শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নভেম্বর মাস পর্যন্ত হিমঘরে আলু মজুত রাখা যায়। তবে অনেক সময় বেশি পরিমাণে আলু হিমঘরে থাকার জন্য ওই সময়সীমা বাড়ানো হয়। গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখা হয়েছিল।
নতুন আলু মার্চ মাস নাগাদ বেশি পরিমাণে উঠতে শুরু করলে হিমঘর ভর্তি করা শুরু হয়। মে মাস থেকে সেই আলু বের হতে শুরু করে। ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে সংরক্ষিত আলু বাজারের চাহিদা মেটায়। বছরের বাকি মাসগুলিতে মাঠ থেকে ওঠা নতুন আলু বাজারে চলে আসে। এবার রাজ্যে আলুর বাম্পার ফলন হচ্ছিল। কিন্তু মার্চ মাসে ব্যাপক পরিমাণে নতুন আলু ওঠার সময় অসময়ের ভারী বৃষ্টিতে ফলনের অনেকটা ক্ষতি হয়ে যায়। এর জেরে এবার হিমঘরগুলিতে পুরো ধারণ ক্ষমতার থেকে কিছুটা কম আলু মজুত হয়েছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে প্রায় ১৪ কোটি প্যাকেট (৫০ কেজির) আলু হিমঘরে রাখা হয়েছিল। এবার সেটা কমে হয় ১২ কোটি ৭০ লক্ষ প্যাকেট। গতবার মোট প্রায় ৬৭ লক্ষ টন আলু হিমঘরে ছিল। এবার মজুত হয়েছে প্রায় ৬৩ লক্ষ টন।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এখনও প্রায় ৪ কোটি ১০ লক্ষ প্যাকেট আলু রয়েছে। হিমঘর থেকে সাধারণত মাসে দুই কোটি প্যাকেট আলু বের হয়। তার বেশিরভাগটাই রাজ্যের বাজারের চাহিদা মেটায়। কিছুটা যায় ভিন রাজ্যে।
তবে এখন হিমঘর থেকে যে আলু বের হবে, তার একটা অংশ চাষের বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। পাঞ্জাব থেকে আসা আলুবীজের পাশপাশি হিমঘরে রাখা আলুও চাষিরা বীজ হিসেবে ব্যবহার করেন।
পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ থেকে নতুন আলু রাজ্যের বাজারে ডিসেম্বর মাসে ঢুকতে শুরু করে। ঠিক কোন সময়ে তা বাজারে আসবে, তা নির্ভর করে সেখানে নতুন আলু কখন উঠছে তার উপর। রাজ্যে উৎপাদিত নতুন আলু বাজারে আসে জানুয়ারি নাগাদ। নতুন আলু না আসা পর্যন্ত হিমঘরে সংরক্ষিত আলু বাজারের চাহিদা মেটাবে।
এই রাজ্য থেকে মূলত ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসমে আলু যায়। ভিন রাজ্যে আলুর সরবরাহ এখন কতটা হবে, তার উপর রাজ্যের বাজারের দাম অনেকটা নির্ভর করছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ভিন রাজ্যে চাহিদা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এবার মরশুমের বেশির ভাগ সময় হিমঘরে রাখা আলু বিক্রি করে লাভ হয়নি। ৯ টাকা কেজি দরের আশপাশে আলু বেরিয়েছে। এতে আলু কেনা ও হিমঘরে রাখার খরচটুকু উঠেছে। এখন ১২ টাকা কেজি দরের আশপাশে আলু হিমঘর থেকে বের হচ্ছে। এই দাম আগে থেকে পাওয়া গেলে কিছুটা লাভ থাকত। তবে রাজ্য সরকারও আলুর দামের উপর নজর রাখছে বলে কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। লাগামছাড়া দাম নেওয়া সরকার বরদাস্ত করবে না।