়েছে।