নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মূলত মহারাষ্ট্র থেকে জোগান বাড়ায় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। কিন্তু খুচরো বাজারে তার বিশেষ প্রভাব এখনও পড়েনি। খুচরো বাজারে কিছুটা বড় সাইজের ভালো মানের পেঁয়াজ মঙ্গলবারও ১২০ টাকা কেজি বা তার কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। যেখানে এখন পাইকারি বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি। কিছুটা ছোট সাইজের পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে। সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, এখনকার পরিস্থিতিতে খুচরো বাজারে দাম একশো টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন চক্রবর্তী বলেন, পেঁয়াজের জোগান বেড়েছে। ভর্তুকি দিয়ে ৫৯ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য এখনও পোস্তা, শিয়ালদহ ও ধূলাগড়ের পাইকারি বাজার থেকে কৃষি বিপণন পর্ষদ পেঁয়াজ কিনে যাচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম কমায় সরকারের ভর্তুকির বোঝা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ী মহল আশা করছে, আগামী দিনে মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজের জোগান আরও বাড়তে থাকবে। কারণ সেখানে মাঠ থেকে নতুন পেঁয়াজ বেশি পরিমাণে উঠছে।
পেঁয়াজের পাশাপাশি আলুর দাম নিয়ে সাধারণ মানুষ এখন বেশ চাপে আছে। সাধারণ জ্যোতি আলু খুচরো বাজারে ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শীতকালে আলুর দাম এত বেশি সাম্প্রতিক সময়ে কখন হয়নি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে উৎপাদিত নতুন আলু বেশি পরিমাণে বাজারে ঢুকতে শুরু করবে বলে কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নতুন আলু বাজারে অনেকটা পরিমাণ চলে আসবে। এখন বাজারের চাহিদা মেটচ্ছে হিমঘরে সংরক্ষিত আলু। যার পরিমাণ কমে আসছে। জোগান বাড়লে আলুর দাম কমবে, এমনটাই আশা সরকারি আধিকারিকদেরও।