কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
প্রবীণ সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, গ্রিটিংস কার্ড, চিঠি এসব আজ ক্রমশই অতীতের তালিকায় চলে যাচ্ছে। আগামী দিনে তা ইতিহাসে পরিণত হবে। যুগ ক্রমেই দ্রুত চলছে। ফলে তার সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে আজকের প্রজন্মকে। অনেকেরই মত, এই ‘উন্নয়ন’ মেনে নেওয়া ছাড়া আর অন্য কোন পথ নেই। আমাদের সময়ে বাংলা নববর্ষ, ইংরেজি নিউ ইয়ার সহ বিশেষ বিশেষ কিছু দিনে শুভেচ্ছা বিনিময় হতো পোস্ট কার্ড, ইনল্যান্ড লেটার প্রভৃতির মাধ্যমে। পরবর্তী সময় ধাপে ধাপে নিউ ইয়ার উপলক্ষে বাড়ল গ্রিটিংস কার্ডের রমরমা। কিন্তু ‘সাইবার দুনিয়া’র হাতছানিতে তা আজ পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। প্রযুক্তির এই উন্নয়নে মানুষের ভালোবাসা ও আন্তরিকতার টান কতটা থাকল, সে কথা নাই বা বললাম।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ডঃ নীরদরঞ্জন ঘোষ বলেন, বাড়ির লেটার বক্সে আসা খামে ভরা নিউ ইয়ারের গ্রিটিংস কার্ড পাওয়ার অনভূতিটাই একটু আলাদা। সত্যি বলতে কী, স্মার্ট ফোনের স্ক্রিনে শুভেচ্ছাবার্তা দেখে তেমন তৃপ্তি মেলে না। একটা সময় চাকুরিরত অবস্থায় নানা প্রান্ত থেকে বেশ কিছু গ্রিটিংস কার্ড আসত। আমি ধন্যবাদ জানিয়ে প্রেরকদের চিঠিও পাঠাতাম। তা ছিল হাতে লেখা পোষ্ট কার্ড। গত বছরেও দু’টি গ্রিটিংস কার্ড এসেছিল। আগামী দিনে হয়ত তাও বন্ধ হয়ে যাবে মোবাইল ফোনের কারণে।
স্বামী বিবেকানন্দের পদধূলিধন্য আলমবাজার মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সারদাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, আগে ফি বছর বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ভক্ত আশ্রমের অফিসে চিঠি ও গ্রিটিংস পাঠাতেন। আমরাও কুশল কামনা করে চিঠি পাঠাতাম। এখন তা প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। এখন সবই চলছে ফোনে। রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপক দাশগুপ্তর কথায়, বাস্তবকে তো মেনে নিতেই হবে। আগামী দিনে হয়ত, আরও উন্নতি ঘটবে বিজ্ঞানের। কিন্তু এইসব সুখ স্মৃতির নষ্টালজিয়ার একটা গুরুত্ব আছে বৈকি।