কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এদিন বড়বাজারের মহাত্মা গান্ধী রোড, যমুনালাল বাজাজ স্ট্রিট, আর্মেনিয়ান স্ট্রিট, নুরমল লোহিয়া লেন সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, সেখানে বিভিন্ন দোকানে প্রচুর পরিমাণে শীত পোশাক থরে থরে সাজানো রয়েছে। বিভিন্ন শীত পোশাকের নমুনাও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের বাইরে। দোকানে দোকানে মহিলাদের ভিড় ছিল চোখের পড়ার মতো। এক জায়গায় দেখা যায়, একরাশ লেডিস চাদর নানাভাবে পরখ করার পর তবে তা কিনছেন ওই মহিলারা। ব্যবসায়ী সঞ্জয় মিশ্র বলেন, গত বুধবার থেকে বাজারটা একটু একটু করে উঠছে। সকাল থেকে টুকটাক করে খরিদ্দার লেগে আছে। আর এক ব্যবসায়ী প্রদীপ গুপ্ত বলেন, কমবেশি সবরকমই শীতের পোশাক গত কয়েকদিন ধরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বাঁদর টুপির চাহিদা তুঙ্গে। অনেকে এসেই সটান জিজ্ঞাসা করছেন, বাঁদর টুপি আছে? অনেকেই এক সঙ্গে দু’তিনটি করে ওই টুপি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যমুনালাল বাজাজ স্ট্রিটে দেখা যায়, এক মাঝয়সি ব্যক্তি একটি বাঁদর টুপি কিনেই সটান পরে নিলেন। বাঁদর টুপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিকোচ্ছে মাফলার ও মোজা।
বড়বাজারের পাশপাশি এদিন একই দৃশ্য দেখা গেল, মধ্য কলকাতার ওয়েলিংটনের নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটেও। সেখানে প্রতি বছরের মতো এবারও শীত পোশাকের নানা সম্ভার নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। গত নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে শীত বস্ত্র বিক্রি। চলবে জানুয়ারি মাস ধরে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সেখানে স্টল রয়েছে ১০০টির উপর। ভুটান, বিহার, হিমাচল প্রদেশ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছেন এখানে শীত পোশাকের সম্ভার নিয়ে। বিহার থেকে আসা ব্যবসায়ী অরবিন্দ কুমার বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শীতের পোশাকের বাজার অনেকটাই ভালো। দেখা যাক, বাকি শীতটাতে বাজার কেমন কাটে। নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের বিশাল অংশজুড়ে বসা এই শীত ব্যবসায়ীদের ঘিরে ভিড় করে আছেন শহরের নানা প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতারা।